ঢাকা ০৬:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
পীরগঞ্জে জুলাই-আগষ্টে ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা ধুলাউড়ি বাজারে শুরু হয়েছে পাঁচটি সেলুন পাঠাগার সুন্দরবনের খালে কাঁকড়া ধরায় চাঁদা দাবি। চাঁদা না দেওয়ায় মারধরের অভিযোগ ডাকাত তরিকুলের বিরুদ্ধে আইনজীবী হত্যার নিউজে পুলিশের বক্তব্য নেয়নি রয়টার্স আজমিরীগঞ্জে মোবাইল কোর্টের অভিযানে একটি মাটি ভর্তি ট্রাকটর আটক আজমিরীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সরকারি জায়গা দখল মুক্ত করে উপজেলা প্রশাসন ইসকন নিষিদ্ধের দাবি জানালো হেফাজতে ইসলাম পৃথক মামলায় সাবেক মন্ত্রী আনিসুল-কামরুল রিমান্ডে ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৯৯০ ইলা লালালালা: সবুজ ঘাসের লাল দ্রোহের সুর যার কন্ঠে

সাবরেজিস্ট্রি অফিসে ঘুষ লেনদেনের ভিডিও ফাঁস

মোঃ মেহেদী হাসান মহাদেবপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : ০৬:০১:৩৯ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৯ জুন ২০২৩
  • / ১০২ ৫০০০.০ বার পাঠক

Lনওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা সাবরেজিস্ট্রি অফিসের এজলাশ কক্ষে ঘুষ লেনদেনের একটি ভিডিও ফাঁস হয়েছে। এনিয়ে এলাকায় তোলপাড় চলছে। কর্তৃপক্ষ এর কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।

সংবাদ মাধ্যমের হাতে আসা ১৯ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, মহাদেবপুর সাবরেজিস্ট্রি অফিসের এজলাশের সামনে চেয়ারে বসা একজন কর্মচারি সেখানে থাকা এক ব্যক্তিকে বলছেন, দুই হাজার টাকা দেন। স্যার খাবে, দুই হাজার টাকা দেন’’। এরপর ওই ব্যক্তি চারটি পাঁচশ’ টাকার নোট গুনে ওই কর্মচারির হাতে দেন। তিনি টাকা হাতে নিয়ে নিজের টেবিলের ড্রয়ারে রাখেন এবং প্রশ্ন করেন কত নম্বর। ওই ব্যক্তি নম্বরটি বলেন। এরপর ওই কর্মচারি তার টেবিলে থাকা তালিকায় টিক চিহ্ন দেন।
বিষয়টি জানতে সোমবার (১৯ জুন) দুপুরে একদল সাংবাদিক সাবরেজিস্ট্রি অফিসে গেলে ওই কর্মচারি অফিস সহকারি নাসির উদ্দিন প্রথমে বিষয়টি অস্বীকার করেন। ভিডিওটি দেখানোর পরে তিনি সেটি তার নিজের বলে স্বীকার করেন। তবে তিনি জানান, নকল নবিশদের ফিস বাবদ দলিল প্রতি নগদ ২৪০ টাকা গ্রহণ করা হয়। এটা ছাড়া অন্য কোন টাকা নেয় হয়না। কিন্তু ভিডিওতে কেন দুই হাজার টাকা নেয়া হলো তার কোন সদুত্তর তিনি দিতে পারেননি।
উপজেলা সাবরেজিষ্ট্রার মনিরুজ্জামান মোবাইলফোনে জানান, তার অজ্ঞাতে কোন কর্মচারি অপকর্ম করলে তার দায় সাবরেজিষ্ট্রারের নয়। তবে নকল নবিশদের ফিস ছাড়া অন্য কোন নগদ টাকা লেনদেন হয়ে থাকলে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অভিযুক্ত নাসির উদ্দিন তিন যুগের বেশি সময় ধরে এই অফিসের সাথে যুক্ত। ১৯৮৪ সালে এখানে তিনি নকল নবিশ হিসেবে যোগ দেন। ২০১৬ সালে তিনি মোহরার পদে এবং এর পরপরই অফিস সহকারি হিসেবে পদোন্নতি পান। এই দীর্ঘ সময় একই অফিসে কর্মরত থাকায় এখানকার নানা অপকর্মের সাথে জড়িয়ে পড়েন। অনেক সময় তিনি নিজেই দলিল শুনানী করতেন। এছাড়া অফিসের খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ তার হাত দিয়েই করা হয়। এভাবে তিনি এই অফিসের হোতায় পরিণত হন। স্থানীয়রা অবিলম্বে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।#

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সাবরেজিস্ট্রি অফিসে ঘুষ লেনদেনের ভিডিও ফাঁস

আপডেট টাইম : ০৬:০১:৩৯ অপরাহ্ণ, সোমবার, ১৯ জুন ২০২৩

Lনওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা সাবরেজিস্ট্রি অফিসের এজলাশ কক্ষে ঘুষ লেনদেনের একটি ভিডিও ফাঁস হয়েছে। এনিয়ে এলাকায় তোলপাড় চলছে। কর্তৃপক্ষ এর কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।

সংবাদ মাধ্যমের হাতে আসা ১৯ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, মহাদেবপুর সাবরেজিস্ট্রি অফিসের এজলাশের সামনে চেয়ারে বসা একজন কর্মচারি সেখানে থাকা এক ব্যক্তিকে বলছেন, দুই হাজার টাকা দেন। স্যার খাবে, দুই হাজার টাকা দেন’’। এরপর ওই ব্যক্তি চারটি পাঁচশ’ টাকার নোট গুনে ওই কর্মচারির হাতে দেন। তিনি টাকা হাতে নিয়ে নিজের টেবিলের ড্রয়ারে রাখেন এবং প্রশ্ন করেন কত নম্বর। ওই ব্যক্তি নম্বরটি বলেন। এরপর ওই কর্মচারি তার টেবিলে থাকা তালিকায় টিক চিহ্ন দেন।
বিষয়টি জানতে সোমবার (১৯ জুন) দুপুরে একদল সাংবাদিক সাবরেজিস্ট্রি অফিসে গেলে ওই কর্মচারি অফিস সহকারি নাসির উদ্দিন প্রথমে বিষয়টি অস্বীকার করেন। ভিডিওটি দেখানোর পরে তিনি সেটি তার নিজের বলে স্বীকার করেন। তবে তিনি জানান, নকল নবিশদের ফিস বাবদ দলিল প্রতি নগদ ২৪০ টাকা গ্রহণ করা হয়। এটা ছাড়া অন্য কোন টাকা নেয় হয়না। কিন্তু ভিডিওতে কেন দুই হাজার টাকা নেয়া হলো তার কোন সদুত্তর তিনি দিতে পারেননি।
উপজেলা সাবরেজিষ্ট্রার মনিরুজ্জামান মোবাইলফোনে জানান, তার অজ্ঞাতে কোন কর্মচারি অপকর্ম করলে তার দায় সাবরেজিষ্ট্রারের নয়। তবে নকল নবিশদের ফিস ছাড়া অন্য কোন নগদ টাকা লেনদেন হয়ে থাকলে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অভিযুক্ত নাসির উদ্দিন তিন যুগের বেশি সময় ধরে এই অফিসের সাথে যুক্ত। ১৯৮৪ সালে এখানে তিনি নকল নবিশ হিসেবে যোগ দেন। ২০১৬ সালে তিনি মোহরার পদে এবং এর পরপরই অফিস সহকারি হিসেবে পদোন্নতি পান। এই দীর্ঘ সময় একই অফিসে কর্মরত থাকায় এখানকার নানা অপকর্মের সাথে জড়িয়ে পড়েন। অনেক সময় তিনি নিজেই দলিল শুনানী করতেন। এছাড়া অফিসের খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ তার হাত দিয়েই করা হয়। এভাবে তিনি এই অফিসের হোতায় পরিণত হন। স্থানীয়রা অবিলম্বে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।#