ঢাকা ১২:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
লক্ষ্মীপুরের ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়া সংগঠন, ইলেভেন ষ্টার ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংঘের ২০২৫ সালের নতুন কমিটি গঠন যেখানেই আইন লঙ্ঘন হবে পুলিশ তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থানিতে পিছু হটবেনা-ওসি কোতয়ালী টাঙ্গাইলে সমন্বয়ক পরিচয়ধারীদের পদ স্হগিত করলেন হাসনাত আবদুল্লাহ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে রিভিউ শুনানি রোববার পাকিস্তানের ‘জেএফ-১৭ থান্ডার’ যুদ্ধবিমানে আগ্রহ বাংলাদেশের পিডিবি সরকারি চাকরির আশ্বাস ১ লাখ ২২ হাজার টাকা হাতিয়ে নিলেন প্রতারক হানিফ টঙ্গী থানা মহিলা যুবলীগ সভাপতি নাসরিন এর দাপটে হচ্ছে হত্যা আর অন্যের জমি জবর দখল! নাসরিনকে গ্রেফতারের দাবি ভুক্তভোগীদের ফরজ বিধান পর্দা যেখানে নাই, সেখানে রহমত নাই -ছারছীনার পীর ছাহেব ভ্যাট ও শুল্ক কমানোর দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে রেস্তোরা মালিক, শ্রমিকের মানববন্ধন টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করায় বিএনপির মহাসচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ!

বিশিষ্ট বক্তার তাহেরী দর্শনের আলামত ফাঁস।

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৫:৫০:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • / ৪০০ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের অনুসন্ধান রিপোর্ট।।
গত ধর্মকে পুজি করে এই বক্তা তাহেরি আমার সঙ্গে ‘স্বামী-স্ত্রীর মতো ব্যবহার’ করেছে
মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষক তিনি। ঘরে তার দুই দুইটা স্ত্রী। থাকার পরও এলাকায় এই ধর্মকে পুজি করে ভন্ড বক্তা তাহেরী বলেন আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার অতএব ব্যাপক তার। সেই ভন্ড তাহেরী তাহলে বুঝেন না কৌশলে নিজ মাদরাসার এক ছাত্রীকে মেয়ে বানিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণ করেছেন
এবং ভাবতে অবাক লাগলেও ঘটনাটি সত্যি। ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার উচাখিলা এলাকায় এমন ঘটনা ঘটার পর গতকাল শুক্রবার স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে মেয়ের পরিবারের লোকজন বিচার চাইতে গেলে ঘটনাটি প্রকাশ পেয়ে যায়।
হুজুর’ বলে পরিচিত ওই ব্যক্তির নাম মাওলানা আবুল মনসুর। তিনি উম্মাহাতুল মোকমেনিন আদর্শ মহিলা মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষক। উপজেলার তারুন্দিয়া ইউনিয়নের কান্দুলিয়া গ্রামের মো. বছির উদ্দিনের ছেলে তিনি। গত প্রায় ১০ বছর আগে তিনি পাশের উচাখিলা বাজারের জমি ক্রয় করে বাড়ি করেন। বাসার সামনেই গড়ে তোলেন মাদরাসা। কোরআন শিক্ষার পাশপাশি একাধিক শিক্ষক রেখে তিনি এখানে কোচিং ব্যবসাও করেন। ওই মাদরাসাতে এলাকার প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আবুল মনসুর এলাকাতেই দুটি বিয়ে করেছেন। দুই স্ত্রীও এক সঙ্গে বসবাস করেন। এ অবস্থায় পাশের একটি গ্রামের কিশোরীকে ‘মেয়ে’ বানিয়ে ওই বাড়িতে নিয়মিত আসা-যাওয়া করেন। একপর্যায়ে ওই কিশোরীর পরিবারকে রাজি করিয়ে নিজ খরচে মাদরাসায় রেখেই পড়াশোনা করানোর দায়িত্ব নেন। এরমধ্যে তার কু-মতলবের কারণে ওই কিশোরী ‘হুজুরের’ বাড়ি ত্যাগ করে নিজ বাড়িতে চলে যায়। এমনকি বেশ কয়েকদিন মাদরাসায় আসা বাদ দেয় ওই ছাত্রী।
এ ব্যাপারে কিশোরীর মা জানান, তার মেয়ে আর মাদরাসায় যাবে না বলে মন খারাপ করে থাকে। আর কোনো কিছুই বলে না। এ অবস্থায় একদিন হুজুর বাড়িতে এসে অনেক হাদিসের কথা বলে ফের মেয়েকে নিয়ে যায়। মাসখানেক পরে মেয়ে আবার বাড়িতে চলে এসে জানায়, বিভিন্ন শপথ করে হুজুর তার সঙ্গে ‘স্বামী-স্ত্রীর মতো ব্যবহার’ করেছে এবং প্রতিবাদ করায় বিয়ে করবে বলে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়েছে। ঘটনাটি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানালে গত শুক্রবার হুজুরকে ডেকে আনা হয় এবং তার উপস্থিতিতে হুজুর কর্তৃক দিনের পর দিন ধর্ষণের বর্ণনা দেয় কিশোরী
চেয়ারম্যান মোতব্বিরুল ইসলাম জানান, মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনার সত্যতা মেলে হুজুরের জবানবন্দি থেকেই। কারণ তিনিই ঘটনার জন্য বেশ কয়েকবার ক্ষমা চেয়েছেন। পরে মেয়ের পরিবারকে বলেছেন থানায় যেতে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বিশিষ্ট বক্তার তাহেরী দর্শনের আলামত ফাঁস।

আপডেট টাইম : ০৫:৫০:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০

সময়ের অনুসন্ধান রিপোর্ট।।
গত ধর্মকে পুজি করে এই বক্তা তাহেরি আমার সঙ্গে ‘স্বামী-স্ত্রীর মতো ব্যবহার’ করেছে
মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষক তিনি। ঘরে তার দুই দুইটা স্ত্রী। থাকার পরও এলাকায় এই ধর্মকে পুজি করে ভন্ড বক্তা তাহেরী বলেন আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার অতএব ব্যাপক তার। সেই ভন্ড তাহেরী তাহলে বুঝেন না কৌশলে নিজ মাদরাসার এক ছাত্রীকে মেয়ে বানিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণ করেছেন
এবং ভাবতে অবাক লাগলেও ঘটনাটি সত্যি। ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার উচাখিলা এলাকায় এমন ঘটনা ঘটার পর গতকাল শুক্রবার স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে মেয়ের পরিবারের লোকজন বিচার চাইতে গেলে ঘটনাটি প্রকাশ পেয়ে যায়।
হুজুর’ বলে পরিচিত ওই ব্যক্তির নাম মাওলানা আবুল মনসুর। তিনি উম্মাহাতুল মোকমেনিন আদর্শ মহিলা মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষক। উপজেলার তারুন্দিয়া ইউনিয়নের কান্দুলিয়া গ্রামের মো. বছির উদ্দিনের ছেলে তিনি। গত প্রায় ১০ বছর আগে তিনি পাশের উচাখিলা বাজারের জমি ক্রয় করে বাড়ি করেন। বাসার সামনেই গড়ে তোলেন মাদরাসা। কোরআন শিক্ষার পাশপাশি একাধিক শিক্ষক রেখে তিনি এখানে কোচিং ব্যবসাও করেন। ওই মাদরাসাতে এলাকার প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আবুল মনসুর এলাকাতেই দুটি বিয়ে করেছেন। দুই স্ত্রীও এক সঙ্গে বসবাস করেন। এ অবস্থায় পাশের একটি গ্রামের কিশোরীকে ‘মেয়ে’ বানিয়ে ওই বাড়িতে নিয়মিত আসা-যাওয়া করেন। একপর্যায়ে ওই কিশোরীর পরিবারকে রাজি করিয়ে নিজ খরচে মাদরাসায় রেখেই পড়াশোনা করানোর দায়িত্ব নেন। এরমধ্যে তার কু-মতলবের কারণে ওই কিশোরী ‘হুজুরের’ বাড়ি ত্যাগ করে নিজ বাড়িতে চলে যায়। এমনকি বেশ কয়েকদিন মাদরাসায় আসা বাদ দেয় ওই ছাত্রী।
এ ব্যাপারে কিশোরীর মা জানান, তার মেয়ে আর মাদরাসায় যাবে না বলে মন খারাপ করে থাকে। আর কোনো কিছুই বলে না। এ অবস্থায় একদিন হুজুর বাড়িতে এসে অনেক হাদিসের কথা বলে ফের মেয়েকে নিয়ে যায়। মাসখানেক পরে মেয়ে আবার বাড়িতে চলে এসে জানায়, বিভিন্ন শপথ করে হুজুর তার সঙ্গে ‘স্বামী-স্ত্রীর মতো ব্যবহার’ করেছে এবং প্রতিবাদ করায় বিয়ে করবে বলে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়েছে। ঘটনাটি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানালে গত শুক্রবার হুজুরকে ডেকে আনা হয় এবং তার উপস্থিতিতে হুজুর কর্তৃক দিনের পর দিন ধর্ষণের বর্ণনা দেয় কিশোরী
চেয়ারম্যান মোতব্বিরুল ইসলাম জানান, মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনার সত্যতা মেলে হুজুরের জবানবন্দি থেকেই। কারণ তিনিই ঘটনার জন্য বেশ কয়েকবার ক্ষমা চেয়েছেন। পরে মেয়ের পরিবারকে বলেছেন থানায় যেতে।