ঢাকা ০৪:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
নাসিরনগর উপজেলা সদরে দিনে-দুপুরে ফ্ল্যাটে চুরি হাসিনা ভারতে বসে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে. ড. রেজাউল করিম মঠবাড়ীয়া আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫ইং ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয় টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকের হস্তক্ষেপে মামলা প্রত্যাহার হওয়া টাঙ্গাইলবাসী খুশি! সভাপতি/সম্পাদকের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ অনিয়মের বিরুদ্ধে জনপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান সিইসির পুলিশ, র‌্যাব, আনসারের নতুন পোশাক চুড়ান্ত নাইজেরিয়ায় ট্যাংকার ট্রাক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ৮৬ অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করা প্রতিবেদন প্রত্যাহার ব্রিটিশ এমপিদের যুবদল নেতাকে পিটিয়ে আহত করেছে স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতা বরগুনার, পাথরঘাটায় সাবেক ইউপি সদস্যকে হুমকি ও মারধর

বাবা-চাচা গুরুতর আহত, ঘাতক গ্রেপ্তার মহম্মদপুরে চাচাতো ভাইয়ের হাতে চাচাতো ভাই খুন

মহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি :
  • আপডেট টাইম : ০৫:৩৬:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ ২০২৩
  • / ২০৮ ৫০০০.০ বার পাঠক

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার বালিদিয়া ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামে চাচাতো ভাই সোহেলের হাতে আল-

আমীন (২৭) নামের এক যুবক নৃশংসভাবে খুন হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ মার্চ) রাত ৮ ঘটিকায় এই ঘটনা ঘটে। আমীন ওই গ্রামের শামছুর রহমানের ছেলে। রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘাতক সোহেলকে গ্রেপ্তার করেছে। সোহেল রানার পিতার নাম নওশের শেখ। নিহত যুবক ও ঘাতকের মধ্যে পরস্পর সম্পর্ক আপন চাচাতো ভাই। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মাগুরার মর্গে প্রেরণ করেছে। এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।

মহম্মদপুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) বোরহান উল ইসলাম জানান, উপজেলার বালিদিয়া ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের আল-আমীনের স্ত্রী প্রিয়া খাতুন তার চাচাতো ভাই সেহেল রানার স্ত্রী সম্পর্কে এলাকায় কুৎসা
রটায়। এ বিষয়টি নিয়ে ঘটনার রাতে আমীনের সাথে সোহেল রানার কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে
সোহেল রানা ধারালো দা’ দিয়ে বাড়ির পশ্চিম পাশের ফঁাকা জায়গায় আমীনকে কুপিয়ে মারাত্বক জখম করে। বাধা দিতে এগিয়ে গেলে আমীনের বাবা শামছুর রহমান এবং নিজের বাবা নওশের আলীকেও কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায় সোহেল রানা।

স্থানীয়রা তিনজনকে সেখান থেকে উদ্ধার করে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আল-আমীনকে মৃত: বলে ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত অপর দুই ব্যক্তি শামছুর রহমার (৫৫) এবং নওশের আলী (৬০) কে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

নৃশংস এই ঘটনার পর মাগুরার পুলিশ সুপার মশিউদ্দৌলা রেজা জেলার চারটি থানার পুলিশকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন। থানায় থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয় ঘাতক সোহেল রানার ছবি। ঘাতক সোহেল রানাকে
গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালাতে থাকে পুলিশ সদস্যরা। হত্যাকান্ডের
তিনঘণ্টা পর মাগুরা-ঢাকা মহাসড়কের ওয়াপদা নামক এলাকা থেকে সোহাগ পরিবহনের একটি বাসে (ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-৯৮৫৮) তল্লাশি করেন শ্রীপুর থানার এসআই ইন্দ্রজিৎসহ সঙ্গীয় ফোর্স। এ বাসে তল্লাশি করে ঘাতক সোহেলকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। তার দেওয়া তথ্যমতে হত্যাকন্ডে ব্যবহৃত ধারালো দা’ উদ্ধার করেন পুলিশ।

মহম্মদপুর থানার ওসি অসিত কুমার রায় বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘মাগুরা জেলা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার প্রক্কালে হত্যাকারী সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বাবা-চাচা গুরুতর আহত, ঘাতক গ্রেপ্তার মহম্মদপুরে চাচাতো ভাইয়ের হাতে চাচাতো ভাই খুন

আপডেট টাইম : ০৫:৩৬:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ ২০২৩

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার বালিদিয়া ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামে চাচাতো ভাই সোহেলের হাতে আল-

আমীন (২৭) নামের এক যুবক নৃশংসভাবে খুন হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ মার্চ) রাত ৮ ঘটিকায় এই ঘটনা ঘটে। আমীন ওই গ্রামের শামছুর রহমানের ছেলে। রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘাতক সোহেলকে গ্রেপ্তার করেছে। সোহেল রানার পিতার নাম নওশের শেখ। নিহত যুবক ও ঘাতকের মধ্যে পরস্পর সম্পর্ক আপন চাচাতো ভাই। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মাগুরার মর্গে প্রেরণ করেছে। এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।

মহম্মদপুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) বোরহান উল ইসলাম জানান, উপজেলার বালিদিয়া ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের আল-আমীনের স্ত্রী প্রিয়া খাতুন তার চাচাতো ভাই সেহেল রানার স্ত্রী সম্পর্কে এলাকায় কুৎসা
রটায়। এ বিষয়টি নিয়ে ঘটনার রাতে আমীনের সাথে সোহেল রানার কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে
সোহেল রানা ধারালো দা’ দিয়ে বাড়ির পশ্চিম পাশের ফঁাকা জায়গায় আমীনকে কুপিয়ে মারাত্বক জখম করে। বাধা দিতে এগিয়ে গেলে আমীনের বাবা শামছুর রহমান এবং নিজের বাবা নওশের আলীকেও কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায় সোহেল রানা।

স্থানীয়রা তিনজনকে সেখান থেকে উদ্ধার করে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আল-আমীনকে মৃত: বলে ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত অপর দুই ব্যক্তি শামছুর রহমার (৫৫) এবং নওশের আলী (৬০) কে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

নৃশংস এই ঘটনার পর মাগুরার পুলিশ সুপার মশিউদ্দৌলা রেজা জেলার চারটি থানার পুলিশকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন। থানায় থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয় ঘাতক সোহেল রানার ছবি। ঘাতক সোহেল রানাকে
গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালাতে থাকে পুলিশ সদস্যরা। হত্যাকান্ডের
তিনঘণ্টা পর মাগুরা-ঢাকা মহাসড়কের ওয়াপদা নামক এলাকা থেকে সোহাগ পরিবহনের একটি বাসে (ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-৯৮৫৮) তল্লাশি করেন শ্রীপুর থানার এসআই ইন্দ্রজিৎসহ সঙ্গীয় ফোর্স। এ বাসে তল্লাশি করে ঘাতক সোহেলকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। তার দেওয়া তথ্যমতে হত্যাকন্ডে ব্যবহৃত ধারালো দা’ উদ্ধার করেন পুলিশ।

মহম্মদপুর থানার ওসি অসিত কুমার রায় বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘মাগুরা জেলা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার প্রক্কালে হত্যাকারী সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।