ঢাকা ১১:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
গুম ফেরত সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল’র বাক স্বাধীনতা হরণ লন্ডনে ড. ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠকের সম্ভাবনা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান চামড়া শিল্পের সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে সারাদেশে ব্যক্তিগতভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছি’ গ্রেটা থুনবার্গের জাহাজ ‘ম্যাডলিন’ আটকের কারণ কী, যা বলছে ইসরাইল ঢাকা রাজধানী খিলগাঁও, ঈদুল আযহারের তৃতীয় দিনে ডিপুর পরিচ্ছন্ন কর্মীদের সাথে প্রেরণামূলক দেখা সাক্ষাৎ। কাউন্সিলর পতপ্রার্থী বিক্ষোভে উত্তাল লস অ্যাঞ্জেলস, গাড়িতে আগুন বিক্ষোভ চলাকালে গাড়িতে আগুন ২ মেয়েকে বিষ খাইয়ে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যার চেষ্টা নির্বাচনে ভিন্ন কোনো দেশের হস্তক্ষেপ কাম্য নয়: জামায়াত আমির এইবারে ঈদুল আযহারঃকুরবানির পশু চামড়া ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত আশুলিয়ার জিরাবো বাজারে কাপড়ের দোকানে আগুন

মোংলায় মৎস্য ব্যবসায়ী মাহে আলমকে অপহরণ করে হত্যার অভিযোগ

ওমর ফারুক :
  • আপডেট টাইম : ০৪:২৫:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৩
  • / ১৬১ ১৫০.০০০ বার পাঠক

মোংলায় মৎস্য ব্যবসায়ী মাহে আলমকে (৬৫) অপহরণ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। অপহৃতের বড় ছেলে জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ’র প্লানিং এন্ড মনিটরিং কর্মকর্তা সোহেল রানা এই অভিযোগ করেন। ২৯ এপ্রিল শনিবার সকালে মোংলা প্রেস ক্লাবে মাহে আলম’র পরিবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের কাছে এই অভিযোগ তুলে ধরেন। এসময় তার বাবাকে অপহরণের ভিডিও ফুটেজও দেখান। তার দাবি এই ফুটেজ এবং অপহরণের যাবতীয় তথ্য উপাত্ত মোংলা থানায় দিলেও মামলা নেয়নি পুলিশ। বাবা হত্যার বিচার না পেয়ে তাই সাংবাদিকদের দারস্থ হয়েছেন। অপহৃত মাহে আলম পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান আততায়ীর গুলিতে নিহত মোংলা পোর্ট পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান শহীদ আব্দুল বাতেনের ছোট ভাই ও মোংলা বাজারের মৎস্য ব্যবসায়ী।

শনিবার সকাল ১১টায় সংবাদ সম্মেলনে মাহে আলমের ছোট ছেলে সুমন রানা বলেন, গত ১০ এপ্রিল বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি তার বাবা। অনেক খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে মোংলা থানায় জিডি করা হয়। এরপর ২০ এপ্রিলে মোংলা পোর্ট পৌরসভার সিসিটিভি ক্যামেরার ১০ এপ্রিলের সংরক্ষিত ফুটেজে দেখা যায় তার বাবা মাহে আলমকে ট্রলার মাঝি মোশাররফ হোসেন বানিশান্তা ট্রলার ঘাটে নিয়ে যাচ্ছেন। ওই ফুটেজের সুত্র ধরে ঘাটের অন্যান্য মাঝি ও প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞেস করা হলে তারা বলেন সুন্দরবনের করমজলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মাহে আলমকে। লিখিত বক্তব্যে সুমন ৩৬২ ও ৩৬৪ ধারায় তার বাবা মাহে আলমকে অপহরণ করার জন্য মোংলা থানায় মামলা গ্রহণের জোর দাবী জানান। সুমন রানা আরও বলেন, গত ১৩ এপ্রিল সুন্দরবনের করমজল থেকে পুলিশ অর্ধগলিত একটি লাশ উদ্ধার করে। ওই লাশটি তার বাবার। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, উদ্ধারকৃত লাশটির পরনে প্যান্ট শার্ট তার বাবার অপহরণের প্রাক্কালে পরিহিত প্যান্ট শার্টের সাথে মিল রয়েছে। আবেগ আপ্লুত হয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে এসময় বাবার অপহরণের বিচার চান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে মাহে আলমের তিন ভাই জসিম উদ্দিন, ছরোয়ার হোসেন, বিল্লাল হোসে ও জামাই মোঃ জাহিদ হোসেন, মোঃ নূর আলম শেখসহ আত্মীয়-স্বজন উপস্থিত ছিলেন। এদিকে সিসি টিভির ফুটেজ ও অপহরণের সব রকমের তথ্য উপাত্ত নিয়ে থানায় গেলেও পুলিশ মামলা নেয়নি পরিবারের এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি বিকাশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, অপহরণের যে প্রমাণ তারা নিয়ে এসেছেন তা গ্রহনযোগ্য না এবং যে লাশটির কথা বলা হচ্ছে তার ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ টেষ্টের রিপোর্ট হাতে না পেলে কিভাবে মামলা নিব।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মোংলায় মৎস্য ব্যবসায়ী মাহে আলমকে অপহরণ করে হত্যার অভিযোগ

আপডেট টাইম : ০৪:২৫:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৩

মোংলায় মৎস্য ব্যবসায়ী মাহে আলমকে (৬৫) অপহরণ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। অপহৃতের বড় ছেলে জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ’র প্লানিং এন্ড মনিটরিং কর্মকর্তা সোহেল রানা এই অভিযোগ করেন। ২৯ এপ্রিল শনিবার সকালে মোংলা প্রেস ক্লাবে মাহে আলম’র পরিবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের কাছে এই অভিযোগ তুলে ধরেন। এসময় তার বাবাকে অপহরণের ভিডিও ফুটেজও দেখান। তার দাবি এই ফুটেজ এবং অপহরণের যাবতীয় তথ্য উপাত্ত মোংলা থানায় দিলেও মামলা নেয়নি পুলিশ। বাবা হত্যার বিচার না পেয়ে তাই সাংবাদিকদের দারস্থ হয়েছেন। অপহৃত মাহে আলম পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান আততায়ীর গুলিতে নিহত মোংলা পোর্ট পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান শহীদ আব্দুল বাতেনের ছোট ভাই ও মোংলা বাজারের মৎস্য ব্যবসায়ী।

শনিবার সকাল ১১টায় সংবাদ সম্মেলনে মাহে আলমের ছোট ছেলে সুমন রানা বলেন, গত ১০ এপ্রিল বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি তার বাবা। অনেক খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে মোংলা থানায় জিডি করা হয়। এরপর ২০ এপ্রিলে মোংলা পোর্ট পৌরসভার সিসিটিভি ক্যামেরার ১০ এপ্রিলের সংরক্ষিত ফুটেজে দেখা যায় তার বাবা মাহে আলমকে ট্রলার মাঝি মোশাররফ হোসেন বানিশান্তা ট্রলার ঘাটে নিয়ে যাচ্ছেন। ওই ফুটেজের সুত্র ধরে ঘাটের অন্যান্য মাঝি ও প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞেস করা হলে তারা বলেন সুন্দরবনের করমজলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মাহে আলমকে। লিখিত বক্তব্যে সুমন ৩৬২ ও ৩৬৪ ধারায় তার বাবা মাহে আলমকে অপহরণ করার জন্য মোংলা থানায় মামলা গ্রহণের জোর দাবী জানান। সুমন রানা আরও বলেন, গত ১৩ এপ্রিল সুন্দরবনের করমজল থেকে পুলিশ অর্ধগলিত একটি লাশ উদ্ধার করে। ওই লাশটি তার বাবার। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, উদ্ধারকৃত লাশটির পরনে প্যান্ট শার্ট তার বাবার অপহরণের প্রাক্কালে পরিহিত প্যান্ট শার্টের সাথে মিল রয়েছে। আবেগ আপ্লুত হয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে এসময় বাবার অপহরণের বিচার চান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে মাহে আলমের তিন ভাই জসিম উদ্দিন, ছরোয়ার হোসেন, বিল্লাল হোসে ও জামাই মোঃ জাহিদ হোসেন, মোঃ নূর আলম শেখসহ আত্মীয়-স্বজন উপস্থিত ছিলেন। এদিকে সিসি টিভির ফুটেজ ও অপহরণের সব রকমের তথ্য উপাত্ত নিয়ে থানায় গেলেও পুলিশ মামলা নেয়নি পরিবারের এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি বিকাশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, অপহরণের যে প্রমাণ তারা নিয়ে এসেছেন তা গ্রহনযোগ্য না এবং যে লাশটির কথা বলা হচ্ছে তার ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ টেষ্টের রিপোর্ট হাতে না পেলে কিভাবে মামলা নিব।