চাঁদা না পেয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কে হত্যা চেষ্টা
- আপডেট টাইম : ০৬:৫০:১০ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১
- / ৩২৭ ৫০০০.০ বার পাঠক
জাহাঙ্গীর আলম স্টাফ রিপোর্টার।
যাদের রক্তের বিনিময়ে পেয়েছি এই বাংলাদেশ, তাদেরই কিছু করতে হলে দিতে হবে এই বাংলা কে চাঁদা! আহ! এটা কতটাই নিষ্ঠুর বেদনার!
গাজীপুর বাড়িয়া ইউনিয়ন খুনদীয়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃজলিল মিয়ার ছেলে মোঃ মামুন হোসেন (৩৪) কে চাঁদা না দেওয়ার অপরাধে দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।
গত ২ ই ফেব্রুয়ারী খুনদীয়া গ্রামে ইজ্জৎ আলীর বাড়ির সামনে দিয়া মামুন মিয়া (৩৪)ড্রাম ট্রাক দিয়া মাঠি ফেলানোর সময় আনুমানিক বেলা ১২.৩০ মিনিটের দিকে ইজ্জৎ আলী ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মামুন মিয়ার উপর হামলা চালায়।এবং এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মামুন কে গুরুতর আহত করে।
রক্তাক্ত মামুন কে বড় ভাইয়েররা জয়দেবপুর সদর মেডিকেল নিয়ে যায়।
আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক আহত মামুনের সাথে সাক্ষাৎ করলে মামুন বলেন বেশ কিছু দিন আগে ইজ্জত আলী আমার কাছে দু লক্ষ টাকা চাদা দাবি করে, আমি ইজ্জত আলী কে চাঁদা প্রদান না করলে আমাকে ড্রাম ট্রাকের ব্যবসা করতে দিবে না। ব্যবসা করতে হলে তাকে দু লক্ষ টাকা চাঁদা প্রদান করতে হবে, আমি ইজ্জত কে চাঁদা প্রদানে অসম্মতি জ্ঞাপন করলে ইজ্জত আলী আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি প্রদান করে।
এরই জের ধরে গত ২ ই ফেব্রুয়ারী বেলা ১২ঃ৩০মিনিটের দিকে ইজ্জত আলীর বাড়ির সামনে দিয়ে ড্রাম ট্রাক দিয়ে মাটি ফালানোর সময় ইজ্জত হঠাৎ করে বাড়ির ভিতর থেকে উত্তেজিত হয়ে একটি দাড়ালো অস্ত্র নিয়ে আমার উপর ঝাপিয়ে পরে এবং আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার মাথায় এলোপাতাড়ি আঘাত করে। একপর্যায়ে আমি মাটিতে লুটিয়ে পরি। আমরা বড় ভাইয়েরা খবর পেয়ে ছুটে গিয়ে আমাকে হসপিটালে নিয়ে আসে।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় অভিযুক্ত ইজ্জত আলী স্থানীয় রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। রাজনীতিকে সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করে চাঁদা বাজি,জুয়া,মাদক ব্যবসা,ভুমি দখল সহ বহুত অপরাধ জগত কে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ভিকটিম মামুনের পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ জলিল মিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করলে তিনি জানান যে আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা, আমার শরীরে এখনো যুদ্ধের চিহ্ন রয়েছে, অনেক কষ্ট করে আমরা যুদ্ধ করে বাংলাদেশকে সৃষ্টি করেছি অথচ এই দেশে আমার সন্তানের চাঁদা দিয়ে থাকতে হবে(?)আর চাঁদা না দিলে এভাবে আক্রমণ করবে এটা ভাবতেও কষ্ট হয়। পুলিশের কাছেও এর কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না। পুলিশ আমাদের মামলা নিচ্ছে না। এটাই কি বাংলাদেশ? এর জন্যই কি জানবাজি রেখে যুদ্ধ করেছিলাম? আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়ে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি এই অপরাধী কে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।
আমাদের প্রতিবেদক গাজীপুর থানার ওসির সাথে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করলে ওসি জানান এ সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ এখনো আমরা পাইনি। অভিযোগ পাইলে ব্যবস্তা নেওয়া হবে।
অনুসন্ধান চলছে…
বিস্তারিত জানতে চৌখ রাখুন অনুসন্ধানে….