ঢাকা ০৪:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
পুরোনো চেহারায় ফিরবে আওয়ামী লীগ, তৈরি হচ্ছে মাস্টারপ্ল্যান বিএনপি সংস্কার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে: সালাহউদ্দিন খিলগাঁওয়ে গৃহবধূ ও তার পরিবারের উপর বর্বর হামলা: প্রাণনাশের হুমকি, স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেছেন। বাড়িয়ালা ময়না বেগম নেতৃত্বে  পাসপোর্টে ফিরল ‘এক্সসেপ্ট ইসরাইল’, যা বললেন সাবেক রাষ্ট্রদূত রোববার সারা দেশে মহাসমাবেশের ডাক কারিগরি শিক্ষার্থীদের আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে দেশের ইতিহাসের সর্বোত্তম নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা কমিশনের অধিকাংশ প্রস্তাবে একমত এনসিপি, আমূল পরিবর্তনের আহ্বান কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের  সাবেক চেয়ারম্যান জামাল নাসের সচিবের বিরুদ্ধে অনিয়মে জনবল নিয়োগ,জ্ঞাত আয় বহিভূত সম্পদ অর্জন,, বোর্ডে অনিয়ম নিয়ম বহিরভূত  অবৈধ উপায়ে ১২ জন ঠিকা ভিত্তিক কর্মচারী নিয়োগে বয়স জালিয়াতির অভিযোগ ট্রাম্প-মোদি-শি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল কোস্ট গার্ডের অভিযানে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ করিম শরীফ বাহিনীর দুই সহযোগী আটক

নাসিরনগরে গ্রিলকেটে পালিয়ে গেছে দুই চোর

সুমন গোপ, নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ০৬:৪৪:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ মে ২০২৩
  • / ১৫৬ ৫০০০.০ বার পাঠক

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা থেকে নৌকা চুরির অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার গোয়ালনগরে দুই নৌকা চোরকে নৌকা সহ হাতেনাতে আটক করে স্থানীয় জনতা |

বুধবার ভোর রাতে জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ থেকে ৪ চোর মিলে একটি ইঞ্জিন চালিত ষ্টিলের নৌকা নিয়ে পালিয়ে আসে গোয়ালনগরে। ঘাটে নৌকা না পেয়ে মালিক পক্ষ খুঁজতে থাকে। নদীতে খুঁজতে খুঁজতে অপর একটি নৌকা নিয়ে তাদেরকে ধরার জন্য চোরের পিছে ধাওয়া করে। নৌকার তেল ফুরিয়ে যাওয়ায় ৪ মে ২০২৩ রোজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ ঘটিকার সময় চোরের দল গোয়ালনগর বাজারের একটু অদূরে নৌকার ইঞ্জিন বন্ধ করে নৌকা ভিড়ায়। তখন পিছু ধাওয়াকারি মালিকগণ তাদের দেখে ফেলে। চোরদের মধ্যে দুই জন মালিক পক্ষ দেখে ফেলেছে টের পেয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে পালিয়ে যায়।
নৌকার মালিক পক্ষের কাছে জানতে পেরে অপর দুই জন কে নৌকা সহ হাতে নাতে আটক করে স্থানীয় জনতা। পরে তাদের কিছু মারধর করে। জানা গেছে পরে ওই দুই নৌকা চোরকে স্থানীয়দের সহযোগীতায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গোয়ালনগর ইউপি চেয়ারম্যান আজহারুল হকের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

স্থ্নীয় একটি বিশ্বস্থ সুত্রে জানা গেছে চেয়ারম্যানের কাছে হস্তান্তরের পর চোরদের থানায় সোপর্দ না করে চেয়ারম্যান আজহারুল হক চোরের বউদের খবর দিয়ে তার বাড়িতে এনে চোরদের ছেড়ে দেয়ার শর্তে মোটা অংকের টাকা দাবী করে। চোরের বউয়েরা পরদিন টাকা নিয়ে আসবে বলে কথা দিয়ে চলে যায়।পরে চোরদের একটি ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে। পরে রাতে চোরেরা ঘরের গ্রিল কেটে পালিয়ে যায়। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে।

গ্রিল কেটে দুই চোর বিষয়ে মুঠোফোনে চেয়ারম্যান আজহারুল হকের সাথে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলেও টাকা চাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন নৌকাটি মালিক পক্ষকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।নৌকার মালিককে মামলা করার জন্য বলা হলে তারা মামলা করতে রাজি হয়নি। আমি সেই এলাকার চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলেছি। চাতলপাড় তদন্ত কেন্দ্রের আই,সির সাথে কথা বললে তিনি বলেন কাগজ পত্রে সই স্বাক্ষর রেখে ছেড়ে দেন।

চাতলপাড় তদন্ত কেন্দ্রের আই সি মোঃ আবুল হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগযোগ করে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার সাথে চেয়ারম্যানের এমন ধরনের কোন কথাবার্তা হয়নি।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নাসিরনগরে গ্রিলকেটে পালিয়ে গেছে দুই চোর

আপডেট টাইম : ০৬:৪৪:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ মে ২০২৩

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা থেকে নৌকা চুরির অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার গোয়ালনগরে দুই নৌকা চোরকে নৌকা সহ হাতেনাতে আটক করে স্থানীয় জনতা |

বুধবার ভোর রাতে জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ থেকে ৪ চোর মিলে একটি ইঞ্জিন চালিত ষ্টিলের নৌকা নিয়ে পালিয়ে আসে গোয়ালনগরে। ঘাটে নৌকা না পেয়ে মালিক পক্ষ খুঁজতে থাকে। নদীতে খুঁজতে খুঁজতে অপর একটি নৌকা নিয়ে তাদেরকে ধরার জন্য চোরের পিছে ধাওয়া করে। নৌকার তেল ফুরিয়ে যাওয়ায় ৪ মে ২০২৩ রোজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ ঘটিকার সময় চোরের দল গোয়ালনগর বাজারের একটু অদূরে নৌকার ইঞ্জিন বন্ধ করে নৌকা ভিড়ায়। তখন পিছু ধাওয়াকারি মালিকগণ তাদের দেখে ফেলে। চোরদের মধ্যে দুই জন মালিক পক্ষ দেখে ফেলেছে টের পেয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে পালিয়ে যায়।
নৌকার মালিক পক্ষের কাছে জানতে পেরে অপর দুই জন কে নৌকা সহ হাতে নাতে আটক করে স্থানীয় জনতা। পরে তাদের কিছু মারধর করে। জানা গেছে পরে ওই দুই নৌকা চোরকে স্থানীয়দের সহযোগীতায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গোয়ালনগর ইউপি চেয়ারম্যান আজহারুল হকের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

স্থ্নীয় একটি বিশ্বস্থ সুত্রে জানা গেছে চেয়ারম্যানের কাছে হস্তান্তরের পর চোরদের থানায় সোপর্দ না করে চেয়ারম্যান আজহারুল হক চোরের বউদের খবর দিয়ে তার বাড়িতে এনে চোরদের ছেড়ে দেয়ার শর্তে মোটা অংকের টাকা দাবী করে। চোরের বউয়েরা পরদিন টাকা নিয়ে আসবে বলে কথা দিয়ে চলে যায়।পরে চোরদের একটি ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে। পরে রাতে চোরেরা ঘরের গ্রিল কেটে পালিয়ে যায়। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে।

গ্রিল কেটে দুই চোর বিষয়ে মুঠোফোনে চেয়ারম্যান আজহারুল হকের সাথে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলেও টাকা চাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন নৌকাটি মালিক পক্ষকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।নৌকার মালিককে মামলা করার জন্য বলা হলে তারা মামলা করতে রাজি হয়নি। আমি সেই এলাকার চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলেছি। চাতলপাড় তদন্ত কেন্দ্রের আই,সির সাথে কথা বললে তিনি বলেন কাগজ পত্রে সই স্বাক্ষর রেখে ছেড়ে দেন।

চাতলপাড় তদন্ত কেন্দ্রের আই সি মোঃ আবুল হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগযোগ করে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার সাথে চেয়ারম্যানের এমন ধরনের কোন কথাবার্তা হয়নি।