ঢাকা ০১:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
যেখানেই আইন লঙ্ঘন হবে পুলিশ তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থানিতে পিছু হটবেনা-ওসি কোতয়ালী টাঙ্গাইলে সমন্বয়ক পরিচয়ধারীদের পদ স্হগিত করলেন হাসনাত আবদুল্লাহ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে রিভিউ শুনানি রোববার পাকিস্তানের ‘জেএফ-১৭ থান্ডার’ যুদ্ধবিমানে আগ্রহ বাংলাদেশের পিডিবি সরকারি চাকরির আশ্বাস ১ লাখ ২২ হাজার টাকা হাতিয়ে নিলেন প্রতারক হানিফ টঙ্গী থানা মহিলা যুবলীগ সভাপতি নাসরিন এর দাপটে হচ্ছে হত্যা আর অন্যের জমি জবর দখল! নাসরিনকে গ্রেফতারের দাবি ভুক্তভোগীদের ফরজ বিধান পর্দা যেখানে নাই, সেখানে রহমত নাই -ছারছীনার পীর ছাহেব ভ্যাট ও শুল্ক কমানোর দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে রেস্তোরা মালিক, শ্রমিকের মানববন্ধন টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করায় বিএনপির মহাসচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ! ব্যাংক খাত ধ্বংসের শুরুটা হয় এসকে সুরের হাত দিয়ে

করিমগঞ্জে সরকারি স্কুলে সামান্য বৃষ্টিতেই মাঠে জলাবদ্ধতা, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি :
  • আপডেট টাইম : ০১:৩৩:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ জুলাই ২০২৩
  • / ১৩৫ ৫০০০.০ বার পাঠক

কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার ০৩ নং ওয়ার্ডের কিরাটন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সামান্য বৃষ্টি হলেই স্কুলের মাঠে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। যেখানে শিক্ষার্থীদের খেলায় মেতে উঠবার কথা, সেখানে জন্ম নেয় মশা। এমনই চিত্র দেখা যায় স্কুল মাঠে। কিরাটন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯১৯ সালে ৫০ শতাংশ ভূমির মাঝে প্রতিষ্ঠিত । দীর্ঘদিন যাবৎ জলাবদ্ধতার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারছে না অসংখ্য শিক্ষার্থী।

প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে এর ভয়াবহ পরিস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশপাশের রাস্তা থেকে স্কুল মাঠটি নীচু। সেই সঙ্গে স্কুলটির মাঠে থৈ থৈ পানি, আগাছায় ভরে গিয়ে নর্দমায় পরিণত হয়েছে। মাঠের অল্প কিছু অংশে পানি কম থাকলেও তা স্যাতস্যাতে। এতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

এদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষ ছেড়ে মাঠে সময় দিতে পারছে না। দীর্ঘদিন থেকে মাঠটি খেলাধুলার জন্য উপযুক্ত হয়ে উঠতে পারিনি। জলাবদ্ধতার কারণে শ্রেণিকক্ষে যাতায়াতের সময় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা অনেকেই পা পিছলে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছে। একই কারণে কারণে স্কুল খোলা থাকা সত্বেও কমছে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি। ফলে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম।

এমন পরিস্থিতিতে দ্রুততার সঙ্গে স্কুল মাঠের জলাবদ্ধতা নিরসনের জোর দাবি জানান, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহল।

স্থানীয়রা জানায়, মাঠটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটু সমান জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সে সময় শিশু শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের সীমা থাকে না। কিন্তু জলাবদ্ধতা নিরসনে বাস্তব ভিত্তিক কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।

এ বিষয়ে একজন শিক্ষার্থী এই প্রতিনিধিকে বলেন, আমরা টিফিনের সময়গুলো মাঠে বসে কাটাতাম। কিন্তু এখন জলাবদ্ধতার কারণে মাঠের আশেপাশে চলাফেরা করা যাচ্ছে না।

আরেক শিক্ষার্থী জানান, জলাবদ্ধতার কারণে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। দীর্ঘদিন যাবৎ জলাবদ্ধতা থাকলেও তা নিরসনে কোন ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।

সমস্যার কথা বলতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, বিদ্যালয়ের মাঠে পানি আটকে থাকে তাই আমরা খেলাধুলা করতে পারিনা। আমরা মাঠে হাঁটাহাঁটি করতে পারিনা। স্কুলে এসে সবসময় শ্রেণিকক্ষে সময় কাটাতে হয়। এতে করে অনেকে স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছে।

কিরাটন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, বৃষ্টি আসলেই পানি মাঠে নেমে আসে। এর ফলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। বিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে কষ্টের সম্মুখীন হতে হয়। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করবো যাতে খুব দ্রুততম সময়ে মধ্যেই সমস্যাটির সমাধান করা যায়।
এ বিষয়ে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কাজল কে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, পূর্বে কয়েকবার বালু ভরাট করলেও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলেই সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।

এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সমস্যা হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করতে পারছে না। দ্রুত এই সমস্যার সমাধানের লক্ষে তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

করিমগঞ্জে সরকারি স্কুলে সামান্য বৃষ্টিতেই মাঠে জলাবদ্ধতা, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

আপডেট টাইম : ০১:৩৩:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ জুলাই ২০২৩

কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার ০৩ নং ওয়ার্ডের কিরাটন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সামান্য বৃষ্টি হলেই স্কুলের মাঠে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। যেখানে শিক্ষার্থীদের খেলায় মেতে উঠবার কথা, সেখানে জন্ম নেয় মশা। এমনই চিত্র দেখা যায় স্কুল মাঠে। কিরাটন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯১৯ সালে ৫০ শতাংশ ভূমির মাঝে প্রতিষ্ঠিত । দীর্ঘদিন যাবৎ জলাবদ্ধতার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারছে না অসংখ্য শিক্ষার্থী।

প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে এর ভয়াবহ পরিস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশপাশের রাস্তা থেকে স্কুল মাঠটি নীচু। সেই সঙ্গে স্কুলটির মাঠে থৈ থৈ পানি, আগাছায় ভরে গিয়ে নর্দমায় পরিণত হয়েছে। মাঠের অল্প কিছু অংশে পানি কম থাকলেও তা স্যাতস্যাতে। এতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

এদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষ ছেড়ে মাঠে সময় দিতে পারছে না। দীর্ঘদিন থেকে মাঠটি খেলাধুলার জন্য উপযুক্ত হয়ে উঠতে পারিনি। জলাবদ্ধতার কারণে শ্রেণিকক্ষে যাতায়াতের সময় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা অনেকেই পা পিছলে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছে। একই কারণে কারণে স্কুল খোলা থাকা সত্বেও কমছে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি। ফলে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম।

এমন পরিস্থিতিতে দ্রুততার সঙ্গে স্কুল মাঠের জলাবদ্ধতা নিরসনের জোর দাবি জানান, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহল।

স্থানীয়রা জানায়, মাঠটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটু সমান জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সে সময় শিশু শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের সীমা থাকে না। কিন্তু জলাবদ্ধতা নিরসনে বাস্তব ভিত্তিক কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।

এ বিষয়ে একজন শিক্ষার্থী এই প্রতিনিধিকে বলেন, আমরা টিফিনের সময়গুলো মাঠে বসে কাটাতাম। কিন্তু এখন জলাবদ্ধতার কারণে মাঠের আশেপাশে চলাফেরা করা যাচ্ছে না।

আরেক শিক্ষার্থী জানান, জলাবদ্ধতার কারণে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। দীর্ঘদিন যাবৎ জলাবদ্ধতা থাকলেও তা নিরসনে কোন ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।

সমস্যার কথা বলতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, বিদ্যালয়ের মাঠে পানি আটকে থাকে তাই আমরা খেলাধুলা করতে পারিনা। আমরা মাঠে হাঁটাহাঁটি করতে পারিনা। স্কুলে এসে সবসময় শ্রেণিকক্ষে সময় কাটাতে হয়। এতে করে অনেকে স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছে।

কিরাটন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, বৃষ্টি আসলেই পানি মাঠে নেমে আসে। এর ফলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। বিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে কষ্টের সম্মুখীন হতে হয়। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করবো যাতে খুব দ্রুততম সময়ে মধ্যেই সমস্যাটির সমাধান করা যায়।
এ বিষয়ে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কাজল কে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, পূর্বে কয়েকবার বালু ভরাট করলেও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলেই সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।

এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সমস্যা হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করতে পারছে না। দ্রুত এই সমস্যার সমাধানের লক্ষে তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।