ঢাকা ০৫:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
সায়েন্সল্যাবে ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ চিকিৎসককে ধর্ষণ-হত্যায় বিক্ষোভ পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশের মতো পরিস্থিতি হবে না: মমতা ফুলবাড়ীতে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা চালুর দুইদিনের মধ্যেই বন্ধ হলো বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন যদি আওয়ামী লীগকে দেখেন, রাস্তায় পিটিয়ে মারবেন: ছাত্রদল নেতা কালিয়াকৈরে দুই সহোদরের হাতে বন্ধু খুন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ রংপুরে আবু সাঈদ হত্যায় অভিযুক্ত ২ পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার বরখাস্ত এই দুই সদস্য পুলিশ লাইনে নজরদারিতে ছিলেন বিদেশি নাগরিকদের জন্য শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বাতিল হলো বঙ্গবন্ধু পরিবারের বিশেষ নিরাপত্তা আইন

বাবা এখন ফিরবেন ঢাবি শিক্ষার্থী মেয়ের লাশ নিয়ে

গোলাম রব্বানী গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ১০:২৪:১৭ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ১৯ মার্চ ২০২৩
  • / ২৩৮ ৫০০০.০ বার পাঠক

বাবা এখন ফিরবেন ঢাবি শিক্ষার্থী মেয়ের লাশ নিয়ে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) পড়ুয়া মেয়েকে ঢাকায় পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন গোপালগঞ্জ শহরের পাচুরিয়া এলাকার মাসুদ মিয়া (৬০)। পথে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় পড়ে তাদের বহনকারী বাসটি। দুর্ঘটনায় তার মেয়ে সুইটি (২০) নিহত হন।

রোববার (১৯ মার্চ) ভোরে গোপালগঞ্জ থেকে বাসে ওঠেন বাবা-মেয়ে। মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি প্রায় পঞ্চাশ ফুট নিচে পড়ে যায়।

যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত বেড়ে ২০

এতে ঢাবি-ছাত্রী সুইটি ঘটনাস্থলেই মারা যান। আহত হন তার পিতা মাসুদ মিয়া। তাকে উদ্ধার করে শিবচরের পাঁচ্চর এলাকার ইসলামিয়া হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করা হয়। নিজে বেঁচে থাকলেও চোখের সামনে মেয়েকে হারিয়ে নির্বাক হয়ে পড়েছেন মাসুদ মিয়া।

জানা গেছে, সুইটি ঢাবির ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ঢাকার মিরপুরে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। মাসুদ মিয়া মেয়েকে সেখানে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন।

এদিকে মেয়ের মৃত্যুর কথা শুনে মাসুদ মিয়ার গোপালগঞ্জের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। একমাত্র মেয়ের মৃত্যুর খবর মেনে নিতে পারছেন না সুইটির মা। বার বার অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছেন তিনি।

নিহত সুইটির মামা নুরু মিয়া বলেন, আমার দুলাভাই এসেনশিয়াল ড্রাগসে নিরাপত্তারক্ষীর চাকরি করেন। আমাদের একটাই ভাগ্নি। সুইটি তার বাবার সঙ্গে ঢাকায় যাচ্ছিল। ভোর সাড়ে পাঁচটার গাড়িতে তারা ঢাকায় যাচ্ছিল। দশটার দিকে আমাদের কাছে ফোন আসে আমার ভাগ্নি আর বেঁচে নেই। দুলাভাইয়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে।

আহত মাসুদ মিয়ার সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে ঢাকা পোস্টকে তিনি বলেন, সকাল সাড়ে পাঁচটায় ইমাদ পরিবহনের গাড়িতে ঢাকায় যাচ্ছিলাম মেয়েকে পৌঁছে দিতে। শিবচর পৌঁছানোর পর হঠাৎ গাড়িটা মোড় নেয়। এরপর আর আমার কিছু মনে নেই।

‘মেয়েকে পৌঁছে দিতে গিয়ে এখন ফিরতে হবে তার লাশ নিয়ে’- বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন মাসুদ মিয়া।

প্রসঙ্গত, মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় ঢাকাগামী ইমাদ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে ২০ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন। আজ (রোববার) সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বাবা এখন ফিরবেন ঢাবি শিক্ষার্থী মেয়ের লাশ নিয়ে

আপডেট টাইম : ১০:২৪:১৭ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ১৯ মার্চ ২০২৩

বাবা এখন ফিরবেন ঢাবি শিক্ষার্থী মেয়ের লাশ নিয়ে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) পড়ুয়া মেয়েকে ঢাকায় পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন গোপালগঞ্জ শহরের পাচুরিয়া এলাকার মাসুদ মিয়া (৬০)। পথে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় পড়ে তাদের বহনকারী বাসটি। দুর্ঘটনায় তার মেয়ে সুইটি (২০) নিহত হন।

রোববার (১৯ মার্চ) ভোরে গোপালগঞ্জ থেকে বাসে ওঠেন বাবা-মেয়ে। মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি প্রায় পঞ্চাশ ফুট নিচে পড়ে যায়।

যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত বেড়ে ২০

এতে ঢাবি-ছাত্রী সুইটি ঘটনাস্থলেই মারা যান। আহত হন তার পিতা মাসুদ মিয়া। তাকে উদ্ধার করে শিবচরের পাঁচ্চর এলাকার ইসলামিয়া হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করা হয়। নিজে বেঁচে থাকলেও চোখের সামনে মেয়েকে হারিয়ে নির্বাক হয়ে পড়েছেন মাসুদ মিয়া।

জানা গেছে, সুইটি ঢাবির ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ঢাকার মিরপুরে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। মাসুদ মিয়া মেয়েকে সেখানে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন।

এদিকে মেয়ের মৃত্যুর কথা শুনে মাসুদ মিয়ার গোপালগঞ্জের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। একমাত্র মেয়ের মৃত্যুর খবর মেনে নিতে পারছেন না সুইটির মা। বার বার অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছেন তিনি।

নিহত সুইটির মামা নুরু মিয়া বলেন, আমার দুলাভাই এসেনশিয়াল ড্রাগসে নিরাপত্তারক্ষীর চাকরি করেন। আমাদের একটাই ভাগ্নি। সুইটি তার বাবার সঙ্গে ঢাকায় যাচ্ছিল। ভোর সাড়ে পাঁচটার গাড়িতে তারা ঢাকায় যাচ্ছিল। দশটার দিকে আমাদের কাছে ফোন আসে আমার ভাগ্নি আর বেঁচে নেই। দুলাভাইয়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে।

আহত মাসুদ মিয়ার সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে ঢাকা পোস্টকে তিনি বলেন, সকাল সাড়ে পাঁচটায় ইমাদ পরিবহনের গাড়িতে ঢাকায় যাচ্ছিলাম মেয়েকে পৌঁছে দিতে। শিবচর পৌঁছানোর পর হঠাৎ গাড়িটা মোড় নেয়। এরপর আর আমার কিছু মনে নেই।

‘মেয়েকে পৌঁছে দিতে গিয়ে এখন ফিরতে হবে তার লাশ নিয়ে’- বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন মাসুদ মিয়া।

প্রসঙ্গত, মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় ঢাকাগামী ইমাদ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে ২০ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন। আজ (রোববার) সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।