সরকারের উন্নয়নের কথা সকল সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে আওয়ামী লীগের তৃণমূল প্রতিনিধি সভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
- আপডেট টাইম : ০৬:১৬:৪০ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩
- / ১১০ ৫০০০.০ বার পাঠক
আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, “জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আজকে দেশ বদলে গেছে। প্রত্যেকটি ইউনিয়নে কয়েক হাজার মানুষ সরকারের নানা সামাজিক কর্মসুচির উপকারভোগী। গ্রামের প্রত্যেকটি ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে। মূল সড়ক নয় এখন মানুষের ঘরে প্রবেশের রাস্তাও পাকা হয়েছে। গ্রামে-গঞ্জে, হাটে-ঘাটে মাঠে সাধারণ মানুষের কাছে সরকারের এসব উন্নয়নের কথা তুলে ধরতে হবে।”
তিনি বলেন, “তৃণমুলের নেতারাই হচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রাণ,দলের রক্ত সঞ্চালন করেন আপনারাই। গ্রামে গঞ্জে মহল্লায় আমাদের দলকে আপনারাই ধরে রেখেছেন দীর্ঘদিন ধরে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আপনাদের মাধ্যমেই আজকে যুগ যুগ ধরে দল ঠিকে আছে।”
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) বিকেলে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া পৌরসভাসহ ছয়টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তৃণমূলের প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “গত ১৪ বছরে রাঙ্গুনিয়াসহ সারাদেশে অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে। ২০০৯ সালে যখন আমি প্রথম এমপি নির্বাচিত হই তখন আমার বাড়িতেও বিদ্যুৎ সংযোগ ছিলনা। আজকে প্রত্যেকটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে। রাঙ্গুনিয়ার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যেতে সারাদিন লেগে যেত, এখন একঘন্টায় যাতায়াত করা যায়। এখন শুধু মূল সড়ক নয়, প্রত্যেকটা বাড়ি ঘরে প্রবেশের রাস্তাও পাকা করা হয়েছে। এসব উন্নয়ন আগে যারা রাঙ্গুনিয়া থেকে ভোট নিয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন তারা করেননি। এসব উন্নয়নের কথা গ্রামে-গঞ্জে হাট বাজারে সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে। তিনি বলেন, করোনা-বন্যাসহ কোন দূর্যোগে বিএনপিকে দেখা যাইনি। তারা কারো দড়জায় একমুঠো চাল নিয়ে যাইনি। কিন্তু ভোট আসলে শীতের পাখির মতো ধান খেতে তাদের এলাকায় আবার দেখা যাবে। নির্বাচন সন্নিকট, সাধারন মানুষের কাছে সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরলে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত। আগামী নির্বাচনে আবার বিপুল ভোটে নৌকা মার্কার সরকার বিজয়ী হয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা আবার চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হবে ইনশাল্লাহ।”
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, “সরকার এবং দলের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে দেশের এক জেলা থেকে অন্য জেলায় দৌড়াতে হয় আমাকে, তারপরও নির্বাচনী এলাকা রাঙ্গুনিয়ায় প্রতি সপ্তাহে আসি, শুধু রাঙ্গুনিয়ার উন্নয়নের জন্য। রাঙ্গুনিয়ার এমন একটি স্কুল কলেজ মাদ্রাসা নেই যেটাতে নতুন বিল্ডিং হয়নি। এমন কোন মসজিদ মন্দির প্যাগোডা নেই যেটি কয়েক দফা উন্নয়ন বরাদ্দ পায়নি। সারাদেশে যে উন্নয়ন হয়েছে সবগুলো সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কারণে।”
তিনি বলেন, “করোনাকালে বর্তমান সরকার বিনাপয়সায় টিকা দিয়েছে, মাস্ক ও সেনিটাইজার বিতরণ করেছে। আমার পারিবারিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান এনএনকে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে পৌণে দুই কোটি টাকার ত্রাণ দিয়েছি রাঙ্গুনিয়ায়। সরকার এবং আওয়ামী লীগের এসব উন্নয়নের কথা সঠিকভাবে তুলে ধরলে আগামী নির্বাচনে মানুষ নৌকা মার্কা ছাড়া অন্যখানে ভোট দিবে না।”
উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আবদুল মোনাফ সিকদারের সভাপতিত্বে ও আওয়ামী লীগ নেতা এমরুল করিম রাশেদ ও মোহাম্মদ সেলিমের যৌথ সঞ্চালনায় প্রতিনিধি সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদার, আবুল কাশেম চিশতী, শাহজাহান সিকদার, মোহাম্মদ আলী শাহ, ইদ্রিছ আজগর, জহির আহমদ চৌধুরী, আকতার হোসেন খান, ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, ইকবাল হোসেন, আবু তাহের, ইউপি চেয়ারম্যান শফিউল আলম, নুর উল্লাহ, মুজিবুল হক হিরু, আরিফুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।