সৈয়দপুর একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিয়ের অনুষ্ঠান

- আপডেট টাইম : ১২:৪৪:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২১
- / ৪৪১ ৫০০০.০ বার পাঠক
সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।
কলেজের মাঠে বর-কনের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে কৃত্রিম তাজমহল। সামনে প্রায় ৫ হাজার অতিথিদের জন্য খাবার আসন। ডেকারেশন শ্রমিক, বাবুর্চি ও অতিথিদের অভ্যর্থনার কাজে নিয়োজিত তিন শতাধিক কর্মী। দেখে মনে হবে এটি শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল-কলেজ নয়, যেন কমিউনিটি সেন্টার। একটি বিয়ে অনুষ্ঠান ঘিরে নীলফামারীর সৈয়দপুর আদর্শ বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ প্রাঙ্গন নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃস্টি করেছে। আজ শুক্রবার রাতে জমকালো আয়োজনের মধ্যে বিশিষ্ট শিল্পপতি আলতাফ হোসেনের ছেলের এই বিয়ের অনুষ্ঠান হতে যাচ্ছে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।
বিভিন্ন সুত্র বলছে পুরো প্রতিষ্ঠানটির মাঠ সমান্তরাল করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে সৈয়দপুর পৌরসভার রোলার। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে ঢাকার ‘শাহজাহান ইভেন্ট’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে সাজসজ্জার কাজ করেছে। গড়ে তোলা হয়েছে কৃত্রিম তাজমহলসহ আলোকসজ্জার নয়নাভিরাম কারুকাজ।
শহরের বিশিষ্টজনরা বলছেন, একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে করোনাকালীন এ সময়ে কিভাবে ৫ হাজারেরও বেশী জনসমাগম করা হচ্ছে? এতে একদিকে যেমন করোনা মহামারীতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচেতনতা উপেক্ষিত হচ্ছে, তেমনি প্রতিষ্ঠানের আসবাবপত্র, ফুল বাগানসহ অন্যান্য অবকাঠামোর ক্ষতিসাধন করা হয়। এছাড়া ‘অতিথি নিয়ন্ত্রণ আইন’ লঙ্ঘিত হয়েছে বলে দাবি করছেন তারা।
প্রতিষ্ঠানের অনুমতি আছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে ওই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ আহসান হাবিব গণমাধ্যমকে বলেন, করোনায় শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ তাই অনুমতি দেয়া হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে লিখিতভাবে কোন কিছু জানানো হয়নি।
তবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজক বিশিষ্ট শিল্পপতি আলতাফ হোসেন বলেন, অতিথির সংখ্যা অনুযায়ী কমিউনিটি সেন্টারে সংকুলান হওয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টদের অবগত করে এ আয়োজন করা হয়েছে। এ জন্য সৈয়দপুর পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়রের কাছে অনুমতি নেয়া রয়েছে।
সৈয়দপুর পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র জিয়াউল হক জিয়া বলেন, কলেজ প্রধানের আবেদনের প্রেক্ষিতে মাঠে ভরাট করা মাটি সমান করার জন্য রোলার প্রদান করা হয়েছে। তবে বিয়ের অনুষ্ঠানের কাজে তা ব্যবহার করার জন্য দেয়া হয়নি।
প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মহসিনুল হক মহসিন সংবাদকর্মীকে জানান, এবিষয়ে তিনি অবগত নন।
সৈয়দপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রেহেনা ইয়াসমিন বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানের আয়োজন নিয়ম মধ্যে কখনই পড়ে না। তাছাড়া অফিসে এ ধরনের কোন লিখিত আবেদন করা হয়নি।
সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসিম আহমেদ বলেন, এভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা আইন বহির্ভূত।