ঢাকা ১০:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
নারী শ্রমিকদের মধ্যে বৈষম্য দূর করে ইসলামী শ্রমনীতি চালুর মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণে দেশের শ্রমজীবী সমাজ তাদের হাতকে শক্তিশালী হাতিয়ারে পরিণত করবেনঃ অধ্যক্ষ নূরুন্নিসা সিদ্দীকা সৌদিতে ঈদুল আজহা কবে, জানা গেল সম্ভাব্য তারিখ গাজীপুরে সওজ’র অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত টুঙ্গিপাড়াসহ বিভিন্ন জায়গায় থাকা শেখ পরিবারের জমি জব্দের আদেশ দাম কমল জ্বালানি তেলের প্রতি লিটারে ১ টাকা মিরাজ–কীর্তিতে বাংলাদেশের ইনিংস জয়, সিরিজ ড্র ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি করার পর বল হাতে নিয়েছেন ৫ উইকেট মোংলায় সাংবাদিক পরিবারের সদস্যের ওপর কিশোর গ্যাংয়ের হামলা, গুরুতর আহত একজন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মোংলা পৌর শাখার উদ্যোগে এক বিশাল দাওয়াতী সভা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলার হাইকোর্টের রায় ৮ মে কাশ্মীর ইস্যুতে উত্তেজনা, ভারত-পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় বসছে যুক্তরাষ্ট্র

একাধিক নারীর সাথে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত থেকে, যৌতুকের দায়ে মারধর করে স্ত্রীকে জামিনে আছেন সুজন সরকার

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ১১:৫৯:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ মে ২০২৩
  • / ১৫৯ ৫০০০.০ বার পাঠক

গত ২১.০৯.২০২১ সুজন সরকার (২৬) ও যারা হায়াত (২৯)এই দম্পতির পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকেই সুজন সরকারের অন্যায় আচরণ এবং অর্ধশতাধিক মেয়ের সাথে অবৈধ সম্পর্কের কথা এবং তাদের সাথে তার খোলামেলা ছবি ও ভিডিও যা প্রথম নজরে আসে যারা হায়াতের। পারিবারিকভাবে কোনো সুরাহ না পেয়ে যারা হায়াত একটি ডেমরা থানায় একটি অভিযোগ করে সুজন সরকারের নামে। সুজন সরকার ও জারা হায়াতকে থানায় ডেকে তখন কার ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ বুঝিয়ে দেন ভালো ভাবে সংসার করার জন্য। কিছুদিন ভালো থাকলেও আবার সুজন সরকারের অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যায়। গত ১২.০১.২০২২ জানুয়ারী এলোপাতাড়িভাবে মেরে তাকে ঘর বেরিয়ে যায়। এ ব্যাপারে তার পরিবারকে জানানো হলে তারা কোনো পদক্ষেপ নেয় না উল্টো যারা হায়াতকে তার মা, জবেদা খাতুন,এবং বোন শারমিন অশ্লীল অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে এবং তার বোনের জামাই সৌদি প্রবাসী রুহুল আমিন সরকার ফোন কলে তাকে হুমকি প্রদান করে।

উপায়ান্তর না দেখে যারা হায়াত বিষয়টি তার অফিস কর্তৃপক্ষ এবং জাতীয় প্রেসক্লাব এবং ডেমরা প্রেসক্লাবে জানায় পড়ে বিষয়টি নিয়ে মানববন্ধন হয়।

সুজন সরকার গত ২০.০১.২০২২ জানুয়ারি আবার বাসায় ফিরে আসে এসে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত মোটামুটি ভাল ছিল। ঠিক ৩০ জানুয়ারি দুপুর আনুমানিক ২:৩০ এর দিক আবার যৌতুক দাবি করে এলোপাতাড়ি মারধর করা শুরু করল। একপর্যায়ে যারা হায়াতের প্রতিবেশী ও বাড়িওয়ালার সাহায্য নিয়ে যারা হায়াত ঘর থেকে বের হয়ে ঢাকা মেডিকেল গিয়ে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা নিয়ে ডেমরা থানায় যৌতুকের দায়ে নারী নির্যাতন ১১(গ) ধারার একটি মামলা দায়ের করলেন। মামলা নং ৪৩/১। এ বিষয়ে মামলার আইও এসআই হানিফকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন মামলা হয়েছে আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে।

এসময় সুজন সরকারের পুরো পরিবার যারা হায়াত কে প্রতিশ্রুতি দেয়, তাকে আর মারধর করবে না এবং যৌতুক দাবি করবে না। যারা হায়াত সংসার করার ইচ্ছে নিয়ে সুজন সরকারের পরিবার সহ যারা হায়াত তাকে আপোষের শর্তে জামিন করায় ১০ ফেব্রুয়ারি। আমরা ঘটনাস্থলে যেয়ে যারা হায়াতের প্রতিবেশীদের কাছ থেকে আরো জানতে পারি এই সুজন সরকার সংসার কালীন অবস্থায় যারা হায়াতকে কোন ভরণপোষণ কিছুই দিত না। উল্টো তার চাকরির বেতনের টাকা দিয়ে চলতো সে।

সর্বশেষ গত ২২.০৩.২০২২ ঘরের দরজা বন্ধ করে চড় ঘুষি লাথি দিয়া মেরে তাকে ঘর থেকে বেরিয়ে যায় এ সময় প্রতিবেশি তার চিৎকার শুনতে পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে এবং এ বিষয় নিয়ে আর একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয় যার তদন্ত করেন যাত্রাবাড়ী থানার অফিসার সাব্বির আহমেদ। তদন্তের পর প্রসিকিউশনের জন্য দেয় আদালতে। ম্যাজিস্ট্রেট যারা হায়াত এর নিজ মুখ থেকে বিষয়টি শুনে।

 

এরপর প্রত্যেকটি হাজিরার ডেটে যারা হায়াত সুজন সরকারের জামিন না মঞ্জুরের আবেদন জানাচ্ছে।

যারা হায়াত একজন সংবাদকর্মী হিসেবে আইনের প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল। তাই এরকম প্রতারকের শাস্তি দাবী জানিয়ে তার জামিন না মঞ্জুরের আবেদন জানাচ্ছে মিডিয়ার মাধ্যম দিয়ে আদালতকে।

পরবর্তী দেখতে চোখ রাখুন দৈনিক সময়ের কন্ঠে

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

একাধিক নারীর সাথে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত থেকে, যৌতুকের দায়ে মারধর করে স্ত্রীকে জামিনে আছেন সুজন সরকার

আপডেট টাইম : ১১:৫৯:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ মে ২০২৩

গত ২১.০৯.২০২১ সুজন সরকার (২৬) ও যারা হায়াত (২৯)এই দম্পতির পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকেই সুজন সরকারের অন্যায় আচরণ এবং অর্ধশতাধিক মেয়ের সাথে অবৈধ সম্পর্কের কথা এবং তাদের সাথে তার খোলামেলা ছবি ও ভিডিও যা প্রথম নজরে আসে যারা হায়াতের। পারিবারিকভাবে কোনো সুরাহ না পেয়ে যারা হায়াত একটি ডেমরা থানায় একটি অভিযোগ করে সুজন সরকারের নামে। সুজন সরকার ও জারা হায়াতকে থানায় ডেকে তখন কার ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ বুঝিয়ে দেন ভালো ভাবে সংসার করার জন্য। কিছুদিন ভালো থাকলেও আবার সুজন সরকারের অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যায়। গত ১২.০১.২০২২ জানুয়ারী এলোপাতাড়িভাবে মেরে তাকে ঘর বেরিয়ে যায়। এ ব্যাপারে তার পরিবারকে জানানো হলে তারা কোনো পদক্ষেপ নেয় না উল্টো যারা হায়াতকে তার মা, জবেদা খাতুন,এবং বোন শারমিন অশ্লীল অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে এবং তার বোনের জামাই সৌদি প্রবাসী রুহুল আমিন সরকার ফোন কলে তাকে হুমকি প্রদান করে।

উপায়ান্তর না দেখে যারা হায়াত বিষয়টি তার অফিস কর্তৃপক্ষ এবং জাতীয় প্রেসক্লাব এবং ডেমরা প্রেসক্লাবে জানায় পড়ে বিষয়টি নিয়ে মানববন্ধন হয়।

সুজন সরকার গত ২০.০১.২০২২ জানুয়ারি আবার বাসায় ফিরে আসে এসে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত মোটামুটি ভাল ছিল। ঠিক ৩০ জানুয়ারি দুপুর আনুমানিক ২:৩০ এর দিক আবার যৌতুক দাবি করে এলোপাতাড়ি মারধর করা শুরু করল। একপর্যায়ে যারা হায়াতের প্রতিবেশী ও বাড়িওয়ালার সাহায্য নিয়ে যারা হায়াত ঘর থেকে বের হয়ে ঢাকা মেডিকেল গিয়ে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা নিয়ে ডেমরা থানায় যৌতুকের দায়ে নারী নির্যাতন ১১(গ) ধারার একটি মামলা দায়ের করলেন। মামলা নং ৪৩/১। এ বিষয়ে মামলার আইও এসআই হানিফকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন মামলা হয়েছে আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে।

এসময় সুজন সরকারের পুরো পরিবার যারা হায়াত কে প্রতিশ্রুতি দেয়, তাকে আর মারধর করবে না এবং যৌতুক দাবি করবে না। যারা হায়াত সংসার করার ইচ্ছে নিয়ে সুজন সরকারের পরিবার সহ যারা হায়াত তাকে আপোষের শর্তে জামিন করায় ১০ ফেব্রুয়ারি। আমরা ঘটনাস্থলে যেয়ে যারা হায়াতের প্রতিবেশীদের কাছ থেকে আরো জানতে পারি এই সুজন সরকার সংসার কালীন অবস্থায় যারা হায়াতকে কোন ভরণপোষণ কিছুই দিত না। উল্টো তার চাকরির বেতনের টাকা দিয়ে চলতো সে।

সর্বশেষ গত ২২.০৩.২০২২ ঘরের দরজা বন্ধ করে চড় ঘুষি লাথি দিয়া মেরে তাকে ঘর থেকে বেরিয়ে যায় এ সময় প্রতিবেশি তার চিৎকার শুনতে পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে এবং এ বিষয় নিয়ে আর একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয় যার তদন্ত করেন যাত্রাবাড়ী থানার অফিসার সাব্বির আহমেদ। তদন্তের পর প্রসিকিউশনের জন্য দেয় আদালতে। ম্যাজিস্ট্রেট যারা হায়াত এর নিজ মুখ থেকে বিষয়টি শুনে।

 

এরপর প্রত্যেকটি হাজিরার ডেটে যারা হায়াত সুজন সরকারের জামিন না মঞ্জুরের আবেদন জানাচ্ছে।

যারা হায়াত একজন সংবাদকর্মী হিসেবে আইনের প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল। তাই এরকম প্রতারকের শাস্তি দাবী জানিয়ে তার জামিন না মঞ্জুরের আবেদন জানাচ্ছে মিডিয়ার মাধ্যম দিয়ে আদালতকে।

পরবর্তী দেখতে চোখ রাখুন দৈনিক সময়ের কন্ঠে