ঢাকা ০৫:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকের হস্তক্ষেপে মামলা প্রত্যাহার হওয়া টাঙ্গাইলবাসী খুশি! সভাপতি/সম্পাদকের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ অনিয়মের বিরুদ্ধে জনপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান সিইসির পুলিশ, র‌্যাব, আনসারের নতুন পোশাক চুড়ান্ত নাইজেরিয়ায় ট্যাংকার ট্রাক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ৮৬ অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করা প্রতিবেদন প্রত্যাহার ব্রিটিশ এমপিদের যুবদল নেতাকে পিটিয়ে আহত করেছে স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতা বরগুনার, পাথরঘাটায় সাবেক ইউপি সদস্যকে হুমকি ও মারধর চার প্রদেশে দেশ ভাগ করার কথা ভাবছে সংস্কার কমিশন যুদ্ধবিরতি এখনই কার্যকর হচ্ছে না, জানালেন নেতানিয়াহু সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

ভিক্ষা করে চার সন্তানের লেখাপড়ার খরচ যোগাচ্ছেন ”বাবা’

সুমন গোপ নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ০৬:১৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ মে ২০২৩
  • / ১৭১ ৫০০০.০ বার পাঠক

সন্তানকে সব চেয়ে বেশী আদর যত্ন করেন বাবা-মা।পৃথিবীতে সন্তানের জন্য বাবা মায়ের চেয়ে আপন আর কেউ নেই। সন্তানের সুখের জন্য এমন কোন কাজ নেই যা করতে পারে না বাবা মা। সন্তানের সুখ,শান্তি আর খুশির জন্য বড় বড় আত্মত্যাগ করতে রাজি থাকেন বাবা-মা। নিজেরা লেখাপড়া না জানলেও তারা চান সন্তান লেখাপড়া করে, মানুষের মতো মানুষ হোক। আর সন্তানের সুখের জন্য নিজে হাজার দুঃখ রাজি সহ্য করতেও রাজি থাকেন বাবা-মা। মোঃ লাল মিয়া লেখাপড়া তার কপালে জুটেনি।ধন সম্পদও তেমন নেই তার। বয়সও প্রায় পঞ্চাশের কাছাকাছি । ছেলে-মেয়ের চিন্তায় নিজের দিকে নজর দেওয়ার সময় নেই তাঁর। ছেলে মেয়ের পড়াশোনা আর হোস্টেলের খরচ জোগানোর জন্য ধারে ধারে করেন ভিক্ষা। তিনি নাসিরনগর ও পাশের উপজেলা সরাইল সহ বিভিন্ন শহর গ্রামের এ মাথা থেকে ওমাথা ঘুরে বেড়ান ভিক্ষার ঝুলি হাতে নিয়ে। তিনি জানান তার ৩ মেয়ে ২ ছেলের মধ্যে ১ম মেয়ে মোছাঃ রোখসানা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারী কলেজে অনার্সে লেখাপড়া করছে।

২য় মেয়ে মোছা: সনজিদা আক্তার দশম শ্রেনীতে ও ৩য় মেয়ে মোছা: নূরন্নাহার ৯ম শ্রেণিতে ও,ছেলে ইউসুফ ৭ ম শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে।

মোঃ লাল মিয়া এত কষ্ট করে গ্রামে গ্রামে ভিক্ষা করেন কেন? আপনার ছেলে মেয়েদের পড়াশুনা করাচ্ছেন জানতে চাইল তিনি বলেন, শিক্ষা ছাড়া জাতি অচল। শিক্ষিত না হলে তারা বড় হবে কি ভাবে? আমি চাইনা তারা আমার মত অশিক্ষিত হয়ে বড় হোক।

মোঃ লাল মিয়ার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার শ্রীঘর গ্রামে। তিনি একজন হত দরিদ্র ভিক্ষুক। তবে এত দরিদ্র তিনি ছিলেন না। ওই গ্রামেরই প্রভাবশালীরা তার জায়গা জমি অন্যায়ভাবে জোরপূর্বক জবর দখল করে নিয়ে গেছে বলে দাবী করেন তিনি। তিনি বলেন আমি লেখাপড়া জানতাম না,তাই এমন হয়েছে। তাই শত দুঃখ কষ্ট সহ্য করে সন্তানদের লেখাপড়া করিয়ে মানুষের মত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। জীবন যুদ্ধে এত সহজে হার মানতে চাননা সংগ্রামী ভিক্ষুক কুদ্দুছ মিয়া।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ভিক্ষা করে চার সন্তানের লেখাপড়ার খরচ যোগাচ্ছেন ”বাবা’

আপডেট টাইম : ০৬:১৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ মে ২০২৩

সন্তানকে সব চেয়ে বেশী আদর যত্ন করেন বাবা-মা।পৃথিবীতে সন্তানের জন্য বাবা মায়ের চেয়ে আপন আর কেউ নেই। সন্তানের সুখের জন্য এমন কোন কাজ নেই যা করতে পারে না বাবা মা। সন্তানের সুখ,শান্তি আর খুশির জন্য বড় বড় আত্মত্যাগ করতে রাজি থাকেন বাবা-মা। নিজেরা লেখাপড়া না জানলেও তারা চান সন্তান লেখাপড়া করে, মানুষের মতো মানুষ হোক। আর সন্তানের সুখের জন্য নিজে হাজার দুঃখ রাজি সহ্য করতেও রাজি থাকেন বাবা-মা। মোঃ লাল মিয়া লেখাপড়া তার কপালে জুটেনি।ধন সম্পদও তেমন নেই তার। বয়সও প্রায় পঞ্চাশের কাছাকাছি । ছেলে-মেয়ের চিন্তায় নিজের দিকে নজর দেওয়ার সময় নেই তাঁর। ছেলে মেয়ের পড়াশোনা আর হোস্টেলের খরচ জোগানোর জন্য ধারে ধারে করেন ভিক্ষা। তিনি নাসিরনগর ও পাশের উপজেলা সরাইল সহ বিভিন্ন শহর গ্রামের এ মাথা থেকে ওমাথা ঘুরে বেড়ান ভিক্ষার ঝুলি হাতে নিয়ে। তিনি জানান তার ৩ মেয়ে ২ ছেলের মধ্যে ১ম মেয়ে মোছাঃ রোখসানা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারী কলেজে অনার্সে লেখাপড়া করছে।

২য় মেয়ে মোছা: সনজিদা আক্তার দশম শ্রেনীতে ও ৩য় মেয়ে মোছা: নূরন্নাহার ৯ম শ্রেণিতে ও,ছেলে ইউসুফ ৭ ম শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে।

মোঃ লাল মিয়া এত কষ্ট করে গ্রামে গ্রামে ভিক্ষা করেন কেন? আপনার ছেলে মেয়েদের পড়াশুনা করাচ্ছেন জানতে চাইল তিনি বলেন, শিক্ষা ছাড়া জাতি অচল। শিক্ষিত না হলে তারা বড় হবে কি ভাবে? আমি চাইনা তারা আমার মত অশিক্ষিত হয়ে বড় হোক।

মোঃ লাল মিয়ার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার শ্রীঘর গ্রামে। তিনি একজন হত দরিদ্র ভিক্ষুক। তবে এত দরিদ্র তিনি ছিলেন না। ওই গ্রামেরই প্রভাবশালীরা তার জায়গা জমি অন্যায়ভাবে জোরপূর্বক জবর দখল করে নিয়ে গেছে বলে দাবী করেন তিনি। তিনি বলেন আমি লেখাপড়া জানতাম না,তাই এমন হয়েছে। তাই শত দুঃখ কষ্ট সহ্য করে সন্তানদের লেখাপড়া করিয়ে মানুষের মত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। জীবন যুদ্ধে এত সহজে হার মানতে চাননা সংগ্রামী ভিক্ষুক কুদ্দুছ মিয়া।