জকিগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদে ধর্ষণের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি; কারাগারে উদ্যোক্তা
- আপডেট টাইম : ০৪:৪৯:৪১ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩
- / ১৫৯ ৫০০০.০ বার পাঠক
জকিগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদে ধর্ষণের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ঘটনার পর থেকে স্থানীয় মহলে আলোচনা-সমালোচনার, নিন্দাসহ অনলাইন গণমাধ্যমে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৮নং কসকনকপুর ইউনিয়ন পরিষদের ই-তথ্য সেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তা কাওছার আহমদ নামের এক যুবককে এ ঘটনায় গ্রেফতার করেছে জকিগঞ্জ থানা পুলিশ। আরও বলেন, কাওছার আহমদ ওই তরুণীকে বিভিন্ন সময় ইউনিয়ন পরিষদের দ্বিতীয় তলায় এশিয়া ব্যাংক-এর একটি কক্ষে নিয়ে একাধিক ধর্ষন করেছে।
বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হলে পরিষদের (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান কবির আহমদ মেম্বার ইউপি কয়েক সদস্যদের নিয়ে বিষয়টি মিমাংসা চেষ্টা করেছেন বলে জানা যায়।
স্থানীয় বোরহান উদ্দিন নামে এক যুবক বলেন, ওই মেয়ে বিভিন্ন সময়ে থেকে ইউনিয়ন পরিষদের আসা-যাওয়া করতে দেখা যেত। পরিষদের জনপ্রতিনিধি ও দায়িত্বশীলরা জড়িত থাকার কারণে এর বিরুদ্ধে কোনো ভূমিকা নিতে পারেননি। একটি গ্রাম আদালতের ভিতরে এমন কর্মকাণ্ডে তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান,তিনি আরোও বলেন এতো বড় গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা ধামাচাপা দিয়ে ডাকার চেষ্টা করছেন। এছাড়া পরিষদের সদস্যসহ অনেকেই এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশে বলেন, কাওছার আহমদ-এর সাথে আরও অপরাধী রয়েছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।
কাওছার আহমদ উপজেলার কসকনকপুর ইউনিয়নের খালেরমুরা গ্রামের আব্দুল বাছিত-এর ছেলে।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন লস্কর এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে জানা যায় তিনি দীর্ঘদিন থেকে দেশের বাইরে রয়েছেন। পরে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কবির আহমদ মেম্বার বলেন, আমার পরিষদে এমন ঘটনা ঘটেনি। শুনেছি ইউনিয়ন পরিষদের ই-তথ্য সেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তা কাওছার আহমদ ও ওই যুবতীর দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিলো। এবং ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক তাদের বিয়ে হয়েছে। বিগত ৩ মার্চ সন্ধায় ইউনিয়ন পরিষদের কয়েক ইউপি সদস্যদের নিয়ে পরিষদে আপস-মীমাংসার বৈঠকের ভিডিও থাকলেও স্বীকার করেননি তিনি।
ওই যুবতীর এক অভিভাবক জানান, মেয়েটির ছোটবেলা থেকে কসকনকপুর ইউনিয়নে তার নানা বাড়িতে থাকতো। কাওছার আহমদ ওই মেয়ের দুঃসম্পর্কের মামা হয়। আত্মীয়তার সুবাদে যাওয়া-আসা করে এক সময় গড়ে উঠে মামা-ভাগ্নির প্রেম-ভালোবাসা। পরিশেষে স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে প্রেমিক মামা বাড়িতে অনশন করে ওই যুবতী। এরপর থেকে এলাকায় সৃষ্টি হয় আলোচনা-সমালোচনা!
এ বিষয়ে জকিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ মোশাররফ হোসেন বলেন, ঐদিন ঘটনাটি শোনার সাথে সাথে তাৎক্ষণিক তাঁকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বিষয়টির তদন্ত দিন রয়েছে এর সাথে কেউ জড়িত থাকলে আইনের আওতায় আনা হবে।