ঢাকা ১১:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে বাস্তব-সত্যঘঠনা, ও,তথ্যভিত্তিক রেফারেন্স উল্লেখিত-দেশাত্মবোধক বিদ্রোহী কবিতা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন; মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থীর কর্মীকে মারধরের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন মির্জাপুর ইউনিয়ন ভুমি অফিসের উপ সহকারী জব্বারের বিরুদ্ধে চা-বিক্রেতাকে মেরে রক্তাক্ত জখম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে যাদবপুর কেন্দ্রের তৃনমূল দলের প্রার্থী শাওনি ঘোষের হরে প্রচারে স্পিকার বিমান ব্যানার্জী ইবিতে কোটি টাকা ব্যয়েও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত পরিবহন সেবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন- মঠবাড়িয়া দুই চেয়াররম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত-৫ : গ্রেপ্তার-৫ টাঙ্গাইল জেলা গোপালপুর উপজেলা গোপালপুর পৌর এলাকা হাটবৈরান গ্রামে বেলা তিনটার দিকে স্বামীর হাতে বউ খুন ফুলবাড়ীতে বোরো ধান ও চাল সংগ্রহের উদ্ভোদন পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩ পদে ১০জন প্রার্থী ব্যপক প্রচার-প্রচারণায় মুখর ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে আগামী ২১ মে

ফুলবাড়িয়ায় ভুল চিকিৎসায় তরুণীর অবস্থা আশংকাজনক অভিযোগ দায়ের

ভুল চিকিৎসায় ২১ বছরের এক তরুণীর চেহারা বিকৃত হয়ে গিয়েছে এবং তরুণীর জীবন এখন সংকটাপন্ন। এ ঘটনাটি ঘটে ময়মনসিংহ জেলায় ফুলবাড়িয়া উপজেলার দেওখলা বাজারের কাদের ফরাজী ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। কাদের ফরাজী ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সংশ্লিষ্ট পরিচালক ডা. মো. এস, এম, মিজানুর রহমান (পলাশ) এর অজ্ঞতা ও অনৈতিকতার কারণে তরুনীর সমস্ত শরীর বিভৎস আকার ধারণ করিয়াছে, যে কেউ তাকে দেখলে ভয় পাবে। তার শরীরের অবস্থাও আশংকাজনক।

ভুক্তভোগী তরুণীটির নাম মোছা. সুরাইয়া ফাতেমা। তরুণীটি টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার আটারদান গ্রামের মো. সেলিম রানার মেয়ে। তার মায়ের নাম মোছা. জেসমিন আক্তার।

ভুক্তভোগীর মা জেসমিন আক্তার বলেন, আনুমানিক ৪ মাস পূর্বে আমার মেয়ের শরীরে এলার্জি ও চর্মরোগ দেখা দেয়। তখন আমি আমার মেয়েকে নিয়ে কাদের ফরাজী ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যাই এবং ডা. মো. এস. এম. মিজানুর রহমান কে দেখাই। তিনি আমার মেয়ের অসুস্থতা দেখে বলেন, আমার পরামর্শ অনুযায়ী ঔষুধ খাইলে মেয়ের রোগ ভাল হবে। তখন আমি সরল বিশ্বাসে তার প্রতি বিশ্বাস রেখে ৪ মাস ঔষুধ খাওয়াই। আমার নিকট থেকে ৪ মাসে ভিজিট ও ঔষুধ বাবদ ১২০,০০০/= (এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা মাত্র) টাকা নেয় ডাক্তার। কিন্তু এই ৪ মাসে আমার মেয়ে সুস্থ হয়নি বরং মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আমার মেয়ের সুন্দর চেহারা বিশ্রী হয়ে গিয়েছে । আমি আমার মেয়েকে চিনতে পারিছি না।

তিনি আরও জানান, গত ১০ জুন ২০২৩ মেয়ের শরীরের অবস্থা বেগতিক খারাপ দেখে আমরা পরিবারের লোকজনসহ ক্লিনিকে গিয়ে মেয়ের শরীরের অবস্থা এত খারাপ হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি ক্ষেপে যান। আমরা মেয়ের শারীরিক অবস্থা দেখিয়ে তাকে বুঝানোর চেষ্টা করলাম, যে মেয়ের অবস্থা খুবই খারাপ কিন্তু তিনি আরোও ক্ষিপ্ত হয়ে যান। তখন আমাদের সাথে বাকবিতন্ড হয় এবং তিনি আমাদের হুমকি দেন এবং একপর্যায়ে বলেন আমি আপনার মেয়ের চিকিৎসা করি নাই, আপনারা যা পারেন গিয়ে করেন। আমরা তার ব্যবস্থাপত্র দেখাইতে চাইলেও তিনি তা দেখতে চাননি এবং বলেন এগুলো আমার ব্যবস্থাপত্র না। আমি আপনার মেয়ের চিকিৎসা করিনি।

ভুক্তভোগীর মা জানান, অবশেষে অনোন্যপায় হয়ে ফুলবাড়িয়া থানায় কাদের ফরাজী ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ডা. মো. এস. এম. মিজানুর রহমান (পলাশ) এর নামে একটি অভিযোগ দায়ের করি। এ ঘটনার সাথে জড়িত ডা. মো. এস, এম, মিজানুর রহমান (পলাশ) এর সাথে মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন দিয়েও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

ফুলবাড়িয়া থানার অফিসারx ইনচার্জ (ওসি) শাহিনুজ্জামান খান অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। ওসি বলেন ঘটনার তদন্ত চলমান তদন্ত হওয়ার পরে বিস্তারিত বলা যাবে এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে বাস্তব-সত্যঘঠনা, ও,তথ্যভিত্তিক রেফারেন্স উল্লেখিত-দেশাত্মবোধক বিদ্রোহী কবিতা

ফুলবাড়িয়ায় ভুল চিকিৎসায় তরুণীর অবস্থা আশংকাজনক অভিযোগ দায়ের

আপডেট টাইম : ০৫:৩৮:০৯ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৬ জুন ২০২৩

ভুল চিকিৎসায় ২১ বছরের এক তরুণীর চেহারা বিকৃত হয়ে গিয়েছে এবং তরুণীর জীবন এখন সংকটাপন্ন। এ ঘটনাটি ঘটে ময়মনসিংহ জেলায় ফুলবাড়িয়া উপজেলার দেওখলা বাজারের কাদের ফরাজী ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। কাদের ফরাজী ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সংশ্লিষ্ট পরিচালক ডা. মো. এস, এম, মিজানুর রহমান (পলাশ) এর অজ্ঞতা ও অনৈতিকতার কারণে তরুনীর সমস্ত শরীর বিভৎস আকার ধারণ করিয়াছে, যে কেউ তাকে দেখলে ভয় পাবে। তার শরীরের অবস্থাও আশংকাজনক।

ভুক্তভোগী তরুণীটির নাম মোছা. সুরাইয়া ফাতেমা। তরুণীটি টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার আটারদান গ্রামের মো. সেলিম রানার মেয়ে। তার মায়ের নাম মোছা. জেসমিন আক্তার।

ভুক্তভোগীর মা জেসমিন আক্তার বলেন, আনুমানিক ৪ মাস পূর্বে আমার মেয়ের শরীরে এলার্জি ও চর্মরোগ দেখা দেয়। তখন আমি আমার মেয়েকে নিয়ে কাদের ফরাজী ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যাই এবং ডা. মো. এস. এম. মিজানুর রহমান কে দেখাই। তিনি আমার মেয়ের অসুস্থতা দেখে বলেন, আমার পরামর্শ অনুযায়ী ঔষুধ খাইলে মেয়ের রোগ ভাল হবে। তখন আমি সরল বিশ্বাসে তার প্রতি বিশ্বাস রেখে ৪ মাস ঔষুধ খাওয়াই। আমার নিকট থেকে ৪ মাসে ভিজিট ও ঔষুধ বাবদ ১২০,০০০/= (এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা মাত্র) টাকা নেয় ডাক্তার। কিন্তু এই ৪ মাসে আমার মেয়ে সুস্থ হয়নি বরং মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আমার মেয়ের সুন্দর চেহারা বিশ্রী হয়ে গিয়েছে । আমি আমার মেয়েকে চিনতে পারিছি না।

তিনি আরও জানান, গত ১০ জুন ২০২৩ মেয়ের শরীরের অবস্থা বেগতিক খারাপ দেখে আমরা পরিবারের লোকজনসহ ক্লিনিকে গিয়ে মেয়ের শরীরের অবস্থা এত খারাপ হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি ক্ষেপে যান। আমরা মেয়ের শারীরিক অবস্থা দেখিয়ে তাকে বুঝানোর চেষ্টা করলাম, যে মেয়ের অবস্থা খুবই খারাপ কিন্তু তিনি আরোও ক্ষিপ্ত হয়ে যান। তখন আমাদের সাথে বাকবিতন্ড হয় এবং তিনি আমাদের হুমকি দেন এবং একপর্যায়ে বলেন আমি আপনার মেয়ের চিকিৎসা করি নাই, আপনারা যা পারেন গিয়ে করেন। আমরা তার ব্যবস্থাপত্র দেখাইতে চাইলেও তিনি তা দেখতে চাননি এবং বলেন এগুলো আমার ব্যবস্থাপত্র না। আমি আপনার মেয়ের চিকিৎসা করিনি।

ভুক্তভোগীর মা জানান, অবশেষে অনোন্যপায় হয়ে ফুলবাড়িয়া থানায় কাদের ফরাজী ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ডা. মো. এস. এম. মিজানুর রহমান (পলাশ) এর নামে একটি অভিযোগ দায়ের করি। এ ঘটনার সাথে জড়িত ডা. মো. এস, এম, মিজানুর রহমান (পলাশ) এর সাথে মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন দিয়েও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

ফুলবাড়িয়া থানার অফিসারx ইনচার্জ (ওসি) শাহিনুজ্জামান খান অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। ওসি বলেন ঘটনার তদন্ত চলমান তদন্ত হওয়ার পরে বিস্তারিত বলা যাবে এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।