ঢাকা ১২:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

রুয়েটে জামায়াতপন্থী দায়িত্বপ্রাপ্ত ভিসির সরকারবিরোধী ক্ষমতার জোরে অকেজো হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস

শেখ শিবলী রাজশাহী
  • আপডেট টাইম : ০২:০১:৪৯ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
  • / ৫৪৩ ৫০০০.০ বার পাঠক

বিএনপি-জামায়াতপন্থী’ জঙ্গিদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে পরিচিত উত্তরবঙ্গের প্রকৌশল শিক্ষার প্রতিষ্ঠান রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েটের) আপদকালীন ভাইস-চ্যান্সেলর (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ) অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেনের সর্বগ্রাসী দুর্নীতি, নৈতিক স্থলন, অনিয়ম, অনৈতিক ও বিধিবহির্ভুত কর্মকাণ্ড ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে অশান্ত ক্যাম্পাস। আপদকালীন ভিসির দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই অতিরিক্ত দায়িত্বের এই ভিসির বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষক-ছাত্র ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্যাম্পাসে সংগঠিত করে অন্যদিকে সরকারি দলকে দুর্বল করতে এভাবে প্রগতিশীলদের কোণঠাসা করে রাখার বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়; বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়ম ও আইন-কানুন ভঙ্গ করে একনায়কতন্ত্রচর্চা, লুটপাট,অবৈধ নিয়োগ, জামায়ত-বিএনপিকে অর্থায়ন’সহ সরকারবিরোধী কর্মকান্ড করে যাচ্ছেতাই অবস্থা, কয়েক মাসেই পুরো ক্যাম্পাসকে এক “অকেজো-পরিস্থিতির’ সৃষ্টি করেছেন।

 

অনুসন্ধানে জানা গেছে, চলতি বছরের ৩ আগস্ট ডিনের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি রুয়েটে আপদকালীন ভিসির (অতিরিক্ত দায়িত্ব) পদ পাওয়ার পর পরই ১৬-আগস্ট বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অনৈতিকভাবে (যা তার, এখতিয়ারবহির্ভূত) বাসা বরাদ্দের নোটিশও জারি করান। ‘ কীসের ক্ষমতার অপব্যবহার’ করে অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ এখানেই থেমে থাকেননি, বিধি লঙ্ঘন করে প্রফেসর কোয়ার্টার (এ-২/এ বিল্ডিং) অধ্যাপকের (গ্রেড ১ থেকে ৩) নিচের পদের (সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষক) কোনো, শিক্ষককে বরাদ্দ দেয়ার সুযোগ নেই।, কিন্তু রুয়েটের প্রচলিত আইন ভেঙ্গে গত ১৪-সেপ্টেম্বর অনৈতিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবান এন্ড রিজিওনাল প্লানিং (ইউআরপি) বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমানকে প্রফেসর কোয়ার্টার (এ-২/এ বিল্ডিং) বরাদ্দ দেন।

আরও জানা গেছে -অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন আপদকালীন দায়িত্ব পেয়েই পূর্ণাঙ্গ ভিসির সার্বক্ষণিক গাড়ি, ভিসির নির্ধারিত মোবাইল, ভিসির দপ্তর ব্যবহার, ভিসির নেমপ্লেট ও অনার বোর্ডে নিজেকে তিনি পূর্ণাঙ্গ ভিসি হিসেবে নামও ব্যবহার করছেন। যা সম্পূর্ণ বিধিবহির্ভূত এবং অনৈতিক অযোগ্য ভিসি বলছেন সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া ভিসির মতই রেখেছেন, পার্সোনাল গার্ড ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও। অথচ বিধি’ মোতাবেক অতিরিক্ত দায়িত্বের ভিসির সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার নিয়ম কোনভাবেই নেই। তথা রুয়েটের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলন, সভা, সেমিনার’সহ, নানান অনুষ্ঠানের ব্যানারেও পূর্ণাঙ্গ ভিসি’র পদবী ব্যবহার করে যাচ্ছেন। যেটি, সম্পূর্ণ বিধিবহির্ভূত ও অপরাধমূলক। এই অধ্যাপক ড. সাজ্জাদের বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা ও ক্যাম্পাসে বিএনপি-জামায়াত ছাত্রশিবিরের শিক্ষক- ছাত্র ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংগঠিত করার প্রচেষ্টা সর্বজনবিদিত, রুয়েট ক্যাম্পাসে। অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ, বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষক” হিসেবে বেশ পরিচিত, বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট’রা সকলেই অবগত। অন্যদিকে জঙ্গিবাদী, কর্মকান্ডে প্রগতিশীল শিক্ষকগণ অতিষ্ঠ। এমনকি ২০১৮-১৯ সেশনে বিএনপি-জামায়াতপন্থী (পরিবর্তনের লক্ষে মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী) প্যানেল থেকে রুয়েটে শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে সদস্য পদে ভোটও করেন। এই অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন। শুধু তাই নয়; জাতীয় নির্বাচনসহ বিভিন্ন নির্বাচনের সময়ে নগরীর মোন্নাফের মোড়ে অধ্যাপক ড. সাজ্জাদের নিজ বাসায় বিএনপি-জামায়াতের বৈঠক সভা মিটিং অনুষ্ঠিত হওয়ায় জামায়াত’কে অর্থায়ন করার সুনির্দিষ্ট অভিযোগও রয়েছে।

নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠনের যোগসাজশের ঘনিষ্ঠতার কথাও গণমাধ্যম সূত্রে বেরিয়ে আসে। এছাড়া দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই ক্যাম্পাসে বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীদের শক্তিশালী ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে পদায়ন করারও অভিযোগ রয়েছে। দায়িত্ব নেয়ার পর রুয়েটের নির্বাহী প্রকৌশলী পদে কর্মরত ক্যাম্পাসে বিএনপি-জামায়াতপন্থী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অন্যতম সংগঠক, প্রধান পৃষ্ঠপোষক রগ কাটায় সিদ্ধাহস্ত ও সাবেক শিবির ক্যাডার আহসান হাবীবসহ” বিএনপিপন্থী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংগঠক, ইতিপূর্বে জামায়াত শিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিএনপির নেতা কামাল হোসেন ইতিকে, অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ বানিয়েছেন ডান-বাম হাত। তথ্য সূত্রে রুয়েট ক্যাম্পাসে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন ঝামেলার সমস্যার সমাধান করতে এই ‘ভিসি, ড. অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন।তার ডান-বাম, দুই কর্মকর্তাকেই ‘মধ্যস্থতাকারী’ দালাল হিসেবে পাঠিয়ে থাকেন- ইতোপূর্বে কখনো ‘বুদ্ধিজীবী’ কিংবা ‘বিজয় দিবসে’ বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শহীদ মিনারে ফুল দিতো না। কিন্তু তার (ভিসি’র) ইন্দোনে তারা’ এবার এসব, কর্মসূচিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। লোক দেখানো কর্মসূচী, এখন মাত্র চেহারার ভোল্ট পাল্টিয়ে অভিনব কৌশলে অনেকেই আওয়ামী লীগ, সেজে রয়েছেন। বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষক ‘ভিসি’র দায়িত্ব পাওয়ার সুযোগ সুবিধাতে রাষ্ট্রবিরোধী নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গিসংগঠনগুলোও আবারও চরমহারে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে পুরো রুয়েট ক্যাম্পাসে।

আরও জানা গেছে ২০১৯-সালের ৯ মে হিজবুত তাহরীরের পোস্টার লাগাতে গিয়ে মহিলা কলেজের সামনে থেকে গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন রুয়েটের সিএসই বিভাগের ১২-সিরিজের শিক্ষার্থী তানভীর হোসাইন। অথচ গত ১৯-সেপ্টেম্বর দুপুর-১২টার দিকে হিজবুত তাহরীরের-সদস্যসহ রুয়েট শাখা ছাত্র’দলের সাবেক আহ্বায়ক আহমেদ হোসেন, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এমদাদুল হকসহ বেশ কয়েকজন বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রধান ফটকের সামনে প্রকাশ্যে মিটিং করে। এই অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ভিসি অধ্যাপক ড. সাজ্জাদের মদদে। রুয়েটের সেকশন অফিসার সোহেল রানাকেও তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখা যায়।

এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রুয়েট শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি মোহাম্মদ ইসফাক ইপু গণমাধ্যমকে বলেন, ‘নাশকতা ও ক্যাম্পাাসকে অস্থিতিশীল করতেই সেদিন হিজবুত তাহরীর, ছাত্রদল ও শিবির সম্মিলিতভাবে প্রকাশ্যে মিটিং করে। যা, আমাদের জন্য আগাম হুমকির অশনিসংকেত দিচ্ছে। আওয়ামী লীগ, সরকার ক্ষমতা ছাড়বে সেদিন। আওয়ামী’লীগপন্থী শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীদের একজনেরও রুয়েটে চাকরি থাকবে না।

প্রকাশ্যে হুমকিধামকি দিয়েও বেড়াচ্ছেন। এই বিএনপির নেতা কামাল হোসেন ইতি। গণমাধ্যম সূত্রে রুয়েটের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ভিসি, অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন। আরও অভিযোগ রয়েছে। গত রবিবার ২৯ জানুয়ারি রাজশাহী ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে আওয়ামীলীগের বিশাল জনসভায় বেলা সোয়া তিনটায় আওয়ামী লীগ, সভাপতি শেখ হাসিনা জনসভা মঞ্চে উঠলে কয়েক লক্ষ নেতা-কর্মীরা স্লোগান দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। পরে প্রধানমন্ত্রী হাত উঁচিয়ে নেতা-কর্মীদের অভিবাদন জানিয়ে তিনি বক্তব্যে বলেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিবেন তারা হাত উঁচু করে আমাকে দেখান। এসময় নৌকার পক্ষে কয়েক লক্ষ নেতাকর্মীরা হাত উঁচু করলেও রুয়েটের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ভিসি ড. সাজ্জাদ হোসেনের হাত উঁচু করেননি বলেও জানা গেছে। অল্প সময়ের মধ্যে রুয়েটে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার স্বপক্ষের প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনগুলো ও শিক্ষকবৃন্দগণ’ প্রত্যাশা করেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের এন্টি টেরোরিজম ইউনিটসহ বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিধি অনুযায়ী (রুয়েটের) দায়িত্বপ্রাপ্ত ভিসির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে এবং অল্প সময়ের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাসম্পন্ন ভিসি নিয়োগ দিতে হবে। অভিযোগ তুলেছেন রুয়েটের সরকারি দলের শিক্ষক-কর্মকর্তা কর্মচারীরা।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

রুয়েটে জামায়াতপন্থী দায়িত্বপ্রাপ্ত ভিসির সরকারবিরোধী ক্ষমতার জোরে অকেজো হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস

আপডেট টাইম : ০২:০১:৪৯ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

বিএনপি-জামায়াতপন্থী’ জঙ্গিদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে পরিচিত উত্তরবঙ্গের প্রকৌশল শিক্ষার প্রতিষ্ঠান রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েটের) আপদকালীন ভাইস-চ্যান্সেলর (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ) অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেনের সর্বগ্রাসী দুর্নীতি, নৈতিক স্থলন, অনিয়ম, অনৈতিক ও বিধিবহির্ভুত কর্মকাণ্ড ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে অশান্ত ক্যাম্পাস। আপদকালীন ভিসির দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই অতিরিক্ত দায়িত্বের এই ভিসির বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষক-ছাত্র ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্যাম্পাসে সংগঠিত করে অন্যদিকে সরকারি দলকে দুর্বল করতে এভাবে প্রগতিশীলদের কোণঠাসা করে রাখার বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়; বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়ম ও আইন-কানুন ভঙ্গ করে একনায়কতন্ত্রচর্চা, লুটপাট,অবৈধ নিয়োগ, জামায়ত-বিএনপিকে অর্থায়ন’সহ সরকারবিরোধী কর্মকান্ড করে যাচ্ছেতাই অবস্থা, কয়েক মাসেই পুরো ক্যাম্পাসকে এক “অকেজো-পরিস্থিতির’ সৃষ্টি করেছেন।

 

অনুসন্ধানে জানা গেছে, চলতি বছরের ৩ আগস্ট ডিনের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি রুয়েটে আপদকালীন ভিসির (অতিরিক্ত দায়িত্ব) পদ পাওয়ার পর পরই ১৬-আগস্ট বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অনৈতিকভাবে (যা তার, এখতিয়ারবহির্ভূত) বাসা বরাদ্দের নোটিশও জারি করান। ‘ কীসের ক্ষমতার অপব্যবহার’ করে অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ এখানেই থেমে থাকেননি, বিধি লঙ্ঘন করে প্রফেসর কোয়ার্টার (এ-২/এ বিল্ডিং) অধ্যাপকের (গ্রেড ১ থেকে ৩) নিচের পদের (সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষক) কোনো, শিক্ষককে বরাদ্দ দেয়ার সুযোগ নেই।, কিন্তু রুয়েটের প্রচলিত আইন ভেঙ্গে গত ১৪-সেপ্টেম্বর অনৈতিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবান এন্ড রিজিওনাল প্লানিং (ইউআরপি) বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমানকে প্রফেসর কোয়ার্টার (এ-২/এ বিল্ডিং) বরাদ্দ দেন।

আরও জানা গেছে -অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন আপদকালীন দায়িত্ব পেয়েই পূর্ণাঙ্গ ভিসির সার্বক্ষণিক গাড়ি, ভিসির নির্ধারিত মোবাইল, ভিসির দপ্তর ব্যবহার, ভিসির নেমপ্লেট ও অনার বোর্ডে নিজেকে তিনি পূর্ণাঙ্গ ভিসি হিসেবে নামও ব্যবহার করছেন। যা সম্পূর্ণ বিধিবহির্ভূত এবং অনৈতিক অযোগ্য ভিসি বলছেন সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া ভিসির মতই রেখেছেন, পার্সোনাল গার্ড ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও। অথচ বিধি’ মোতাবেক অতিরিক্ত দায়িত্বের ভিসির সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার নিয়ম কোনভাবেই নেই। তথা রুয়েটের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলন, সভা, সেমিনার’সহ, নানান অনুষ্ঠানের ব্যানারেও পূর্ণাঙ্গ ভিসি’র পদবী ব্যবহার করে যাচ্ছেন। যেটি, সম্পূর্ণ বিধিবহির্ভূত ও অপরাধমূলক। এই অধ্যাপক ড. সাজ্জাদের বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা ও ক্যাম্পাসে বিএনপি-জামায়াত ছাত্রশিবিরের শিক্ষক- ছাত্র ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংগঠিত করার প্রচেষ্টা সর্বজনবিদিত, রুয়েট ক্যাম্পাসে। অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ, বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষক” হিসেবে বেশ পরিচিত, বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট’রা সকলেই অবগত। অন্যদিকে জঙ্গিবাদী, কর্মকান্ডে প্রগতিশীল শিক্ষকগণ অতিষ্ঠ। এমনকি ২০১৮-১৯ সেশনে বিএনপি-জামায়াতপন্থী (পরিবর্তনের লক্ষে মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী) প্যানেল থেকে রুয়েটে শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে সদস্য পদে ভোটও করেন। এই অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন। শুধু তাই নয়; জাতীয় নির্বাচনসহ বিভিন্ন নির্বাচনের সময়ে নগরীর মোন্নাফের মোড়ে অধ্যাপক ড. সাজ্জাদের নিজ বাসায় বিএনপি-জামায়াতের বৈঠক সভা মিটিং অনুষ্ঠিত হওয়ায় জামায়াত’কে অর্থায়ন করার সুনির্দিষ্ট অভিযোগও রয়েছে।

নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠনের যোগসাজশের ঘনিষ্ঠতার কথাও গণমাধ্যম সূত্রে বেরিয়ে আসে। এছাড়া দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই ক্যাম্পাসে বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীদের শক্তিশালী ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে পদায়ন করারও অভিযোগ রয়েছে। দায়িত্ব নেয়ার পর রুয়েটের নির্বাহী প্রকৌশলী পদে কর্মরত ক্যাম্পাসে বিএনপি-জামায়াতপন্থী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অন্যতম সংগঠক, প্রধান পৃষ্ঠপোষক রগ কাটায় সিদ্ধাহস্ত ও সাবেক শিবির ক্যাডার আহসান হাবীবসহ” বিএনপিপন্থী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংগঠক, ইতিপূর্বে জামায়াত শিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিএনপির নেতা কামাল হোসেন ইতিকে, অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ বানিয়েছেন ডান-বাম হাত। তথ্য সূত্রে রুয়েট ক্যাম্পাসে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন ঝামেলার সমস্যার সমাধান করতে এই ‘ভিসি, ড. অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন।তার ডান-বাম, দুই কর্মকর্তাকেই ‘মধ্যস্থতাকারী’ দালাল হিসেবে পাঠিয়ে থাকেন- ইতোপূর্বে কখনো ‘বুদ্ধিজীবী’ কিংবা ‘বিজয় দিবসে’ বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শহীদ মিনারে ফুল দিতো না। কিন্তু তার (ভিসি’র) ইন্দোনে তারা’ এবার এসব, কর্মসূচিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। লোক দেখানো কর্মসূচী, এখন মাত্র চেহারার ভোল্ট পাল্টিয়ে অভিনব কৌশলে অনেকেই আওয়ামী লীগ, সেজে রয়েছেন। বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষক ‘ভিসি’র দায়িত্ব পাওয়ার সুযোগ সুবিধাতে রাষ্ট্রবিরোধী নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গিসংগঠনগুলোও আবারও চরমহারে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে পুরো রুয়েট ক্যাম্পাসে।

আরও জানা গেছে ২০১৯-সালের ৯ মে হিজবুত তাহরীরের পোস্টার লাগাতে গিয়ে মহিলা কলেজের সামনে থেকে গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন রুয়েটের সিএসই বিভাগের ১২-সিরিজের শিক্ষার্থী তানভীর হোসাইন। অথচ গত ১৯-সেপ্টেম্বর দুপুর-১২টার দিকে হিজবুত তাহরীরের-সদস্যসহ রুয়েট শাখা ছাত্র’দলের সাবেক আহ্বায়ক আহমেদ হোসেন, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এমদাদুল হকসহ বেশ কয়েকজন বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রধান ফটকের সামনে প্রকাশ্যে মিটিং করে। এই অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ভিসি অধ্যাপক ড. সাজ্জাদের মদদে। রুয়েটের সেকশন অফিসার সোহেল রানাকেও তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখা যায়।

এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রুয়েট শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি মোহাম্মদ ইসফাক ইপু গণমাধ্যমকে বলেন, ‘নাশকতা ও ক্যাম্পাাসকে অস্থিতিশীল করতেই সেদিন হিজবুত তাহরীর, ছাত্রদল ও শিবির সম্মিলিতভাবে প্রকাশ্যে মিটিং করে। যা, আমাদের জন্য আগাম হুমকির অশনিসংকেত দিচ্ছে। আওয়ামী লীগ, সরকার ক্ষমতা ছাড়বে সেদিন। আওয়ামী’লীগপন্থী শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীদের একজনেরও রুয়েটে চাকরি থাকবে না।

প্রকাশ্যে হুমকিধামকি দিয়েও বেড়াচ্ছেন। এই বিএনপির নেতা কামাল হোসেন ইতি। গণমাধ্যম সূত্রে রুয়েটের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ভিসি, অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন। আরও অভিযোগ রয়েছে। গত রবিবার ২৯ জানুয়ারি রাজশাহী ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে আওয়ামীলীগের বিশাল জনসভায় বেলা সোয়া তিনটায় আওয়ামী লীগ, সভাপতি শেখ হাসিনা জনসভা মঞ্চে উঠলে কয়েক লক্ষ নেতা-কর্মীরা স্লোগান দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। পরে প্রধানমন্ত্রী হাত উঁচিয়ে নেতা-কর্মীদের অভিবাদন জানিয়ে তিনি বক্তব্যে বলেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিবেন তারা হাত উঁচু করে আমাকে দেখান। এসময় নৌকার পক্ষে কয়েক লক্ষ নেতাকর্মীরা হাত উঁচু করলেও রুয়েটের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ভিসি ড. সাজ্জাদ হোসেনের হাত উঁচু করেননি বলেও জানা গেছে। অল্প সময়ের মধ্যে রুয়েটে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার স্বপক্ষের প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনগুলো ও শিক্ষকবৃন্দগণ’ প্রত্যাশা করেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের এন্টি টেরোরিজম ইউনিটসহ বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিধি অনুযায়ী (রুয়েটের) দায়িত্বপ্রাপ্ত ভিসির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে এবং অল্প সময়ের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাসম্পন্ন ভিসি নিয়োগ দিতে হবে। অভিযোগ তুলেছেন রুয়েটের সরকারি দলের শিক্ষক-কর্মকর্তা কর্মচারীরা।