ঢাকা ০৫:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
যেখানেই আইন লঙ্ঘন হবে পুলিশ তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থানিতে পিছু হটবেনা-ওসি কোতয়ালী টাঙ্গাইলে সমন্বয়ক পরিচয়ধারীদের পদ স্হগিত করলেন হাসনাত আবদুল্লাহ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে রিভিউ শুনানি রোববার পাকিস্তানের ‘জেএফ-১৭ থান্ডার’ যুদ্ধবিমানে আগ্রহ বাংলাদেশের পিডিবি সরকারি চাকরির আশ্বাস ১ লাখ ২২ হাজার টাকা হাতিয়ে নিলেন প্রতারক হানিফ টঙ্গী থানা মহিলা যুবলীগ সভাপতি নাসরিন এর দাপটে হচ্ছে হত্যা আর অন্যের জমি জবর দখল! নাসরিনকে গ্রেফতারের দাবি ভুক্তভোগীদের ফরজ বিধান পর্দা যেখানে নাই, সেখানে রহমত নাই -ছারছীনার পীর ছাহেব ভ্যাট ও শুল্ক কমানোর দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে রেস্তোরা মালিক, শ্রমিকের মানববন্ধন টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করায় বিএনপির মহাসচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ! ব্যাংক খাত ধ্বংসের শুরুটা হয় এসকে সুরের হাত দিয়ে

ভায়রার হাতে ভায়রা খুন র‌্যাবের হাতে আসামী গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট টাইম : ১১:৩৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ মে ২০২৩
  • / ১৪৬ ৫০০০.০ বার পাঠক

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার চাঞ্চল্যকর ছোট ভায়রা কর্তৃক বড় ভায়রাকে খুনের

ঘটনায় মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী দীর্ঘ ০৯ বছর পলাতক
থাকার পর ময়মনসিংহ শহর থেকে গ্রেফতার করেছে র্যা ব – ১৪, ময়মনসিংহ।

১৮ মে বৃহষ্পতিবার অনুমান সন্ধ্যা ৭ টা ৪০ মিনিটের সময় র‌্যাব – ১৪
ময়মনসিংহ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের মুক্তাগাছা থানার
চাঞ্চল্যকর আবুল কালাম বাবুল হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক
আসামী মো. হাবিবুর রহমান হাবি অরফে হাফিজুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে
র‌্যাব – ১৪ ময়মনসিংহ। আসামী ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানাধীন
কান্দাপাড়া হরিপুর দেউলী গ্রামের আবুল হোসেনের পুত্র।

ভিকটিম আবুল কালাম বাবুল ও আসামী মো. হাবিবুর রহমান হাবি অরফে হাফিজুল
দুজন আত্মীয়। বাবুল বড় ভায়রা ও আসামী হাবিবুর ছোট ভায়রা। তারা উভয়েই
মুক্তাগাছা থানাধীন মহেশবাড়ী গ্রামে বিয়ে করে। তাদের শ্বশুড়ের নাম মো.
আব্দুল বারেক। ঘটনাটি টাকা-পয়সার লেনদেন নিয়ে তাদের শ্বশুড়ের বাড়ীতে ঘটে।

গত ১৭ এপ্রিল ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানাধীন
মহেশবাড়ী গ্রামে শ্বশুড় মো. আব্দুল বারেক এর বাড়ীতে ভায়রা দুজন বেড়াতে
আসে। ছোট ভায়রা হাবিবুর রহমান বড় ভায়রা বাবুলের কাছে টাকা পাওনা ছিল।
শ্বশুড় বাড়ীতের এসে এই টাকা লেনদেন হয়। লেনদেনকে কেন্দ্র করে দুজনের
মধ্যে মতানৈক্য দেখা দেয়। দুজনের মাঝে তর্ক-বিতর্ক হয়। তর্ক বিতর্কের
একপর্যায়ে, ছোট ভায়রা (পাওনাদার) আসামী হাবিবুর রহমান হাবি অরফে হাফিজুল
ইসলাম পেপসির কাচের বোতল দিয়ে বড় ভায়রাকে (দেনাদার) ভিকটিম আবুল কালাম
বাবুল এর মাথার ডান পাশে আঘাত করলে ভিকটিম বাবুল মাটিতে পড়ে যায় এবং
উপর্যুপরি আসামী হাবিবুর লোহার ছেচনি দিয়ে ভিকটিমের মাথায় কয়েকটি আঘাত
করে পালিয়ে যায়। অবস্থা আশংঙ্কাজনক হলে শ্বশুর বাড়ীর লোকজন ভিকটিমকে
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করে।
২০ এপ্রিল ২০১২ খ্রি.ভিকটিমের বাবা মো. আব্দুল মালেক পিতা- মৃত হাজী আ.
রশীদ ফরাজী, সাং- তেলিগ্রাম, থানা- ফুলবাড়ীয়া, জেলা- ময়মনসিংহ বাদী হয়ে
আসামীর বিরুদ্ধে মুক্তাগাছা থানায় একটি মারামারির মামলা দায়ের করে। এই
দিকে, চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ভিকটিম বাবুল ১৩ মে ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে
মৃত্যুবরণ করে। পরবর্তীতে মারামারির মামলাটি হত্যা মামলায় রূপ নেয় এবং
পুলিশ আসামীকে গ্রেফতার করে।
জামিনে থাকা অবস্থায় আসামী পালিয়ে যায়। দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রমের পর, এই
মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আসামী হাবিবুর রহমান হাবি অরফে হাফিজুল
ইসলামের বিরুদ্ধে বাদীর আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ
আদালত গত ১৮ মে ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও অর্থদন্ড
প্রদান করেন। এরই ধারাবাহিকতায়, ১৮ মে সন্ধ্যা অনুমান ৭টা ৪০মিনিটের সময়
র্যা ব – ১৪ ময়মনসিংহ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে
ময়মনসিংহ কোতোয়ালী থানাধীন টাউন হল মোড় এলাকা হতে আবুল কালাম বাবুল হত্যা
মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মো. হাবিবুর রহমান হাবি অরফে
হাফিজুল ইসলাম’কে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত আসামী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বর্ণিত ঘটনার সাথে তার
সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে।
র‌্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন জানান, উপরোক্ত ঘটনার
মত কোন ঘটনা যাতে আর না ঘটে, সেই প্রেক্ষিতে র‌্যাবের টহল তৎপরতা ও
গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত থাকবে।

গ্রেফতারকৃত আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করার নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায়
হস্তান্তর করা হয়।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ভায়রার হাতে ভায়রা খুন র‌্যাবের হাতে আসামী গ্রেফতার

আপডেট টাইম : ১১:৩৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ মে ২০২৩

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার চাঞ্চল্যকর ছোট ভায়রা কর্তৃক বড় ভায়রাকে খুনের

ঘটনায় মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী দীর্ঘ ০৯ বছর পলাতক
থাকার পর ময়মনসিংহ শহর থেকে গ্রেফতার করেছে র্যা ব – ১৪, ময়মনসিংহ।

১৮ মে বৃহষ্পতিবার অনুমান সন্ধ্যা ৭ টা ৪০ মিনিটের সময় র‌্যাব – ১৪
ময়মনসিংহ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের মুক্তাগাছা থানার
চাঞ্চল্যকর আবুল কালাম বাবুল হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক
আসামী মো. হাবিবুর রহমান হাবি অরফে হাফিজুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে
র‌্যাব – ১৪ ময়মনসিংহ। আসামী ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানাধীন
কান্দাপাড়া হরিপুর দেউলী গ্রামের আবুল হোসেনের পুত্র।

ভিকটিম আবুল কালাম বাবুল ও আসামী মো. হাবিবুর রহমান হাবি অরফে হাফিজুল
দুজন আত্মীয়। বাবুল বড় ভায়রা ও আসামী হাবিবুর ছোট ভায়রা। তারা উভয়েই
মুক্তাগাছা থানাধীন মহেশবাড়ী গ্রামে বিয়ে করে। তাদের শ্বশুড়ের নাম মো.
আব্দুল বারেক। ঘটনাটি টাকা-পয়সার লেনদেন নিয়ে তাদের শ্বশুড়ের বাড়ীতে ঘটে।

গত ১৭ এপ্রিল ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানাধীন
মহেশবাড়ী গ্রামে শ্বশুড় মো. আব্দুল বারেক এর বাড়ীতে ভায়রা দুজন বেড়াতে
আসে। ছোট ভায়রা হাবিবুর রহমান বড় ভায়রা বাবুলের কাছে টাকা পাওনা ছিল।
শ্বশুড় বাড়ীতের এসে এই টাকা লেনদেন হয়। লেনদেনকে কেন্দ্র করে দুজনের
মধ্যে মতানৈক্য দেখা দেয়। দুজনের মাঝে তর্ক-বিতর্ক হয়। তর্ক বিতর্কের
একপর্যায়ে, ছোট ভায়রা (পাওনাদার) আসামী হাবিবুর রহমান হাবি অরফে হাফিজুল
ইসলাম পেপসির কাচের বোতল দিয়ে বড় ভায়রাকে (দেনাদার) ভিকটিম আবুল কালাম
বাবুল এর মাথার ডান পাশে আঘাত করলে ভিকটিম বাবুল মাটিতে পড়ে যায় এবং
উপর্যুপরি আসামী হাবিবুর লোহার ছেচনি দিয়ে ভিকটিমের মাথায় কয়েকটি আঘাত
করে পালিয়ে যায়। অবস্থা আশংঙ্কাজনক হলে শ্বশুর বাড়ীর লোকজন ভিকটিমকে
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করে।
২০ এপ্রিল ২০১২ খ্রি.ভিকটিমের বাবা মো. আব্দুল মালেক পিতা- মৃত হাজী আ.
রশীদ ফরাজী, সাং- তেলিগ্রাম, থানা- ফুলবাড়ীয়া, জেলা- ময়মনসিংহ বাদী হয়ে
আসামীর বিরুদ্ধে মুক্তাগাছা থানায় একটি মারামারির মামলা দায়ের করে। এই
দিকে, চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ভিকটিম বাবুল ১৩ মে ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে
মৃত্যুবরণ করে। পরবর্তীতে মারামারির মামলাটি হত্যা মামলায় রূপ নেয় এবং
পুলিশ আসামীকে গ্রেফতার করে।
জামিনে থাকা অবস্থায় আসামী পালিয়ে যায়। দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রমের পর, এই
মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আসামী হাবিবুর রহমান হাবি অরফে হাফিজুল
ইসলামের বিরুদ্ধে বাদীর আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ
আদালত গত ১৮ মে ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও অর্থদন্ড
প্রদান করেন। এরই ধারাবাহিকতায়, ১৮ মে সন্ধ্যা অনুমান ৭টা ৪০মিনিটের সময়
র্যা ব – ১৪ ময়মনসিংহ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে
ময়মনসিংহ কোতোয়ালী থানাধীন টাউন হল মোড় এলাকা হতে আবুল কালাম বাবুল হত্যা
মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মো. হাবিবুর রহমান হাবি অরফে
হাফিজুল ইসলাম’কে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত আসামী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বর্ণিত ঘটনার সাথে তার
সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে।
র‌্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন জানান, উপরোক্ত ঘটনার
মত কোন ঘটনা যাতে আর না ঘটে, সেই প্রেক্ষিতে র‌্যাবের টহল তৎপরতা ও
গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত থাকবে।

গ্রেফতারকৃত আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করার নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায়
হস্তান্তর করা হয়।