চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম দিয়ে বিশ্বে বাংলাদেশকে পরিচিত করা সম্ভব
- আপডেট টাইম : ০১:৫৯:২৪ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩
- / ১০৩ ৫০০০.০ বার পাঠক
পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (জিআই) মোঃ জিল্লুর রহমান বলেছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম প্রচন্ড সুস্বাদু। বিশেষ করে এ জেলার খিরসাপাত আম অত্যন্ত সুমিষ্ট। সারা দেশেই এখানকার আমের সুনাম রয়েছে। এমনকি বিদেশে ও গিয়েছে এ আম। তাই এ জেলার আম দিয়ে বাংলাদেশকে বিশ্বে পরিচিত করা সম্ভব। শুধু দরকার ভৌগোলিক নির্দেশক (জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেশন বা জিআই)
বৃহস্পতিবার(১১ মে) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের একটি রেস্টুরেন্টের কনফারেন্স রুমে খিরসাপাত আমের ভৌগোলিক নির্দেশকের মাধ্যমে খিরসাপাত আমের ব্যান্ডিং বিষয়ক কর্মশালায় এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম বাজারে আসবে আরও ২০ দিন পরে। কিন্তু এখানকার আমের নাম ব্যবহার করে বাজারে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন এলাকার অপরিপক্ক আম। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এখানকার আম চাষিরা। তাই এখানকার খিরসাপাত আমের ব্র্যান্ডিং প্রয়োজন। এ জেলার খিরসাপাত আমচাষীদের অনুরোধ করবো। আপনারা খিরসাপাত আমের ব্র্যান্ডিং করেন। এতে বিশ্ববাজারে চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাত আমের কদর বাড়বে।
তিনি আরও বলেন, আমি বিভিন্ন আম বাজারে গিয়ে দেখেছি। চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম চাষিরা প্রতারিত হচ্ছে। কারণ এ জেলার বলে অন্য এলাকার আম বিক্রি করা হয়। এটি আমরা থামাতে চাই। আমাদের মূল উদ্দেশ্য প্রকৃত খিরসাপাত আম চাষীরা নায্য মূল্য ।
মোঃ জিল্লুর রহমান বলেন,ইতিমধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাত আম জি আই পণ্য হিসেবে সনদ পেয়েছে। তবে আমরা খিরসাপাত আমে এখনো জিআই সনদের স্টিকার লাগাতে পারছিনা। তবে খুব দ্রুত তা ব্যবস্থা করছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ব মেধা সম্পদ সংস্থার লিগ্যাল অফিসার ম্যটিও গ্রাগনানী তিনি বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমের সুনাম শুনেছি। তাই প্রজেক্টের কাজে এখানে আসা। আমার ইচ্ছে আছে এখানকার আম চাষিদের সাথে কাজ করার।
এ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন,চাঁপাইনবাবগঞ্জের ম্যাংগো ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব আহসান হাবিব,শিবগঞ্জ ম্যাংগো প্রডিউসার কো-অপারেটিভ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল খান শামীম ও ৩০ জন আম চাষি।