ঢাকা ০২:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
রংপুর থেকে আমাকে উপদেষ্টা ভাবুন: প্রধান উপদেষ্টা সমন্বয়কদের ওপর হামলা হালকাভাবে দেখছে না সরকার গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে মার্কিন মানবাধিকারকর্মীর অনশন ধর্মঘট চিন্ময় দাস ইস্যুতে ভারতের সংসদে বিবৃতি দেবেন জয়শঙ্কর শিক্ষনীয় জ্বলন্ত উদাহরণ রেখে আকর্ষনীয় ক্লাসপার্টি জাহান আইডিয়াল স্কুলে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম,২৯ নভেম্বর ২০২৪ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সম্মেলন হতে যাচ্ছে চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গ ভারতের উদ্বেগ নিয়ে পিনাকীর পোস্ট আবারও হাসনাতের গাড়ি চাপা দেওয়ার চেষ্টা জামিন পেলেন বরখাস্ত হওয়া সেই ম্যাজিস্ট্রেট ঊর্মি ইসকন ইস্যুতে সিদ্ধান্ত জানাল হাইকোর্ট

বিয়ে একটি সামাজিক বন্ধন

বিশেষ প্রতিনিধি মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান
  • আপডেট টাইম : ১০:৫১:৫৫ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ৫ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৪৫৩ ৫০০০.০ বার পাঠক

“পৃথিবীতে কবে থেকে এই প্রথা শুরু তার হদিস মেলা ভার”

বাংলাদেশের বিভিন্ন ধর্মের বিয়ের অনুষ্ঠানের বিভিন্ন প্রথা প্রচলিত আছে,
সময় বিবর্তনে অনেক কিছু পরিবর্তন ঘটলেও এ প্রথাগুলোর কোন পরিবর্তন বা পরিবর্তন ঘটেনি, ইসলামিক ইতিহাস থেকে পাওয়া যায় স্বামী মৃত্যুর পর স্ত্রীকে জীবিত কবর দেয়া হতো এই প্রথাটিকে বিলুপ্ত করেছেন রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম, এরপর থেকে বিয়ের অন্যান্য বিষয় বা সামাজিকতায় তেমন কোন আমল পরিবর্তন দেখা যায়নি,

বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার সময়ের বিবাহের সামান্য কিছুটা পরিবর্তন ঘটেছে-
আর এই পরিবর্তন পাকিস্তান আমল থেকে যা আজও পর্যন্ত বিরাজমান রয়েছে, তবে মুসলিম সমাজের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা একরকম, হিন্দু সমাজের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা আরেক রকম, কিছু কিছু ক্ষেত্রে উভয় আনুষ্ঠানিকতা কিছুটা মিল রয়েছে, বিয়ের গায়ের হলুদ অনুষ্ঠানের কিছুটা মিল, তবে তাদের হলুদ দেয়ার ধরন একরকম, মুসলমানদের হলুদের ধরন আরেকরকম,

তবে হিন্দুদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা একরকম মুসলিমদের আরেকরকম,
হিন্দুদের বিয়ের ক্ষেত্রে লগ্নের একটা সময় থাকে, আর সেই নির্ধারিত সময়কালে তাদের বিবাহ কার্য সম্পন্ন করা হয়,
বর কনের জনম কুনটুনি দেখে সেই সময়টাকে নির্ধারণ করা হয়,
হিন্দু সমাজের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতায় পন্ডিতের মন্ত্র পাঠ দীর্ঘ সমায় ধরে চলতে থাকে,

এক হিসেবে সারারাত ধরে চলে।
মুসলিমদের বেলায় কোরআন হাদিস অনুপাতে কলমা পরিয়ে বিয়ে করা হয়,
আর এই সময়কাল সংক্ষিপ্ত।
বর্তমান সমাজে সারা বাংলাদেশে যে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতাকে দেখা যায় বা যায়,

সেটি পুরাতন ঢাকার সামাজিকতাকে কেন্দ্র করে হয়েছে,
পুরাতন ঢাকার বিয়ের প্রথা এখন পুরো বাংলাদেশের প্রত্যান্ত অঞ্চল গুলোতে ছড়িয়ে গেছে, সারা বাংলাদেশ ঘুরে আমরা এই বিষয়টি বা অনুষ্ঠানগুলোকে প্রত্যক্ষ করতে পারি।

কেবল আনুষ্ঠানিকতা বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলো সীমাবদ্ধ নয়, বর কনের খাবার পরিবেশন এর বেলায়ও একই প্রথাকে প্রত্যক্ষ করা যায়।
এই আনুষ্ঠানিকতাকে বিলুপ্ত করার জন্য অনেক চেষ্টা করেছে, সব কিন্তু সফল হতে পারেনি,

এ বিষয়ে ফতোয়া জারি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের মিথ্যাচারের আশ্রয় প্রশ্রয়ও নিতে হয়েছে তাদের, গীবতের আশ্রয় নিতে হয়েছে, অথচ এই প্রথার বিলুপ্তি ঘটাতে পারেনি।

বিবাহ বা বিয়ে হল একটি সামাজিক বন্ধন বা বৈধ চুক্তি, যার মাধ্যমে দু’জন মানুষের মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপিত হয়। বিভিন্ন দেশে সংস্কৃতিভেদে বিবাহের সংজ্ঞার তারতম্য থাকলেও সাধারণ ভাবে বিবাহ এমন একটি প্রতিষ্ঠান,
যার মাধ্যমে দু’জন মানুষের মধ্যে ঘনিষ্ঠ ও যৌন সম্পর্ক সামাজিক স্বীকৃতি লাভ করে।

ইসলাম ধর্মের-ধর্মীয় বিধান মোতাবেক বিবাহে পিতা মাতার সম্মতি আবশ্যক, বহু বছর ধরে আমি একটি বিষয় অনুসন্ধান করছি, সংসারে অশান্তিক কারণ গুলো খুঁজে বেরিয়েছি, বিভিন্ন সভা শালিকে উপস্থিত থেকেছি অনুধাবন করার জন্য অনুসন্ধান করার জন্য কি কারনে এই ধরনের অশান্তি একটি পরিবারের মাঝে আসে, বাবা মাকে না জানিয়ে বিয়ে করার ৯৫ % বিবাহের পরিসভাাপ্তি ঘটে বিবাহ বিচ্ছেদে।
এর মূল কারণ হচ্ছে ধর্মীয় বিধান মতে বিবাহটা না হওয়ার জন্য।

কেবলমাত্র এটি মুসলিম সমাজের বেলায় নয় – অন্যান্য ধর্ম অবলম্বীদের বেলাও বিষয়টিকে প্রত্যক্ষ করা যায়।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বিয়ে একটি সামাজিক বন্ধন

আপডেট টাইম : ১০:৫১:৫৫ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ৫ এপ্রিল ২০২৩

“পৃথিবীতে কবে থেকে এই প্রথা শুরু তার হদিস মেলা ভার”

বাংলাদেশের বিভিন্ন ধর্মের বিয়ের অনুষ্ঠানের বিভিন্ন প্রথা প্রচলিত আছে,
সময় বিবর্তনে অনেক কিছু পরিবর্তন ঘটলেও এ প্রথাগুলোর কোন পরিবর্তন বা পরিবর্তন ঘটেনি, ইসলামিক ইতিহাস থেকে পাওয়া যায় স্বামী মৃত্যুর পর স্ত্রীকে জীবিত কবর দেয়া হতো এই প্রথাটিকে বিলুপ্ত করেছেন রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম, এরপর থেকে বিয়ের অন্যান্য বিষয় বা সামাজিকতায় তেমন কোন আমল পরিবর্তন দেখা যায়নি,

বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার সময়ের বিবাহের সামান্য কিছুটা পরিবর্তন ঘটেছে-
আর এই পরিবর্তন পাকিস্তান আমল থেকে যা আজও পর্যন্ত বিরাজমান রয়েছে, তবে মুসলিম সমাজের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা একরকম, হিন্দু সমাজের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা আরেক রকম, কিছু কিছু ক্ষেত্রে উভয় আনুষ্ঠানিকতা কিছুটা মিল রয়েছে, বিয়ের গায়ের হলুদ অনুষ্ঠানের কিছুটা মিল, তবে তাদের হলুদ দেয়ার ধরন একরকম, মুসলমানদের হলুদের ধরন আরেকরকম,

তবে হিন্দুদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা একরকম মুসলিমদের আরেকরকম,
হিন্দুদের বিয়ের ক্ষেত্রে লগ্নের একটা সময় থাকে, আর সেই নির্ধারিত সময়কালে তাদের বিবাহ কার্য সম্পন্ন করা হয়,
বর কনের জনম কুনটুনি দেখে সেই সময়টাকে নির্ধারণ করা হয়,
হিন্দু সমাজের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতায় পন্ডিতের মন্ত্র পাঠ দীর্ঘ সমায় ধরে চলতে থাকে,

এক হিসেবে সারারাত ধরে চলে।
মুসলিমদের বেলায় কোরআন হাদিস অনুপাতে কলমা পরিয়ে বিয়ে করা হয়,
আর এই সময়কাল সংক্ষিপ্ত।
বর্তমান সমাজে সারা বাংলাদেশে যে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতাকে দেখা যায় বা যায়,

সেটি পুরাতন ঢাকার সামাজিকতাকে কেন্দ্র করে হয়েছে,
পুরাতন ঢাকার বিয়ের প্রথা এখন পুরো বাংলাদেশের প্রত্যান্ত অঞ্চল গুলোতে ছড়িয়ে গেছে, সারা বাংলাদেশ ঘুরে আমরা এই বিষয়টি বা অনুষ্ঠানগুলোকে প্রত্যক্ষ করতে পারি।

কেবল আনুষ্ঠানিকতা বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলো সীমাবদ্ধ নয়, বর কনের খাবার পরিবেশন এর বেলায়ও একই প্রথাকে প্রত্যক্ষ করা যায়।
এই আনুষ্ঠানিকতাকে বিলুপ্ত করার জন্য অনেক চেষ্টা করেছে, সব কিন্তু সফল হতে পারেনি,

এ বিষয়ে ফতোয়া জারি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের মিথ্যাচারের আশ্রয় প্রশ্রয়ও নিতে হয়েছে তাদের, গীবতের আশ্রয় নিতে হয়েছে, অথচ এই প্রথার বিলুপ্তি ঘটাতে পারেনি।

বিবাহ বা বিয়ে হল একটি সামাজিক বন্ধন বা বৈধ চুক্তি, যার মাধ্যমে দু’জন মানুষের মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপিত হয়। বিভিন্ন দেশে সংস্কৃতিভেদে বিবাহের সংজ্ঞার তারতম্য থাকলেও সাধারণ ভাবে বিবাহ এমন একটি প্রতিষ্ঠান,
যার মাধ্যমে দু’জন মানুষের মধ্যে ঘনিষ্ঠ ও যৌন সম্পর্ক সামাজিক স্বীকৃতি লাভ করে।

ইসলাম ধর্মের-ধর্মীয় বিধান মোতাবেক বিবাহে পিতা মাতার সম্মতি আবশ্যক, বহু বছর ধরে আমি একটি বিষয় অনুসন্ধান করছি, সংসারে অশান্তিক কারণ গুলো খুঁজে বেরিয়েছি, বিভিন্ন সভা শালিকে উপস্থিত থেকেছি অনুধাবন করার জন্য অনুসন্ধান করার জন্য কি কারনে এই ধরনের অশান্তি একটি পরিবারের মাঝে আসে, বাবা মাকে না জানিয়ে বিয়ে করার ৯৫ % বিবাহের পরিসভাাপ্তি ঘটে বিবাহ বিচ্ছেদে।
এর মূল কারণ হচ্ছে ধর্মীয় বিধান মতে বিবাহটা না হওয়ার জন্য।

কেবলমাত্র এটি মুসলিম সমাজের বেলায় নয় – অন্যান্য ধর্ম অবলম্বীদের বেলাও বিষয়টিকে প্রত্যক্ষ করা যায়।