মিথ্যা, ভিত্তিহীন, ও হাস্যকর সংবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ

- আপডেট টাইম : ০৬:২৬:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুন ২০২৩
- / ১৫৭ ১৫০.০০০ বার পাঠক
গত ৫ই জুন ২০২৩ ইং রোজ (সোমবার) সকাল ১০ ঘটিকায়, মহাম্মদপুর উপজেলায় এক সংবাদ সম্মেলনে আরব ভাটার মালিক মেজবা এবং তার মা জমিলা খাতুন গোপালপুর এবতেদায়ি মাদ্রাসা নিয়ে যে বক্তব্য গনমাধ্যমকে জানিয়েছে?
এই বক্তব্য সম্পর্কে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মোঃ নজরুল ইসলাম এবং ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ড, শাহীন আজাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে উনারা বলেন।
গত ৫ই জুন ২০২৩ ইং রোজ (সোমবার) সকাল ১০ ঘটিকায়, মহাম্মদপুর উপজেলায় এক সংবাদ সম্মেলনে আরব ভাটার মালিক মেজবা এবং তার মা জমিলা খাতুন গোপালপুর এবতেদায়ি মাদ্রাসা নিয়ে যে বক্তব্য গনমাধ্যমকে জানিয়েছে, সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা,ভিত্তিহীন ও মনগরা হওয়ায় মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটি তা ঘৃন্য ভরে প্রত্যাখান করছে এবং সঠিক তথ্য তুলে ধরার জন্য সকল গণমাধ্যমের কাছে বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।গোপালপুর এবতেদায়ী মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮৪ সালে হান্নান মোল্লার দানকৃত ২১ শতাংশ জায়গার উপর যার সাবেগ দাগ ৩১৪৫ ও হাল দাগ নম্বর ৪২৮৯। এরপর আর ও ৯ শতাংশ দান করে যার হাল দাগ ৪৩৭৮ এবং ৪৩৮২। মাদ্রাসায় পান্নু সরদার দান করেন ১০ শতাংস যার হাল দাগ নং ৪৫১৭, এ,কে,এম শামসুল হক দান করেন ২৬ শতাংস যার হাল দাগ নং ৪৩১। সর্বশেষ মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটি ১৫ শতাংস জায়গা কিনে দলিল করে নেই হান্নান মোল্যা ও হুমায়ুন মোল্ল্যার কাছ থেকে।মোট মাদ্রাসার জমি হচ্ছে ৮১ শতাংস যাহা তিনটা দলিলে আছে মাদ্রাসা কতৃপক্ষের কাছে। যার খাজনা এখনও পর্যন্ত পরিশোধ করে আসছে মাদ্রাসা কমিটি। এই মাদ্রাসার সাথে মিশা আছে অবৈধ আরব ইট ভাটা। যখন থেকে ভাটার মালিক শুনেছে যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে ভাটা থাকতে পারবে না, তখন থেকে সে মাদ্রাসা জমি দখল করে উচ্ছেদ করার চেষ্টা শুরু করে। আমাদের কেনা ১৫ শতাংশ জায়গা তার ভাটার ভিতর ,ঐ জায়গা আমাদের কে এখনো ফিরিয়ে দেয় নাই।তার দলিলে আছে ১৮ শতাংশ জায়গা কিন্তু সে অবৈধভাবে মাদ্রাসা জমি দখল করে রেকোর্ড করে নেই ২৭ শতাংস।তিন গ্রামের ১০০ মানুষের সামনে মেজবা ওয়াদা করছে যে তার অবৈধ রেকর্ডকৃত ২৭ শতাংস জায়গা মাদ্রাসা কে নিজ খরচে ফিরিয়ে দেবে এক সপ্তাহের মধ্যে এবং ঐ টার রেজ্যুলেশন পাস হয়েছে। কিন্তু চার মাস হয়ে গেছে এখন বলে দেবোনা পারলে আমার কিছু করিস। সব শেষে এলাকাবাসী তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তার অবৈধ ভাটা অপসারণের জন্য বন ও পরিবেশ অধীদপ্তরে আবেদন করলে তা গৃহীত হয় এবং তারা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করে ও ভাটা ভেঙ্গে দেয় এবং চার মাসের মধ্যে তার ভাটার সব মালামাল সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেয় এবং ঐখানে আর কাচা ইট না পুরোনোর নির্দেশ দেয়।কিন্তু সে সরকারি আইন অমান্য করে ঐ দিন রাত থেকেই ইট পুরানো শুরু করে এবং সব গুলো আদেশ কে অমান্য করে। ফলে মহম্মদপুর এসিলেন্ড আবার মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে সত্যতা খুজে পাই এবং তাকে আবার৷ এক লক্ষ টাকা জরিমানা করে ,এবং ২৩ শে জুন ২০২৩ এর মধ্যে তার ভাটার সব মালামাল সরানোর পুনরায় নির্দেশ দেয়। যখন দেখছে আর কোন ভাবেই তার অবৈধ ভাটা রক্ষা করতে পারছেনা তাই প্রতিশোধ নিতে মনগরা মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন করে মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির সম্মানিত সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিশোধগার করছে। যাহা এলাকাবাসি ও মাদ্রাসা কমিটি ঘৃনভরে প্রত্যাক্ষান করছে। সেই সাথে এরকম গর্হিত কাজের জন্য মেজবা ও তার মা জমিলা খাতুনের উপযুক্ত শাস্তি কামনা করছে।