ঢাকা ০২:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ঢাকা ছাড়লেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস মঠবাড়িয়া সাংবাদিক কন্যা স্কুলছাত্রী ঊর্মির ধর্ষক ও হত্যাকারী ছগীরের ফাঁসির দাবিতে এবং সারা দেশের ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ইফতার মাহফিল নাসিরনগরে বিএনপির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল ২৯ বিজিবি’র বিশেষ অভিযানে মাদকদ্রব্য সহ ১জন আটক জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকে কী কথা হলো, জানাল জামায়াত জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক সংস্কারের কথা সবার আগে বলেছে বিএনপি: মির্জা ফখরুল বিগত সরকারের সময় অর্থনৈতিক তথ্য ছিল ‘গোঁজামিল নির্ভর’ গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে রেন্ট এ কারের গাড়ী ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে জুলাই গণঅভুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্মরণে নান্দাইলে ইফতার ও দোয়া মাহফিল

মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই অসহায় হালিমার

নিজস্ব প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : ১১:১৭:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ জুন ২০২৩
  • / ১৮৭ ৫০০০.০ বার পাঠক

মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই অসহায় হালিমা বেগম ও লালন সরদার দম্পতির। লালপুর উপজেলায় ভূমিহীনদের কয়েক ধাপে ঘর দেয়া হলেও জোটেনি হালিমার ভাগ্যে। ঘুরছে দ্বারে দ্বারে ।

জানা যায়, লালপুর উপজেলার বিলমাড়ীয়া ইউনিয়নের মোহরকয়া গ্রামে মা- বাবা হারা হালিমা বেগমের বিয়ে হয় লালন সরদারের সাথে ‌।
ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায় জন্ম নেয়া হালিমা বেগম ছোট বেলায় মা- বাবাকে হারিয়ে অন্যের বাসা বাড়িতে কাজ করে বড় হয়েছে। নিজের আত্মীয়-স্বজন নেই ।সুখে দুঃখের খোঁজ কে নিবে এমনভাবে ই নিজের কষ্টের কথা বলতে বলতে দুচোখের পানি গড়িয়ে বুকের মধ্যে থাকা কষ্টো দুরে ঠেলে দিচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হালিমার স্বামী লালন সরদার ছোট বেলায় মাকে হারিয়েছে, সৎ মায়ের ঘরেই নানা কষ্টের মধ্য বড় হয়েছে । ঢাকায় রাজমিস্ত্রীর কাজে গিয়ে ১৩ বছর আগে বিয়ে করে হালিমাকে । কখনো ভাড়া , কখনো অন্যের বাড়িতে বসবাস করে । তাদের কোলজুড়ে এসেছে ২ টি মেয়ে। বড় মেয়ে লামিয়া এবার ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ও ছোট মেয়ে সুমাইয়া শিশু শ্রেণীতে পড়ছে । মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় কয়েকটি ধাপে ভূমিহীনদের মাঝে ঘর হস্তান্তর করা হলেও হালিমার ভাগ্যে জোটেনি।
হালিমা বলেন , শশুড়ের একটি ছাপড়া ঘরের সাথে ৩ টা টিন বেঁধে কোন রকম থাকি । বড় মেয়েকে অন্যের বাড়িতে রাতে রেখে আসি । রাত আসলে মনে হয় আত্মহত্যা করি । আবার ভাবি দুনিয়ায় আমার কেউ নাই, মেয়ে দুটিকে নিয়ে কষ্টের পর সুখ আসতে পারে ।
লালন সরদার বলে , আমার জায়গা জমি নাই , ছোট বেলায় মাকে হারিয়েছি। সে কষ্ট বুকে নিয়ে এতিম অসহায়কে বিয়ে করেছি । সরকার ঘর দিচ্ছে, যাদের টাকা ঘর আছে, জমি আছে তারা ঘর পাইছে । ইউএনও”র পা ধরে আমার বউ কেঁদেছে তার পরেও একটি ঘর দিলনা। আমার মেয়ের পড়াশুনা করার জন্য একটা ঘর দরকার।
বিলমাড়ীয়া ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার শাহবুল ইসলাম ক্ষোভের সাথে বলেন জমি আছে ,ঘর আছে, প্রতি বছর জমি কিনে তারা ঘর পাই , ফকিরনি ঘর পাই না।
বিলমাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ছিদ্দিক আলী মিষ্টু বলেন, অসহায় পরিবারের জন্য আগামীতে সুযোগ পেলেই ঘর বরাদ্দের ব্যবস্থা করা হবে।
এ ব্যাপারে লালপুর উপজেলা নিবার্হী অফিসার শামীমা সুলতানার সাথে ফোনে কথা বলার চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি ।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই অসহায় হালিমার

আপডেট টাইম : ১১:১৭:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ জুন ২০২৩

মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই অসহায় হালিমা বেগম ও লালন সরদার দম্পতির। লালপুর উপজেলায় ভূমিহীনদের কয়েক ধাপে ঘর দেয়া হলেও জোটেনি হালিমার ভাগ্যে। ঘুরছে দ্বারে দ্বারে ।

জানা যায়, লালপুর উপজেলার বিলমাড়ীয়া ইউনিয়নের মোহরকয়া গ্রামে মা- বাবা হারা হালিমা বেগমের বিয়ে হয় লালন সরদারের সাথে ‌।
ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায় জন্ম নেয়া হালিমা বেগম ছোট বেলায় মা- বাবাকে হারিয়ে অন্যের বাসা বাড়িতে কাজ করে বড় হয়েছে। নিজের আত্মীয়-স্বজন নেই ।সুখে দুঃখের খোঁজ কে নিবে এমনভাবে ই নিজের কষ্টের কথা বলতে বলতে দুচোখের পানি গড়িয়ে বুকের মধ্যে থাকা কষ্টো দুরে ঠেলে দিচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হালিমার স্বামী লালন সরদার ছোট বেলায় মাকে হারিয়েছে, সৎ মায়ের ঘরেই নানা কষ্টের মধ্য বড় হয়েছে । ঢাকায় রাজমিস্ত্রীর কাজে গিয়ে ১৩ বছর আগে বিয়ে করে হালিমাকে । কখনো ভাড়া , কখনো অন্যের বাড়িতে বসবাস করে । তাদের কোলজুড়ে এসেছে ২ টি মেয়ে। বড় মেয়ে লামিয়া এবার ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ও ছোট মেয়ে সুমাইয়া শিশু শ্রেণীতে পড়ছে । মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় কয়েকটি ধাপে ভূমিহীনদের মাঝে ঘর হস্তান্তর করা হলেও হালিমার ভাগ্যে জোটেনি।
হালিমা বলেন , শশুড়ের একটি ছাপড়া ঘরের সাথে ৩ টা টিন বেঁধে কোন রকম থাকি । বড় মেয়েকে অন্যের বাড়িতে রাতে রেখে আসি । রাত আসলে মনে হয় আত্মহত্যা করি । আবার ভাবি দুনিয়ায় আমার কেউ নাই, মেয়ে দুটিকে নিয়ে কষ্টের পর সুখ আসতে পারে ।
লালন সরদার বলে , আমার জায়গা জমি নাই , ছোট বেলায় মাকে হারিয়েছি। সে কষ্ট বুকে নিয়ে এতিম অসহায়কে বিয়ে করেছি । সরকার ঘর দিচ্ছে, যাদের টাকা ঘর আছে, জমি আছে তারা ঘর পাইছে । ইউএনও”র পা ধরে আমার বউ কেঁদেছে তার পরেও একটি ঘর দিলনা। আমার মেয়ের পড়াশুনা করার জন্য একটা ঘর দরকার।
বিলমাড়ীয়া ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার শাহবুল ইসলাম ক্ষোভের সাথে বলেন জমি আছে ,ঘর আছে, প্রতি বছর জমি কিনে তারা ঘর পাই , ফকিরনি ঘর পাই না।
বিলমাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ছিদ্দিক আলী মিষ্টু বলেন, অসহায় পরিবারের জন্য আগামীতে সুযোগ পেলেই ঘর বরাদ্দের ব্যবস্থা করা হবে।
এ ব্যাপারে লালপুর উপজেলা নিবার্হী অফিসার শামীমা সুলতানার সাথে ফোনে কথা বলার চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি ।