ঢাকা ১০:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
যাদবপুর কেন্দ্রের তৃনমূল দলের প্রার্থী শাওনি ঘোষের হরে প্রচারে স্পিকার বিমান ব্যানার্জী ইবিতে কোটি টাকা ব্যয়েও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত পরিবহন সেবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন- মঠবাড়িয়া দুই চেয়াররম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত-৫ : গ্রেপ্তার-৫ টাঙ্গাইল জেলা গোপালপুর উপজেলা গোপালপুর পৌর এলাকা হাটবৈরান গ্রামে বেলা তিনটার দিকে স্বামীর হাতে বউ খুন ফুলবাড়ীতে বোরো ধান ও চাল সংগ্রহের উদ্ভোদন পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩ পদে ১০জন প্রার্থী ব্যপক প্রচার-প্রচারণায় মুখর ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে আগামী ২১ মে জাহিদ সোহরাওয়ার্দী বাপ্পির মোটরসাইকেলের গনসংযোগ জনগণের ব্যাপক সাড়া জামালপুরে ধান কাটার মৌসুম শুরু র‌্যাব-১২, অভিযানে সিরাজগঞ্জে ৫৪ গ্রাম হেরোইনসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও পুরোদমে চলছে ইটভাটার কাজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসির নগর উপজেলার হরিপুর এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা দুটি ইটভাটা উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চালিয়ে যাচ্ছে উৎপাদন।

হরিপুর রাজবাড়ী থেকে কয়েকশত গজ দক্ষিণে রয়েল ব্রিকস ও সততা ব্রিকস নামে অবৈধভাবে গড়ে উঠে দুটি ইটভাটা। স্থানীয়রা ইট ভাটা দুটি এখান থেকে সরিয়ে অন্যত্র স্থানান্তরের দাবি জানান।
ইট ভাটা দুটি অন্যত্র স্থানান্তরের জন্য স্থানীয় হরিপুর গ্রামের ইয়াকুব মিয়ার ছেলে মোঃ আউয়াল মিয়া গত ৩০ জানুয়ারি ২০২২ সালে উচ্চ আদালতে একটি পিটিশন দায়ের করেন, যার নম্বর ১৪৬৫৯। পিটিশনে তিনি উল্লেখ করেন ভাটা দুটির কালো ধোয়ার দূষণে স্থানীয় এলাকার পরিবেশ দুষিত হচ্ছে। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রী ও এলাকার মানুষ নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এর প্রতিকার চেয়ে তিনি ভাটা দুটির পরিবেশ অধিদপ্তর ছাড়পত্র বাতিল করে অন্যত্র স্থানান্তরের দাবি করেন। এই বিষয়ে আউয়াল মিয়া জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর বরাবর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্যও আবেদন করেছেন।
মহামান্য হাইকোর্ট ২০২২ সালের ২০ নভেম্বর একটি রুল জারি করেন। যা ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ উচ্চ আদালতে যথাযথ জবাব দিতে না পারায় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ উচ্চ আদালত ভাটা দুটিকে বন্ধের নির্দেশ দেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে ভাটার মালিকরা প্রশাসনকে মেনেজ করে উৎপাদন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

দৈনিক সময়ের কন্ঠ প্রতিনিধি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রয়েল ব্রিকস ও সততা ব্রিকস দুটিতেই পুরোদমে উৎপাদন চলছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক বলছিলেন এখানে প্রশাসনের লোকজন আসে মাঝে মধ্যে তাদের মেনেজ করেই চলছে উৎপাদন।
রয়েল ব্রিকস ও সততা ব্রিকস দুটিতেই গিয়ে মালিক পক্ষের কাউকে পাওয়া যায় নি। কারখানার ব্যাবস্থাপক ও সটকে পড়ে।
পরে রয়েল ব্রিকস এর মালিক মোঃ ইয়াসিন মিয়ার সাথে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি ঢাকায় আছি পরে এসে কথা বলবো।

নাসির নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুল্লাহ সরকার বলেন, ইট ভাটা অনুমোদন বা বন্ধের দায়িত্ব আমাদের নয়। এইটা পরিবেশ অধিদপ্তর ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব, আমরা শুধু সহযোগিতা করতে পারি। আর এই রায়ের কোন কপি আমাদের হাতে আসেনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ফখরুল ইসলাম বলেন, গত দুইতিন দিন আগে আমার হাতে রায়ের কপি এসেছে। আমরা এই গুলোর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছি।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

যাদবপুর কেন্দ্রের তৃনমূল দলের প্রার্থী শাওনি ঘোষের হরে প্রচারে স্পিকার বিমান ব্যানার্জী

হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও পুরোদমে চলছে ইটভাটার কাজ

আপডেট টাইম : ১১:৪৬:৪৩ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ৪ মার্চ ২০২৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসির নগর উপজেলার হরিপুর এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা দুটি ইটভাটা উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চালিয়ে যাচ্ছে উৎপাদন।

হরিপুর রাজবাড়ী থেকে কয়েকশত গজ দক্ষিণে রয়েল ব্রিকস ও সততা ব্রিকস নামে অবৈধভাবে গড়ে উঠে দুটি ইটভাটা। স্থানীয়রা ইট ভাটা দুটি এখান থেকে সরিয়ে অন্যত্র স্থানান্তরের দাবি জানান।
ইট ভাটা দুটি অন্যত্র স্থানান্তরের জন্য স্থানীয় হরিপুর গ্রামের ইয়াকুব মিয়ার ছেলে মোঃ আউয়াল মিয়া গত ৩০ জানুয়ারি ২০২২ সালে উচ্চ আদালতে একটি পিটিশন দায়ের করেন, যার নম্বর ১৪৬৫৯। পিটিশনে তিনি উল্লেখ করেন ভাটা দুটির কালো ধোয়ার দূষণে স্থানীয় এলাকার পরিবেশ দুষিত হচ্ছে। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রী ও এলাকার মানুষ নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এর প্রতিকার চেয়ে তিনি ভাটা দুটির পরিবেশ অধিদপ্তর ছাড়পত্র বাতিল করে অন্যত্র স্থানান্তরের দাবি করেন। এই বিষয়ে আউয়াল মিয়া জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর বরাবর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্যও আবেদন করেছেন।
মহামান্য হাইকোর্ট ২০২২ সালের ২০ নভেম্বর একটি রুল জারি করেন। যা ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ উচ্চ আদালতে যথাযথ জবাব দিতে না পারায় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ উচ্চ আদালত ভাটা দুটিকে বন্ধের নির্দেশ দেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে ভাটার মালিকরা প্রশাসনকে মেনেজ করে উৎপাদন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

দৈনিক সময়ের কন্ঠ প্রতিনিধি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রয়েল ব্রিকস ও সততা ব্রিকস দুটিতেই পুরোদমে উৎপাদন চলছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক বলছিলেন এখানে প্রশাসনের লোকজন আসে মাঝে মধ্যে তাদের মেনেজ করেই চলছে উৎপাদন।
রয়েল ব্রিকস ও সততা ব্রিকস দুটিতেই গিয়ে মালিক পক্ষের কাউকে পাওয়া যায় নি। কারখানার ব্যাবস্থাপক ও সটকে পড়ে।
পরে রয়েল ব্রিকস এর মালিক মোঃ ইয়াসিন মিয়ার সাথে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি ঢাকায় আছি পরে এসে কথা বলবো।

নাসির নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুল্লাহ সরকার বলেন, ইট ভাটা অনুমোদন বা বন্ধের দায়িত্ব আমাদের নয়। এইটা পরিবেশ অধিদপ্তর ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব, আমরা শুধু সহযোগিতা করতে পারি। আর এই রায়ের কোন কপি আমাদের হাতে আসেনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ফখরুল ইসলাম বলেন, গত দুইতিন দিন আগে আমার হাতে রায়ের কপি এসেছে। আমরা এই গুলোর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছি।