ঢাকা ১২:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ভারতে নিহত সাবেক এমপি আনারের কোটি টাকার গাড়ি মিলল কুষ্টিয়ায় বিলাওয়ালের দাবি পাকিস্তানের টার্গেট ছিল ২০ ভারতীয় যুদ্ধবিমান, ভূপাতিত করে ৬ ৬০০ টাকা পাওয়াকে কেন্দ্র করে মা ছেলেকে মারধর থানায় অভিযোগ দায়ের গুম ফেরত সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল’র বাক স্বাধীনতা হরণ লন্ডনে ড. ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠকের সম্ভাবনা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান চামড়া শিল্পের সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে সারাদেশে ব্যক্তিগতভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছি’ গ্রেটা থুনবার্গের জাহাজ ‘ম্যাডলিন’ আটকের কারণ কী, যা বলছে ইসরাইল ঢাকা রাজধানী খিলগাঁও, ঈদুল আযহারের তৃতীয় দিনে ডিপুর পরিচ্ছন্ন কর্মীদের সাথে প্রেরণামূলক দেখা সাক্ষাৎ। কাউন্সিলর পতপ্রার্থী বিক্ষোভে উত্তাল লস অ্যাঞ্জেলস, গাড়িতে আগুন বিক্ষোভ চলাকালে গাড়িতে আগুন ২ মেয়েকে বিষ খাইয়ে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যার চেষ্টা

হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও পুরোদমে চলছে ইটভাটার কাজ

সুমন গোগ, নাসির নগর, (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ১১:৪৬:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ মার্চ ২০২৩
  • / ৩১৫ ১৫০.০০০ বার পাঠক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসির নগর উপজেলার হরিপুর এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা দুটি ইটভাটা উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চালিয়ে যাচ্ছে উৎপাদন।

হরিপুর রাজবাড়ী থেকে কয়েকশত গজ দক্ষিণে রয়েল ব্রিকস ও সততা ব্রিকস নামে অবৈধভাবে গড়ে উঠে দুটি ইটভাটা। স্থানীয়রা ইট ভাটা দুটি এখান থেকে সরিয়ে অন্যত্র স্থানান্তরের দাবি জানান।
ইট ভাটা দুটি অন্যত্র স্থানান্তরের জন্য স্থানীয় হরিপুর গ্রামের ইয়াকুব মিয়ার ছেলে মোঃ আউয়াল মিয়া গত ৩০ জানুয়ারি ২০২২ সালে উচ্চ আদালতে একটি পিটিশন দায়ের করেন, যার নম্বর ১৪৬৫৯। পিটিশনে তিনি উল্লেখ করেন ভাটা দুটির কালো ধোয়ার দূষণে স্থানীয় এলাকার পরিবেশ দুষিত হচ্ছে। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রী ও এলাকার মানুষ নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এর প্রতিকার চেয়ে তিনি ভাটা দুটির পরিবেশ অধিদপ্তর ছাড়পত্র বাতিল করে অন্যত্র স্থানান্তরের দাবি করেন। এই বিষয়ে আউয়াল মিয়া জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর বরাবর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্যও আবেদন করেছেন।
মহামান্য হাইকোর্ট ২০২২ সালের ২০ নভেম্বর একটি রুল জারি করেন। যা ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ উচ্চ আদালতে যথাযথ জবাব দিতে না পারায় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ উচ্চ আদালত ভাটা দুটিকে বন্ধের নির্দেশ দেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে ভাটার মালিকরা প্রশাসনকে মেনেজ করে উৎপাদন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

দৈনিক সময়ের কন্ঠ প্রতিনিধি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রয়েল ব্রিকস ও সততা ব্রিকস দুটিতেই পুরোদমে উৎপাদন চলছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক বলছিলেন এখানে প্রশাসনের লোকজন আসে মাঝে মধ্যে তাদের মেনেজ করেই চলছে উৎপাদন।
রয়েল ব্রিকস ও সততা ব্রিকস দুটিতেই গিয়ে মালিক পক্ষের কাউকে পাওয়া যায় নি। কারখানার ব্যাবস্থাপক ও সটকে পড়ে।
পরে রয়েল ব্রিকস এর মালিক মোঃ ইয়াসিন মিয়ার সাথে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি ঢাকায় আছি পরে এসে কথা বলবো।

নাসির নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুল্লাহ সরকার বলেন, ইট ভাটা অনুমোদন বা বন্ধের দায়িত্ব আমাদের নয়। এইটা পরিবেশ অধিদপ্তর ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব, আমরা শুধু সহযোগিতা করতে পারি। আর এই রায়ের কোন কপি আমাদের হাতে আসেনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ফখরুল ইসলাম বলেন, গত দুইতিন দিন আগে আমার হাতে রায়ের কপি এসেছে। আমরা এই গুলোর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছি।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও পুরোদমে চলছে ইটভাটার কাজ

আপডেট টাইম : ১১:৪৬:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ মার্চ ২০২৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসির নগর উপজেলার হরিপুর এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা দুটি ইটভাটা উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চালিয়ে যাচ্ছে উৎপাদন।

হরিপুর রাজবাড়ী থেকে কয়েকশত গজ দক্ষিণে রয়েল ব্রিকস ও সততা ব্রিকস নামে অবৈধভাবে গড়ে উঠে দুটি ইটভাটা। স্থানীয়রা ইট ভাটা দুটি এখান থেকে সরিয়ে অন্যত্র স্থানান্তরের দাবি জানান।
ইট ভাটা দুটি অন্যত্র স্থানান্তরের জন্য স্থানীয় হরিপুর গ্রামের ইয়াকুব মিয়ার ছেলে মোঃ আউয়াল মিয়া গত ৩০ জানুয়ারি ২০২২ সালে উচ্চ আদালতে একটি পিটিশন দায়ের করেন, যার নম্বর ১৪৬৫৯। পিটিশনে তিনি উল্লেখ করেন ভাটা দুটির কালো ধোয়ার দূষণে স্থানীয় এলাকার পরিবেশ দুষিত হচ্ছে। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রী ও এলাকার মানুষ নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এর প্রতিকার চেয়ে তিনি ভাটা দুটির পরিবেশ অধিদপ্তর ছাড়পত্র বাতিল করে অন্যত্র স্থানান্তরের দাবি করেন। এই বিষয়ে আউয়াল মিয়া জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর বরাবর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্যও আবেদন করেছেন।
মহামান্য হাইকোর্ট ২০২২ সালের ২০ নভেম্বর একটি রুল জারি করেন। যা ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ উচ্চ আদালতে যথাযথ জবাব দিতে না পারায় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ উচ্চ আদালত ভাটা দুটিকে বন্ধের নির্দেশ দেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে ভাটার মালিকরা প্রশাসনকে মেনেজ করে উৎপাদন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

দৈনিক সময়ের কন্ঠ প্রতিনিধি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রয়েল ব্রিকস ও সততা ব্রিকস দুটিতেই পুরোদমে উৎপাদন চলছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক বলছিলেন এখানে প্রশাসনের লোকজন আসে মাঝে মধ্যে তাদের মেনেজ করেই চলছে উৎপাদন।
রয়েল ব্রিকস ও সততা ব্রিকস দুটিতেই গিয়ে মালিক পক্ষের কাউকে পাওয়া যায় নি। কারখানার ব্যাবস্থাপক ও সটকে পড়ে।
পরে রয়েল ব্রিকস এর মালিক মোঃ ইয়াসিন মিয়ার সাথে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি ঢাকায় আছি পরে এসে কথা বলবো।

নাসির নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুল্লাহ সরকার বলেন, ইট ভাটা অনুমোদন বা বন্ধের দায়িত্ব আমাদের নয়। এইটা পরিবেশ অধিদপ্তর ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব, আমরা শুধু সহযোগিতা করতে পারি। আর এই রায়ের কোন কপি আমাদের হাতে আসেনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ফখরুল ইসলাম বলেন, গত দুইতিন দিন আগে আমার হাতে রায়ের কপি এসেছে। আমরা এই গুলোর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছি।