ঢাকা ০৪:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
রায়পুরে দেশীয় শিল্প ও পণ্য মেলায় ভ্রাম্যমান আদালত, নগদ অর্থদণ্ড কালিয়াকৈরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের উঠান বৈঠক ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত  মোংলায় জলবায়ু ন্যায্যতার গণসংলাপে বক্তারা : সুন্দরবন উপকূলীয় অঞ্চলের বাস্তুতন্ত্রের সুরক্ষা দিন অভিনব কায়দায় কুমড়া শাকের আড়ালে গাঁজা পাচারকালে ডিএনসি- কুমিল্লার হাতে ১৩ কেজি গাঁজাসহ আটক ০২ নারী মঠবাড়ীয়া সাফলেজা কচুবাড়ীয়া বসত ঘর ভাঙচুর লুটপাট ও যখম এর অভিযোগ আঃ খালেক হাওলাদার গংদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির আখড়া বরগুনার পাসপোর্ট অফিস, দালাল ছাড়া মিলছে না পাসপোর্ট কাশেমপুর থানায় অভিযোগ করতে গিয়ে বিট্টিমরাই স্কুল ছাত্র মোঃ রাব্বি নিজ খালাকে আটকিয়ে ? ওসি সাইফুল ইসলাম মোটা অংকের টাকার বিনিময় তাদের আসামি করে গ্রেফতার দেখান আনন্দবাজারকে ডা. শফিকুর রহমান কোনও রাজনৈতিক দলকে খারিজ বা সরিয়ে দেয়ার ইচ্ছা জামায়াতের নেই রাজনৈতিক দলগুলো যদি বলে যে তারা সংস্কার চায় না, তাহলে এখনই নির্বাচন দিয়ে দেবো: ড. ইউনূস দেশবাসীকে ফের কাঁদালেন শহিদ নাফিজের মা

হবিগঞ্জের ৫৫১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৮:১৫:২২ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১
  • / ৩১১ ৫০০০.০ বার পাঠক

হবিগঞ্জের সময়ের কন্ঠ।।
অবশেষে প্রথমবারের মত হবিগঞ্জ জেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে।
২১ ফেব্রুয়ারি রাত ১২ টা ১ মিনিটে এ শ্রদ্ধা জানান সংসদ সদস্য এডভোকেট মোঃ আবু জাহির এমপি, সংসদ সদস্য এডভোকেট আব্দুল মজিদ খান এমপি, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ উল্ল্যা পিপিএম-বিপিএম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডাঃ মুশফিক হুসেন চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, জেলার সকল দফতর প্রধানগণ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সম্মানিত প্রধানগণ, সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সকল শ্রেণী ও পেশার মানুষ।

এদিকে হবিগঞ্জ জেলায় ১০৫৩টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৪৬৫ বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই। এছাড়া কলেজ, হাইস্কুল ও মাদ্রাসা মিলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২১০টি। তারমধ্যে ৮৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার। সবমিলিয়ে জেলার ৯টি উপজেলায় ৫৫১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখনও নির্মাণ হয়নি শহীদ মিনার। জেলা শিক্ষা অফিস ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র থেকে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

জানা গেছে, শহীদ মিনার না থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মহান ভাষা দিবসের দিন শিক্ষার্থীরা অস্থায়ীভাবে গড়ে তোলা শহীদ মিনারে অথবা পার্শ্ববর্তী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শহীদ মিনারে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ভাষা আন্দোলনের ৬৯ বছরেও এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শহীদ মিনার নির্মাণ না করায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহলের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। ১৯৫২ সালের মায়ের ভাষা প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিলেন এ দেশের তরুণ সমাজ। সেসব ভাষাসৈনিকদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে জেলার সবকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করা প্রয়োজন বলে মত দিয়েছেন অভিভাবক মহল ও ভাষাপ্রেমিকরা। অবশেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের পাশে জেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ হয়েছে।

শায়েস্তাগঞ্জ মডেল কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সাহাব উদ্দিন বলেন, এ মাদ্রাসায় শহীদ মিনার নেই। তবে ভাষা দিবস গুরুত্বের সাথে পালন করা হয়ে থাকে। আর শহীদ মিনার নির্মাণের আপ্রাণ চেষ্টা চলছে। একই কথা জানান, শহীদ মিনার নেই বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা।

সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার ও সেক্টর কমান্ডার ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ-৭১ হবিগঞ্জ জেলার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গৌর প্রসাদ রায় বলেন, ৫২ ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা বাংলা ভাষা পেয়েছি। এভাষা আমাদের প্রাণের ভাষা। মায়ের ভাষা। তাই বলছি, দ্রুত বাকী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শহীদ মিনার নির্মাণ করার জন্য।

জেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ রুহুল্লাহ বলেন, বরাদ্দক্রমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শহীদ মিনার নির্মাণ করা চলমান রয়েছে। এ লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। ভাষা দিবসটি গুরুত্বসহকারে পালন করা হচ্ছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আমিরুল ইসলাম বলেন, ২০১৯ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর হবিগঞ্জ সদর ও জেলার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ১৪৩ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একযোগে শহীদ মিনার উদ্বোধন করা হয়েছে।

নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা সংগ্রামের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির তার নির্বাচনী এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এ ব্যাপারে তিনি অনেক প্রতিষ্ঠানকে নিজে অনুদান প্রদান করেন। তাঁর আহবানে সারা দিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে উপজেলা প্রশাসন, প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ, ইউনিয়ন পরিষদ ও ব্যক্তি উদ্যোগেও অনেকে এগিয়ে আসেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

হবিগঞ্জের ৫৫১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার

আপডেট টাইম : ০৮:১৫:২২ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১

হবিগঞ্জের সময়ের কন্ঠ।।
অবশেষে প্রথমবারের মত হবিগঞ্জ জেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে।
২১ ফেব্রুয়ারি রাত ১২ টা ১ মিনিটে এ শ্রদ্ধা জানান সংসদ সদস্য এডভোকেট মোঃ আবু জাহির এমপি, সংসদ সদস্য এডভোকেট আব্দুল মজিদ খান এমপি, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ উল্ল্যা পিপিএম-বিপিএম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডাঃ মুশফিক হুসেন চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, জেলার সকল দফতর প্রধানগণ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সম্মানিত প্রধানগণ, সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সকল শ্রেণী ও পেশার মানুষ।

এদিকে হবিগঞ্জ জেলায় ১০৫৩টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৪৬৫ বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই। এছাড়া কলেজ, হাইস্কুল ও মাদ্রাসা মিলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২১০টি। তারমধ্যে ৮৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার। সবমিলিয়ে জেলার ৯টি উপজেলায় ৫৫১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখনও নির্মাণ হয়নি শহীদ মিনার। জেলা শিক্ষা অফিস ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র থেকে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

জানা গেছে, শহীদ মিনার না থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মহান ভাষা দিবসের দিন শিক্ষার্থীরা অস্থায়ীভাবে গড়ে তোলা শহীদ মিনারে অথবা পার্শ্ববর্তী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শহীদ মিনারে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ভাষা আন্দোলনের ৬৯ বছরেও এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শহীদ মিনার নির্মাণ না করায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহলের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। ১৯৫২ সালের মায়ের ভাষা প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিলেন এ দেশের তরুণ সমাজ। সেসব ভাষাসৈনিকদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে জেলার সবকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করা প্রয়োজন বলে মত দিয়েছেন অভিভাবক মহল ও ভাষাপ্রেমিকরা। অবশেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের পাশে জেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ হয়েছে।

শায়েস্তাগঞ্জ মডেল কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সাহাব উদ্দিন বলেন, এ মাদ্রাসায় শহীদ মিনার নেই। তবে ভাষা দিবস গুরুত্বের সাথে পালন করা হয়ে থাকে। আর শহীদ মিনার নির্মাণের আপ্রাণ চেষ্টা চলছে। একই কথা জানান, শহীদ মিনার নেই বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা।

সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার ও সেক্টর কমান্ডার ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ-৭১ হবিগঞ্জ জেলার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গৌর প্রসাদ রায় বলেন, ৫২ ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা বাংলা ভাষা পেয়েছি। এভাষা আমাদের প্রাণের ভাষা। মায়ের ভাষা। তাই বলছি, দ্রুত বাকী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শহীদ মিনার নির্মাণ করার জন্য।

জেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ রুহুল্লাহ বলেন, বরাদ্দক্রমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শহীদ মিনার নির্মাণ করা চলমান রয়েছে। এ লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। ভাষা দিবসটি গুরুত্বসহকারে পালন করা হচ্ছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আমিরুল ইসলাম বলেন, ২০১৯ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর হবিগঞ্জ সদর ও জেলার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ১৪৩ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একযোগে শহীদ মিনার উদ্বোধন করা হয়েছে।

নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা সংগ্রামের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির তার নির্বাচনী এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এ ব্যাপারে তিনি অনেক প্রতিষ্ঠানকে নিজে অনুদান প্রদান করেন। তাঁর আহবানে সারা দিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে উপজেলা প্রশাসন, প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ, ইউনিয়ন পরিষদ ও ব্যক্তি উদ্যোগেও অনেকে এগিয়ে আসেন।