ঢাকা ১০:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
আজমিরিগঞ্জে ৮ লিটার চোলাই মদসহ এক যুবক গ্রেপ্তার। মোঃ আংগুর মিয়া নাসিরনগরে তরুণের পায়ের রগ কেটে দেওয়ার অভিযোগ সাংবাদিক সুরক্ষা ও কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা ময়মনসিংহ জেলায় ভাঙ্গুড়ায় ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা এসপি বলেন , লিখিত পরীক্ষায় বাছাই হওয়া ২৮৫ জনকে আমার ফোন নম্বর দিয়ে দিয়েছি তদন্ত প্রতিবেদনে হাসিনার বিরুদ্ধে ৫ অভিযোগ চিকিৎসকদের পরিবর্তনের মানসিকতা নিয়ে চিকিৎসা সেবার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার যুদ্ধবিরতির পর ভারত-পাকিস্তান যা দাবি করছে হাসিনা কামাল মামুনের বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা নাসিরনগরে বজ্রপাতে শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু

হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও পুরোদমে চলছে ইটভাটার কাজ

সুমন গোগ, নাসির নগর, (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ১১:৪৬:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ মার্চ ২০২৩
  • / ৩০৯ ১৫০০০.০ বার পাঠক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসির নগর উপজেলার হরিপুর এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা দুটি ইটভাটা উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চালিয়ে যাচ্ছে উৎপাদন।

হরিপুর রাজবাড়ী থেকে কয়েকশত গজ দক্ষিণে রয়েল ব্রিকস ও সততা ব্রিকস নামে অবৈধভাবে গড়ে উঠে দুটি ইটভাটা। স্থানীয়রা ইট ভাটা দুটি এখান থেকে সরিয়ে অন্যত্র স্থানান্তরের দাবি জানান।
ইট ভাটা দুটি অন্যত্র স্থানান্তরের জন্য স্থানীয় হরিপুর গ্রামের ইয়াকুব মিয়ার ছেলে মোঃ আউয়াল মিয়া গত ৩০ জানুয়ারি ২০২২ সালে উচ্চ আদালতে একটি পিটিশন দায়ের করেন, যার নম্বর ১৪৬৫৯। পিটিশনে তিনি উল্লেখ করেন ভাটা দুটির কালো ধোয়ার দূষণে স্থানীয় এলাকার পরিবেশ দুষিত হচ্ছে। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রী ও এলাকার মানুষ নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এর প্রতিকার চেয়ে তিনি ভাটা দুটির পরিবেশ অধিদপ্তর ছাড়পত্র বাতিল করে অন্যত্র স্থানান্তরের দাবি করেন। এই বিষয়ে আউয়াল মিয়া জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর বরাবর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্যও আবেদন করেছেন।
মহামান্য হাইকোর্ট ২০২২ সালের ২০ নভেম্বর একটি রুল জারি করেন। যা ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ উচ্চ আদালতে যথাযথ জবাব দিতে না পারায় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ উচ্চ আদালত ভাটা দুটিকে বন্ধের নির্দেশ দেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে ভাটার মালিকরা প্রশাসনকে মেনেজ করে উৎপাদন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

দৈনিক সময়ের কন্ঠ প্রতিনিধি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রয়েল ব্রিকস ও সততা ব্রিকস দুটিতেই পুরোদমে উৎপাদন চলছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক বলছিলেন এখানে প্রশাসনের লোকজন আসে মাঝে মধ্যে তাদের মেনেজ করেই চলছে উৎপাদন।
রয়েল ব্রিকস ও সততা ব্রিকস দুটিতেই গিয়ে মালিক পক্ষের কাউকে পাওয়া যায় নি। কারখানার ব্যাবস্থাপক ও সটকে পড়ে।
পরে রয়েল ব্রিকস এর মালিক মোঃ ইয়াসিন মিয়ার সাথে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি ঢাকায় আছি পরে এসে কথা বলবো।

নাসির নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুল্লাহ সরকার বলেন, ইট ভাটা অনুমোদন বা বন্ধের দায়িত্ব আমাদের নয়। এইটা পরিবেশ অধিদপ্তর ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব, আমরা শুধু সহযোগিতা করতে পারি। আর এই রায়ের কোন কপি আমাদের হাতে আসেনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ফখরুল ইসলাম বলেন, গত দুইতিন দিন আগে আমার হাতে রায়ের কপি এসেছে। আমরা এই গুলোর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছি।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও পুরোদমে চলছে ইটভাটার কাজ

আপডেট টাইম : ১১:৪৬:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ মার্চ ২০২৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসির নগর উপজেলার হরিপুর এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা দুটি ইটভাটা উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চালিয়ে যাচ্ছে উৎপাদন।

হরিপুর রাজবাড়ী থেকে কয়েকশত গজ দক্ষিণে রয়েল ব্রিকস ও সততা ব্রিকস নামে অবৈধভাবে গড়ে উঠে দুটি ইটভাটা। স্থানীয়রা ইট ভাটা দুটি এখান থেকে সরিয়ে অন্যত্র স্থানান্তরের দাবি জানান।
ইট ভাটা দুটি অন্যত্র স্থানান্তরের জন্য স্থানীয় হরিপুর গ্রামের ইয়াকুব মিয়ার ছেলে মোঃ আউয়াল মিয়া গত ৩০ জানুয়ারি ২০২২ সালে উচ্চ আদালতে একটি পিটিশন দায়ের করেন, যার নম্বর ১৪৬৫৯। পিটিশনে তিনি উল্লেখ করেন ভাটা দুটির কালো ধোয়ার দূষণে স্থানীয় এলাকার পরিবেশ দুষিত হচ্ছে। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রী ও এলাকার মানুষ নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এর প্রতিকার চেয়ে তিনি ভাটা দুটির পরিবেশ অধিদপ্তর ছাড়পত্র বাতিল করে অন্যত্র স্থানান্তরের দাবি করেন। এই বিষয়ে আউয়াল মিয়া জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর বরাবর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্যও আবেদন করেছেন।
মহামান্য হাইকোর্ট ২০২২ সালের ২০ নভেম্বর একটি রুল জারি করেন। যা ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ উচ্চ আদালতে যথাযথ জবাব দিতে না পারায় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ উচ্চ আদালত ভাটা দুটিকে বন্ধের নির্দেশ দেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে ভাটার মালিকরা প্রশাসনকে মেনেজ করে উৎপাদন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

দৈনিক সময়ের কন্ঠ প্রতিনিধি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রয়েল ব্রিকস ও সততা ব্রিকস দুটিতেই পুরোদমে উৎপাদন চলছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক বলছিলেন এখানে প্রশাসনের লোকজন আসে মাঝে মধ্যে তাদের মেনেজ করেই চলছে উৎপাদন।
রয়েল ব্রিকস ও সততা ব্রিকস দুটিতেই গিয়ে মালিক পক্ষের কাউকে পাওয়া যায় নি। কারখানার ব্যাবস্থাপক ও সটকে পড়ে।
পরে রয়েল ব্রিকস এর মালিক মোঃ ইয়াসিন মিয়ার সাথে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি ঢাকায় আছি পরে এসে কথা বলবো।

নাসির নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুল্লাহ সরকার বলেন, ইট ভাটা অনুমোদন বা বন্ধের দায়িত্ব আমাদের নয়। এইটা পরিবেশ অধিদপ্তর ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব, আমরা শুধু সহযোগিতা করতে পারি। আর এই রায়ের কোন কপি আমাদের হাতে আসেনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ফখরুল ইসলাম বলেন, গত দুইতিন দিন আগে আমার হাতে রায়ের কপি এসেছে। আমরা এই গুলোর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছি।