ঢাকা ১১:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::

বন ও নদীর মাছ রক্ষায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের অভিযান

  • ওমর ফারুক
  • আপডেট টাইম : ০৭:২২:৫৬ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ১২ মার্চ ২০২৩
  • ৮৭ ০.০০০ বার পাঠক

বাংলাদেশ কোস্টগার্ড খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও সুন্দরবন অঞ্চলের জনগণের সার্বিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে। বিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক ম্যানগ্রোভ ফরেষ্ট সুন্দরবনের চার ভাগের ৩ ভাগ এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। স্থানীয় জনসাধারনের সার্বিক নিরাপত্তা, চিকিৎসাসহ বিভিন্ন সেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে কোস্ট গার্ডের সদস্যরা। সুন্দরবন অঞ্চলের নদ- নদী ও মৎস্য সম্পদ সুরক্ষায় কাজ করছে। পাশাপাশি সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল মৎস্যজীবী, মৌয়াল, বাওয়ালী ও অন্যান্য পেশার দরিদ্র মানুষের একমাত্র ভরসার প্রতীক কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে পালন করে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের অপারেশন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার তারেক আহমেদ জানান, কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন তার এখতিয়ারভূক্ত এলাকাসমূহে চোরাকারবারকারী, পাঁচারকারী, বিদেশী মদ, গাঁজা, ইয়াবা, হরিণের মাংস, মাথা ও চামড়া, পেইন্ট, জেলিপুশকৃত চিংড়ি, চিংড়ি রেনু পোনা, ফাইস্যা পোনা, কচ্ছপ, কাঁকড়া, অবৈধ বোট ও অবৈধ জাল আটকসহ বিভিন্ন অপারেশনাল কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। এর পাশাপাশি মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণে অবৈধভাবে আহরিত জাটকা, চিংড়ি রেনু পোনা, ফাইস্যা পোনা ইত্যাদির সাথে জড়িত ব্যাক্তিবর্গকে আইনের আওতায় আনার ক্ষেত্রে কোস্ট গার্ডের ভূমিকা অসামান্য। সুন্দরবনের অভয়ারণ্য সমূহ যাতে অবাধে মাছ না ধরতে পারে সেজন্য নিয়মিতভাবে রুটিন টহল ও বিভিন্ন অপারেশন পরিচালনা করে আসছে কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন।

মোংলা, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা ও সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় একটি বেইস ও ১৪ টি স্টেশান নিয়ে পরিচালিত হয় কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের কার্যক্রম। এ বাহিনীর কঠোর নজরদারির কারনে সুন্দরবনে বিভিন্ন ধরনের অবৈধ কার্যক্রম অনেকাংশে কমে গেছে। মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করে এর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে কোস্টগার্ড আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করেছে যা ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকবে। সমুদ্র এলাকায় চোরাচালানরোধে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের তৎপরতা চোখে পড়ার মত। এছাড়াও মোংলা বন্দরে আগত বাণিজ্যিক জাহাজের নিরাপত্তা প্রদান এবং বিভিন্ন সময় সমুদ্রে ডুবে যাওয়া জাহাজ, ট্রলার এবং বোটের উদ্ধার কাজে এগিয়ে আসে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন।

এছাড়াও উপকূল/চরাঞ্চলের কর্মহীন ও দুঃস্থ মানুষের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও প্রয়োজনীয় ঔষধ সামগ্রী প্রদান করে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন। উপকূলীয় ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলে অবৈধ মৎস্য আহরণ, মাদক ও মানব পাচার রোধ, অবৈধ জালের ব্যবহার, বনজ সম্পদ রক্ষা, নৌযান ও নৌপথে জানমালের নিরাপত্তা বিষয়ে স্থানীয় জেলে, মাঝি ও পেশাজীবীদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে নিয়মিত জনসচেতনতামূলক বক্তব্য
প্রদান করে থাকে। সুন্দরবন সংরক্ষণ এবং সুন্দরবনের অভ্যন্তরীন সকল ধরনের অবৈধ কর্মকান্ডকে প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন কর্তৃক নিয়মিত অভিযান অব্যহত রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রচন্ড খড়া রোদে ডিএমপি কমিশনারের স্বস্থির উদ্যোগ

বন ও নদীর মাছ রক্ষায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের অভিযান

আপডেট টাইম : ০৭:২২:৫৬ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ১২ মার্চ ২০২৩

বাংলাদেশ কোস্টগার্ড খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও সুন্দরবন অঞ্চলের জনগণের সার্বিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে। বিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক ম্যানগ্রোভ ফরেষ্ট সুন্দরবনের চার ভাগের ৩ ভাগ এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। স্থানীয় জনসাধারনের সার্বিক নিরাপত্তা, চিকিৎসাসহ বিভিন্ন সেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে কোস্ট গার্ডের সদস্যরা। সুন্দরবন অঞ্চলের নদ- নদী ও মৎস্য সম্পদ সুরক্ষায় কাজ করছে। পাশাপাশি সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল মৎস্যজীবী, মৌয়াল, বাওয়ালী ও অন্যান্য পেশার দরিদ্র মানুষের একমাত্র ভরসার প্রতীক কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে পালন করে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের অপারেশন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার তারেক আহমেদ জানান, কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন তার এখতিয়ারভূক্ত এলাকাসমূহে চোরাকারবারকারী, পাঁচারকারী, বিদেশী মদ, গাঁজা, ইয়াবা, হরিণের মাংস, মাথা ও চামড়া, পেইন্ট, জেলিপুশকৃত চিংড়ি, চিংড়ি রেনু পোনা, ফাইস্যা পোনা, কচ্ছপ, কাঁকড়া, অবৈধ বোট ও অবৈধ জাল আটকসহ বিভিন্ন অপারেশনাল কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। এর পাশাপাশি মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণে অবৈধভাবে আহরিত জাটকা, চিংড়ি রেনু পোনা, ফাইস্যা পোনা ইত্যাদির সাথে জড়িত ব্যাক্তিবর্গকে আইনের আওতায় আনার ক্ষেত্রে কোস্ট গার্ডের ভূমিকা অসামান্য। সুন্দরবনের অভয়ারণ্য সমূহ যাতে অবাধে মাছ না ধরতে পারে সেজন্য নিয়মিতভাবে রুটিন টহল ও বিভিন্ন অপারেশন পরিচালনা করে আসছে কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন।

মোংলা, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা ও সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় একটি বেইস ও ১৪ টি স্টেশান নিয়ে পরিচালিত হয় কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের কার্যক্রম। এ বাহিনীর কঠোর নজরদারির কারনে সুন্দরবনে বিভিন্ন ধরনের অবৈধ কার্যক্রম অনেকাংশে কমে গেছে। মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করে এর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে কোস্টগার্ড আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করেছে যা ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকবে। সমুদ্র এলাকায় চোরাচালানরোধে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের তৎপরতা চোখে পড়ার মত। এছাড়াও মোংলা বন্দরে আগত বাণিজ্যিক জাহাজের নিরাপত্তা প্রদান এবং বিভিন্ন সময় সমুদ্রে ডুবে যাওয়া জাহাজ, ট্রলার এবং বোটের উদ্ধার কাজে এগিয়ে আসে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন।

এছাড়াও উপকূল/চরাঞ্চলের কর্মহীন ও দুঃস্থ মানুষের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও প্রয়োজনীয় ঔষধ সামগ্রী প্রদান করে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন। উপকূলীয় ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলে অবৈধ মৎস্য আহরণ, মাদক ও মানব পাচার রোধ, অবৈধ জালের ব্যবহার, বনজ সম্পদ রক্ষা, নৌযান ও নৌপথে জানমালের নিরাপত্তা বিষয়ে স্থানীয় জেলে, মাঝি ও পেশাজীবীদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে নিয়মিত জনসচেতনতামূলক বক্তব্য
প্রদান করে থাকে। সুন্দরবন সংরক্ষণ এবং সুন্দরবনের অভ্যন্তরীন সকল ধরনের অবৈধ কর্মকান্ডকে প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন কর্তৃক নিয়মিত অভিযান অব্যহত রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।