ঢাকা ১২:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

ভৈরবে সেচপাম্প চুরি ও ভাংচুর হওয়ায় এক সপ্তাহ ধরে সেচ কার্যক্রম বন্ধ, ফসল ক্ষতির আশংখা

মোঃ জামাল উদ্দিন স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট টাইম : ১১:৫৫:০২ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ১ এপ্রিল ২০২৩
  • / ১৫৪ ৫০০০.০ বার পাঠক

কিশোরগঞ্জের ভৈরবের কালিকাপ্রসাদ গাজীরটেক এলাকায় সেচপাম্প চুরি ও ভাংচুর হওয়ায় এক সপ্তাহ ধরে সেচ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে প্রায় ৪০ একর কৃষিজমি হুমকির মুখে পড়েছে। সেচ বন্ধ থাকায় শতাধিক কৃষক মারাত্নক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এবিষয়ে মো: শহিদ মিয়া নামে এক ভুক্তভোগী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর ও ভৈরব থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগে জানাযায়, জায়গা সংক্রান্ত শত্রুতার জেরে গত ২৬ মার্চ রাতে আনুমানিক চারটার দিকে প্রতিপক্ষ আবুল কালাম (৫৫), বিজয় (৩০), হুমায়ুন কবির (৪০) ও আঃ সাত্তারসহ অজ্ঞাতনা ৫/৬জন লোক দেশীয় অস্ত্রেও ভয় দেখিয়ে জইল্লার বন কৃষিজমিতে সেচ দেয়া তিনটি সেচপাম্পের মধ্যে একটি চুরি করে নিয়ে যায় এবং বাকী দুটি পাম্প নষ্ট করা হয়। এসময় সেচ পাম্পের কর্মচারী তুফান বর্মণের আত্নচিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। এসময় বিদ্যুতিক পাম্পের ঘর ভাংচুর, দুটি পাম্প ক্ষতিগ্রস্থ করে ৫হাজার টাকা ও একটি পাম্প নিয়ে যায়।
সরেজমিনে জইল্লার বনে গিয়ে দেখা যায়, পাশাপাশি তিনটি সেচ পাম্পের মধ্যে দুটি পাম্পের ক্যাবল ও ফিতা কাটা এবং তিনটি ঘর ভাংচুরের আলামত পাওয়া গেছে। এছাড়াও একটি পাম্প চুরি হয়েছে বলে উপস্থিত কৃষক ও সেচপাম্পের মালিক জানিয়েছেন। তারা বলেন, পাম্প চুরির কিছুদিন আগে কে বা কাহারা আবুল কালাম ও হুমায়ুন কবিরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করে একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এঘটনার জেরে গ্রামের নিরিহ মানুষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে ফল ব্যবসায়ী আবুল কালাম। ভাংচুরের ঘটনার সাথে যারা জড়িত না তাদেও বিরুদ্ধে শুধু মামলাই দেয়নি। মামলার পর সাধারণ কৃষকের ধানের চাষাবাদ নষ্ট করতে সেচপাম্প চুরি ও ভাংচুর করে আতংক সৃষ্টি করতেছে। সাধারণ কৃষকরা তাদের ফসল রক্ষা ও নিরাপত্তার প্রতিকার চেয়ে দোষীদের বিচার দাবি করেন, প্রশাসনের নিকট
এ বিষয়ে অভিযুক্ত হুমায়ুন কবির বলেন, এলাকার মানুষজন আমার বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর, মোটরসাইকেলে আগুন দিয়েছে এবং বাঁশঝাড় দিয়ে আমার বাড়ির মুলফটক বন্ধ করে দিয়ে আমার পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে ১৫দিন ধরে। আমি বিচারের আশায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করায় তারা সেচপাম্প চুরির মিথ্যা নাটক সাজিয়েছে। আমি ঘটনার সঠিক তদন্ত চাই এবং প্রকৃত অপরাধীদের বিচার চাই।
এবিষয়ে কালিকাপ্রসাদ ইউপি চেয়ারম্যান মো: লিটন মিয়া বলেন, কিছুদিন ধওে গ্রামবাসীর মধ্যে পাল্টাপাল্টি ঘটনা ঘটেছে। আমি চেষ্টা করছি দুই পক্ষকে নিয়ে বসে বিষয়টি সামাজিকভাবে মীমাংসা করার জন্য।
এবিয়য়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিকুর রহমান সবুজ বলেন, সেচপাম্প চুরি ও ভাংচুরের একটি অভিযোগ পেয়েছি। এছাড়াও যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা বাড়িও অবরুদ্ধ কওে রাখার অভিযোগ শুনেছি। চেষ্টা করছি ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে সেচপাম্প গুলো যেন চালু হয় এবং দুপক্ষের চলমান দ্বন্দ্ব সামাজিকভাবে মীমাংসার করা হয়।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ভৈরবে সেচপাম্প চুরি ও ভাংচুর হওয়ায় এক সপ্তাহ ধরে সেচ কার্যক্রম বন্ধ, ফসল ক্ষতির আশংখা

আপডেট টাইম : ১১:৫৫:০২ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ১ এপ্রিল ২০২৩

কিশোরগঞ্জের ভৈরবের কালিকাপ্রসাদ গাজীরটেক এলাকায় সেচপাম্প চুরি ও ভাংচুর হওয়ায় এক সপ্তাহ ধরে সেচ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে প্রায় ৪০ একর কৃষিজমি হুমকির মুখে পড়েছে। সেচ বন্ধ থাকায় শতাধিক কৃষক মারাত্নক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এবিষয়ে মো: শহিদ মিয়া নামে এক ভুক্তভোগী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর ও ভৈরব থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগে জানাযায়, জায়গা সংক্রান্ত শত্রুতার জেরে গত ২৬ মার্চ রাতে আনুমানিক চারটার দিকে প্রতিপক্ষ আবুল কালাম (৫৫), বিজয় (৩০), হুমায়ুন কবির (৪০) ও আঃ সাত্তারসহ অজ্ঞাতনা ৫/৬জন লোক দেশীয় অস্ত্রেও ভয় দেখিয়ে জইল্লার বন কৃষিজমিতে সেচ দেয়া তিনটি সেচপাম্পের মধ্যে একটি চুরি করে নিয়ে যায় এবং বাকী দুটি পাম্প নষ্ট করা হয়। এসময় সেচ পাম্পের কর্মচারী তুফান বর্মণের আত্নচিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। এসময় বিদ্যুতিক পাম্পের ঘর ভাংচুর, দুটি পাম্প ক্ষতিগ্রস্থ করে ৫হাজার টাকা ও একটি পাম্প নিয়ে যায়।
সরেজমিনে জইল্লার বনে গিয়ে দেখা যায়, পাশাপাশি তিনটি সেচ পাম্পের মধ্যে দুটি পাম্পের ক্যাবল ও ফিতা কাটা এবং তিনটি ঘর ভাংচুরের আলামত পাওয়া গেছে। এছাড়াও একটি পাম্প চুরি হয়েছে বলে উপস্থিত কৃষক ও সেচপাম্পের মালিক জানিয়েছেন। তারা বলেন, পাম্প চুরির কিছুদিন আগে কে বা কাহারা আবুল কালাম ও হুমায়ুন কবিরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করে একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এঘটনার জেরে গ্রামের নিরিহ মানুষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে ফল ব্যবসায়ী আবুল কালাম। ভাংচুরের ঘটনার সাথে যারা জড়িত না তাদেও বিরুদ্ধে শুধু মামলাই দেয়নি। মামলার পর সাধারণ কৃষকের ধানের চাষাবাদ নষ্ট করতে সেচপাম্প চুরি ও ভাংচুর করে আতংক সৃষ্টি করতেছে। সাধারণ কৃষকরা তাদের ফসল রক্ষা ও নিরাপত্তার প্রতিকার চেয়ে দোষীদের বিচার দাবি করেন, প্রশাসনের নিকট
এ বিষয়ে অভিযুক্ত হুমায়ুন কবির বলেন, এলাকার মানুষজন আমার বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর, মোটরসাইকেলে আগুন দিয়েছে এবং বাঁশঝাড় দিয়ে আমার বাড়ির মুলফটক বন্ধ করে দিয়ে আমার পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে ১৫দিন ধরে। আমি বিচারের আশায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করায় তারা সেচপাম্প চুরির মিথ্যা নাটক সাজিয়েছে। আমি ঘটনার সঠিক তদন্ত চাই এবং প্রকৃত অপরাধীদের বিচার চাই।
এবিষয়ে কালিকাপ্রসাদ ইউপি চেয়ারম্যান মো: লিটন মিয়া বলেন, কিছুদিন ধওে গ্রামবাসীর মধ্যে পাল্টাপাল্টি ঘটনা ঘটেছে। আমি চেষ্টা করছি দুই পক্ষকে নিয়ে বসে বিষয়টি সামাজিকভাবে মীমাংসা করার জন্য।
এবিয়য়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিকুর রহমান সবুজ বলেন, সেচপাম্প চুরি ও ভাংচুরের একটি অভিযোগ পেয়েছি। এছাড়াও যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা বাড়িও অবরুদ্ধ কওে রাখার অভিযোগ শুনেছি। চেষ্টা করছি ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে সেচপাম্প গুলো যেন চালু হয় এবং দুপক্ষের চলমান দ্বন্দ্ব সামাজিকভাবে মীমাংসার করা হয়।