ঢাকা ০৯:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
লক্ষ্মীপুরের ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়া সংগঠন, ইলেভেন ষ্টার ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংঘের ২০২৫ সালের নতুন কমিটি গঠন যেখানেই আইন লঙ্ঘন হবে পুলিশ তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থানিতে পিছু হটবেনা-ওসি কোতয়ালী টাঙ্গাইলে সমন্বয়ক পরিচয়ধারীদের পদ স্হগিত করলেন হাসনাত আবদুল্লাহ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে রিভিউ শুনানি রোববার পাকিস্তানের ‘জেএফ-১৭ থান্ডার’ যুদ্ধবিমানে আগ্রহ বাংলাদেশের পিডিবি সরকারি চাকরির আশ্বাস ১ লাখ ২২ হাজার টাকা হাতিয়ে নিলেন প্রতারক হানিফ টঙ্গী থানা মহিলা যুবলীগ সভাপতি নাসরিন এর দাপটে হচ্ছে হত্যা আর অন্যের জমি জবর দখল! নাসরিনকে গ্রেফতারের দাবি ভুক্তভোগীদের ফরজ বিধান পর্দা যেখানে নাই, সেখানে রহমত নাই -ছারছীনার পীর ছাহেব ভ্যাট ও শুল্ক কমানোর দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে রেস্তোরা মালিক, শ্রমিকের মানববন্ধন টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করায় বিএনপির মহাসচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ!

ফুলবাড়িয়ায় ভুল চিকিৎসায় তরুণীর অবস্থা আশংকাজনক অভিযোগ দায়ের

কামরুল হাসান, ময়মনসিংহ প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট টাইম : ০৫:৩৮:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ জুন ২০২৩
  • / ১৬২ ৫০০০.০ বার পাঠক

ভুল চিকিৎসায় ২১ বছরের এক তরুণীর চেহারা বিকৃত হয়ে গিয়েছে এবং তরুণীর জীবন এখন সংকটাপন্ন। এ ঘটনাটি ঘটে ময়মনসিংহ জেলায় ফুলবাড়িয়া উপজেলার দেওখলা বাজারের কাদের ফরাজী ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। কাদের ফরাজী ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সংশ্লিষ্ট পরিচালক ডা. মো. এস, এম, মিজানুর রহমান (পলাশ) এর অজ্ঞতা ও অনৈতিকতার কারণে তরুনীর সমস্ত শরীর বিভৎস আকার ধারণ করিয়াছে, যে কেউ তাকে দেখলে ভয় পাবে। তার শরীরের অবস্থাও আশংকাজনক।

ভুক্তভোগী তরুণীটির নাম মোছা. সুরাইয়া ফাতেমা। তরুণীটি টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার আটারদান গ্রামের মো. সেলিম রানার মেয়ে। তার মায়ের নাম মোছা. জেসমিন আক্তার।

ভুক্তভোগীর মা জেসমিন আক্তার বলেন, আনুমানিক ৪ মাস পূর্বে আমার মেয়ের শরীরে এলার্জি ও চর্মরোগ দেখা দেয়। তখন আমি আমার মেয়েকে নিয়ে কাদের ফরাজী ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যাই এবং ডা. মো. এস. এম. মিজানুর রহমান কে দেখাই। তিনি আমার মেয়ের অসুস্থতা দেখে বলেন, আমার পরামর্শ অনুযায়ী ঔষুধ খাইলে মেয়ের রোগ ভাল হবে। তখন আমি সরল বিশ্বাসে তার প্রতি বিশ্বাস রেখে ৪ মাস ঔষুধ খাওয়াই। আমার নিকট থেকে ৪ মাসে ভিজিট ও ঔষুধ বাবদ ১২০,০০০/= (এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা মাত্র) টাকা নেয় ডাক্তার। কিন্তু এই ৪ মাসে আমার মেয়ে সুস্থ হয়নি বরং মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আমার মেয়ের সুন্দর চেহারা বিশ্রী হয়ে গিয়েছে । আমি আমার মেয়েকে চিনতে পারিছি না।

তিনি আরও জানান, গত ১০ জুন ২০২৩ মেয়ের শরীরের অবস্থা বেগতিক খারাপ দেখে আমরা পরিবারের লোকজনসহ ক্লিনিকে গিয়ে মেয়ের শরীরের অবস্থা এত খারাপ হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি ক্ষেপে যান। আমরা মেয়ের শারীরিক অবস্থা দেখিয়ে তাকে বুঝানোর চেষ্টা করলাম, যে মেয়ের অবস্থা খুবই খারাপ কিন্তু তিনি আরোও ক্ষিপ্ত হয়ে যান। তখন আমাদের সাথে বাকবিতন্ড হয় এবং তিনি আমাদের হুমকি দেন এবং একপর্যায়ে বলেন আমি আপনার মেয়ের চিকিৎসা করি নাই, আপনারা যা পারেন গিয়ে করেন। আমরা তার ব্যবস্থাপত্র দেখাইতে চাইলেও তিনি তা দেখতে চাননি এবং বলেন এগুলো আমার ব্যবস্থাপত্র না। আমি আপনার মেয়ের চিকিৎসা করিনি।

ভুক্তভোগীর মা জানান, অবশেষে অনোন্যপায় হয়ে ফুলবাড়িয়া থানায় কাদের ফরাজী ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ডা. মো. এস. এম. মিজানুর রহমান (পলাশ) এর নামে একটি অভিযোগ দায়ের করি। এ ঘটনার সাথে জড়িত ডা. মো. এস, এম, মিজানুর রহমান (পলাশ) এর সাথে মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন দিয়েও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

ফুলবাড়িয়া থানার অফিসারx ইনচার্জ (ওসি) শাহিনুজ্জামান খান অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। ওসি বলেন ঘটনার তদন্ত চলমান তদন্ত হওয়ার পরে বিস্তারিত বলা যাবে এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ফুলবাড়িয়ায় ভুল চিকিৎসায় তরুণীর অবস্থা আশংকাজনক অভিযোগ দায়ের

আপডেট টাইম : ০৫:৩৮:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ জুন ২০২৩

ভুল চিকিৎসায় ২১ বছরের এক তরুণীর চেহারা বিকৃত হয়ে গিয়েছে এবং তরুণীর জীবন এখন সংকটাপন্ন। এ ঘটনাটি ঘটে ময়মনসিংহ জেলায় ফুলবাড়িয়া উপজেলার দেওখলা বাজারের কাদের ফরাজী ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। কাদের ফরাজী ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সংশ্লিষ্ট পরিচালক ডা. মো. এস, এম, মিজানুর রহমান (পলাশ) এর অজ্ঞতা ও অনৈতিকতার কারণে তরুনীর সমস্ত শরীর বিভৎস আকার ধারণ করিয়াছে, যে কেউ তাকে দেখলে ভয় পাবে। তার শরীরের অবস্থাও আশংকাজনক।

ভুক্তভোগী তরুণীটির নাম মোছা. সুরাইয়া ফাতেমা। তরুণীটি টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার আটারদান গ্রামের মো. সেলিম রানার মেয়ে। তার মায়ের নাম মোছা. জেসমিন আক্তার।

ভুক্তভোগীর মা জেসমিন আক্তার বলেন, আনুমানিক ৪ মাস পূর্বে আমার মেয়ের শরীরে এলার্জি ও চর্মরোগ দেখা দেয়। তখন আমি আমার মেয়েকে নিয়ে কাদের ফরাজী ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যাই এবং ডা. মো. এস. এম. মিজানুর রহমান কে দেখাই। তিনি আমার মেয়ের অসুস্থতা দেখে বলেন, আমার পরামর্শ অনুযায়ী ঔষুধ খাইলে মেয়ের রোগ ভাল হবে। তখন আমি সরল বিশ্বাসে তার প্রতি বিশ্বাস রেখে ৪ মাস ঔষুধ খাওয়াই। আমার নিকট থেকে ৪ মাসে ভিজিট ও ঔষুধ বাবদ ১২০,০০০/= (এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা মাত্র) টাকা নেয় ডাক্তার। কিন্তু এই ৪ মাসে আমার মেয়ে সুস্থ হয়নি বরং মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আমার মেয়ের সুন্দর চেহারা বিশ্রী হয়ে গিয়েছে । আমি আমার মেয়েকে চিনতে পারিছি না।

তিনি আরও জানান, গত ১০ জুন ২০২৩ মেয়ের শরীরের অবস্থা বেগতিক খারাপ দেখে আমরা পরিবারের লোকজনসহ ক্লিনিকে গিয়ে মেয়ের শরীরের অবস্থা এত খারাপ হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি ক্ষেপে যান। আমরা মেয়ের শারীরিক অবস্থা দেখিয়ে তাকে বুঝানোর চেষ্টা করলাম, যে মেয়ের অবস্থা খুবই খারাপ কিন্তু তিনি আরোও ক্ষিপ্ত হয়ে যান। তখন আমাদের সাথে বাকবিতন্ড হয় এবং তিনি আমাদের হুমকি দেন এবং একপর্যায়ে বলেন আমি আপনার মেয়ের চিকিৎসা করি নাই, আপনারা যা পারেন গিয়ে করেন। আমরা তার ব্যবস্থাপত্র দেখাইতে চাইলেও তিনি তা দেখতে চাননি এবং বলেন এগুলো আমার ব্যবস্থাপত্র না। আমি আপনার মেয়ের চিকিৎসা করিনি।

ভুক্তভোগীর মা জানান, অবশেষে অনোন্যপায় হয়ে ফুলবাড়িয়া থানায় কাদের ফরাজী ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ডা. মো. এস. এম. মিজানুর রহমান (পলাশ) এর নামে একটি অভিযোগ দায়ের করি। এ ঘটনার সাথে জড়িত ডা. মো. এস, এম, মিজানুর রহমান (পলাশ) এর সাথে মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন দিয়েও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

ফুলবাড়িয়া থানার অফিসারx ইনচার্জ (ওসি) শাহিনুজ্জামান খান অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। ওসি বলেন ঘটনার তদন্ত চলমান তদন্ত হওয়ার পরে বিস্তারিত বলা যাবে এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।