ঢাকা ০৭:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
পীরগঞ্জে জুলাই-আগষ্টে ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা ধুলাউড়ি বাজারে শুরু হয়েছে পাঁচটি সেলুন পাঠাগার সুন্দরবনের খালে কাঁকড়া ধরায় চাঁদা দাবি। চাঁদা না দেওয়ায় মারধরের অভিযোগ ডাকাত তরিকুলের বিরুদ্ধে আইনজীবী হত্যার নিউজে পুলিশের বক্তব্য নেয়নি রয়টার্স আজমিরীগঞ্জে মোবাইল কোর্টের অভিযানে একটি মাটি ভর্তি ট্রাকটর আটক আজমিরীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সরকারি জায়গা দখল মুক্ত করে উপজেলা প্রশাসন ইসকন নিষিদ্ধের দাবি জানালো হেফাজতে ইসলাম পৃথক মামলায় সাবেক মন্ত্রী আনিসুল-কামরুল রিমান্ডে ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৯৯০ ইলা লালালালা: সবুজ ঘাসের লাল দ্রোহের সুর যার কন্ঠে

আগামী নির্বাচন-বিএনপির জন্য সম্ভাবনার দরজা-ভুল হলে কুপোকাত

" সাংবাদিক ওয়াহিদুজ্জামান
  • আপডেট টাইম : ১১:২০:৪৬ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ২৭ মে ২০২৩
  • / ১৪৮ ৫০০০.০ বার পাঠক

গাজীপুরে নির্বাচনে আওয়ামীলীগের হেরে যাওয়াটাকে আমি অপরাজনীতির অংশ হিসেবে দেখছি না, বিভিন্ন তথ্য অনুসন্ধান করে এবং তার বিশ্লেষণ করতে গিয়ে পাওয়া যায়, আওয়ামী লীগের হেরে যাওয়াটাই স্বাভাবিক ছিল,

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এর প্রভাব পড়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি রয়েছে, যদি বিএনপি ওই সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করেন, তবে তাদের ক্ষমতায় যাওয়ার যে সম্ভাবনাটা রয়েছে সেটা হারিয়ে ফেলবেন, বিএনপির জন্য জোয়ার আসতে পারে আগামী সংসদ নির্বাচনে এবং বিগত সময়ে রাজপথে যারা অবদান রেখেছিলেন তাদের ক্ষোভের কারণে আওয়ামী লীগের এখানে ভরাডুবি হওয়ার সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, নেতাদের মায়া কান্না শুনতে এবার কর্মীরা নারাজ, একেবারে নেতাদের উপর থেকে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছেন বিগত আন্দোলনের দলীয় নেতাকর্মীরা, আর এখানে সবচেয়ে বড় বিষয়টি হচ্ছে,

দীর্ঘ সময় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা পরেও নিজের কর্মীদের মূল্যায়ন করেননি, স্থানটিতে মূল্যায়ন করা হয়েছে, প্রশাসনিক লোকজনদের,
বিশেষ করে পুলিশকে যে ক্ষমতা আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সরকার প্রদান করেছে বিগত সময় কোন সরকারের আমলে এত ক্ষমতা পুলিশ প্রশাসনকে দেয়া হয়নি, পুলিশ প্রশাসনের কাছে দলীয় নেতাকর্মীরা অসহায় ভূমিকা কে প্রত্যক্ষ করা গিয়েছে,

এমত অবস্থায় বিএনপি যদি আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করেন, তবে তাদের দলীয় নেতাকর্মীদের মনোবল নষ্ট হয়ে যেতে পারে,
এবং আগামী নির্বাচনের পর আবারো সরকার সেই পুরনো হামলা মামলার যে প্রথাটি রয়েছে সেই অনুপাতে চলবে, এটা স্বাভাবিক কিছু নয়।

বিএনপিকে অবশ্যই আগামী নির্বাচনে আসতে হবে, কারণ বিগত সময় আন্দোলন করে, তাদের সম্মান পূর্ণ হয়েছে, বিশেষ করে বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আগের ২ শর্তে আরও ৬ মাস বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়,
এভাবেই চলতে থাকবে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলার বিচার শুরু হয়েছে।

তবে বিএনপি’র বিষয়ে একটি কথা না বললেই নয়-বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে অন্ধকার অধ্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয় বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০০১-০৬ সাল পর্যন্ত চার দলীয় জোট সরকারের আমলকে।

সেই সময় ক্ষমতার শীর্ষে থাকা ব্যক্তিরা দুর্নীতির মাধ্যমে আয় করা টাকার ভাগ নিতেন। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, তার দুই পুত্র তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকো’র দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের কারণে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে খুব বাজেভাবে পরিচিতি পেতে হয়েছিল।

দেশে ব্যাপকভাবে দুর্নীতির কারণে টান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের করাপশন পারসেপশন ইনডেক্স (সিপিআই) এ বাংলাদেশে পর পর পাঁচবার দুর্নীতিতে বিশ্বের মধ্যে প্রথম হয়েছিল।
বেগম খালেদা জিয়ার শাসন আমল ছিল সর্বগ্রাসী দুর্নীতিতে নিমজ্জিত।

দুর্নীতিপরায়ন সরকারের শাসনামলে খুব একটা প্রকাশিত না হলেও ২০০৭-০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দুর্নীতিকে বিএনপির প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া এবং সার্বিক সমর্থন দেওয়ার খবর প্রকাশিত হতে থাকলে খালেদা জিয়া, তার দুই ছেলে ও অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়।

তৎকালীন বিরোধী দলের নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কে হত্যা করার যে পরিকল্পনাটি করেছিলেন, একুশে অগাস্টে জ্ঞানেড হামলা করে , এটি বিশ্ববাসীর কাছে প্রতিমান হয়েছে, আর এই সরকার বিশ্ববাসীকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছে, আর এই কারণে তারেক জিয়ার দেশের রাষ্ট্রপ্রধান হবার স্বপ্ন স্বপ্নেই থেকে যাবে।

তবে বিএনপিতে আগামীতে নতুন নেতৃত্ব আসছে, আর কে দেবে এর নেতৃত্ব?
তবে এর নেতৃত্ব কারা দেবেন,
এ বিষয়ে স্পষ্টভাবে কোন কিছু বলা যাচ্ছে না, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ধারায় যদি বিএনপি অগ্রসর হতে পারে তবে সরকার গঠনের সম্ভাবনা
একেবারে উড়িয়ে দিলে চলবে না,
আর এই পর্যায়ে যদি বিএনপি সরকার গঠন করে আর আওয়ামী লীগ হেরে যায়, এখানে বলা বাহুল্য কয়েকটি স্থানে বা কয়েকটি দুর্গে বিএনপির হামলা হতে পারে, প্রথমত প্রশাসনিক কাঠামোরকে পরিপূর্ণভাবে পরিবর্তন করে ফেলবে বিএনপি, পুরোপুরিভাবে নেতাকর্মীদের অধীনে নিয়ে আসবে পুলিশ প্রশাসনকে, এ সরকার পুলিশকে জনগণের সেবক হিসেবে উপস্থাপন করেছিল, আর বিএনপি ক্ষমতায় আসলে পুলিশকে নিজেদের চাকর হিসেবে ব্যবহার করবে, নিজের নেতাদের কথায় উঠবস না করলে প্রশাসনে সেই কর্মচারী বা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভয়াবহ শাস্তির ব্যবস্থা।

আওয়ামী লীগের কয়েকটি ভুলের মধ্যে অন্যতম ভুলটি হচ্ছে দলীয় নেতাকর্মীরী চেয়ে পুলিশ প্রশাসনকে ক্ষমতাটা বেশি প্রদান করা, নেতাকর্মীদের চাঁদার যে প্রথাটা রয়েছে সেটাকে বিলুপ্ত করে প্রশাসনিক চাঁদার বিষয় কোন কর্ণপাত না করা, পুলিশের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কোন তদন্তে না যাওয়া, পুলিশকে দুধের ধোয়া তুলসী পাতা হিসাবে উপস্থাপন করা,
এর জন্য বিশাল এক খেশারত দিতে হতে পারে আওয়ামী লীগকে।

বিএনপির ভোটার বা কর্মী সংখ্যা আওয়ামী লীগের চেয়ে কোন অংশে কম নয়। যেকোনো সময় আওয়ামী লীগের দুর্গে আঘাত আনার ক্ষমতা রয়েছে বিএনপি নামক সংগঠনটির,
আগামী আগামী নির্বাচনে যদি বিএনপির অংশগ্রহণ করে তবে আওয়ামী লীগকে সরকার গঠন করতে হলে আবার সেই ধার করে সংসদ সদস্য জোগাতে হতে পারে, কারণ ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের অনেক সংসদ সদস্য দুর্নীতির খাতায় নাম বসিয়েছেন, ফকির থেকে হয়েছেন কোটি কোটি টাকার মালিক, এটিকে বা এর দায়ভার কখনো আওয়ামীলীগ এড়াতে পারে না।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আগামী নির্বাচন-বিএনপির জন্য সম্ভাবনার দরজা-ভুল হলে কুপোকাত

আপডেট টাইম : ১১:২০:৪৬ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ২৭ মে ২০২৩

গাজীপুরে নির্বাচনে আওয়ামীলীগের হেরে যাওয়াটাকে আমি অপরাজনীতির অংশ হিসেবে দেখছি না, বিভিন্ন তথ্য অনুসন্ধান করে এবং তার বিশ্লেষণ করতে গিয়ে পাওয়া যায়, আওয়ামী লীগের হেরে যাওয়াটাই স্বাভাবিক ছিল,

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এর প্রভাব পড়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি রয়েছে, যদি বিএনপি ওই সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করেন, তবে তাদের ক্ষমতায় যাওয়ার যে সম্ভাবনাটা রয়েছে সেটা হারিয়ে ফেলবেন, বিএনপির জন্য জোয়ার আসতে পারে আগামী সংসদ নির্বাচনে এবং বিগত সময়ে রাজপথে যারা অবদান রেখেছিলেন তাদের ক্ষোভের কারণে আওয়ামী লীগের এখানে ভরাডুবি হওয়ার সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, নেতাদের মায়া কান্না শুনতে এবার কর্মীরা নারাজ, একেবারে নেতাদের উপর থেকে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছেন বিগত আন্দোলনের দলীয় নেতাকর্মীরা, আর এখানে সবচেয়ে বড় বিষয়টি হচ্ছে,

দীর্ঘ সময় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা পরেও নিজের কর্মীদের মূল্যায়ন করেননি, স্থানটিতে মূল্যায়ন করা হয়েছে, প্রশাসনিক লোকজনদের,
বিশেষ করে পুলিশকে যে ক্ষমতা আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সরকার প্রদান করেছে বিগত সময় কোন সরকারের আমলে এত ক্ষমতা পুলিশ প্রশাসনকে দেয়া হয়নি, পুলিশ প্রশাসনের কাছে দলীয় নেতাকর্মীরা অসহায় ভূমিকা কে প্রত্যক্ষ করা গিয়েছে,

এমত অবস্থায় বিএনপি যদি আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করেন, তবে তাদের দলীয় নেতাকর্মীদের মনোবল নষ্ট হয়ে যেতে পারে,
এবং আগামী নির্বাচনের পর আবারো সরকার সেই পুরনো হামলা মামলার যে প্রথাটি রয়েছে সেই অনুপাতে চলবে, এটা স্বাভাবিক কিছু নয়।

বিএনপিকে অবশ্যই আগামী নির্বাচনে আসতে হবে, কারণ বিগত সময় আন্দোলন করে, তাদের সম্মান পূর্ণ হয়েছে, বিশেষ করে বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আগের ২ শর্তে আরও ৬ মাস বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়,
এভাবেই চলতে থাকবে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলার বিচার শুরু হয়েছে।

তবে বিএনপি’র বিষয়ে একটি কথা না বললেই নয়-বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে অন্ধকার অধ্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয় বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০০১-০৬ সাল পর্যন্ত চার দলীয় জোট সরকারের আমলকে।

সেই সময় ক্ষমতার শীর্ষে থাকা ব্যক্তিরা দুর্নীতির মাধ্যমে আয় করা টাকার ভাগ নিতেন। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, তার দুই পুত্র তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকো’র দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের কারণে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে খুব বাজেভাবে পরিচিতি পেতে হয়েছিল।

দেশে ব্যাপকভাবে দুর্নীতির কারণে টান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের করাপশন পারসেপশন ইনডেক্স (সিপিআই) এ বাংলাদেশে পর পর পাঁচবার দুর্নীতিতে বিশ্বের মধ্যে প্রথম হয়েছিল।
বেগম খালেদা জিয়ার শাসন আমল ছিল সর্বগ্রাসী দুর্নীতিতে নিমজ্জিত।

দুর্নীতিপরায়ন সরকারের শাসনামলে খুব একটা প্রকাশিত না হলেও ২০০৭-০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দুর্নীতিকে বিএনপির প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া এবং সার্বিক সমর্থন দেওয়ার খবর প্রকাশিত হতে থাকলে খালেদা জিয়া, তার দুই ছেলে ও অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়।

তৎকালীন বিরোধী দলের নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কে হত্যা করার যে পরিকল্পনাটি করেছিলেন, একুশে অগাস্টে জ্ঞানেড হামলা করে , এটি বিশ্ববাসীর কাছে প্রতিমান হয়েছে, আর এই সরকার বিশ্ববাসীকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছে, আর এই কারণে তারেক জিয়ার দেশের রাষ্ট্রপ্রধান হবার স্বপ্ন স্বপ্নেই থেকে যাবে।

তবে বিএনপিতে আগামীতে নতুন নেতৃত্ব আসছে, আর কে দেবে এর নেতৃত্ব?
তবে এর নেতৃত্ব কারা দেবেন,
এ বিষয়ে স্পষ্টভাবে কোন কিছু বলা যাচ্ছে না, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ধারায় যদি বিএনপি অগ্রসর হতে পারে তবে সরকার গঠনের সম্ভাবনা
একেবারে উড়িয়ে দিলে চলবে না,
আর এই পর্যায়ে যদি বিএনপি সরকার গঠন করে আর আওয়ামী লীগ হেরে যায়, এখানে বলা বাহুল্য কয়েকটি স্থানে বা কয়েকটি দুর্গে বিএনপির হামলা হতে পারে, প্রথমত প্রশাসনিক কাঠামোরকে পরিপূর্ণভাবে পরিবর্তন করে ফেলবে বিএনপি, পুরোপুরিভাবে নেতাকর্মীদের অধীনে নিয়ে আসবে পুলিশ প্রশাসনকে, এ সরকার পুলিশকে জনগণের সেবক হিসেবে উপস্থাপন করেছিল, আর বিএনপি ক্ষমতায় আসলে পুলিশকে নিজেদের চাকর হিসেবে ব্যবহার করবে, নিজের নেতাদের কথায় উঠবস না করলে প্রশাসনে সেই কর্মচারী বা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভয়াবহ শাস্তির ব্যবস্থা।

আওয়ামী লীগের কয়েকটি ভুলের মধ্যে অন্যতম ভুলটি হচ্ছে দলীয় নেতাকর্মীরী চেয়ে পুলিশ প্রশাসনকে ক্ষমতাটা বেশি প্রদান করা, নেতাকর্মীদের চাঁদার যে প্রথাটা রয়েছে সেটাকে বিলুপ্ত করে প্রশাসনিক চাঁদার বিষয় কোন কর্ণপাত না করা, পুলিশের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কোন তদন্তে না যাওয়া, পুলিশকে দুধের ধোয়া তুলসী পাতা হিসাবে উপস্থাপন করা,
এর জন্য বিশাল এক খেশারত দিতে হতে পারে আওয়ামী লীগকে।

বিএনপির ভোটার বা কর্মী সংখ্যা আওয়ামী লীগের চেয়ে কোন অংশে কম নয়। যেকোনো সময় আওয়ামী লীগের দুর্গে আঘাত আনার ক্ষমতা রয়েছে বিএনপি নামক সংগঠনটির,
আগামী আগামী নির্বাচনে যদি বিএনপির অংশগ্রহণ করে তবে আওয়ামী লীগকে সরকার গঠন করতে হলে আবার সেই ধার করে সংসদ সদস্য জোগাতে হতে পারে, কারণ ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের অনেক সংসদ সদস্য দুর্নীতির খাতায় নাম বসিয়েছেন, ফকির থেকে হয়েছেন কোটি কোটি টাকার মালিক, এটিকে বা এর দায়ভার কখনো আওয়ামীলীগ এড়াতে পারে না।