ঢাকা ০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
পিরোজপুর জেলার, মঠবাড়িয়া উপজেলায়, অজ্ঞাতনামা এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার সদর দক্ষিন থানার এস আই জিয়ার বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের সাথে অশদাচরণের : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বরাবরে বিচার দাবি নান্দাইলে বাশহাটি উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত ড. ইউনূসকে জাতিসংঘ মহাসচিবের চিঠি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে জুলাই আন্দোলনে আহতদের অবস্থান মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি পেলেন জামায়াত নেতা আজহার ১৩ মার্চ ঢাকায় আসছেন জাতিসংঘ মহাসচিব জামান টাওয়ারের ৬ তলায় আগুনের সূত্রপাত, কাজ করেনি ফায়ার সেফটি: ফায়ার সার্ভিস সমন্বয়কদের নেতৃত্বে নতুন ছাত্র সংগঠনের আত্মপ্রকাশ আজ ভোরে পুলিশের টহল কার্যক্রম পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ কামরুল হাসান,

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ০৩:১১:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ জুন ২০২৩
  • / ১২২ ৫০০০.০ বার পাঠক

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার কালাদহ ইউনিয়নের বিদ্যানন্দ গ্রামের ৭০ নং বিদ্যানন্দ

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণকাজ দায়সারা গোছের হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। এলাকাবাসী জানান, বিদ্যালয়টি নির্মাণের শুরু থেকেই নিম্নমানের ইট, বালি, সিমেন্ট ও সুরকি সরবরাহ করে কাজ করছে ঠিকাদার। ভবনটির পাইলিং থেকে শুরু করে প্রতিটি কাজেই ব্যবহার হয়েছে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আলম মিয়া বলেন, শুরু থেকেই নিন্মমানের রড ও সিমেন্ট দিয়ে কাজ করা হয়েছে। এতে ভবনটি যেমন দীর্ঘস্থায়ী হবে না, তেমনি শিক্ষার্থীদের জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে।

স্থানীয় চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম মাস্টারz বলেন, নিম্নমানের কাজের কারণে দুদিন পরেই ভবনটি ধসে পড়তে পারে। আমাদের শিশুরা ঝুঁকিতে আছে। আমরা এই ভবন নিয়ে আতঙ্কে আছি। যারা এই ভবন নির্মাণে অনিয়মের সাথে জড়িত তাদের কঠোর শাস্তি হোক।

এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ৯৯ লাখ টাকা ব্যয়ে বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণের চুক্তি করা হয় মেসার্স হৃদয় এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাথে। চুক্তি অনুযায়ী ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০২২ সালের ২৭ জানুয়ারি যা চলতি বছরের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া আক্তারের মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকায় অনিয়ম সম্পর্কিত কোন তথ্য তার কাছ থেকে জানা সম্ভব হয়নি। অভিযুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স হৃদয় এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি আহসান হাবিবও মোবাইলফোনটি বন্ধ করে রেখেছেন।

ভবন নির্মাণে অনিয়মের প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা মাহাবুব মোর্শেদ জানান, একটি অভিযোগের ভিত্তিতে আমি এবং ইউএনও স্যারসহ আমরা কয়েকজন সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। এখানে ভবনের তিনটি কলামে ত্রুটিপূর্ণ কাজ পাওয়া গেছে এবং কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। পাশাপাশি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারা একটি টিম পাঠাবে। তারা সরেজমিনে তদন্ত করে যে সিদ্ধান্ত দিবে সে অনুযায়ী কাজ হবে।

ফুলবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাহিদুল করিম অনিয়ম সম্পর্কে জানান, ভবনটি পরির্দশন করে রিপোর্ট করা হয়েছে এবং নির্বাহী প্রকৌশলীর নিকট চিঠি পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ কাজের অনিয়মের জন্য দায়ী সকলকে শোকজ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ কামরুল হাসান,

আপডেট টাইম : ০৩:১১:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ জুন ২০২৩

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার কালাদহ ইউনিয়নের বিদ্যানন্দ গ্রামের ৭০ নং বিদ্যানন্দ

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণকাজ দায়সারা গোছের হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। এলাকাবাসী জানান, বিদ্যালয়টি নির্মাণের শুরু থেকেই নিম্নমানের ইট, বালি, সিমেন্ট ও সুরকি সরবরাহ করে কাজ করছে ঠিকাদার। ভবনটির পাইলিং থেকে শুরু করে প্রতিটি কাজেই ব্যবহার হয়েছে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আলম মিয়া বলেন, শুরু থেকেই নিন্মমানের রড ও সিমেন্ট দিয়ে কাজ করা হয়েছে। এতে ভবনটি যেমন দীর্ঘস্থায়ী হবে না, তেমনি শিক্ষার্থীদের জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে।

স্থানীয় চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম মাস্টারz বলেন, নিম্নমানের কাজের কারণে দুদিন পরেই ভবনটি ধসে পড়তে পারে। আমাদের শিশুরা ঝুঁকিতে আছে। আমরা এই ভবন নিয়ে আতঙ্কে আছি। যারা এই ভবন নির্মাণে অনিয়মের সাথে জড়িত তাদের কঠোর শাস্তি হোক।

এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ৯৯ লাখ টাকা ব্যয়ে বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণের চুক্তি করা হয় মেসার্স হৃদয় এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাথে। চুক্তি অনুযায়ী ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০২২ সালের ২৭ জানুয়ারি যা চলতি বছরের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া আক্তারের মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকায় অনিয়ম সম্পর্কিত কোন তথ্য তার কাছ থেকে জানা সম্ভব হয়নি। অভিযুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স হৃদয় এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি আহসান হাবিবও মোবাইলফোনটি বন্ধ করে রেখেছেন।

ভবন নির্মাণে অনিয়মের প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা মাহাবুব মোর্শেদ জানান, একটি অভিযোগের ভিত্তিতে আমি এবং ইউএনও স্যারসহ আমরা কয়েকজন সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। এখানে ভবনের তিনটি কলামে ত্রুটিপূর্ণ কাজ পাওয়া গেছে এবং কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। পাশাপাশি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারা একটি টিম পাঠাবে। তারা সরেজমিনে তদন্ত করে যে সিদ্ধান্ত দিবে সে অনুযায়ী কাজ হবে।

ফুলবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাহিদুল করিম অনিয়ম সম্পর্কে জানান, ভবনটি পরির্দশন করে রিপোর্ট করা হয়েছে এবং নির্বাহী প্রকৌশলীর নিকট চিঠি পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ কাজের অনিয়মের জন্য দায়ী সকলকে শোকজ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।