নাজিরপুরে কালীগঙ্গা নদীর ভাঙ্গনে হুমকির মুখে তিন গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক পরিবার
- আপডেট টাইম : ১২:৪২:১৫ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
- / ২৪৮ ৫০০০.০ বার পাঠক
পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার কালিগঙ্গা নদী র ভাঙ্গনে হুমকির মুখে তিন গ্রাম। শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের চলিশা গ্রাম থেকে জীবগ্রামের পাশ ঘেঁষে বয়ে চলা কালীগঙ্গা নদীর ভাঙ্গনে ভিটে বাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছেন নদী তীরবর্তী তিন গ্রামের দুই শতাধিক পরিবার। শীত কালের শুরু থেকে নদীর পানি কমতে থাকলে নদী ভাঙ্গনের ভয়াবহতা তীব্র আকার ধারণ করে। এতে করে ইউনিয়নের বাবলা,চলিশা,জীবগ্রাম এ তিন গ্রামে গৃহহীন হচ্ছে শত শত পরিবার, এছাড়া চলাচলের একমাত্র মাধ্যম সড়কটিও নদীগর্ভে বিলিন হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক বছর যাবত এ গ্রামে নদী ভাঙ্গন বেড়েই চলছে। তবে গত দুই বছরের তুলনায় এ বছর ভাঙ্গনের তীব্রতা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। ইতিমধ্যে শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের ৩ গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক পরিবার তাদের ঘরবাড়ি হারিয়ে অন্যত্র বসবাস করছে। ভাঙ্গন আতঙ্কে প্রতিদিন বাড়িঘর সরিয়ে নিচ্ছে গ্রামবাসিরা। এছাড়াও ভাঙ্গন আতঙ্কে রয়েছে ৮৭নং চলিশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বেসরাকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ছাড়াও মসজিদ ও মন্দির।
৮৭নং চলিশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষিকা শিল্পি কর্মকার বলেন বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকে এ এলাকার নদী ভাঙ্গন শুরু হয়, গত দুই মাসে ভাঙ্গনের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে ফলে আমাদের ও ছাত্র ছাত্রদের চলাচলে অসুবিধা সহ ঝুঁকি নিয়ে আসতে হয় স্কুলে, চলিশা গ্রামের কৃষক মোঃ লালু মিয়া জানান আবাদী জমি, গাছ-পালা ও বাশঁঝাড়, নদীগর্ভে চলে গেছে। গত সপ্তাহ থেকে আমাদের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি ও বিলিন হয়ে যাচ্ছে, এভাবে ভাঙ্গতে থাকলে কয়েকদিনের মধ্যে আমাদের বসতভিটা ও নদীতে বিলিন হয়ে যাবে।
৮নং শ্রীরামকাঠী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন বেপারী জানান, ইতোমধ্যে ভাঙ্গনে বহু স্থাপনা নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে। গত এক মাস যাবত ভাঙ্গনের তীব্রতা বেড়েছে কয়েকগুন, অনেক পরিবার তাদের বাড়িঘর স্থানান্তর করে অনত্র বসবাস করছে। দ্রুত ভাঙ্গন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন না করলে মানচিত্র থেকে মুছে যেতে পারে শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের এ তিন গ্রামের অস্থিত্ব। আমার পরিষদের পক্ষ থেকে ভাঙ্গন রোধ কল্পে যতটুকু সম্ভব অতি দ্রুত কার্যকারী ব্যবস্থা গ্রহন করব।
পিরোজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবে মাওলা মোহাম্মদ মেহেদী হাসান জানান,শ্রীরামকাঠী কালিগঙ্গা নদী ভাঙ্গন রোধ সহ জেলার আরো চারটি নদীর ভাঙ্গন রোধে ৬৫৪ কোটী টাকার একটি প্রকল্প জমা দেয়া হয়েছে। প্রকল্পটি পাশ হলে ভাঙ্গন রোধ করা সম্ভব হবে।