আজমিরীগঞ্জে গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লোডশেডিং জনজীবন অতিষ্ঠ।
- আপডেট টাইম : ০৫:২৭:২২ অপরাহ্ণ, রবিবার, ৪ জুন ২০২৩
- / ১১১ ৫০০০.০ বার পাঠক
চলছে মধু মাস জ্যৈষ্ট গরমে জন জীবন অতিষ্ঠ ।যদিও ভরপুর বৃষ্টির মৌসুম এখন।কিন্তু আকাশে দেখা নেই মেঘের চাপ হচ্ছে না কোন বৃষ্টি । বৃষ্টির বদলে চলছে প্রচন্ড খরতাপ। প্রচন্ড খরতাপের সাথে পাল্লা দিয়ে হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় ও চলছে তীব্র বিদ্যুৎ বিভ্রাট বা (লোডশেডিং)।প্রায় এক মাস যাবত অধিক সময় ধরে এ সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। দিনে যখন তখন আর সন্ধ্যা থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ থাকছে না মধ্য রাত পর্যন্ত। কোনো কোনো এলাকায় থেমে থেমে বিদ্যুৎ আসলেও তা স্থায়ী হচ্ছে না। ফলে গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। বিদ্যুৎ না থাকার কারনে লেখাপড়া নষ্ট হচ্ছে শিক্ষার্থী ও পরীক্ষার্থীদের। বয়স্ক ও শিশুরা রয়েছেন মহা বিপাকে । অনেকেই আবার হয়ে পড়েছে অসুস্থ।কোন কোন জায়গা হিটষ্টোকের মত ঘটনার ও খবর পাওয়া গেছে।
সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও বিভিন্ন লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে অনেক দিন ধরে উপজেলার প্রায় সব কয়টি ইউনিয়নেই সন্ধ্যার পর বিদ্যুৎ থাকছে না। বেলা ডোবার পর পরই বিদ্যুৎ চলে যায়। মাঝেমধ্যে চলে বিদ্যুতের লুকোচুরি খেলা। রাত ৮টার পর আবার বিদ্যুৎ চলে যায়। টানা দেড় থেকে দু ঘন্টা বিরতির পর আবারো বিদ্যুৎ আসে রাত ১০টার পর।আবার হুট করে চলে গিয়ে ভোর রাতে আসে ফিরে।
দিনের বেলার ও প্রচন্ড খরতাপ আর ভসপা গরমে বিদ্যুতের এ লুকোচুরিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে স্বাভাবিক জনজীবন।
উপজেলার সব জায়গা লোডশেডিং একই সময়ে হচ্ছে না। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন সময় দেখা যাচ্ছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। তবে সন্ধ্যার পর থেকে রাত পর্যন্ত সব এলাকায় থাকছে বিদ্যুৎ তাকছে না যদিও কোন এলাকায় বিদ্যুৎ তাকছে তবে বিভ্রাট। পল্লিবিদ্যুৎ অফিসের তথ্যমতে আজমিরীগঞ্জে অঞ্চলভেদে লোডশেডিং ৯০ মিনিট বিদ্যুৎ তাকবে ৯০মিনিট লোডশেডিং থাকছে ।তবে কোন কোন অঞ্চলের গ্রাহকের দাবী তারা বিদ্যুৎ পায়না ১০ ঘন্টা ও। গ্রাহকদের দাবী আজমিরীগঞ্জে এখন বিদ্যুৎ আসা যাওয়ার মধ্যে মাঝে মাঝে বিদ্যুৎতে বাতি জ্বলে উঠে । প্রায়ই মাগরিব ও এশার নামাজের সময় বিদ্যুৎ না থাকায় নামাজ আদায়ে কষ্ট হচ্ছে মুসল্লিদের। রাতে বিদ্যুৎ অধিকাংশ সময় না তাকার কারনে মানুষের ঘুমের বেঘাত ঘটে। এবং অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরি মধ্যে খবর পাওয়া যায় আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গরমের কারনে অসুস্থ হয়ে বেশ কয়েক জন ভর্তি হয়। ব্যবসা-বাণিজ্যের ও ব্যাগাত ঘটছে। এত লোডশেডিংয়ের কারন সম্পর্কে মুঠোফোনে আজমিরীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সাব জোনাল অফিসের ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল সালাম জানান আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় রাতে জন্য প্রয়োজন ৬.৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিনের জন্য প্রয়োজন ৪.৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। আর উৎপাদন অনুযায়ী পাওয়া যাচ্ছে রাতের জন্য ১থেকে২৷ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিনের জন্য ১থেকে ১.৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ।বিদ্যুৎ উৎপাদন হলে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে এক মাস সময় লাগতে পরে।
।