ঢাকা ০৭:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগ নেতার দখলের চেষ্টা।এই বিষয়ে সময়ের কন্ঠস্বরে নিউজ প্রকাশের পর এসিল্যান্ডের নিষেধাজ্ঞা ফার্মেসী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (সমগ্র বাংলাদেশ) পাকুন্দিয়া উপজেলা শাখা কমিটির সকলকে সনদ প্রদান ও আলোচনা সভা ২৫২ বছরের ইতিহাসে চট্টগ্রামে এই প্রথম নারী ডিসি ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের পদায়ন ফরিদা খানম গাজীপুর জেলা মহানগর কাশিমপুরে স্বাধীন মত প্রকাশের জেরে থানার ওসির নেতৃত্বে একাধিক সাংবাদিকের নামে মিথ্যা মামলা আজমিরীগঞ্জ পৌর এলাকার গন্জেরহাটি গ্রামের সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রনব বনিকের দখলের চেষ্টা নরসিংদীতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনে আহত সাংবাদিকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান চট্টগ্রামে জনতা ব্যাংক সিবিএ নেতা আফসার আ.লীগের আমলে দাপট দেখিয়ে এখন বিএনপি নিয়োগ, বদলি, চাঁদাবাজি করে কামিয়েছেন টাকা মহারাষ্ট্রে ভূমিধস জয়ের পথে বিজেপি জোট, ঝাড়খণ্ডে ‘ইন্ডিয়া’ পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু জুলাই বিপ্লবে আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমানের ছেলে মো. বাবুকে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হচ্ছে থাইল্যান্ড

ডেমরা থানার এসআই মোজাম্মেল হক ছিনতাই করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরাখেলেন এএসআই এরহাতে

সরকার জামাল 'বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ১১:৩৭:২৬ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩
  • / ৪১১ ৫০০০.০ বার পাঠক

-ছিনতাই ও অপহরণের চেষ্টাকালে পুলিশের হাতেই ধরা পড়লেন ডেমরা থানার এক উপপরিদর্শক (এসআই) সহ ৪ জন। অভিযুক্ত এসআইয়ের নাম মোজাম্মেল হক (৩৭)। রাজশাহী জেলার বাগমারা থানার ময়েজ উদ্দিনের ছেলে তিনি। তার বাকি সঙ্গীরা হলেন – রূপগঞ্জের ভুলতা এলাকার মাসুদ মিয়ার ছেলে আতিকুর রহমান ওরফে সোহেল (২৯), একই এলাকার মনজুর হোসেনের ছেলে হালিম মিয়া (২০) এবং বিজয় (২৬)। বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) রাতে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের প্রভাকরদী বাজার এলাকায় ছিনতাইকালে আটক হন এসআই মোজাম্মেল। শুক্রবার (১০ মার্চ) এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী (২৫) আড়াইহাজার থানায় মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়। গ্রেফতার আসামি মোজাম্মেল হক রাজধানীর ডেমরা থানার এসআই বলে নিশ্চিত করেছেন ডেমরা থানার ওসি শফিকুর রহমান। তবে গ্রেফতারকৃত বাকিরা তার থানার কনস্টেবল নয় বলে জানান তিনি।
আড়াইহাজার থানায় মামলা দায়েরের বিষয়টি স্বীকার করে থানা পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতাররা সংঘবদ্ধ ছিনতাইচক্রের সদস্য। ডেমরা থানার এসআই মোজাম্মেল হকও এই চক্রের একজন হোতা।
আড়াইহাজার থানার উপপরিদর্শক (এস আই) নাহিদ মাসুম ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, তাদের নারায়ণগঞ্জ ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলাটি ডিবি তদন্ত করবেন।
নারায়ণগঞ্জ ডিবির ওসি নজরুল ইসলাম ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে তিনি ও তার বন্ধু রাসেল মিয়া (২৬) রূপগঞ্জের গাউসিয়া থেকে সিএনজিযোগে নিজ বাড়ি আড়াইহাজারের প্রভাকরদী আসছিলেন। পথে সজীব তার মামা সবুজের (৪০) সাথে দেখা করতে আড়াইহাজারের প্রভাকরদী বাজার সংলগ্ন আবদুর রউফের ভাঙারির দোকানের সামনে কাশবনের মাঠে নামেন। সেখানে যাওয়া মাত্রই এসআই মোজাম্মেলসহ ৫জন তাদের ঘিরে ফেলেন। এসময় মোজাম্মেল তার কাছে থাকা পিস্তল বের করে নিজেদের পুলিশের সদস্য বলে পরিচয় দেন এবং সজীব ও তার বন্ধু রাসেলকে হাতকড়া লাগিয়ে দেন।
এক পর্যায়ে আসামি মোজাম্মেলের সঙ্গে থাকা ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা নিজেদেরকে পুলিশের কনস্টেবল বলে পরিচয় দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। এবং মামলার বাদী সজীবের কাছে থাকা নগদ ৮২ হাজার ৫শ টাকা, তার বন্ধু রাসেলের ৩৫ হাজার টাকা ও দুজনের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এক পর্যায়ে আসামিরা তাদেরকে হাতকড়া পরানো অবস্থায় কাশবনের মাঠ থেকে টেনেহিঁচড়ে রাস্তায় নিয়ে আসেন এবং ধস্তাধস্তি করে একটি সিএনজিতে উঠানোর চেষ্টা করেন। এসময় সজীব ও তার বন্ধুর চিৎকারে কিছু দূরেই টহলরত আড়াইহাজার থানার এএসআই নুরে আলম সঙ্গীয় পুলিশ সদস্যদের নিয়ে এগিয়ে আসেন।
সেখানে আসামি মোজাম্মেল নিজেদের ডেমরা থানা পুলিশের সদস্য পরিচয় দিলে এএসআই নুরে আলম তাদের পরিচয়পত্র দেখতে চান। আসামি নিজেদের পরিচয়পত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়। বিষয়টি ছিনতাই আঁচ করতে পেরে এএসআই নুরে আলম আড়াইহাজার থানায় খবর দিলে এসআই নাহিদ মাসুমের নেতৃত্বে অপর পুলিশ টিম ঘটনাস্থলে এসে আসামিদের আটক করে। এসময় অজ্ঞাত এক আসামি পালিয়ে যায়। উদ্ধারকৃত টাকা ছিনতাইয়ের বলে আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন বলে জানান এসআই নাহিদ মাসুম।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ডেমরা থানার এসআই মোজাম্মেল হক ছিনতাই করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরাখেলেন এএসআই এরহাতে

আপডেট টাইম : ১১:৩৭:২৬ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩

-ছিনতাই ও অপহরণের চেষ্টাকালে পুলিশের হাতেই ধরা পড়লেন ডেমরা থানার এক উপপরিদর্শক (এসআই) সহ ৪ জন। অভিযুক্ত এসআইয়ের নাম মোজাম্মেল হক (৩৭)। রাজশাহী জেলার বাগমারা থানার ময়েজ উদ্দিনের ছেলে তিনি। তার বাকি সঙ্গীরা হলেন – রূপগঞ্জের ভুলতা এলাকার মাসুদ মিয়ার ছেলে আতিকুর রহমান ওরফে সোহেল (২৯), একই এলাকার মনজুর হোসেনের ছেলে হালিম মিয়া (২০) এবং বিজয় (২৬)। বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) রাতে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের প্রভাকরদী বাজার এলাকায় ছিনতাইকালে আটক হন এসআই মোজাম্মেল। শুক্রবার (১০ মার্চ) এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী (২৫) আড়াইহাজার থানায় মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়। গ্রেফতার আসামি মোজাম্মেল হক রাজধানীর ডেমরা থানার এসআই বলে নিশ্চিত করেছেন ডেমরা থানার ওসি শফিকুর রহমান। তবে গ্রেফতারকৃত বাকিরা তার থানার কনস্টেবল নয় বলে জানান তিনি।
আড়াইহাজার থানায় মামলা দায়েরের বিষয়টি স্বীকার করে থানা পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতাররা সংঘবদ্ধ ছিনতাইচক্রের সদস্য। ডেমরা থানার এসআই মোজাম্মেল হকও এই চক্রের একজন হোতা।
আড়াইহাজার থানার উপপরিদর্শক (এস আই) নাহিদ মাসুম ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, তাদের নারায়ণগঞ্জ ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলাটি ডিবি তদন্ত করবেন।
নারায়ণগঞ্জ ডিবির ওসি নজরুল ইসলাম ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে তিনি ও তার বন্ধু রাসেল মিয়া (২৬) রূপগঞ্জের গাউসিয়া থেকে সিএনজিযোগে নিজ বাড়ি আড়াইহাজারের প্রভাকরদী আসছিলেন। পথে সজীব তার মামা সবুজের (৪০) সাথে দেখা করতে আড়াইহাজারের প্রভাকরদী বাজার সংলগ্ন আবদুর রউফের ভাঙারির দোকানের সামনে কাশবনের মাঠে নামেন। সেখানে যাওয়া মাত্রই এসআই মোজাম্মেলসহ ৫জন তাদের ঘিরে ফেলেন। এসময় মোজাম্মেল তার কাছে থাকা পিস্তল বের করে নিজেদের পুলিশের সদস্য বলে পরিচয় দেন এবং সজীব ও তার বন্ধু রাসেলকে হাতকড়া লাগিয়ে দেন।
এক পর্যায়ে আসামি মোজাম্মেলের সঙ্গে থাকা ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা নিজেদেরকে পুলিশের কনস্টেবল বলে পরিচয় দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। এবং মামলার বাদী সজীবের কাছে থাকা নগদ ৮২ হাজার ৫শ টাকা, তার বন্ধু রাসেলের ৩৫ হাজার টাকা ও দুজনের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এক পর্যায়ে আসামিরা তাদেরকে হাতকড়া পরানো অবস্থায় কাশবনের মাঠ থেকে টেনেহিঁচড়ে রাস্তায় নিয়ে আসেন এবং ধস্তাধস্তি করে একটি সিএনজিতে উঠানোর চেষ্টা করেন। এসময় সজীব ও তার বন্ধুর চিৎকারে কিছু দূরেই টহলরত আড়াইহাজার থানার এএসআই নুরে আলম সঙ্গীয় পুলিশ সদস্যদের নিয়ে এগিয়ে আসেন।
সেখানে আসামি মোজাম্মেল নিজেদের ডেমরা থানা পুলিশের সদস্য পরিচয় দিলে এএসআই নুরে আলম তাদের পরিচয়পত্র দেখতে চান। আসামি নিজেদের পরিচয়পত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়। বিষয়টি ছিনতাই আঁচ করতে পেরে এএসআই নুরে আলম আড়াইহাজার থানায় খবর দিলে এসআই নাহিদ মাসুমের নেতৃত্বে অপর পুলিশ টিম ঘটনাস্থলে এসে আসামিদের আটক করে। এসময় অজ্ঞাত এক আসামি পালিয়ে যায়। উদ্ধারকৃত টাকা ছিনতাইয়ের বলে আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন বলে জানান এসআই নাহিদ মাসুম।