ঢাকা ০৩:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩
সংবাদ শিরোনাম ::
ময়মনসিংহে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে মসিকের জোড়ালো বাজার মনিটরিং কার্যক্রম নেত্রকোণায় আইন -শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে কঠোর নিরাপত্তায় বাজার মনিটরিং জকিগঞ্জে বিয়ের প্রলোভনে তরুণী ধর্ষণ, মামলা তুলে নিতে হুমকি গাজীপুর মহানগর ১ নং ওয়ার্ডে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এর দাবীতে গন মিছিল চট্রগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ এলাকায় ফুটপাত দখল মুক্ত করল ডবলমুরিং থানা পুলিশ ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ৩ নং ওয়ার্ড় কাউন্সিল আলহাজ্ব মোঃ সাইজ উদ্দিন মোল্লার পক্ষ থেকে জানাই রমজানে জনগণের সমস্যা নিরসনে এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ সভাপতি (সিআইপি) মো. আমিনুল হক শামীমের এক আলোচনা সভা মুক্তিযুদ্ধ একদিকে যেমন স্বাধীনতা এনে দিয়েছে, তেমনই কেড়ে নিয়েছে বহু বুদ্ধিজীবী, আত্মার আত্মীয়দের৷ বহু নারী হয়েছেন স্বামী, সন্তান হারা৷ অনেকের কাছেই যুদ্ধের স্মৃতি হয়ে উঠেছে এক তমসাচ্ছন্ন রাত্রি৷ নীলফামারীতে জমি নিয়ে বিরোধ পাল্টা পাল্টি সংঘর্ষে আহত ১৩ ঝালকাঠিতে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে বিআরটিসি বাসের ধাক্কা,সুপারভাইজারসহ নিহত ২জন

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন আজ

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে আজ। ১৯২০ সালে আজকের এ দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান।

গোপালগঞ্জের নিভৃতপল্লী টুঙ্গিপাড়ার শেখ লুৎফুর রহমান এবং সায়রা বেগমের ঘরে, ১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ জন্ম নেন শেখ মুজিবুর রহমান। ডাক নাম খোকা। কৈশোরে নিজেদের বিদ্যালয়ের ছাদ সংস্কারের দাবিতে নেতৃত্ব দিয়ে একটি দল নিয়ে যান অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের কাছে। সেই শুরু। এরপর অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, মানুষের প্রতি দরদ আর রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় তিনি বাংলার মানুষের আশা-আকাঙ্খার মূর্ত প্রতীক হয়ে ওঠেন। ১৯৪০ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে অল ইন্ডিয়া মুসলিম স্টুডেন্ট ফেডারেশনে যোগ দিয়ে রাজনীতিতে সক্রিয় হন শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৪৮ সালে তিনি ছাত্রলীগ গঠন করেন।

১৯৪৯ সালে গঠন করেন আওয়ামী মুসলিম লীগ যা পরে হয় আওয়ামী লীগ। ৫২’র ভাষা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার পর ১৯৬১ সালে গোপনে গঠন করেন স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ। ১৯৬৩ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সভাপতি হন তিনি। এরপর ৬৬’র ছয় দফা আর আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার পথ ধরে ৬৯এর গণঅভ্যুত্থান। ৭০ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও সরকার গঠন করতে দেয়নি পাকিস্তানিরা। স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলন রূপ নেয় স্বাধীনতার আন্দোলনে। ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, স্বৈরাচারী শাসকদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে, রেসকোর্স ময়দানে বজ্রকন্ঠে শুরু করেন, ভাষণ। আসে নির্দেশ, আসে মুক্তির ঘোষণা, স্বাধীনতার ঘোষণা।

৭ মার্চ ১৯৭১, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক মহাকাব্যিক এ ভাষণে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয় বাঙালি। মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে গ্রেফতারের আগে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। নয় মাস যুদ্ধ করে পাকিস্তানের শৃংখলমুক্ত হয় বাঙালি। পাকিস্তানের কারাগার থেকে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে আসেন বঙ্গবন্ধু।

মুক্তিযুদ্ধে জয়লাভের পর যুদ্ধ বিধ্বস্ত স্বাধীন বাংলাদেশে এসে বঙ্গবন্ধু ঘোষনা দেন সুখি-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা বাংলা গড়ার।
বাংলার মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে, সোনার বাংলা গড়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ঠিক তখন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালো রাতে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে কিছু উচ্ছৃংখল সেনা সদস্য বাঙালির প্রাণের নেতাকে সপরিবার হত্যা করে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার বিচার হয়েছে, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে কয়েকজনের। কিন্তু এখনও বিদেশে পালিয়ে থাকা কয়েক খুনির সাজা কার্যকর হয়নি।

বঙ্গবন্ধু এখন গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় মধুমতি নদীর তীরে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন। তাঁর ৭ই মার্চের মহাকাব্যিক ভাষণ ২০১৭ সালের ৩০শে অক্টোবর ইউনেস্কোর বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্থান পেয়ে জাতিকে গর্বিত করেছে। লাল-সবুজের বাংলাদেশে বাঙালির হৃদয়ে ভালোবাসায় অনাদিকাল বেঁচে থাকবেন বাঙালি জাতির অহংকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

আরো খবর.......
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ময়মনসিংহে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে মসিকের জোড়ালো বাজার মনিটরিং কার্যক্রম

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন আজ

আপডেট টাইম : ০৬:৪০:৩৫ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ১৭ মার্চ ২০২৩

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে আজ। ১৯২০ সালে আজকের এ দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান।

গোপালগঞ্জের নিভৃতপল্লী টুঙ্গিপাড়ার শেখ লুৎফুর রহমান এবং সায়রা বেগমের ঘরে, ১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ জন্ম নেন শেখ মুজিবুর রহমান। ডাক নাম খোকা। কৈশোরে নিজেদের বিদ্যালয়ের ছাদ সংস্কারের দাবিতে নেতৃত্ব দিয়ে একটি দল নিয়ে যান অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের কাছে। সেই শুরু। এরপর অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, মানুষের প্রতি দরদ আর রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় তিনি বাংলার মানুষের আশা-আকাঙ্খার মূর্ত প্রতীক হয়ে ওঠেন। ১৯৪০ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে অল ইন্ডিয়া মুসলিম স্টুডেন্ট ফেডারেশনে যোগ দিয়ে রাজনীতিতে সক্রিয় হন শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৪৮ সালে তিনি ছাত্রলীগ গঠন করেন।

১৯৪৯ সালে গঠন করেন আওয়ামী মুসলিম লীগ যা পরে হয় আওয়ামী লীগ। ৫২’র ভাষা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার পর ১৯৬১ সালে গোপনে গঠন করেন স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ। ১৯৬৩ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সভাপতি হন তিনি। এরপর ৬৬’র ছয় দফা আর আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার পথ ধরে ৬৯এর গণঅভ্যুত্থান। ৭০ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও সরকার গঠন করতে দেয়নি পাকিস্তানিরা। স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলন রূপ নেয় স্বাধীনতার আন্দোলনে। ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, স্বৈরাচারী শাসকদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে, রেসকোর্স ময়দানে বজ্রকন্ঠে শুরু করেন, ভাষণ। আসে নির্দেশ, আসে মুক্তির ঘোষণা, স্বাধীনতার ঘোষণা।

৭ মার্চ ১৯৭১, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক মহাকাব্যিক এ ভাষণে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয় বাঙালি। মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে গ্রেফতারের আগে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। নয় মাস যুদ্ধ করে পাকিস্তানের শৃংখলমুক্ত হয় বাঙালি। পাকিস্তানের কারাগার থেকে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে আসেন বঙ্গবন্ধু।

মুক্তিযুদ্ধে জয়লাভের পর যুদ্ধ বিধ্বস্ত স্বাধীন বাংলাদেশে এসে বঙ্গবন্ধু ঘোষনা দেন সুখি-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা বাংলা গড়ার।
বাংলার মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে, সোনার বাংলা গড়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ঠিক তখন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালো রাতে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে কিছু উচ্ছৃংখল সেনা সদস্য বাঙালির প্রাণের নেতাকে সপরিবার হত্যা করে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার বিচার হয়েছে, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে কয়েকজনের। কিন্তু এখনও বিদেশে পালিয়ে থাকা কয়েক খুনির সাজা কার্যকর হয়নি।

বঙ্গবন্ধু এখন গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় মধুমতি নদীর তীরে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন। তাঁর ৭ই মার্চের মহাকাব্যিক ভাষণ ২০১৭ সালের ৩০শে অক্টোবর ইউনেস্কোর বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্থান পেয়ে জাতিকে গর্বিত করেছে। লাল-সবুজের বাংলাদেশে বাঙালির হৃদয়ে ভালোবাসায় অনাদিকাল বেঁচে থাকবেন বাঙালি জাতির অহংকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।