মাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মেয়েকে গনধর্ষণ; মামলা উত্তোলনের জন্য হামলা!
- আপডেট টাইম : ০২:১২:০৭ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩
- / ১৪৬ ৫০০০.০ বার পাঠক
:সিলেটের জকিগঞ্জে মাকে পাশের রুমে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মেয়েকে গনধর্ষণ ও মামলা উত্তোলনের জন্য বসত ঘরে হামলা ভাংচুর। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) দিবাগত রাতে উপজেলার মানিকপুর ইউনিয়নে খলাদাপনিয়া (নওয়া-গ্রামে)এ ঘটনা ঘটে।
পরে ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে। শনিবার ধর্ষণের শিকার যুবতীকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার দু’দিন পর পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে ধর্ষিত যুবতী বাদী হয়ে জকিগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ দায়েরের পর বিবাদীরা মামলা উত্তোলনের জন্য যুবতীর বাড়িঘরে হামলা করে।
এসময় দুর্বৃত্তদের হামলায় যুবতী ও তার মা গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেন। যুবতীর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে ভর্তি হয়ে দুদিন চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে হাসপাতালের নির্দেশনা অনুযায়ী বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে যুবতীর কাঁচা বাঁশের বেড়া কেটে গভীর রাতে ঘরে ঢুকে পাশের রুমে মা’কে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আটকে রেখে যুবতীকে দলবদ্ধ ভাবে ধর্ষণ করে। ঘরের ভেতর শুরচিৎকার শুনে স্থানীয়রা ৯৯৯ কল দিলে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাদের উদ্ধার করে।
যুবতীর মা বলেন, ওইদিন রাত তিনটার দিকে বেড়া কেটে ৭-৮জন ঘরে প্রবেশ করে। হঠাৎ শব্দ শুনে চোখ মেলে দেখি আমার মথার উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে একজন দাঁড়িয়ে রয়েছে। শেষে পর্যন্ত বিষয়টি বুঝতে পারলে চিৎকার করলে ওঁরা পালিয়ে যায়। পরে দেখি আমার মেয়েকে পালঙ্কের সাথে বেঁধে ধর্ষণের করুণ চিত্র ও অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ‘আমি মেয়ের সুবিচার কামনা করছি,। এবং তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
ভিক্টিম বলে, জকিগঞ্জ উপজেলার কালীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল বাছিত চৌধুরী বাচ্চুর সাথে দীর্ঘদিন থেকে আমার বিরুদ্ধ এবং আদালতে মামলা রয়েছে। এই মামলার জের ধরে আমি ও আমার পরিবারের উপর একের পর এক নির্যাতনের শিকার চালিয়ে যাচ্ছে। সে এলাকার ক্ষমতাসীন ব্যক্তি হওয়ার কারণে আমি সুবিচার থেকে বঞ্চিত! মামলা দায়েরের দশ দিন পেরিয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত কোনো আসামি গ্রেফতার করা হয়নি। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এসময় ভুক্তভোগী আদালতের কাছে সুবিচার প্রার্থনা করেন।
জকিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মোশাররফ হোসেন বলেন, ওইদিন রাতে ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে মেয়েটি উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসিতে) পাঠানো হয়। পরে ভিক্টিম নিজে বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।