সাংবাদিক শাওন চৌধুরীর গেস্ট হাউস গুলশানে
- আপডেট টাইম : ১২:৩৫:২৩ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১০ মে ২০২৩
- / ২০০ ৫০০০.০ বার পাঠক
গত ৯.০৫.২৩ আনুমানিক রাত ৮ বাজে গুলশান ১০৪ নম্বর রোডে বি এর ২৩ নং বাড়ির ৩য় তলায় যায় অনুসন্ধানে দৈনিক সময়ের কন্ঠ পত্রিকা সহ আরো দুই পত্রিকার সাংবাদিক গন। তবে গুলশান থানায় অবগত করাইছিল মনে হয় মহা ভুল। গুলশানের ডিসিকে অবগত করতে গিয়ে তাকে না পেয়ে তার হোয়াটসঅ্যাপে অ্যাসাইনমেন্ট কঁপি ছবি তুলে পাঠিয়ে প্রতিনিধিরা গুলশান থানার তদন্ত ওসি কে অবগত করে ঘটনাস্থলে যায়।
একটি ফ্ল্যাট বাসায় চলে প্রতিদিন রমরমা দেহ ব্যবসা সহ মাদক এর সাম্রাজ্য। এ ঘটনার তথ্য পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঠিক দেখতে পেল তথ্য মোতাবেক আলামত যেমন ইয়াবাসহ ফ্ল্যাটের প্রতিটি কক্ষে নারী ও পুরুষ। তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন তারা প্রতি ঘন্টা হিসেবে ২০০০ থেকে ২৫০০ করে দিয়ে এক ঘন্টা সময় কাটান। এমত অবস্থায় নারী-পুরুষও মাদকসহ পেয়ে থানায় ইনফর্ম করে গণমাধ্যমকর্মীরা। কিন্তু থানা থেকে ওই গেস্ট হাউজের স্টাফদের কাছে এমন কল আসে যে তাদের সম্মান করে দাও এবং তারা লেট করে আসবে। পুলিশকে কল করা হয়েছে গোপনে আরো গেস্ট হাউজের স্টাফরা বলছে ওপেনে পুলিশ আসবে দেরি করে আপনাদের জন্য কি করতে পারি বলেন। এ কেমন কথা! ঘটনার এক পর্যায়ে পুলিশ আসতে দেরি করায় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল দিলে একজন অফিসার আসেন আলী আকবর নামে। তাকে হোয়াটসঅ্যাপে লাইভ লোকেশন দেওয়ার পরেও সে নাকি চিনতে পারেনা লোকেশন। বাড়ির নিচে এসে দাড়িয়ে থাকে ২০ মিনিট। আরে দিকে চলছে গেস্ট হাউস স্টাফদের হুমকি-ধমকি সাথে ফোনকল দিয়ে তাদের হয়রানি করাচ্ছে বিভিন্ন মানুষ দ্বারা প্রথমে কল ধরিয়ে দেয় গাজি টিভি রিপোর্টার শিশির নামের এক সাংবাদিককে, সাংবাদিক শিশির বলেন আমি তাদের কাউকে চিনি না। ঘটনার এক পর্যায় যখন স্টাফরা বুঝতে পারে সাংবাদিকরা গোপন ক্যামেরায় তাদের সকল ভিডিও ধারণ করছে এবার আরো চরানো হলো গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতি তাদের হাতের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা সাথে স্থানীয় মানুষ দ্বারা পেটানোর ভয়।
পরবর্তীতে পুলিশ এসে ঘটনার পরিদর্শন করে যায় এবং ইচ্ছে করে দেরি করে নারী ও পুরুষ গেস্ট হাউজ থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর্যাপ্ত পরিমানে সময় দিয়ে তারপর উপরে উঠে সেই ফুটেজ গণমাধ্যম কর্মীর কাছে আছে। উপরে উঠে এসে বলে যে নারী-পুরুষের এখন নেই আপনারা চাইলে মামলা করে যেতে পারেন পরবর্তীতে তাদের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রতিনিধিরা যখন বের হয়ে গুলশান থানার উদ্দেশ্যে রওনা হয় তখন দৈনিক রূপবানী পত্রিকার স্টাফ পরিচয় দিয়ে শাওন চৌধুরি নামে কল দিয়ে বলে ওই গেস্টহাউজ আমার আমার অফিস ওয়ারীতে আপনারা আগামীকাল এসে চা খেয়ে যাবেন। অপরাধ উন্মোচন করতে গিয়ে সাংবাদিকদের হয়রানি হতে হয় অন্য সাংবাদিকের কাছে। ওই শাওন চৌধুরীর কল রেকর্ড রয়েছে দৈনিক সময়ের কন্ঠ পত্রিকা প্রতিনিধির ফোনে। শাওন চৌধুরী যিনি কিনা নিজেকে পরিচয় দিয়েছে দৈনিক রূপবানী পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার এবার তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট পাওয়া যায় সে একইসাথে সাংবাদিক ও স্টুডেন্ট ও বটে! আমরা জানতে পারি ওই গেস্টহাউস টি হাসান নামের এক লোকের তবে কেন শাওন চৌধুরী ওই গেস্টহাউস তিন নিজের বলে দাবী করলেন!
এ ঘটনার সঠিক তদন্ত এবং এই গেস্টহাউসের আসল মালিক কে এবং গুলশানের মতো এরকম জায়গায় এরকম মাদক ও রমরমা নারীদের দেহ ব্যবসার পিছে কারা কারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হোক এবং বন্ধ করা হোক সমাজের অসামাজিক কার্যকলাপ।
পরবর্তী দেখতে চোখ রাখুন দৈনিক সময়ের কন্ঠে