ঢাকা ০৬:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকের হস্তক্ষেপে মামলা প্রত্যাহার হওয়া টাঙ্গাইলবাসী খুশি! সভাপতি/সম্পাদকের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ অনিয়মের বিরুদ্ধে জনপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান সিইসির পুলিশ, র‌্যাব, আনসারের নতুন পোশাক চুড়ান্ত নাইজেরিয়ায় ট্যাংকার ট্রাক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ৮৬ অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করা প্রতিবেদন প্রত্যাহার ব্রিটিশ এমপিদের যুবদল নেতাকে পিটিয়ে আহত করেছে স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতা বরগুনার, পাথরঘাটায় সাবেক ইউপি সদস্যকে হুমকি ও মারধর চার প্রদেশে দেশ ভাগ করার কথা ভাবছে সংস্কার কমিশন যুদ্ধবিরতি এখনই কার্যকর হচ্ছে না, জানালেন নেতানিয়াহু সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

নবীনগরে শেষ বয়সে আশ্রয়ণে ঘর পেয়ে খুশিতে আত্মহারা ভাসছে বকুল মান্নান দম্পতি

হেলাল উদ্দিন নবীনগর ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি।
  • আপডেট টাইম : ০৮:৪২:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৩
  • / ১৫৬ ৫০০০.০ বার পাঠক

ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরের হুরুয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে খুশিতে ভাসছে ষাটোর্ধ বৃদ্ধ বকুল মান্নান দম্পতি।

তথ্য সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জিনদপুর ইউনিয়নের হুরুয়ায় সম্প্রতি সময়ে ২০২৩ সালের প্রধানমন্ত্রীর উপহারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতাধীন হুরুয়া গুচ্ছগ্রামে ৫০টি ঘরের নির্মাণ কাজ শতকরা নব্বই ভাগ শেষের দিকে রয়েছে। এর মধ্য থেকে দীর্ঘ ২০ বছর যাব একই গ্রামের শিশু মিয়ার রান্না করে মাথা গোঁজার ঠাঁই হওয়া বকুল ও মান্নান দম্পতি একটি সরকারি ঘর বরাদ্দ পেয়েছে যুবলীগ নেতা বাদল সরকার ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য বিল্লাল হোসেনের প্রচেষ্টায়।

এবিষয়ে যুবলীগ নেতা বাদল সরকার ও জিনদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য বিল্লাল হোসেন জানায়,বকুল বেগম তার শেষ বয়সে স্বামী মান্নান কে নিয়ে শিশু মিয়ার রান্না করে কষ্ট করে জীবিকা নির্বাহ করতে দেখে আমরা উদ্যোগ নিয়ে জিনদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রবিউল আউয়াল রবি কে বিষয়টি অবগত করি, তিনি এই দম্পতির জন্য হুরুয়া গুচ্ছগ্রামে সরকারের দেয়া বরাদ্দের ঘরে মাথা গোঁজা ঠাঁই করে দেয়।

অসহায় বকুল ও মান্নান দম্পতিকে দীর্ঘদিন ধরে আশ্রয় দেয়া শিশু মিয়ার ছেলের বউ জানায়,বকুল আপা অসহায় হওয়ায় আমরা আমাদের রান্না ঘরে তাদের দীর্ঘদিন ধরে আশ্রয় দিয়েছি, ছেলে মেয়ে পিতা মাতা না থাকায় মানুষের জমিতে ও বাড়িতে এই বুড়ো বয়সে কাজ করে দিনে এক বেলায় খাইলে আরেক বেলা খাইতে পায় না। শুনছি প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রী তাদের একটি সরকারি ঘর দিয়েছে,এতে আমরা অনেক খুশি শেষ বয়সে নিজের ঘরে মরতে পারব।

শেষ বয়সে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাওয়া বকুল ও মান্নান দম্পতি জানায়,আমরা প্রধানমন্ত্রী,নবীনগরের ইউএনও ও চেয়ারম্যান রবি কে ধন্যবাদ জানাই মৃত্যুর কাছাকাছি বয়সে এসে একটি ঘর পাওয়ায়।কতটা যে খুশি লাগতেছে আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না।আমাদের ছেলে মেয়ে, বাবা মা সহায় সম্পদ না থাকায় খেয়ে না খেয়ে জীবন যাপন করতেছি। ঘর বরাদ্দ পেয়েছি কিন্তু স্বামী স্ত্রী আমরা একসাথে ঐদিন যেতে না পারায় দলিল পাইনি।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নবীনগরে শেষ বয়সে আশ্রয়ণে ঘর পেয়ে খুশিতে আত্মহারা ভাসছে বকুল মান্নান দম্পতি

আপডেট টাইম : ০৮:৪২:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরের হুরুয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে খুশিতে ভাসছে ষাটোর্ধ বৃদ্ধ বকুল মান্নান দম্পতি।

তথ্য সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জিনদপুর ইউনিয়নের হুরুয়ায় সম্প্রতি সময়ে ২০২৩ সালের প্রধানমন্ত্রীর উপহারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতাধীন হুরুয়া গুচ্ছগ্রামে ৫০টি ঘরের নির্মাণ কাজ শতকরা নব্বই ভাগ শেষের দিকে রয়েছে। এর মধ্য থেকে দীর্ঘ ২০ বছর যাব একই গ্রামের শিশু মিয়ার রান্না করে মাথা গোঁজার ঠাঁই হওয়া বকুল ও মান্নান দম্পতি একটি সরকারি ঘর বরাদ্দ পেয়েছে যুবলীগ নেতা বাদল সরকার ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য বিল্লাল হোসেনের প্রচেষ্টায়।

এবিষয়ে যুবলীগ নেতা বাদল সরকার ও জিনদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য বিল্লাল হোসেন জানায়,বকুল বেগম তার শেষ বয়সে স্বামী মান্নান কে নিয়ে শিশু মিয়ার রান্না করে কষ্ট করে জীবিকা নির্বাহ করতে দেখে আমরা উদ্যোগ নিয়ে জিনদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রবিউল আউয়াল রবি কে বিষয়টি অবগত করি, তিনি এই দম্পতির জন্য হুরুয়া গুচ্ছগ্রামে সরকারের দেয়া বরাদ্দের ঘরে মাথা গোঁজা ঠাঁই করে দেয়।

অসহায় বকুল ও মান্নান দম্পতিকে দীর্ঘদিন ধরে আশ্রয় দেয়া শিশু মিয়ার ছেলের বউ জানায়,বকুল আপা অসহায় হওয়ায় আমরা আমাদের রান্না ঘরে তাদের দীর্ঘদিন ধরে আশ্রয় দিয়েছি, ছেলে মেয়ে পিতা মাতা না থাকায় মানুষের জমিতে ও বাড়িতে এই বুড়ো বয়সে কাজ করে দিনে এক বেলায় খাইলে আরেক বেলা খাইতে পায় না। শুনছি প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রী তাদের একটি সরকারি ঘর দিয়েছে,এতে আমরা অনেক খুশি শেষ বয়সে নিজের ঘরে মরতে পারব।

শেষ বয়সে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাওয়া বকুল ও মান্নান দম্পতি জানায়,আমরা প্রধানমন্ত্রী,নবীনগরের ইউএনও ও চেয়ারম্যান রবি কে ধন্যবাদ জানাই মৃত্যুর কাছাকাছি বয়সে এসে একটি ঘর পাওয়ায়।কতটা যে খুশি লাগতেছে আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না।আমাদের ছেলে মেয়ে, বাবা মা সহায় সম্পদ না থাকায় খেয়ে না খেয়ে জীবন যাপন করতেছি। ঘর বরাদ্দ পেয়েছি কিন্তু স্বামী স্ত্রী আমরা একসাথে ঐদিন যেতে না পারায় দলিল পাইনি।