ঢাকা ১২:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
গ্রাহক সেজে সাভার বিআরটিএ কার্যালয়ে দুনীতি দমন কমিশন দুদক অফিসারের অভিযান সাউন্ড থেরাপির উপকারীতা সত্যিই চমকে যাওয়ার মতোই বেক্সিমকো শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ মেংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মচারী সংঘের নির্বাচন বানচালে সক্রিয় আওয়ামী লীগ বিক্ষোভ মিছিল প্রদর্শন হুমকি দেওয়া বিমানের সেই ফ্লাইটে তল্লাশি চালিয়ে যা জানাল কর্তৃপক্ষ মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের খরচ নিয়ে সুখবর কোস্ট গার্ডের অভিযানে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র সহ ০২ জন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী আটক মোংলায় জমি জমার বিরোধের জেরে সংঘর্ষ আহত ৩ কালিয়াকৈরে উঠান বৈঠক ও বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মচারী সংঘের মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু

দৌলতপুরে সরকারি পিএস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০১:৪৪:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ মে ২০২৩
  • / ১৮৪ ৫০০০.০ বার পাঠক

মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলা সদরে অবস্থিত সরকারি প্রমোদা সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত, দুর্নীতি ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, ৪০ (চল্লিশ হাজার) টাকার বিনিময়ে বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকদের চোখ ফাঁকি দিয়ে টেস্ট পরীক্ষায় ৩ সাবজেক্টে ফেল করা ব্যবসায় শিক্ষা শাখার মোঃ শামীম নামের এক শিক্ষার্থীর ফরম পূরণ করে এ বছর শুরু হওয়া এসএসসি পরীক্ষার সুযোগ করে দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান। বিদ্যালয়ের ফরম পূরণে কয়েকজন সহকারী শিক্ষকের সহযোগিতায় সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ সিদ্দিকুর রহমানকে প্রধান করে একটি ফরম পূরণ কমিটি গঠন করে দেন প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান ওই কমিটির শিক্ষকরা জানান আমরা বিদ্যালয়ের জেনারেল শাখায় এ বছর ১২৮ জনের ফরম পূরণ নিশ্চিত করি কিন্তু ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ফেল করা অতিরিক্ত ে একজনের ফরম পূরণ কিভাবে বেশি হল এটা আমাদের জানা নেই প্রধান শিক্ষক সাহেব এ ব্যাপারে ভালো বলতে পারবেন।
অভিযোগ রয়েছে ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত স্কুলের প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীর কাছ থেকে আইসিটি বাবদ ২৪০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে কিন্তু এই এত মোটাওকের টাকা কোথায় খরচ করেছেন এর কোন সঠিক ইয়াত্তা পাওয়া যায়নি কিন্তু ইদানিং বিদ্যালয়ের কম্পিউটার ডেমনিস্টেটর জাফর এবং প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের নামে যৌথ একাউন্টে টাকা জমা রেখে বিভিন্ন ধরনের ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে খরচ দেখানো হয়ে থাকে।

বিদ্যালয়ের চলমান প্রত্যেক এসএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র বিতরণে ৫০ (পঞ্চাশ) টাকা করে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে অপরদিকে সরকারি বিধির কোন তোয়াক্কা না করে কোচিংয়ের নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কৌশলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে ২ লক্ষাধিক টাকার বিনিময়ে সুকৌশলে বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)র নিয়ম ভঙ্গ করে ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত অনুপম কোম্পানির নোট গাইড পাঠ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে। এ ছাড়াও পবিত্র ঈদুল ফিতরের ঈদের আগে বিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষকের কাছ থেকে টাকা কেটে রেখে বিদ্যালয় সভাপতিকে ঈদ সালামী দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
ঘটনার বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস অভিযোগ করে বলেন, প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান দৌলতপুর সরকারি পিএস উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকেই নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন এবং দুর্নীতির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক অঢেল টাকা ও সম্পদের মালিক হয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্রে ৫০ টাকা করে নেয়ার কথা স্বীকার করে জানান, মসজিদের ইমামের বেতন বাবদ প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র বিতরণের সময় ৫০ টাকা করে নেয়া হয়েছে এবং অন্যান্য বিষয়ে কোন মন্তব্য না করে তিনি তার সাথে দেখা করার কথা বলেন।

অভিযোগের বিষয়ে দৌলতপুর পিএস সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবিদা সুলতানা জানান, বিভিন্ন অনিয়ম ও অভিযোগের বিষয়ে আমার কাছে কেউ লিখিত আবেদন করলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দৌলতপুরে সরকারি পিএস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ

আপডেট টাইম : ০১:৪৪:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ মে ২০২৩

মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলা সদরে অবস্থিত সরকারি প্রমোদা সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত, দুর্নীতি ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, ৪০ (চল্লিশ হাজার) টাকার বিনিময়ে বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকদের চোখ ফাঁকি দিয়ে টেস্ট পরীক্ষায় ৩ সাবজেক্টে ফেল করা ব্যবসায় শিক্ষা শাখার মোঃ শামীম নামের এক শিক্ষার্থীর ফরম পূরণ করে এ বছর শুরু হওয়া এসএসসি পরীক্ষার সুযোগ করে দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান। বিদ্যালয়ের ফরম পূরণে কয়েকজন সহকারী শিক্ষকের সহযোগিতায় সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ সিদ্দিকুর রহমানকে প্রধান করে একটি ফরম পূরণ কমিটি গঠন করে দেন প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান ওই কমিটির শিক্ষকরা জানান আমরা বিদ্যালয়ের জেনারেল শাখায় এ বছর ১২৮ জনের ফরম পূরণ নিশ্চিত করি কিন্তু ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ফেল করা অতিরিক্ত ে একজনের ফরম পূরণ কিভাবে বেশি হল এটা আমাদের জানা নেই প্রধান শিক্ষক সাহেব এ ব্যাপারে ভালো বলতে পারবেন।
অভিযোগ রয়েছে ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত স্কুলের প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীর কাছ থেকে আইসিটি বাবদ ২৪০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে কিন্তু এই এত মোটাওকের টাকা কোথায় খরচ করেছেন এর কোন সঠিক ইয়াত্তা পাওয়া যায়নি কিন্তু ইদানিং বিদ্যালয়ের কম্পিউটার ডেমনিস্টেটর জাফর এবং প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের নামে যৌথ একাউন্টে টাকা জমা রেখে বিভিন্ন ধরনের ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে খরচ দেখানো হয়ে থাকে।

বিদ্যালয়ের চলমান প্রত্যেক এসএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র বিতরণে ৫০ (পঞ্চাশ) টাকা করে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে অপরদিকে সরকারি বিধির কোন তোয়াক্কা না করে কোচিংয়ের নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কৌশলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে ২ লক্ষাধিক টাকার বিনিময়ে সুকৌশলে বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)র নিয়ম ভঙ্গ করে ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত অনুপম কোম্পানির নোট গাইড পাঠ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে। এ ছাড়াও পবিত্র ঈদুল ফিতরের ঈদের আগে বিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষকের কাছ থেকে টাকা কেটে রেখে বিদ্যালয় সভাপতিকে ঈদ সালামী দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
ঘটনার বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস অভিযোগ করে বলেন, প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান দৌলতপুর সরকারি পিএস উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকেই নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন এবং দুর্নীতির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক অঢেল টাকা ও সম্পদের মালিক হয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্রে ৫০ টাকা করে নেয়ার কথা স্বীকার করে জানান, মসজিদের ইমামের বেতন বাবদ প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র বিতরণের সময় ৫০ টাকা করে নেয়া হয়েছে এবং অন্যান্য বিষয়ে কোন মন্তব্য না করে তিনি তার সাথে দেখা করার কথা বলেন।

অভিযোগের বিষয়ে দৌলতপুর পিএস সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবিদা সুলতানা জানান, বিভিন্ন অনিয়ম ও অভিযোগের বিষয়ে আমার কাছে কেউ লিখিত আবেদন করলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।