ঢাকা ১১:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
সংবাদ শিরোনাম ::
হাজির হাট বাজার পরিচালনা কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজী মনিরুল ইসলামের ওয়াদা ভঙ্গর অভিযোগ উঠেছে পর্যটন দিবসে উপলক্ষে কুয়াকাটায় তিন দিনব্যাপী উৎসব Gay anonymous hookups – what you should know 2022’s 11 Must-Try Milwaukee Dating Apps To Improve Your Own Personal Lifetime ট্যুরিস্ট পুলিশ পর্যটকদের মাঝে আস্থার জায়গা তৈরি করছে, বলেছে। আইজিপি মিটিং হওয়ার পূর্বেই হিতৈষী ও দাতা সদস্য নিয়োগ গোবিন্দগঞ্জে ছিনতাই হওয়া অটোভ্যান উদ্ধার- গ্রেফতার ১ রামপালে নমিনেশন প্রত্যাশী বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী ইজারাদারের লিফলেট বিতরণ ও পথসভা শুভ জন্মদিন ছেলের হাতে বাবা খুন”চট্টগ্রামে ৮ খন্ড লাশ উদ্ধারের রহস্য উদঘাটন করেছে-পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)

দায়িত্বশীলরা টিকা নেওয়ায় ভীতি কেটেছে: স্বাস্থ্যসেবা সচিব

  • সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৬:২২:৫৬ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১
  • ২৮৬ ০.০০০০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।
গণটিকাদানের তৃতীয় দিনে ঢাকাসহ সারা দেশে কেন্দ্রে কেন্দ্রে টিকা-গ্রহীতাদের উপস্থিতি বেড়েছে। মানুষের আগ্রহ বাড়ায় জনবল বৃদ্ধির পাশাপাশি টিকাদানের বুথও বাড়ানো হয়েছে। চাপ সামলাতে বিভিন্ন বুথে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার সারা দেশে টিকা নিয়েছেন ১ লাখ ১ হাজার ৮২ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ৭৪ হাজার ৫৮৬ জন এবং নারী ২৬ হাজার ৪৯৬ জন। ঢাকা বিভাগে ২৫ হাজার ২২০ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪ হাজার ৮৫৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৩ হাজার ৫৪৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৩ হাজার ১১৪ জন, রংপুর বিভাগে ১০ হাজার ২৩৭ জন, খুলনা বিভাগে ১১ হাজার ৩৭২ জন, বরিশাল বিভাগে ৪ হাজার ১৮১ জন ও সিলেট বিভাগে ৮ হাজার ৫৫৯ জন রয়েছেন। এখন পর্যন্ত মোট টিকা নিয়েছেন ১ লাখ ৭৯ হাজার ৩১৮ জন।ঢাকার খিলগাঁওয়ের বাসিন্দা নিলুফার আলম টিকা নিতে এসেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে। ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন ষাটোর্ধ্ব এই নারী। কোভিড-১৯ টিকা নেওয়ার পর বিশ্রামাগারে যখন বসেছিলেন, তখন তার সঙ্গে কথা হয়। নিলুফার বলেন, ‘করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার চেয়ে টিকা নেওয়া ভালো। আগে কিছুটা গুজব ছিল, এ কারণে ভয় পাচ্ছিলাম কিছুটা। তবে সবাই টিকা নিচ্ছে দেখে ভয় কেটে গেছে।’ গণটিকাদানের শুরুর দিন থেকেই বিএসএমএমইউর টিকাদান কেন্দ্রে কোভিড-১৯ টিকা দেওয়া চলছে। তবে মঙ্গলবার ছয়টি বুথে ভিড় ছিল প্রথম দুই দিনের চেয়ে বেশি। ঢাকার অন্য টিকাদান কেন্দ্রগুলোতেও ভিড় আগের চেয়ে বেশি দেখা গেছে। তাদের মধ্যে বয়স্ক নাগরিকেরাও রয়েছেন।স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান বলেন, করোনা ভাইরাসের টিকা নিয়ে প্রথম দিকে কারো কারো মধ্যে ভয় থাকলেও সরকারের দায়িত্ববানেরা টিকা নেওয়ায় ভীতি এখন একেবারেই কেটে গেছে। এখন একটা উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের টিকা কেন্দ্র ঘুরে দেখার পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে ৬ লাখের বেশি মানুষ টিকার জন্য নিবন্ধন করেছে। আমরা চাই মানুষ নিরাপদে এবং আনন্দের সঙ্গে টিকা নেবে।’ সবাইকে নিবন্ধন করে টিকা নিতে আসার আহ্বান জানিয়ে আবদুল মান্নান বলেন, ‘পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন আছে। আরো ভ্যাকসিন আমরা পাচ্ছি বিভিন্ন সোর্স থেকে। যত দিন জনগণ টিকা নিতে চাইবে, টিকার মূল্য যা-ই হোক, প্রধানমন্ত্রী সবাইকে সুরক্ষা দিতে মানসিক ও আর্থিকভাবে প্রস্তুতি নিয়েছেন।’

যে টিকা বাংলাদেশে দেওয়া হচ্ছে, তার প্রতিটি ভায়ালে থাকে ১০টি ডোজ। অর্থাত্, প্রতিটি ভায়াল খোলার পর ১০ জনকে টিকা দেওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে কোনো অপচয় হওয়ার সুযোগ থাকছে কি না, সেই প্রশ্নে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, “যে কোনো ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ ‘ওয়েস্টেজ’ ধরেই হিসাবে করা হয়। তার পরও আমরা বলেছি দশের গুণিতক লোক না আসা পর্যন্ত ভায়াল না খুলতে। তবে আমরা হিসাব করে দেখেছি, অপচয় ১০ শতাংশ এখনো হয়নি।ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক জানান, এই কেন্দ্রে সোমবার ৫০০ জনকে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার দুপুরের আগেই সেই সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে।

গতকাল রামপুরা এলাকা থেকে স্ত্রীসহ টিকা নিতে এসেছিলেন অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা আজগর আলী। তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের চিকিৎসা হিসেবেই টিকা এসেছে। তাই নেওয়া উচিত।

টিকা নিয়েছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। মঙ্গলবার সকালে হুইলচেয়ারে করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে টিকা নিতে আসেন তিনি। টিকা নেওয়ার পর ৮৬ বছর বয়সি মুহিত বলেন, ‘কিছু তো টেরই পাইলাম না।’ এ সময় তিনি করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষা পেতে সবাইকে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানান।

আরো খবর.......
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

হাজির হাট বাজার পরিচালনা কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজী মনিরুল ইসলামের ওয়াদা ভঙ্গর অভিযোগ উঠেছে

দায়িত্বশীলরা টিকা নেওয়ায় ভীতি কেটেছে: স্বাস্থ্যসেবা সচিব

আপডেট টাইম : ০৬:২২:৫৬ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।
গণটিকাদানের তৃতীয় দিনে ঢাকাসহ সারা দেশে কেন্দ্রে কেন্দ্রে টিকা-গ্রহীতাদের উপস্থিতি বেড়েছে। মানুষের আগ্রহ বাড়ায় জনবল বৃদ্ধির পাশাপাশি টিকাদানের বুথও বাড়ানো হয়েছে। চাপ সামলাতে বিভিন্ন বুথে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার সারা দেশে টিকা নিয়েছেন ১ লাখ ১ হাজার ৮২ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ৭৪ হাজার ৫৮৬ জন এবং নারী ২৬ হাজার ৪৯৬ জন। ঢাকা বিভাগে ২৫ হাজার ২২০ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪ হাজার ৮৫৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৩ হাজার ৫৪৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৩ হাজার ১১৪ জন, রংপুর বিভাগে ১০ হাজার ২৩৭ জন, খুলনা বিভাগে ১১ হাজার ৩৭২ জন, বরিশাল বিভাগে ৪ হাজার ১৮১ জন ও সিলেট বিভাগে ৮ হাজার ৫৫৯ জন রয়েছেন। এখন পর্যন্ত মোট টিকা নিয়েছেন ১ লাখ ৭৯ হাজার ৩১৮ জন।ঢাকার খিলগাঁওয়ের বাসিন্দা নিলুফার আলম টিকা নিতে এসেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে। ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন ষাটোর্ধ্ব এই নারী। কোভিড-১৯ টিকা নেওয়ার পর বিশ্রামাগারে যখন বসেছিলেন, তখন তার সঙ্গে কথা হয়। নিলুফার বলেন, ‘করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার চেয়ে টিকা নেওয়া ভালো। আগে কিছুটা গুজব ছিল, এ কারণে ভয় পাচ্ছিলাম কিছুটা। তবে সবাই টিকা নিচ্ছে দেখে ভয় কেটে গেছে।’ গণটিকাদানের শুরুর দিন থেকেই বিএসএমএমইউর টিকাদান কেন্দ্রে কোভিড-১৯ টিকা দেওয়া চলছে। তবে মঙ্গলবার ছয়টি বুথে ভিড় ছিল প্রথম দুই দিনের চেয়ে বেশি। ঢাকার অন্য টিকাদান কেন্দ্রগুলোতেও ভিড় আগের চেয়ে বেশি দেখা গেছে। তাদের মধ্যে বয়স্ক নাগরিকেরাও রয়েছেন।স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান বলেন, করোনা ভাইরাসের টিকা নিয়ে প্রথম দিকে কারো কারো মধ্যে ভয় থাকলেও সরকারের দায়িত্ববানেরা টিকা নেওয়ায় ভীতি এখন একেবারেই কেটে গেছে। এখন একটা উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের টিকা কেন্দ্র ঘুরে দেখার পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে ৬ লাখের বেশি মানুষ টিকার জন্য নিবন্ধন করেছে। আমরা চাই মানুষ নিরাপদে এবং আনন্দের সঙ্গে টিকা নেবে।’ সবাইকে নিবন্ধন করে টিকা নিতে আসার আহ্বান জানিয়ে আবদুল মান্নান বলেন, ‘পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন আছে। আরো ভ্যাকসিন আমরা পাচ্ছি বিভিন্ন সোর্স থেকে। যত দিন জনগণ টিকা নিতে চাইবে, টিকার মূল্য যা-ই হোক, প্রধানমন্ত্রী সবাইকে সুরক্ষা দিতে মানসিক ও আর্থিকভাবে প্রস্তুতি নিয়েছেন।’

যে টিকা বাংলাদেশে দেওয়া হচ্ছে, তার প্রতিটি ভায়ালে থাকে ১০টি ডোজ। অর্থাত্, প্রতিটি ভায়াল খোলার পর ১০ জনকে টিকা দেওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে কোনো অপচয় হওয়ার সুযোগ থাকছে কি না, সেই প্রশ্নে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, “যে কোনো ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ ‘ওয়েস্টেজ’ ধরেই হিসাবে করা হয়। তার পরও আমরা বলেছি দশের গুণিতক লোক না আসা পর্যন্ত ভায়াল না খুলতে। তবে আমরা হিসাব করে দেখেছি, অপচয় ১০ শতাংশ এখনো হয়নি।ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক জানান, এই কেন্দ্রে সোমবার ৫০০ জনকে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার দুপুরের আগেই সেই সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে।

গতকাল রামপুরা এলাকা থেকে স্ত্রীসহ টিকা নিতে এসেছিলেন অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা আজগর আলী। তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের চিকিৎসা হিসেবেই টিকা এসেছে। তাই নেওয়া উচিত।

টিকা নিয়েছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। মঙ্গলবার সকালে হুইলচেয়ারে করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে টিকা নিতে আসেন তিনি। টিকা নেওয়ার পর ৮৬ বছর বয়সি মুহিত বলেন, ‘কিছু তো টেরই পাইলাম না।’ এ সময় তিনি করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষা পেতে সবাইকে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানান।