ঢাকা ১১:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
সংবাদ শিরোনাম ::
স্মার্ট শিক্ষার্থীরা স্মার্ট দেশ গড়তে সহায়ক: উম্মে সালমা গাইবান্ধায় দূবৃত্তের ছুড়িকাঘাতে ইউপি সদস্যের মৃত্যু,আহত ২ জন গাজীপুরের কাশিমপুর থানা’র ওসি রাফিউল করিম রাজনৈতিক ব্যানারের অনুমোদন ছাড়াই তার ছবি অনুমোদন বিহীন সাপ্তাহিক পত্রিকার অপসংবাদিক আমজাদ  ফ্রিল্যান্সার,তরুন উদ্যোক্তা ও সফলতা তাসিন রহমান উচ্ছ্বাস,ময়মনসিংহ ময়মনসিংহে ডিবি পুলিশের অভিযানে ১০ গ্রাম হেরোইন এবং ৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ গ্রেফতার-০২ ফুলবাড়ীতে জরায়ু-মুখ ও স্তন ক্যান্সার স্ক্রীনিং স্বাস্থ্য ক্যাম্পের উদ্বোধনী সভা অনুষ্ঠিত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ মহাম্মদপুরে কাজের ভয়ে স্কুলে যেতে চায়না শিক্ষার্থীরা মহাদেবপুরে আত্রাই নদীর বেরিবাঁধ ভেঙ্গে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তলিয়ে গেছে ঢাকা ১৯ আসনের এম পি প্রার্থী মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এর উঠান বৈঠক জনসভায় পরিনত হোমনায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা

বাবা এখন ফিরবেন ঢাবি শিক্ষার্থী মেয়ের লাশ নিয়ে

বাবা এখন ফিরবেন ঢাবি শিক্ষার্থী মেয়ের লাশ নিয়ে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) পড়ুয়া মেয়েকে ঢাকায় পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন গোপালগঞ্জ শহরের পাচুরিয়া এলাকার মাসুদ মিয়া (৬০)। পথে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় পড়ে তাদের বহনকারী বাসটি। দুর্ঘটনায় তার মেয়ে সুইটি (২০) নিহত হন।

রোববার (১৯ মার্চ) ভোরে গোপালগঞ্জ থেকে বাসে ওঠেন বাবা-মেয়ে। মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি প্রায় পঞ্চাশ ফুট নিচে পড়ে যায়।

যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত বেড়ে ২০

এতে ঢাবি-ছাত্রী সুইটি ঘটনাস্থলেই মারা যান। আহত হন তার পিতা মাসুদ মিয়া। তাকে উদ্ধার করে শিবচরের পাঁচ্চর এলাকার ইসলামিয়া হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করা হয়। নিজে বেঁচে থাকলেও চোখের সামনে মেয়েকে হারিয়ে নির্বাক হয়ে পড়েছেন মাসুদ মিয়া।

জানা গেছে, সুইটি ঢাবির ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ঢাকার মিরপুরে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। মাসুদ মিয়া মেয়েকে সেখানে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন।

এদিকে মেয়ের মৃত্যুর কথা শুনে মাসুদ মিয়ার গোপালগঞ্জের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। একমাত্র মেয়ের মৃত্যুর খবর মেনে নিতে পারছেন না সুইটির মা। বার বার অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছেন তিনি।

নিহত সুইটির মামা নুরু মিয়া বলেন, আমার দুলাভাই এসেনশিয়াল ড্রাগসে নিরাপত্তারক্ষীর চাকরি করেন। আমাদের একটাই ভাগ্নি। সুইটি তার বাবার সঙ্গে ঢাকায় যাচ্ছিল। ভোর সাড়ে পাঁচটার গাড়িতে তারা ঢাকায় যাচ্ছিল। দশটার দিকে আমাদের কাছে ফোন আসে আমার ভাগ্নি আর বেঁচে নেই। দুলাভাইয়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে।

আহত মাসুদ মিয়ার সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে ঢাকা পোস্টকে তিনি বলেন, সকাল সাড়ে পাঁচটায় ইমাদ পরিবহনের গাড়িতে ঢাকায় যাচ্ছিলাম মেয়েকে পৌঁছে দিতে। শিবচর পৌঁছানোর পর হঠাৎ গাড়িটা মোড় নেয়। এরপর আর আমার কিছু মনে নেই।

‘মেয়েকে পৌঁছে দিতে গিয়ে এখন ফিরতে হবে তার লাশ নিয়ে’- বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন মাসুদ মিয়া।

প্রসঙ্গত, মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় ঢাকাগামী ইমাদ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে ২০ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন। আজ (রোববার) সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আরো খবর.......
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

স্মার্ট শিক্ষার্থীরা স্মার্ট দেশ গড়তে সহায়ক: উম্মে সালমা

বাবা এখন ফিরবেন ঢাবি শিক্ষার্থী মেয়ের লাশ নিয়ে

আপডেট টাইম : ১০:২৪:১৭ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ১৯ মার্চ ২০২৩

বাবা এখন ফিরবেন ঢাবি শিক্ষার্থী মেয়ের লাশ নিয়ে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) পড়ুয়া মেয়েকে ঢাকায় পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন গোপালগঞ্জ শহরের পাচুরিয়া এলাকার মাসুদ মিয়া (৬০)। পথে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় পড়ে তাদের বহনকারী বাসটি। দুর্ঘটনায় তার মেয়ে সুইটি (২০) নিহত হন।

রোববার (১৯ মার্চ) ভোরে গোপালগঞ্জ থেকে বাসে ওঠেন বাবা-মেয়ে। মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি প্রায় পঞ্চাশ ফুট নিচে পড়ে যায়।

যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত বেড়ে ২০

এতে ঢাবি-ছাত্রী সুইটি ঘটনাস্থলেই মারা যান। আহত হন তার পিতা মাসুদ মিয়া। তাকে উদ্ধার করে শিবচরের পাঁচ্চর এলাকার ইসলামিয়া হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করা হয়। নিজে বেঁচে থাকলেও চোখের সামনে মেয়েকে হারিয়ে নির্বাক হয়ে পড়েছেন মাসুদ মিয়া।

জানা গেছে, সুইটি ঢাবির ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ঢাকার মিরপুরে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। মাসুদ মিয়া মেয়েকে সেখানে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন।

এদিকে মেয়ের মৃত্যুর কথা শুনে মাসুদ মিয়ার গোপালগঞ্জের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। একমাত্র মেয়ের মৃত্যুর খবর মেনে নিতে পারছেন না সুইটির মা। বার বার অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছেন তিনি।

নিহত সুইটির মামা নুরু মিয়া বলেন, আমার দুলাভাই এসেনশিয়াল ড্রাগসে নিরাপত্তারক্ষীর চাকরি করেন। আমাদের একটাই ভাগ্নি। সুইটি তার বাবার সঙ্গে ঢাকায় যাচ্ছিল। ভোর সাড়ে পাঁচটার গাড়িতে তারা ঢাকায় যাচ্ছিল। দশটার দিকে আমাদের কাছে ফোন আসে আমার ভাগ্নি আর বেঁচে নেই। দুলাভাইয়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে।

আহত মাসুদ মিয়ার সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে ঢাকা পোস্টকে তিনি বলেন, সকাল সাড়ে পাঁচটায় ইমাদ পরিবহনের গাড়িতে ঢাকায় যাচ্ছিলাম মেয়েকে পৌঁছে দিতে। শিবচর পৌঁছানোর পর হঠাৎ গাড়িটা মোড় নেয়। এরপর আর আমার কিছু মনে নেই।

‘মেয়েকে পৌঁছে দিতে গিয়ে এখন ফিরতে হবে তার লাশ নিয়ে’- বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন মাসুদ মিয়া।

প্রসঙ্গত, মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় ঢাকাগামী ইমাদ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে ২০ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন। আজ (রোববার) সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।