ঢাকা ০৩:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তায় বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের থানায় মামলার বাদীকে মারধর, গুলির চেষ্টা রংপুরে উপপুলিশ কমিশনার শিবলি কায়সার চাতলপাড় ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে অনুষ্ঠিত মোংলায় জামায়াতের উদ্যোগে এক বিশাল ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত কোস্টগার্ডের অভিযানে ২৮ কেজি হরিণের মাংস সহ আটক ১ খুলনা বিএনপি নেতা নিজ ভাবীকে ধর্ষণ চেষ্টায় আদালতে মামলা বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারে পাশে থাকবে জাতিসংঘ: গুতেরেস শত্রুর যে কোনো হুমকি মোকাবিলায় প্রস্তুত ইরান ৯ মিনিটেই শেষ ট্রেনের টিকিট, আধাঘণ্টায় ২০ লাখ হিট জাতীয় পরিচয়পত্র নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখতে সারা দেশের ন্যায় আজমিরীগঞ্জে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত 

শহীদ মিনারে সব পথ যেন মিলেছে

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৮:০৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ২৮৪ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

শহীদ দিবসে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে বেদনা আর গর্ব নিয়ে সব পথ যেন মিলেছে শহীদ মিনারে।

প্রভাতফেরির পথে পথে কণ্ঠে কণ্ঠে সেই গান- ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি… আমি কি ভুলিতে পারি’। রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ১৯৫২ সালের এই দিনে বাঙালির রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল রাজপথ।

আজ রবিবার বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে গর্ব আর শোকের এই দিন পালন করছে জাতি, আর এ দিনের মূল কর্মসূচি শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো।

প্রতি বছর একুশের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধানের তরফ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়েই শুরু হয় বাঙালির শ্রদ্ধা জানানোর পর্ব। মহামারীর মধ্যে এ বছর তাদের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তাদের সামরিক সচিবরা।

মধ্যরাতে ঘড়ির কাঁটা ১২টা ছোঁয়ার আগেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সারি দেখা যায় শহীদ মিনারে। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর শহীদ মিনার সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণের এই পালায় সকালে নামে মানুষের ঢল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে আসা মানুষের সারি আরও দীর্ঘ হয়। ফুল আর ছোট ছোট পতাকা হাতে লাইন বেঁধে অপেক্ষায় থাকতে দেখা যায় বিভিন্ন বয়সের, সব শ্রেণি পেশার মানুষকে।

বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ তাদের সন্তানদের নিয়ে শহীদ মিনারে আসেন ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। ফুলে ফুলে ছেয়ে যায় শহীদ বেদী।

ঢাকার পাশাপাশি বিভিন্ন জেলায় শহীদ মিনারেও একুশের প্রথম প্রহর থেকে ফুল দেওয়ার পালা শুরু হয়। শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন ছাড়াও সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আলোচনা সভা, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন, প্রতিযোগিতাসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে সব আয়োজনেই স্বাস্থ্যবিধির কড়াকড়ি থাকছে।

ভাষা শহীদদের স্মরণে এদিন জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

শহীদ মিনারে সব পথ যেন মিলেছে

আপডেট টাইম : ০৮:০৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

শহীদ দিবসে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে বেদনা আর গর্ব নিয়ে সব পথ যেন মিলেছে শহীদ মিনারে।

প্রভাতফেরির পথে পথে কণ্ঠে কণ্ঠে সেই গান- ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি… আমি কি ভুলিতে পারি’। রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ১৯৫২ সালের এই দিনে বাঙালির রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল রাজপথ।

আজ রবিবার বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে গর্ব আর শোকের এই দিন পালন করছে জাতি, আর এ দিনের মূল কর্মসূচি শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো।

প্রতি বছর একুশের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধানের তরফ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়েই শুরু হয় বাঙালির শ্রদ্ধা জানানোর পর্ব। মহামারীর মধ্যে এ বছর তাদের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তাদের সামরিক সচিবরা।

মধ্যরাতে ঘড়ির কাঁটা ১২টা ছোঁয়ার আগেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সারি দেখা যায় শহীদ মিনারে। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর শহীদ মিনার সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণের এই পালায় সকালে নামে মানুষের ঢল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে আসা মানুষের সারি আরও দীর্ঘ হয়। ফুল আর ছোট ছোট পতাকা হাতে লাইন বেঁধে অপেক্ষায় থাকতে দেখা যায় বিভিন্ন বয়সের, সব শ্রেণি পেশার মানুষকে।

বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ তাদের সন্তানদের নিয়ে শহীদ মিনারে আসেন ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। ফুলে ফুলে ছেয়ে যায় শহীদ বেদী।

ঢাকার পাশাপাশি বিভিন্ন জেলায় শহীদ মিনারেও একুশের প্রথম প্রহর থেকে ফুল দেওয়ার পালা শুরু হয়। শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন ছাড়াও সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আলোচনা সভা, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন, প্রতিযোগিতাসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে সব আয়োজনেই স্বাস্থ্যবিধির কড়াকড়ি থাকছে।

ভাষা শহীদদের স্মরণে এদিন জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে।