ঢাকা ১০:১২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
রাণীশংকৈলে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা কোনাবাড়ি পল্লী বিদ্যুৎ পাওয়ার সাবস্টেশনে আগুন তামাক হচ্ছে মাদকের মূল লক্ষ্য -ডাঃ মোঃ নজরুল ইসলাম কিরাটন ইউনিয়নের পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম আমাদের মাঝে আর নেই শিবগঞ্জে সানামসজিদ স্থলবন্দরে হিট স্ট্রোকে ট্রাফিক পরিদর্শকের মৃত্যু গাজীপুরবাসীর জন্য চরম “সৌভাগ্য’ বর্তমান ডিসি এডিসি রেভিনিউ চৌকস ও মেধাবী দুই কর্মকর্তার চিন্তা,চেতনায় কর্মে, সর্বোপরিভাবে সততাকে প্রাধাণ্য দিয়েই দায়িত্ব পালন করছেন জামালপুরে ভোজ্য তেল সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রনে কিশোরগঞ্জে নিখোঁজের পর ছাত্রলীগ নেতার গলিত মরদেহ উদ্ধার চাঁপাইনবাবগঞ্জে বৃষ্টির জন্য চোখের পানিতে বুক ভাসিয়ে ইসতিসকার নামাজ আদায় মঠবাড়ীয়া তীব্র তাপদাহের হাত থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য বিশেষ। প্রার্থনা

মোংলায় নিন্ম মানের পন্য দিয়ে ডিলারদের কাছ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ

  • মোংলা প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ০৯:১৮:১৪ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
  • ১৬৩ ০.০০০ বার পাঠক

জাহানারা কোম্পানি লিমিটেড এর এন এস এম ( ন্যাশনাল সেলস ম্যানেজার) পরিচয় দিয়ে বাগেরহাট জেলার কয়েক থানা থেকে ১৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় এক প্রতারক। ভুক্ত ভোগী রাজ্জাক ব্রাদার্স এর সোহাগ জানান, ফোনে ঐ প্রতারক তাকে ঢাকায় আসার কথা বললে সে তার ভুয়া অফিসে যায়। তার অফিস দেখে সে মোহিত হয়। অফিসে ফুল সেটআপ ছিল,তাকে অন্য প্রতারক ব্যক্তিদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় । তারপর তাকে এরিয়া ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ দেয় । সে উক্ত নিয়োগ পত্র নিয়ে মোংলায় ফিরে আসে এবং কাজ শুরু করে । তার কাজ ছিল ডিপু ,ডিলার ও এস আর নিয়োগ করা এবং তাদের পরিচালনা করা । সে উক্ত দায়িত্ব দ্রুততার সাথে সম্পাদন করেন মেসার্স কোয়েল এন্টারপ্রাইজ মোংলা, মেসার্স রাজ্জাক ব্রাদার্স মোংলা, মেসার্স শেখ ট্রেডার্স মোংলা, মেসার্স রাইসা এন্টারপ্রাইজ মোংলা, শিকদার এন্টারপ্রাইজ মোড়লগঞ্জ ও হাসান ট্রেডার্স শরনখোলা । সে কোম্পানীর নির্দেশে শাহ আলম, বিদেশ দাদা, মোঃ রমজান, মোঃ মিলন, মোঃ রাজু আহমেদ ও আলমগীর হোসেন মোল্লা এ এস আর দের নিয়োগ করেন। প্রথম ব্যাংকে ডিডি করতে গেলে সে মাহফুজুর রহমান (এন এস এম)কে ফোন দেয়। উনি জানায় জাহানারা কোম্পানী নামে ডিডি হবে না । এখন থেকে এস এম ট্রেড ইন্টারন্যাশানাল নামে সব কার্যক্রম চলবে। আপনি এস এম ট্রেড ইন্টারন্যাশানাল নামে ডিডি করেন । সে প্রথম কোয়েল ইন্টারপ্রাইজ থেকে তিনলক্ষ টাকা ডাচ বাংলা ব্যাংকে জমা দেয়। জমা দেওয়ার এক মাস পর প্রথম চালানের পন্য পাঠায় । উক্ত পন্যগুলি নিম্ম মানের এবং সিগারেটগুলি ফলের ময়লা কার্টুনে পাঠায় । সাথে সাথে ডিপু তাকে এবং এন এস এম কে বিষয়টি জানায় । এন এস এম বলে কার্টুন শেষ হয়ে গেছে ,আগামি চালানে আর সমাস্যা হবে না । দ্বিতীবার ব্যাংকে দুই লক্ষ টাকা জমা করেন। এমনই ভাবে অন্য ডিলার তারাও টাকা ডাচ বাংলা ব্যাংকে জমা করে । তাদেরকেও নিম্ম মানের পন্য পাঠায় । উক্ত মালগুলো ডিলার বিক্রি করতে পারছে না আর এস আর রাও অনেক চেষ্টা করেও মাল বিক্রি করতে পারছে না । তাহাকে জানালে, সে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় । মাঝে মধ্যে ফোন রিসিভ করে বলে আমি কোম্পানীর সাথে কথা বলে সমাধান করবো । আবার অনেকদিন তার ফোন বন্ধ রাখে । এরমধ্যে দুই তিন মাস অতিক্রম করেন।ডিলাররা সকলে মিলে সোহাগকে তাদের টাকা ফেরৎ দেওয়ার জন্য এবং নিম্ম মানের মালগুলি পরিবর্তন করে দেওয়ার জন্য চাপ দেয় । কিন্তু সে মাহফুজুর রহমান ( এন এস এম) কে ফোন দিলে বলে মিটিংএ আছি । এইভাবে বেশকিছু দিন ধরে করছে । তারপর তার মনে সন্দেহ হলো । এরপর সে ঢাকায় যায় । ঢাকায় উক্ত স্থানে কোম্পানীর কোন অফিস নাই । আশপাশে খবর নিয়ে জানতে পারে দুই মাস আগেই অফিস ছেড়ে দেয় । এই কথা শুনে সে হঠাৎ দিশেহারা হয়ে যায় । তারপর স্থানীয় লোকেরা তাকে স্বাভাবিক ও সুস্থ করে মাহফুজুর রহমান এর বর্তমান ঠিকানা দেয় । স্থানীয় লোকেরা বলে মাহফুজুর রহমান নিজেই এই কোম্পানীর মালিক । তারপর তার কাছে থাকা এন আই ডি ও ছবির সাহায্যে তাহার ঠিকানা খুঁজে পায় এবং খুঁজতে খুঁজতে তার বাড়িতে যায় । তার বাবা , মা ও বোনের স্বামীর সাথে দেখা করে বিষয় গুলো জানান। এরপর মাহফুজুর রহমান তাকে ফোন দিয়ে বলে আমিও চাকরি করি আপনিও চাকরি করেন ।আমিও বেতন পাই নি আপনাকে কোথা থেকে বেতন দেবো । আর এন এস এম বলে ডিলারের ঝামেলা মালিক পক্ষের সাথে বসে সমাধান করবো । আসলে উক্ত ব্যক্তিটিই একজন প্রতারক। সে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে মোংলা ,মোড়লগঞ্জ,রায়েন্দা থেকে ডিলারদের কাছ থেকে পনের লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে।

এ বিষয়ে মোংলা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

রাণীশংকৈলে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা

মোংলায় নিন্ম মানের পন্য দিয়ে ডিলারদের কাছ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ

আপডেট টাইম : ০৯:১৮:১৪ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

জাহানারা কোম্পানি লিমিটেড এর এন এস এম ( ন্যাশনাল সেলস ম্যানেজার) পরিচয় দিয়ে বাগেরহাট জেলার কয়েক থানা থেকে ১৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় এক প্রতারক। ভুক্ত ভোগী রাজ্জাক ব্রাদার্স এর সোহাগ জানান, ফোনে ঐ প্রতারক তাকে ঢাকায় আসার কথা বললে সে তার ভুয়া অফিসে যায়। তার অফিস দেখে সে মোহিত হয়। অফিসে ফুল সেটআপ ছিল,তাকে অন্য প্রতারক ব্যক্তিদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় । তারপর তাকে এরিয়া ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ দেয় । সে উক্ত নিয়োগ পত্র নিয়ে মোংলায় ফিরে আসে এবং কাজ শুরু করে । তার কাজ ছিল ডিপু ,ডিলার ও এস আর নিয়োগ করা এবং তাদের পরিচালনা করা । সে উক্ত দায়িত্ব দ্রুততার সাথে সম্পাদন করেন মেসার্স কোয়েল এন্টারপ্রাইজ মোংলা, মেসার্স রাজ্জাক ব্রাদার্স মোংলা, মেসার্স শেখ ট্রেডার্স মোংলা, মেসার্স রাইসা এন্টারপ্রাইজ মোংলা, শিকদার এন্টারপ্রাইজ মোড়লগঞ্জ ও হাসান ট্রেডার্স শরনখোলা । সে কোম্পানীর নির্দেশে শাহ আলম, বিদেশ দাদা, মোঃ রমজান, মোঃ মিলন, মোঃ রাজু আহমেদ ও আলমগীর হোসেন মোল্লা এ এস আর দের নিয়োগ করেন। প্রথম ব্যাংকে ডিডি করতে গেলে সে মাহফুজুর রহমান (এন এস এম)কে ফোন দেয়। উনি জানায় জাহানারা কোম্পানী নামে ডিডি হবে না । এখন থেকে এস এম ট্রেড ইন্টারন্যাশানাল নামে সব কার্যক্রম চলবে। আপনি এস এম ট্রেড ইন্টারন্যাশানাল নামে ডিডি করেন । সে প্রথম কোয়েল ইন্টারপ্রাইজ থেকে তিনলক্ষ টাকা ডাচ বাংলা ব্যাংকে জমা দেয়। জমা দেওয়ার এক মাস পর প্রথম চালানের পন্য পাঠায় । উক্ত পন্যগুলি নিম্ম মানের এবং সিগারেটগুলি ফলের ময়লা কার্টুনে পাঠায় । সাথে সাথে ডিপু তাকে এবং এন এস এম কে বিষয়টি জানায় । এন এস এম বলে কার্টুন শেষ হয়ে গেছে ,আগামি চালানে আর সমাস্যা হবে না । দ্বিতীবার ব্যাংকে দুই লক্ষ টাকা জমা করেন। এমনই ভাবে অন্য ডিলার তারাও টাকা ডাচ বাংলা ব্যাংকে জমা করে । তাদেরকেও নিম্ম মানের পন্য পাঠায় । উক্ত মালগুলো ডিলার বিক্রি করতে পারছে না আর এস আর রাও অনেক চেষ্টা করেও মাল বিক্রি করতে পারছে না । তাহাকে জানালে, সে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় । মাঝে মধ্যে ফোন রিসিভ করে বলে আমি কোম্পানীর সাথে কথা বলে সমাধান করবো । আবার অনেকদিন তার ফোন বন্ধ রাখে । এরমধ্যে দুই তিন মাস অতিক্রম করেন।ডিলাররা সকলে মিলে সোহাগকে তাদের টাকা ফেরৎ দেওয়ার জন্য এবং নিম্ম মানের মালগুলি পরিবর্তন করে দেওয়ার জন্য চাপ দেয় । কিন্তু সে মাহফুজুর রহমান ( এন এস এম) কে ফোন দিলে বলে মিটিংএ আছি । এইভাবে বেশকিছু দিন ধরে করছে । তারপর তার মনে সন্দেহ হলো । এরপর সে ঢাকায় যায় । ঢাকায় উক্ত স্থানে কোম্পানীর কোন অফিস নাই । আশপাশে খবর নিয়ে জানতে পারে দুই মাস আগেই অফিস ছেড়ে দেয় । এই কথা শুনে সে হঠাৎ দিশেহারা হয়ে যায় । তারপর স্থানীয় লোকেরা তাকে স্বাভাবিক ও সুস্থ করে মাহফুজুর রহমান এর বর্তমান ঠিকানা দেয় । স্থানীয় লোকেরা বলে মাহফুজুর রহমান নিজেই এই কোম্পানীর মালিক । তারপর তার কাছে থাকা এন আই ডি ও ছবির সাহায্যে তাহার ঠিকানা খুঁজে পায় এবং খুঁজতে খুঁজতে তার বাড়িতে যায় । তার বাবা , মা ও বোনের স্বামীর সাথে দেখা করে বিষয় গুলো জানান। এরপর মাহফুজুর রহমান তাকে ফোন দিয়ে বলে আমিও চাকরি করি আপনিও চাকরি করেন ।আমিও বেতন পাই নি আপনাকে কোথা থেকে বেতন দেবো । আর এন এস এম বলে ডিলারের ঝামেলা মালিক পক্ষের সাথে বসে সমাধান করবো । আসলে উক্ত ব্যক্তিটিই একজন প্রতারক। সে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে মোংলা ,মোড়লগঞ্জ,রায়েন্দা থেকে ডিলারদের কাছ থেকে পনের লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে।

এ বিষয়ে মোংলা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।