লালপুরে পুকুর খননকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৩
- আপডেট টাইম : ১১:৫৪:২৮ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৬ মে ২০২৩
- / ১২৯ ৫০০০.০ বার পাঠক
নাটোরের লালপুর উপজেলার দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের বসন্তপুর বিলে পুকুর খননকে কেন্দ্র করে গত দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৩ জন আহত হয়েছে বলে থানায় অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার সন্ধ্যা দিকে উপজেলার দুড়দুড়িয়া বাজারে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। আহতরা হলেন উপজেলা দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের অমরপুর গ্রামের আজম আলী (৩০)এর পিতা আহম্মদ আলী টিক্কা বাদী হয়ে ৪ জনের বিরুদ্ধে লালপুর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন।
আজম আলী দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের ৩ন নং ওয়াড আ’লীগের একাংশের সাধারণ সম্পাদক বলে জানা গেছে।
এজাহারে উল্লেখিত বিবাদীগনরা হলেন, দুড়দুড়িয়া(মাষ্টার পাড়া এলাকার মৃত জাহার উদ্দিন এর ছেলে ও উক্ত ইউনিয়ন পরিষদের কাজী ইব্রাহিম হোসেন,একই গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে ঈসা(১৯)ও মুসা(১৮) এবং মৃত জাহার উদ্দিনের ছেলে কালু(৫০)।
এ বিষয়ে এজাহারকারী আহম্মদ আলী টিক্কা বলেন,বিবাদী পক্ষগন দীর্ঘ দিন ধরে অত্র ইউনিয়নের বসন্তপুর বিল এলাকায় ভেকু মেশিন দিয়ে পুকুর খনন করলে আমার সহ এলাবাসীর জমিতে থাকা ফসল,রাস্তাঘাট ও জমির প্রচুর পরিমাণে ক্ষয়-ক্ষতি হলে ঘটনার আগের দিন আমার ছেলে আজম আলী এলাকাবাসীর পক্ষ নিয়ে বিবাদীগনদের বাধা প্রদান করলে বিবাদীগনরা হাসুয়া,লাঠিসোঁটা ও লোহার হাতুড়ি হাতে নিয়ে ঐ দিন আমার ছেলেকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও প্রাণ নাশের হুমকি দেয়।এরই সূত্র ধরে রবিবার সন্ধ্যার দিকে দুড়দুড়িয়া বাজারস্থ সাইদুর রহমানের দোকানে আমার ছেলে আজম আলী দাঁড়িয়ে থাকলে বিবাদীগনরা আজম কে ঘিরে ফেলে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকলে আমার ছেলে তাদেরকে গালিগালাজ করতে নিষেধ করিলে কাজী ইব্রাহিম হোসেনের হুকুমে অন্য বিবাদীগনরা হাঁসুয়া,ছুরি ও লোহার হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।এমতাবস্থায় আজম আলীর ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে গিয়ে আজমকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহীর বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।পরে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়।বর্তমানে তিনি লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
স্থানীয়রা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,এ ঘটনায় ৩ জন আহত হয়েছেন।আহতরা হলেন আজম আলী,কাজী ইব্রাহিম হোসেন ও কাজীর ভাতিজা ঈসা।এর মধ্যে আজম আলীকে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয় এবং কাজী ইব্রাহিম ও তার ভাতিজা ঈসা সহ তার লোকজন তাদের বাড়িতে চলে যায়।
এ বিষয়ে কাজী ইব্রাহিম হোসেনসহ অন্য বিবাদী গনদের মুঠোফোনে কল দিলে কেউ ফোন রিসিভ করেনি।
এ বিষয়ে লালপুর থানার ওসি উজ্জ্বল বলেন,দুড়দুড়িয়া বাজারে মারামারির ঘটনায় লালপুর থানায় একটি এজাহার পাওয়া গেছে,তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য যে,লালপুর উপজেলার দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের বসন্তপুর বিল সহ উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ ভাবে পুকুর খনন কাজ চলছে।এতে দুড়দুড়িয়া বাজারের মতো ঐ সমস্ত এলাকাতেও এমন বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করছেন লালপুরের সূধী সমাজ।