ওয়াশরুম কে কেন্দ্র করে হত্যাচেষ্টা
- আপডেট টাইম : ০৮:৪২:৫৭ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১
- / ৩২৩ ৫০০০.০ বার পাঠক
এস এম মনির স্টাফ রিপোর্টার।।
কথায় বলে “ঝোড় যার মূলক তার “এই প্রবাদ টিরই প্রতিফলন সর্বত্র এখন দৃশ্যমান।
তাইতো ওয়াশরুমের দরজায় টোকা দেওয়ার মতো তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফরিদুল( ৩২)নামে এক ব্যক্তির উপর চালানো হয় পাষবিক অত্যাচার।
গত ১১ই ফেব্রুয়ারি মেরাদিয়া দোতলা মসজিদ গলির ৪৫ নং আওলাদ মিয়ার বাড়িতে সন্ধ্যা আনুমানিক ০৭.৪৫ ঘটিকার সময় ঘটনা টি সংঘটিত হয়।
ভিকটিম ফরিদুল ইসলাম (৩২) জানায় আমি পেশায় একজন শ্রমিক। মেরাদিয়া দোতলা মসজিদ গলির আওলাদ মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকি।ওই একই বাড়িতে পারভিন আপায় বাড়া থাকেন। গত ১১ ই ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যা আনুমানিক ৭.৪০ বাসায় এসে প্রকৃতির ঢাকে সারাদিয়ে জরুয়াত সারার জন্য ওয়াসরুমের কাছে গিয়ে দেখি দরজা বন্ধ। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর ভিতর থেকে কেউ না আসলে আমি দরজায় টোকা দিলে ভিতর থেকে পারভিন আপা বেরিয়ে এসে আমার সাথে এনিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু করে। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে পারভিন(৩২),রাব্বি,মজিদ,সোহেল, সুজন সহ আরো ৭/৮জন আমাকে কিল ঘুষি লাতি সহ রট দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। আমাকে বাচাতে আমার স্ত্রী ও শ্বাশুড়ি এগিয়ে আসলে তাদেরকেও পিটিয়ে জখম করে। আমার আত্মচিৎকার শুনে প্রতিবেশী রা এগিয়ে আসতে চাইলে তাদের কেও হুমকি দিয়া সরিয়ে দেয়। আমাকে ও আমার স্ত্রী কে মৃত্যু ভেবে ফেলে রেখে যায় পরবর্তীতে আমার বড় ভাই খবর পেয়ে এসে আমাদের কে হসপিটাল নেয়ে আসে। এখনো আমার স্ত্রীর অবস্থা আশংকাজনক।
অনুসন্ধানে জানা যায় পারভীন (৩২)একজন বড় মাপের মাদক কারবারি। মেরাদিয়া,বনশ্রী, খিলগাঁও, বাসাবো সহ ঢাকার বিভিন্ন অলিগলিতে মাদক সরবরাহ করে থাকে। তার এই মাদক ব্যবসা পরিচালনার জন্য রয়েছে একটি বড় সিন্ডিকেট। তার এই মাদক ব্যবসাকে জামেলা মুক্ত রাখার জন্য পুলিশকে একটি মোটা অংকের টাকা প্রদান করে থাকে বিনিময় পারভিন যে কোনো অন্যায় সহজে করতে পারে তার এই অন্যায় কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায় না।
স্থানীয়রা জানান যে পারভিন একজন মাদক ব্যবসায়ী ও নারী ব্যবসায়ী। তার অনেক ক্ষমতা,পুলিশ, নেতা সব তার হাতের মুঠে। তার বাসায় সব সময় ৮/১০ নারী পুরুষ আড্ডা দেয়। এই মহিলার জন্য আমাদের যুব সমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। ওনাকে আইনের আওতায় এনে ওনার এই কর্মকাণ্ড বন্ধ করা হোক।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায় যে ভিকটিমের পরিবার অনেক কষ্ট করে থানায় মামলা দায়ের করলেও তার কোনো অগ্রগতি নেই,টাকা খেয়ে প্রশাসন চুপ করে আছে।
ওল্ড আসামিরা ভিকটিমের পরিবার কে প্রকাশ্যে ভয় ভিতি প্রদর্শন করে হুমকি প্রদান করছে।এতে ভিকটিম ও তার পরিবারের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।
এব্যাপারে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক খিলখাও থানার ওসি(তদন্ত) মনির সাহের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন ভিকটিম কে থানায় আসতে বলেন।
আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ওসি কে প্রশ্ন করেন থানায় মামলা হয়েছে আপনারা আসামি গ্রেফতার করবেন কিন্তু ভিকটিম থানা আসবে কেনো? আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং ভিকটিম কে হুমকি দিচ্ছে এখনো তাদের গ্রেফতার করছেন না কেনো? ওসি মনির এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েবলেন আমি ব্যবস্থা নিচ্ছি তার ১০ ঘণ্টা পরেই দুজন আসামি গ্রেফতার করেন এক মজিদ পিতা অজ্ঞাত দুই সোহেল পিতা অজ্ঞা।।।সময়ের অনুসন্ধানী চোখ রাখুন