নবীনগর নারায়ণপুর ডিএস কামিল মাদ্রাসার চুরি

- আপডেট টাইম : ০৩:৩৭:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ ২০২৩
- / ২১৮ ১৫০.০০০ বার পাঠক
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরে
নবীনগর পৌর এলাকায় এক মাসে প্রায় ৫০ চুরি হয়েছে
স্থানীয়দের অভিযোগ স্থানীয়দের সহযোগিতায় ও পুলিশের ঢিলেঢালা অভিযানের কারণে চুরি হচ্ছে দাবি পৌরবাসীর।
বুধবার বিকেলে ৭ নং ওয়ার্ডের নারায়ণপুর ডিএস কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষের কক্ষে তালা ভেঙ্গে কম্পিউটার চুরি করে নিয়েছে। তছনছ করা হয়েছে ড্রয়ারে থাকা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।
নবীনগর পৌরসভার ৯ টি ওয়ার্ডের লোকজন চুরির কারণে আতঙ্কে বসবাস করছেন।জানালার শিক কেটে ঘরে ঢুকে, স্টিলের আলমারির তালা ভেঙ্গে ভেতরে খোঁজাখুঁজি করছিল চোরের দল, বৃদ্ধ শিক্ষক আব্দুর রউফের হাতের লাঠির আওয়াজ পেয়ে চোরের হাতের পাইপ রেঞ্জ ফেলে,চার-পাঁচ জনের একটি চক্র পালিয়ে যায়।
তিন দিন আগে চুরি হয়েছিল একই গ্রামের রহমান ডাক্তারের বাড়ির ভাড়াটিয়া আয়ুব মিয়ার বাসায়।
অত্র এলাকার মাহিম বলেন, দিন কয়েক আগে শিরন ভাইয়ের বাড়িতে তিনটি মোবাইল ফোন চুরি হয়েছে, স্থানীয় কিছু লোক চোরের কাছ থেকে মাসিক (মানতি) টাকা নিয়ে থাকে। আমাদের ফ্যামিলির নিরাপত্তার জন্য নাম বলতে পারছি না।
চোরদের তালিকায় মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, ঘরে রাখা
নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, পানি সুবিধায় বাসায় ব্যবহৃত পানির মোটর, বাদ পড়ছে না অটোরিকশা ও ইজি বাইক।
চুরি হয়েছে পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড মধ্যপাড়া বশির শিকদারের বাড়িতে। বশির বলেন নগদ টাকা স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে জানালার শিক কেটে, থানায় মামলা করেছি (মামলা নং ২২) কোন প্রতিকার পাইনি।
দুইদিন পরে পাশের বাড়ির সুমন সাহার বাড়িতেও একই আলামতে চুরি হয়েছে।
ভুক্তভোগীরা বলেন পৌর এলাকায় একটি চক্র সিন্ডিকেট করে চুরি করছে। প্রশাসনসহ ঊর্ধ্বতনদের সহযোগিতা চাই।
বিট পুলিশের ঢিলেঢালা অভিযানকে দায়ী করছেন মেয়র শিব শংকর দাস। তিনি বলেন পুলিশের আরও স্টেপ নিতে হবে সব জায়গায় চুরি বেড়েছে।
এ সকল বিষয়ে জানতে চাইলে নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, আমাদের কাজ চলমান আছে অচিরেই এর ফলাফল পাবেন।