ঢাকা ০৮:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ড. রেজাউল করিম মসজিদের ইমাম হত্যা মামলার খুনিদের বাঁচাতে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে ৫ ব্যাংক মিলে হচ্ছে এক ব্যাংক: গভর্নর ৩০ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আবারও বসছে ঐকমত্য কমিশন রাজধানীতে ৫ মাসে ১৬৮ খুনের মামলা, আন্ডার ওয়ার্ল্ড গডফাদারের সংশ্লিষ্টতা এক লক্ষাধিক শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি আসছে ইরানের হামলায় ইসরাইলে নিহত ৮, আহত ২০০ আওয়ামী লীগের সাইনবোর্ড ধারী দালাল এখন বিগত রাতে কমপক্ষে ১০০জামাত বিএনপি ধরে হাজত দেওয়ার পরও এখনো কর্মগত অবস্থায় কিভাবে আকবেন নির্বাচনের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বোয়ালমারীত আসামি ধরতে গিয়ে পুলিশের এসআই নিহত আবারও ইরানে ইসরাইলের হামলা শুরু

কিশোরগঞ্জে শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার ৭ বছর, নিহতদের স্মরণে সভা অনুষ্ঠিত

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : ১১:৫৮:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুলাই ২০২৩
  • / ১৪৪ ১৫০.০০০ বার পাঠক

কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ২০১৬ সালের ৭ জুলাই ঈদুল ফিতরের জামাতের আগে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় দুই পুলিশ সদস্য ও এক নারী নিহত হয়েছিলেন। পুলিশের সাহসিকতা ও আত্মত্যাগে সেদিন বেঁচে যায় অসংখ্য মানুষের জীবন।

শুক্রবার (৭ জুলাই) সকালে সেই জঙ্গি হামলায় নিহতদের স্মরণে জেলা পুলিশ শোলাকিয়া এলাকায় এক স্মরণসভা আয়োজন করেন। সেখানে পুলিশ, প্রশাসনের কর্মকর্তা, নিহতদের স্বজন, রাজনীতিক ও গণ্যমান্য লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

স্মরণসভায় জঙ্গিদের ভয়াবহ হামলা ও পুলিশের বীরত্বপূর্ণ প্রতিরোধের কথা স্মরণ করে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান বক্তারা। সভা শেষে নিহতদের স্মরণে মোনাজাত করা হয়।

স্মরণ সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন – জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ আফজল, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মাসুদ আল মামুন খান।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় নিহত পুলিশ সদস্যদের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার। পরে নিহত ঝর্ণা রাণী ভৌমিকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে খোঁজ নেন তারা। এ সময় ঝর্ণার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

এ সময় সেখানে উপস্থিত নিহত ঝর্ণার স্বামী গৌরাঙ্গ ভৌমিক বলেন, শোলাকিয়া ঘটনায় যে মামলা করা হয়েছে, তার অগ্রগতি খুব সামান্য। চার্জশিট দেয়া হলেও এখন পর্যন্ত সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়নি। বারবার তারিখ পড়লেও সাক্ষী ও আসামিদের হাজির করতে না পারায় বিচারকাজে গতি পাচ্ছে না। আমার দাবি দ্রুত মামলাটির শুনানি শেষ করে রায় ঘোষণা করা হোক।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ বলেন, এরই মধ্যে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। আশা করি অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে। নিহতদের পরিবার ন্যায়বিচার পাবে।

জঙ্গিদের হামলায় সেদিন পুলিশ সদস্য জহিরুল হক, আনসারুল হক, গৃহবধূ ঝর্ণা রাণী ভৌমিক নিহত হন। আর পুলিশের গুলিতে মারা যান আবির রহমান নামে সন্দেহভাজন এক জঙ্গি।

এ ঘটনায় তিন দিন পরে পাকুন্দিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সামসুদ্দীন বাদী হয়ে ২০০৯ সালের সন্ত্রাস বিরোধী আইনের বিভিন্ন ধারায় কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করেন।

জেলা পুলিশ জানায়, পরবর্তী সময়ে এ মামলায় মোট ২৪ জনকে আসামি করা হয়। বিভিন্ন সময়ে বন্দুকযুদ্ধে আসামিদের মধ্যে ১৯ জন মারা যান। জীবিত পাঁচ আসামির মধ্যে দুজন গাজীপুরের কাশিমপুর, দুজন কিশোরগঞ্জ ও একজন রাজশাহী কারাগারে আটক রয়েছেন।

তারা হলেন- জাহিদুল হক তানিম, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজিব গান্ধি, মিজানুর রহমান, আনোয়ার হোসেন ও মো. সবুর খান।
মমলার সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তা কিশোরগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আরিফুর রহমান ২০১৮ সালের ২৬ জুলাই আদালতে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। আগামী ২৫ জুলাই সাক্ষ্যগ্রহণের নতুন তারিখ নির্ধারণ করে দিয়েছেন আদালত।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কিশোরগঞ্জে শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার ৭ বছর, নিহতদের স্মরণে সভা অনুষ্ঠিত

আপডেট টাইম : ১১:৫৮:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুলাই ২০২৩

কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ২০১৬ সালের ৭ জুলাই ঈদুল ফিতরের জামাতের আগে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় দুই পুলিশ সদস্য ও এক নারী নিহত হয়েছিলেন। পুলিশের সাহসিকতা ও আত্মত্যাগে সেদিন বেঁচে যায় অসংখ্য মানুষের জীবন।

শুক্রবার (৭ জুলাই) সকালে সেই জঙ্গি হামলায় নিহতদের স্মরণে জেলা পুলিশ শোলাকিয়া এলাকায় এক স্মরণসভা আয়োজন করেন। সেখানে পুলিশ, প্রশাসনের কর্মকর্তা, নিহতদের স্বজন, রাজনীতিক ও গণ্যমান্য লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

স্মরণসভায় জঙ্গিদের ভয়াবহ হামলা ও পুলিশের বীরত্বপূর্ণ প্রতিরোধের কথা স্মরণ করে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান বক্তারা। সভা শেষে নিহতদের স্মরণে মোনাজাত করা হয়।

স্মরণ সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন – জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ আফজল, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মাসুদ আল মামুন খান।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় নিহত পুলিশ সদস্যদের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার। পরে নিহত ঝর্ণা রাণী ভৌমিকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে খোঁজ নেন তারা। এ সময় ঝর্ণার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

এ সময় সেখানে উপস্থিত নিহত ঝর্ণার স্বামী গৌরাঙ্গ ভৌমিক বলেন, শোলাকিয়া ঘটনায় যে মামলা করা হয়েছে, তার অগ্রগতি খুব সামান্য। চার্জশিট দেয়া হলেও এখন পর্যন্ত সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়নি। বারবার তারিখ পড়লেও সাক্ষী ও আসামিদের হাজির করতে না পারায় বিচারকাজে গতি পাচ্ছে না। আমার দাবি দ্রুত মামলাটির শুনানি শেষ করে রায় ঘোষণা করা হোক।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ বলেন, এরই মধ্যে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। আশা করি অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে। নিহতদের পরিবার ন্যায়বিচার পাবে।

জঙ্গিদের হামলায় সেদিন পুলিশ সদস্য জহিরুল হক, আনসারুল হক, গৃহবধূ ঝর্ণা রাণী ভৌমিক নিহত হন। আর পুলিশের গুলিতে মারা যান আবির রহমান নামে সন্দেহভাজন এক জঙ্গি।

এ ঘটনায় তিন দিন পরে পাকুন্দিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সামসুদ্দীন বাদী হয়ে ২০০৯ সালের সন্ত্রাস বিরোধী আইনের বিভিন্ন ধারায় কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করেন।

জেলা পুলিশ জানায়, পরবর্তী সময়ে এ মামলায় মোট ২৪ জনকে আসামি করা হয়। বিভিন্ন সময়ে বন্দুকযুদ্ধে আসামিদের মধ্যে ১৯ জন মারা যান। জীবিত পাঁচ আসামির মধ্যে দুজন গাজীপুরের কাশিমপুর, দুজন কিশোরগঞ্জ ও একজন রাজশাহী কারাগারে আটক রয়েছেন।

তারা হলেন- জাহিদুল হক তানিম, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজিব গান্ধি, মিজানুর রহমান, আনোয়ার হোসেন ও মো. সবুর খান।
মমলার সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তা কিশোরগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আরিফুর রহমান ২০১৮ সালের ২৬ জুলাই আদালতে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। আগামী ২৫ জুলাই সাক্ষ্যগ্রহণের নতুন তারিখ নির্ধারণ করে দিয়েছেন আদালত।