ঢাকা ০৪:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ফরজ বিধান পর্দা যেখানে নাই, সেখানে রহমত নাই -ছারছীনার পীর ছাহেব ভ্যাট ও শুল্ক কমানোর দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে রেস্তোরা মালিক, শ্রমিকের মানববন্ধন টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করায় বিএনপির মহাসচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ! ব্যাংক খাত ধ্বংসের শুরুটা হয় এসকে সুরের হাত দিয়ে গ্যাস-সংকটে চট্টগ্রামে দেশি বিদেশি বিনিয়োগে স্থবিরতা মাত্র ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট হলে নতুন বিনিয়োগ বাড়বে ঢাকা রাজধানী শাজাহানপুর ডাকাতি মামলার আসামি গ্রেফতার করেছে পুলিশ গাজীপুরে প্রতিবেশীদের হামলায় অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ আহত দুই: তদন্তে পুলিশ নাসিরনগরে মাতৃস্বাস্থ্য উন্নয়ন ও সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ক এ্যাডভোকেসী সভা ভৈরবে আওয়ামী লীগের পরিত্যক্ত অফিস থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার ঠাকুরগাঁওয়ে সীমান্তে বিএসএফ’র হাতে বাংলাদেশী আটক

কসবায় শিশু সুমাইয়া হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন

কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকে ইয়াসিন মনি খান
  • আপডেট টাইম : ০৯:১৫:০১ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৭ মার্চ ২০২৩
  • / ২০৬ ৫০০০.০ বার পাঠক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় সৎ মায়ের হাতে শিশু শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার নিহতের ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করা হয়েছে। নিহত শিশুর সৎ মায়ের ফাঁসির দাবিতে উপজেলার ১৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এ মানববন্ধন করেন।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে নিহত শিশু সুমাইয়ার বাবা শামিম মিয়া, স্ত্রী শারমিন আক্তারের ফাঁসির দাবি জানান। এ সময় শিক্ষার্থীদের স্লোগানে পুরো এলাকা মুখরিত হয়ে উঠে।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ‘বর্ণী আলহাজ আঙ্গুরা-বাশার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের’ প্রধান শিক্ষক মো. আবুল খায়ের, সহকারী শিক্ষক আবুল হোসেন, মোজাম্মেল হক, আরজ মিয়া, শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস ও তৈয়্যবা আক্তার।

এ সময় বক্তারা সৎ মা শারমিন আক্তারকে দ্রুত গ্রেপ্তার করায় পুলিশ প্রশাসন ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের প্রতি প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তাঁরা সুমাইয়ার খুনি সৎ মায়ের ফাঁসির দাবি করেন। যেনো আর কোনো সন্তান সৎ মায়ের হাতে এমন নির্মম বলির পাঠা না হয়।

এ বিষয়ে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ‘দৈনিক সময়ের কন্ঠকে’ বলেন, ‘পুলিশের পক্ষ থেকে এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচারের জন্য সহসাই চার্জশিট প্রদান করা হবে। এ ব্যাপারে খুনি শারমিন আক্তার কোনো প্রকার ছাড় পাবে না।’

উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে গত ২০ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ফুল কিনতে টাকা চাইলে সৎ মা শারমিন আক্তার ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর করে শিশু সুমাইয়াকে। রাতে ক্ষিপ্ত হয়ে সৎ মা শাসনের নামে গলা চেপে ধরলে নির্মমভাবে মৃত্যু হয় শিশু সুমাইয়ার। পরদিন ২১ ফেব্রুয়ারি ভোরে প্রভাত ফেরি করতে স্কুলের সহপাঠীরা সুমাইয়ার বাড়িতে গিয়ে বিছানায় তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়।

পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠালে হত্যার আলামত পাওয়া যায়। এ ঘটনায় সুমাইয়ার বড় ভাই আরমিন ভূঁইয়া বাদী হয়ে সৎ মা শারমিন আক্তারকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গত শনিবার শারমিন আক্তার রিমান্ডে পুলিশের কাছে ও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কসবায় শিশু সুমাইয়া হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন

আপডেট টাইম : ০৯:১৫:০১ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৭ মার্চ ২০২৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় সৎ মায়ের হাতে শিশু শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার নিহতের ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করা হয়েছে। নিহত শিশুর সৎ মায়ের ফাঁসির দাবিতে উপজেলার ১৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এ মানববন্ধন করেন।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে নিহত শিশু সুমাইয়ার বাবা শামিম মিয়া, স্ত্রী শারমিন আক্তারের ফাঁসির দাবি জানান। এ সময় শিক্ষার্থীদের স্লোগানে পুরো এলাকা মুখরিত হয়ে উঠে।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ‘বর্ণী আলহাজ আঙ্গুরা-বাশার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের’ প্রধান শিক্ষক মো. আবুল খায়ের, সহকারী শিক্ষক আবুল হোসেন, মোজাম্মেল হক, আরজ মিয়া, শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস ও তৈয়্যবা আক্তার।

এ সময় বক্তারা সৎ মা শারমিন আক্তারকে দ্রুত গ্রেপ্তার করায় পুলিশ প্রশাসন ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের প্রতি প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তাঁরা সুমাইয়ার খুনি সৎ মায়ের ফাঁসির দাবি করেন। যেনো আর কোনো সন্তান সৎ মায়ের হাতে এমন নির্মম বলির পাঠা না হয়।

এ বিষয়ে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ‘দৈনিক সময়ের কন্ঠকে’ বলেন, ‘পুলিশের পক্ষ থেকে এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচারের জন্য সহসাই চার্জশিট প্রদান করা হবে। এ ব্যাপারে খুনি শারমিন আক্তার কোনো প্রকার ছাড় পাবে না।’

উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে গত ২০ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ফুল কিনতে টাকা চাইলে সৎ মা শারমিন আক্তার ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর করে শিশু সুমাইয়াকে। রাতে ক্ষিপ্ত হয়ে সৎ মা শাসনের নামে গলা চেপে ধরলে নির্মমভাবে মৃত্যু হয় শিশু সুমাইয়ার। পরদিন ২১ ফেব্রুয়ারি ভোরে প্রভাত ফেরি করতে স্কুলের সহপাঠীরা সুমাইয়ার বাড়িতে গিয়ে বিছানায় তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়।

পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠালে হত্যার আলামত পাওয়া যায়। এ ঘটনায় সুমাইয়ার বড় ভাই আরমিন ভূঁইয়া বাদী হয়ে সৎ মা শারমিন আক্তারকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গত শনিবার শারমিন আক্তার রিমান্ডে পুলিশের কাছে ও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।