ঢাকা ০১:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪

প্রেসক্লাব গোপালগঞ্জের প্রাক্তন সভাপতি ও মহাসচিবের মিথ্যা মামলা ও স্বাক্ষর জালিয়াতীর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

প্রেসক্লাব গোপালগঞ্জের প্রাক্তন সভাপতি ফরিদ আহমেদ ও মহাসচিব সৈয়দ মিরাজুল ইসলামের দায়ের করা মিথ্যা মামলা ও স্বাক্ষর জালিয়াতীর বিরুদ্ধে সংবাদ-সম্মেলন করেছেন প্রেসক্লাবের সদস্য নবায়ন কমিটির আহবায়ক ও প্রাক্তন সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির সিকদার।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জ শহরের পাঁচুড়িয়া এলাকায় নিজ বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ-সম্মেলনে তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ইং তারিখে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ৩৭ সদস্যের ভোটার তালিকার মাধ্যমে প্রেসক্লাব গোপালগঞ্জ এর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিষ্ঠা ও সততার সাথে দায়িত্ব পালন করেন গোপালগঞ্জ বার কাউন্সিলের সম্মানিত সভাপতি এ্যাডভোকেট চৌধুরী খসরুল আলম এবং সহকারী কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন গোপালগঞ্জ বার কাউন্সিলের সম্মানিত সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট এম জুলকদর রহমান ও সাবেক সভাপতি এ্যাডভোকেট এম এম নাসির আহমেদ। সম্পূর্ণ তাদের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন ফলাফলে প্রেসক্লাব গোপালগঞ্জ এর নতুন সভাপতি নির্বাচিত হন ক্লাবের সম্মানিত সদস্য মোঃ জুবায়ের হোসেন।
একদিন পরেই ১ মার্চ দুপুরে প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত কমিটি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে। পরে বিকেলে প্রেসক্লাবের সম্মেলনকক্ষে পুরাতন কমিটির কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বভার গ্রহন করে নব-নির্বাচিত কমিটি। এরপর থেকে নতুন-পুরোনো কমিটির সবাই মিলে অত্যন্ত সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সততা ও পেশাদারিত্ব নিয়ে প্রেসক্লাবটি পরিচালনা করে আসছেন। ইতিমধ্যে নানা কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে এ কমিটি তাদের সততা ও পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছে। কিন্তু ক্লাবেরই দু’এক জন স্বার্থান্বেষী সদস্য নতুন কমিটিকে নানাভাবে হয়রানী এবং যাবতীয় কাজকর্মে বাধাগ্রস্থ করছেন।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে হেরে গিয়ে ও ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য প্রেসক্লাবের প্রাক্তন সভাপতি ফরিদ আহমেদ সম্প্রতি আদালতে একটি মিথ্যা, বানোয়াট ও মনগড়া মামলা করেছেন বর্তমান সভাপতি মোঃ জুবায়ের হোসেনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে। সেখানে উল্লেখ করেছেন, বর্তমান সভাপতি এবং ২৭ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে মহাসচিব প্রার্থী এস এম সাব্বির ও সদস্য মোহাম্মাদ মাহামুদ কবির আলীর সদস্যপদ নির্বাচনের আগে নবায়ন ছিল না। আরও বলেছেন নির্বাচনের আগে তিনি ও তার মহাসচিব নবায়নকৃত ৩৪ জন সদস্যের তালিকা নির্বাচন কমিশনারের কাছে পাঠিয়েছিলেন: যাহা মিথ্যা ও বানোয়াট। বস্তুত: নির্বাচন কমিশনে ৩৭ জনের তালিকাই প্রেরণ করা হয়; যা কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কশিশনারগণ যাচাই-বাছাই শেষে নিশ্চিত করেন। আমাদের সভাপতি মোঃ জুবায়ের হোসেনকে হেয় প্রতিপন্ন করতে আমাকে না জানিয়ে সম্পূর্ণ গোপন রেখে আমার নাম, স্বাক্ষর ও তারিখ জালিয়াতি করে ৩৪ সদস্যের একটি ভূয়া তালিকা বানিয়ে আদালতে এ মামলাটি করেছেন। অথচ নির্বাচনের আগে প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ফরিদ আহমেদ এবং সাবেক ও বর্তমান মহাসচিব সৈয়দ মিরাজুল ইসলাম ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় সর্বশেষ যাচাই-বাছাইকৃত ৩৭ সদস্যের তালিকা ও নিজেদের সুবিধানুযায়ী তৈরী গঠনতন্ত্রের অনুলিপি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে জমা দিয়েছেন। যা নির্বাচনের পূর্বেই সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ যাচাই-বাছাই অন্তে নির্বাচন কমিশন ওই ৩৭ সদস্য-সম্বলিত ভোটার তালিকা প্রকাশ করেন।
সংবাদ-সম্মেলনে প্রেসক্লাবের প্রাক্তন সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির সিকদার আরও বলেন, এই মিথ্যা মামলায় সদস্য নবায়ন কমিটির আহবায়ক হিসেবে তার নাম, স্বাক্ষর ও তারিখ জাল করার বিষয়টি জানার পরে তিনি মনে করেছেন, এধরণের চক্রান্তের সাথে জড়িতদের মুখোশ খুলে দেয়া উচিত এবং সেকারণেই তিনি এ সংবাদ-সম্মেলনের আয়োজন করেছেন। পাশাপাশি তিনি চক্রান্তকারীদের বিচার দাবি করেন।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রেসক্লাব গোপালগঞ্জের প্রাক্তন সভাপতি ও মহাসচিবের মিথ্যা মামলা ও স্বাক্ষর জালিয়াতীর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট টাইম : ০৩:১৯:১১ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৩

প্রেসক্লাব গোপালগঞ্জের প্রাক্তন সভাপতি ফরিদ আহমেদ ও মহাসচিব সৈয়দ মিরাজুল ইসলামের দায়ের করা মিথ্যা মামলা ও স্বাক্ষর জালিয়াতীর বিরুদ্ধে সংবাদ-সম্মেলন করেছেন প্রেসক্লাবের সদস্য নবায়ন কমিটির আহবায়ক ও প্রাক্তন সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির সিকদার।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জ শহরের পাঁচুড়িয়া এলাকায় নিজ বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ-সম্মেলনে তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ইং তারিখে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ৩৭ সদস্যের ভোটার তালিকার মাধ্যমে প্রেসক্লাব গোপালগঞ্জ এর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিষ্ঠা ও সততার সাথে দায়িত্ব পালন করেন গোপালগঞ্জ বার কাউন্সিলের সম্মানিত সভাপতি এ্যাডভোকেট চৌধুরী খসরুল আলম এবং সহকারী কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন গোপালগঞ্জ বার কাউন্সিলের সম্মানিত সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট এম জুলকদর রহমান ও সাবেক সভাপতি এ্যাডভোকেট এম এম নাসির আহমেদ। সম্পূর্ণ তাদের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন ফলাফলে প্রেসক্লাব গোপালগঞ্জ এর নতুন সভাপতি নির্বাচিত হন ক্লাবের সম্মানিত সদস্য মোঃ জুবায়ের হোসেন।
একদিন পরেই ১ মার্চ দুপুরে প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত কমিটি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে। পরে বিকেলে প্রেসক্লাবের সম্মেলনকক্ষে পুরাতন কমিটির কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বভার গ্রহন করে নব-নির্বাচিত কমিটি। এরপর থেকে নতুন-পুরোনো কমিটির সবাই মিলে অত্যন্ত সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সততা ও পেশাদারিত্ব নিয়ে প্রেসক্লাবটি পরিচালনা করে আসছেন। ইতিমধ্যে নানা কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে এ কমিটি তাদের সততা ও পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছে। কিন্তু ক্লাবেরই দু’এক জন স্বার্থান্বেষী সদস্য নতুন কমিটিকে নানাভাবে হয়রানী এবং যাবতীয় কাজকর্মে বাধাগ্রস্থ করছেন।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে হেরে গিয়ে ও ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য প্রেসক্লাবের প্রাক্তন সভাপতি ফরিদ আহমেদ সম্প্রতি আদালতে একটি মিথ্যা, বানোয়াট ও মনগড়া মামলা করেছেন বর্তমান সভাপতি মোঃ জুবায়ের হোসেনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে। সেখানে উল্লেখ করেছেন, বর্তমান সভাপতি এবং ২৭ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে মহাসচিব প্রার্থী এস এম সাব্বির ও সদস্য মোহাম্মাদ মাহামুদ কবির আলীর সদস্যপদ নির্বাচনের আগে নবায়ন ছিল না। আরও বলেছেন নির্বাচনের আগে তিনি ও তার মহাসচিব নবায়নকৃত ৩৪ জন সদস্যের তালিকা নির্বাচন কমিশনারের কাছে পাঠিয়েছিলেন: যাহা মিথ্যা ও বানোয়াট। বস্তুত: নির্বাচন কমিশনে ৩৭ জনের তালিকাই প্রেরণ করা হয়; যা কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কশিশনারগণ যাচাই-বাছাই শেষে নিশ্চিত করেন। আমাদের সভাপতি মোঃ জুবায়ের হোসেনকে হেয় প্রতিপন্ন করতে আমাকে না জানিয়ে সম্পূর্ণ গোপন রেখে আমার নাম, স্বাক্ষর ও তারিখ জালিয়াতি করে ৩৪ সদস্যের একটি ভূয়া তালিকা বানিয়ে আদালতে এ মামলাটি করেছেন। অথচ নির্বাচনের আগে প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ফরিদ আহমেদ এবং সাবেক ও বর্তমান মহাসচিব সৈয়দ মিরাজুল ইসলাম ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় সর্বশেষ যাচাই-বাছাইকৃত ৩৭ সদস্যের তালিকা ও নিজেদের সুবিধানুযায়ী তৈরী গঠনতন্ত্রের অনুলিপি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে জমা দিয়েছেন। যা নির্বাচনের পূর্বেই সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ যাচাই-বাছাই অন্তে নির্বাচন কমিশন ওই ৩৭ সদস্য-সম্বলিত ভোটার তালিকা প্রকাশ করেন।
সংবাদ-সম্মেলনে প্রেসক্লাবের প্রাক্তন সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির সিকদার আরও বলেন, এই মিথ্যা মামলায় সদস্য নবায়ন কমিটির আহবায়ক হিসেবে তার নাম, স্বাক্ষর ও তারিখ জাল করার বিষয়টি জানার পরে তিনি মনে করেছেন, এধরণের চক্রান্তের সাথে জড়িতদের মুখোশ খুলে দেয়া উচিত এবং সেকারণেই তিনি এ সংবাদ-সম্মেলনের আয়োজন করেছেন। পাশাপাশি তিনি চক্রান্তকারীদের বিচার দাবি করেন।