ঢাকা ০৩:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
কাউন্দিয়া পুলিশ ফাঁড়ি’র ইনচার্জের ছত্রছায়ায় চলছে মাদকের রমরমা ব্যবসা (পর্ব- ১) চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানার বিশেষ অভিযানে চোর চক্র ও ১০ ভরিস্বর্ণসহ গ্রেপ্তার, ০৬ নাসিরনগরে ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স এর ৪১ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত গাজীপুর জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটি এর ঈদ পূর্ণমিলন ও সাংবাদিকদের মিলনমেলা বিরামপুরে ভুয়া সেনা সদস্য আটক ভাঙ্গুড়ায় ৫ প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকারের ৩২ হাজার জরিমানা কুমিল্লায় ট্রেনে কাটা পড়ে ৩ যুবকের মৃত্যু সুন্দরবনের সার্বিক নিরাপত্তায় অবদান রেখে চলছে কোস্ট গার্ড দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন না হলে পুরো অঞ্চল অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে: প্রধান উপদেষ্টা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠেই হেরে গেল টাইগাররা

বরগুনায় স্বামীকে হত্যার অভিযোগে স্ত্রী ও তার পরকীয়া প্রেমিক গ্রেফতার

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০১:২১:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ৩৫৫ ৫০০০.০ বার পাঠক

রগুনা প্রতিনিধি।।

বরগুনায় স্বামীকে হত্যার অভিযোগে স্ত্রী ও তার পরকীয়া প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, নিহতের স্ত্রী ফাতেমা মিতু (২৪) ও তার পরকীয়া প্রেমিক রাজু মিয়া (২০)। বুধবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মেহেদী হাসান, বরগুনা থানার ওসি তারিকুল ইসলাম ও ডিবির ওসি আবুল বাশারের নেতৃত্বে তাদের গ্রেফতার করা হয়। বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের বড়ইতলা গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক নাসির উদ্দিন হাওলাদারকে (৪০) খুনের অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। নাসিরের বাবার নাম গয়জদ্দিন হাওলাদার।

নিহতের ভাই আবদুল জলিল হাওলাদার জানিয়েছেন, তার ছোট ভাই নাসির উদ্দিন হাওলাদারের সাথে দশ বছর আগে বরগুনা পৌরসভার শহীদ স্মৃতি সড়কের দলিল লেখক মাহতাব হোসেন মৃধার মেয়ে ফাতেমা মিতুর বিয়ে হয়। তাদের নুসরাত নামে ৮ বছরের একটি মেয়ে ও নাঈম নামে ৫ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। দুই বছর আগে ঢলুয়া ইউনিয়নের গোলবুনিয়া গ্রামের আবদুল বারেকের কলেজ পড়ুয়া ছেলে রাজুর সাথে মিতুর পরকীো প্রেম শুরু হয়। মিতু এবং রাজু সম্পর্কে দাদী-নাতি। কেননা রাজু হচ্ছে, নিহত নাসিরের চাচাত ভাইয়ের নাতি। পরকীয়া প্রেম থেকে তারা অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি নাসির টের পেলে তাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেবার সিদ্ধান্ত নেয়। গত বছরের ঈদের আগের রাতে (২৩মে, ২০২০) নাসিরকে পরিকল্পিতভাবে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে অচেতন করে কম্বল চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়। পরবর্তীতে অতিরিক্ত কাঁঠাল খেয়ে নাসির স্ট্রোক করে মারা গেছে বলে চালিয়ে দেয়া হয়।

ফাতেমা মিতু তার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার কথা স্বীকার করে জানিয়েছেন, তাদের পরকীয়া সম্পর্ককে দীর্ঘস্থায়ী রূপ দিতে দুইজনে মিলে এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। মিতু আরও জানান, ২৩ মে বিকালে ঘুমের ঔষধ কিনে রাজু তাকে দিয়ে আসেন। সন্ধ্যার পরে নাসির মজা করে কাঁঠাল খায়। ঘুমের আগে কৌশলে নাসিরকে অতিরিক্ত পরিমান ঘুমের ঔষধ খাওয়ানো হয়। রাত ১১ টার পরে রাজুকে মোবাইলে জানানো হয়, নাসির ঘুমিয়ে পড়েছে তুমি চলে আসো। রাত সাড়ে ১১ টার দিকে মিতু ও রাজু মিলে নাসিরকে কম্বল চাপা দিয়ে মেরে ফেলে। মিতু স্বীকার করেছে, তার ইচ্ছে ছিলো রাজুকে বিয়ে করে নতুন সংসার শুরু করবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বরগুনায় স্বামীকে হত্যার অভিযোগে স্ত্রী ও তার পরকীয়া প্রেমিক গ্রেফতার

আপডেট টাইম : ০১:২১:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২১

রগুনা প্রতিনিধি।।

বরগুনায় স্বামীকে হত্যার অভিযোগে স্ত্রী ও তার পরকীয়া প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, নিহতের স্ত্রী ফাতেমা মিতু (২৪) ও তার পরকীয়া প্রেমিক রাজু মিয়া (২০)। বুধবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মেহেদী হাসান, বরগুনা থানার ওসি তারিকুল ইসলাম ও ডিবির ওসি আবুল বাশারের নেতৃত্বে তাদের গ্রেফতার করা হয়। বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের বড়ইতলা গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক নাসির উদ্দিন হাওলাদারকে (৪০) খুনের অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। নাসিরের বাবার নাম গয়জদ্দিন হাওলাদার।

নিহতের ভাই আবদুল জলিল হাওলাদার জানিয়েছেন, তার ছোট ভাই নাসির উদ্দিন হাওলাদারের সাথে দশ বছর আগে বরগুনা পৌরসভার শহীদ স্মৃতি সড়কের দলিল লেখক মাহতাব হোসেন মৃধার মেয়ে ফাতেমা মিতুর বিয়ে হয়। তাদের নুসরাত নামে ৮ বছরের একটি মেয়ে ও নাঈম নামে ৫ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। দুই বছর আগে ঢলুয়া ইউনিয়নের গোলবুনিয়া গ্রামের আবদুল বারেকের কলেজ পড়ুয়া ছেলে রাজুর সাথে মিতুর পরকীো প্রেম শুরু হয়। মিতু এবং রাজু সম্পর্কে দাদী-নাতি। কেননা রাজু হচ্ছে, নিহত নাসিরের চাচাত ভাইয়ের নাতি। পরকীয়া প্রেম থেকে তারা অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি নাসির টের পেলে তাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেবার সিদ্ধান্ত নেয়। গত বছরের ঈদের আগের রাতে (২৩মে, ২০২০) নাসিরকে পরিকল্পিতভাবে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে অচেতন করে কম্বল চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়। পরবর্তীতে অতিরিক্ত কাঁঠাল খেয়ে নাসির স্ট্রোক করে মারা গেছে বলে চালিয়ে দেয়া হয়।

ফাতেমা মিতু তার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার কথা স্বীকার করে জানিয়েছেন, তাদের পরকীয়া সম্পর্ককে দীর্ঘস্থায়ী রূপ দিতে দুইজনে মিলে এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। মিতু আরও জানান, ২৩ মে বিকালে ঘুমের ঔষধ কিনে রাজু তাকে দিয়ে আসেন। সন্ধ্যার পরে নাসির মজা করে কাঁঠাল খায়। ঘুমের আগে কৌশলে নাসিরকে অতিরিক্ত পরিমান ঘুমের ঔষধ খাওয়ানো হয়। রাত ১১ টার পরে রাজুকে মোবাইলে জানানো হয়, নাসির ঘুমিয়ে পড়েছে তুমি চলে আসো। রাত সাড়ে ১১ টার দিকে মিতু ও রাজু মিলে নাসিরকে কম্বল চাপা দিয়ে মেরে ফেলে। মিতু স্বীকার করেছে, তার ইচ্ছে ছিলো রাজুকে বিয়ে করে নতুন সংসার শুরু করবে।