ঢাকা ০২:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
জামালপুরে ধানের বাজার মধ্যস্বত্বভোগীরদের দখলে রানীশংকৈলে জিপিএ—৫ পাওয়া ৪ শিক্ষার্থীর স্বপ্ন পূরণের বাধা অর্থিক সংকট কালিয়াকৈরে এক নারী মাদক ব্যবসায়ী হেরোইনসহ গ্রেফতার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উৎযাপন উপলক্ষে সমাবেশ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে হারানো টাকা মালিকের হাতে ফেরত দিয়ে দিষ্টান্ত স্হাপন করলো পুলিশ ফুলবাড়ীতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কতৃক মসজিদ পরিস্কার অভিযান ফুলবাড়ীতে ভুট্টা বোঝাই ট্রলির চালক নিজ গাড়িতে চাপা পড়ে নিহত বিবাহিত অছাত্র কিশোরগ্যাং এর লিডার রুবেল হোসেন জয়কে দিয়ে এবার ছাত্রলীগের নতুন কমিটি করা হলো কুষ্টিয়ায় পদ্মায় ডুবে যাওয়া নিখোঁজ কিশোরের মরদেহ উদ্ধার ময়মনসিংহ সদর-উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীক বিজয় করার লক্ষ্যে বিশাল নির্বাচনী আলোচনা জনসভা

পানি দিবসেও পানি সংকটে বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

পানি দিবসেও পানি সংকটে বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

আজ ২২ মার্চ (বুধবার) ‘বিশ্ব পানি দিবস’। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হচ্ছে। এবারের পানি দিবসেও পানি সংকটের চিত্র দেখা গেছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি)।
জানা যায়, ৩৪ বিভাগের ১০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর পাঠকেন্দ্র বশেমুরবিপ্রবি। প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি হলে আবাসিক সুবিধা পাচ্ছেন। তবে শিক্ষার্থীদের সংখ্যানুপাতিক হারে নেই পর্যাপ্ত পানির যোগান। প্রতিদিন কোনো না কোনো সময়ে একাডেমিক ভবনে, লাইব্রেরিতে ও আবাসিক হলগুলোয় দীর্ঘ সময় ধরে থাকছে না পানি। অন্যদিকে বিশুদ্ধপানি সরবরাহ করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হলেও, শিক্ষার্থী অনুপাতে তা একাবারেই অপ্রতুল। তাছাড়া, সরবরাহকৃত সেই পানিতে প্রায় সময় জোক ও পোকা উঠে আসার বিষয়ে নানা সময়ে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে আসছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রায় প্রতিদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০তলা একাডেমিক ভবনে, হলে ও লাইব্রেরিতে কোন না কোন সময়ে দীর্ঘক্ষণ পানি সরবরাহ বন্ধ থাকছে। এতে প্রতিদিন হাজারো শিক্ষার্থীরা নিত্য ব্যবহার্য পানি পাচ্ছে না।
অন্যদিকে বিশুদ্ধ পানির নির্দিষ্ট ট্যাপ থাকলেও প্রায় দিন পানিশূন্য থাকায় শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। পাশাপাশি দীর্ঘক্ষণ পানি না থাকায় শিক্ষার্থীদের ব্যবহার্য টয়লেটগুলো একেবারে ব্যাবহার অনুপযোগী হয়ে পরেছে। এতে শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তি শিকার হতে হচ্ছে।

এ নিয়ে কথা হলে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী আসিফ আহমেদ বলেন, পানি সংকটের বিষয়টি আসলেই কষ্টকর। প্রায় প্রতিদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনে ও লাইব্রেরিতে খাবার পানি ও টয়লেটে পানি থাকে না। এই সমস্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে। আশাকরি অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যথাযথ পদক্ষেপ নিবেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শেখ রেহানা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী জানান, প্রায়দিন সকালে ও রাতে আমাদের খাবার পানি থাকে না। পরে খাওয়া ও রান্নার জন্য আরেক জায়গা দিয়ে পানি আনতে হয়। এতে করে আমাদের প্রায়ই পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটে।

এ বিষয়ে কথা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পানি ব্যবস্থার উন্নয়ন নিয়ে কাজ করা সহকারী প্রকৌশলী কাজী ইউনুস আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, আসলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে বহুমুখী উৎস থাকলেও পানি সরবরাহের ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে। পুরো ১০ তলা ভবন, হল ও ক্যাফেটেরিয়ায় পানি সরবরাহের জন্য একটি মাত্র মোটর রয়েছে। এতে করে পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না।

তিনি আরো জানান, প্রতিদিন খাবার পানি সরবরাহ করার আগে পানির ট্যাংক পরিষ্কার করতে হয়। তবে পর্যাপ্ত জনবল না থাকায়, সে কাজে একটু বিলম্ব হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. কামরুজ্জামান বলেন, আসলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের কাজ এখনো সম্পূর্ণ শেষ হয়নি। তাছাড়া ওপরে পানির কোনো ট্যাংকও বসানো হয়নি। আমরা দ্রুত এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।

পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগের ব্যাপারে রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান বলেন, পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে আমাদের পর্যাপ্ত জনবলের বাড়ানোর বিষয়ে ইউজিসিকে জানানো হয়েছে। সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতিমালার কারণে এই সমস্যার সমাধান হয়নি। আমরা বিষয়টি সমাধানে চেষ্টা করছি।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জামালপুরে ধানের বাজার মধ্যস্বত্বভোগীরদের দখলে

পানি দিবসেও পানি সংকটে বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

আপডেট টাইম : ০২:১৫:১৯ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩

পানি দিবসেও পানি সংকটে বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

আজ ২২ মার্চ (বুধবার) ‘বিশ্ব পানি দিবস’। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হচ্ছে। এবারের পানি দিবসেও পানি সংকটের চিত্র দেখা গেছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি)।
জানা যায়, ৩৪ বিভাগের ১০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর পাঠকেন্দ্র বশেমুরবিপ্রবি। প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি হলে আবাসিক সুবিধা পাচ্ছেন। তবে শিক্ষার্থীদের সংখ্যানুপাতিক হারে নেই পর্যাপ্ত পানির যোগান। প্রতিদিন কোনো না কোনো সময়ে একাডেমিক ভবনে, লাইব্রেরিতে ও আবাসিক হলগুলোয় দীর্ঘ সময় ধরে থাকছে না পানি। অন্যদিকে বিশুদ্ধপানি সরবরাহ করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হলেও, শিক্ষার্থী অনুপাতে তা একাবারেই অপ্রতুল। তাছাড়া, সরবরাহকৃত সেই পানিতে প্রায় সময় জোক ও পোকা উঠে আসার বিষয়ে নানা সময়ে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে আসছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রায় প্রতিদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০তলা একাডেমিক ভবনে, হলে ও লাইব্রেরিতে কোন না কোন সময়ে দীর্ঘক্ষণ পানি সরবরাহ বন্ধ থাকছে। এতে প্রতিদিন হাজারো শিক্ষার্থীরা নিত্য ব্যবহার্য পানি পাচ্ছে না।
অন্যদিকে বিশুদ্ধ পানির নির্দিষ্ট ট্যাপ থাকলেও প্রায় দিন পানিশূন্য থাকায় শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। পাশাপাশি দীর্ঘক্ষণ পানি না থাকায় শিক্ষার্থীদের ব্যবহার্য টয়লেটগুলো একেবারে ব্যাবহার অনুপযোগী হয়ে পরেছে। এতে শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তি শিকার হতে হচ্ছে।

এ নিয়ে কথা হলে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী আসিফ আহমেদ বলেন, পানি সংকটের বিষয়টি আসলেই কষ্টকর। প্রায় প্রতিদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনে ও লাইব্রেরিতে খাবার পানি ও টয়লেটে পানি থাকে না। এই সমস্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে। আশাকরি অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যথাযথ পদক্ষেপ নিবেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শেখ রেহানা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী জানান, প্রায়দিন সকালে ও রাতে আমাদের খাবার পানি থাকে না। পরে খাওয়া ও রান্নার জন্য আরেক জায়গা দিয়ে পানি আনতে হয়। এতে করে আমাদের প্রায়ই পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটে।

এ বিষয়ে কথা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পানি ব্যবস্থার উন্নয়ন নিয়ে কাজ করা সহকারী প্রকৌশলী কাজী ইউনুস আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, আসলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে বহুমুখী উৎস থাকলেও পানি সরবরাহের ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে। পুরো ১০ তলা ভবন, হল ও ক্যাফেটেরিয়ায় পানি সরবরাহের জন্য একটি মাত্র মোটর রয়েছে। এতে করে পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না।

তিনি আরো জানান, প্রতিদিন খাবার পানি সরবরাহ করার আগে পানির ট্যাংক পরিষ্কার করতে হয়। তবে পর্যাপ্ত জনবল না থাকায়, সে কাজে একটু বিলম্ব হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. কামরুজ্জামান বলেন, আসলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের কাজ এখনো সম্পূর্ণ শেষ হয়নি। তাছাড়া ওপরে পানির কোনো ট্যাংকও বসানো হয়নি। আমরা দ্রুত এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।

পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগের ব্যাপারে রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান বলেন, পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে আমাদের পর্যাপ্ত জনবলের বাড়ানোর বিষয়ে ইউজিসিকে জানানো হয়েছে। সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতিমালার কারণে এই সমস্যার সমাধান হয়নি। আমরা বিষয়টি সমাধানে চেষ্টা করছি।