ঢাকা ১১:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে বাফুফের নিবন্ধন লাভ করেছে দক্ষিণ হালিশহর ফুটবল একাডেমি কোস্ট গার্ডের আয়োজনে নৌপথ ও সুন্দরবনের নিরাপত্তা বিষয়ক আলোচনা সভা রুলার সরকার না থাকায় ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন রকম অসুবিধায় রয়েছে।। ঠাকুরগাঁওয়ে ভার্চুয়ালি মির্জা ফখরুল ইসলাম ৫ আগস্টের পর সব রাজবন্দি মুক্তি পেলেন, আজহার পেলেন না এবার করা হলো শ্রমিকদের আইনি সুরক্ষা ও জাতীয় ন্যূনতম মজুরির সুপারিশ করেছে শ্রম সংস্কার কমিশন কাকরাইল আগুরাগলি এলাকায় মজুমদার ভিলা—৯৪ নং আবাসিক ভবন রাজউক কর্তক অবৈধ নকশায় নির্মাণ করার প্রমাণিত হওয়ায় মালিককে চিঠি পর্ব ২ শ্রীপুরে ওসি’র ঘুষ লেনদেনের অডিও ভাইরাল গুলশানে র‍্যাবের ক্যাশিয়ার শাহ আলমের ইস্পায় গড়ে তুলেছে অপরাধের আখড়া। পর্ব ২ জানাযায় প্রধান উপদেষ্টার কাতার সফরে গুরুত্ব পাবে কতটুকু নার্সিং ডিপ্লোমাকে ডিগ্রী সমমান করার দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে অবস্থান কর্মসূচি

বাড়িওয়ালা-ভাড়াটিয়ার আইনি অধিকার ও প্রতিকার

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৭:১৪:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ৪২৬ ৫০০০.০ বার পাঠক

নিজস্ব প্রতিবেদ।।।
বাড়ি ভাড়া আইন, ১৯৯১ একটি বিশেষ আইন। বিশেষ আইন অন্য সব সাধারণ আইনের ওপর প্রাধান্য লাভ করে থাকে। এটিই আইনের বিধান। যদিও বাস্তব প্রেক্ষাপটে আমরা এই বিশেষ আইনের তোয়াক্কা না করেই ভাড়াটিয়ারা বিশেষত বাড়িওয়ালারা নিজেদের ইচ্ছেমতো এমন অনেক কিছুই করি যেটা আইন সিদ্ধ নয়। এমন কাজের জন্য বাড়িওয়ালা বা ভাড়াটিয়ারা আইনগতভাবে প্রতিকার পেতে সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করতে পারেন।বাড়ি ভাড়া আইন অনুযায়ী একজন ভাড়াটিয়া বা বাড়িওয়ালারা আইনগত কতগুলো দায়িত্ব, অধিকার ও প্রতিকার রয়েছে। আইনগত সুরক্ষা পেতে বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়ার মধ্যে বাড়ি ভাড়া নেওয়ার আগেই কতগুলো বিষয়ে ঝামেলা মিটিয়ে নিতে হয়। তবেই পরবর্তীতে আইনি সুরক্ষার ক্ষেত্রে কোনো ঝামেলা পোহাতে হবে না।মালিক ও ভারাটিয়ার মধ্যে একটি চুক্তিনামা তৈরি করতে হবে। যেই চুক্তিনামায় মালিক ও ভাড়াটিয়ার মধ্যে বিস্তারিত সুযোগ-সুবিধা করণীয় বর্জনীয়সহ নানা বিষয়ের বিবরণাদি থাকবে। এই চুক্তিনামা ৩০০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে লিখিত হতে হবে। দরকার হলে চুক্তিনামাটি রেজিস্ট্রি করা যেতে পারে। সম্পত্তি হস্তান্তর আইনের ১০৭ ধারা মোতাবেক যদি রেজিস্ট্রি করা না হয় তবে সেটি এক বছরের জন্য করা হয়েছে বলে গণ্য হবে।

একজন ভারাটিয়া বাড়িওয়ালার কাছে জিম্মি নন। তার কতগুলো আইনগত অধিকার রয়েছে। বাড়িওয়ালা ইচ্ছে করলেই ভাড়াটিয়ার কাছ থেকে মাসিক ভাড়া ব্যতিত অন্য কোনো প্রিমিয়াম, সালামি, অগ্রিম জামানত গ্রহণ করতে পারবেন না। মাসিক ভাড়া ছাড়া যদি কোনো অগ্রিম জামানত গ্রহণ করেন তাহলে ১৪ (২) উপ-ধারা অনুযায়ী সহাকারী জজ আদালতে ভাড়াটিয়া মামলা দায়ের করতে পারেন। এক্ষেত্রে বাড়ির মালিক ইচ্ছে করলেই ভাড়াটিয়াকে উচ্ছেদের মামলা করতে পারেন না। মালিক যদি বাড়ি ভাড়ার টাকা গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায়। তবে ভাড়াটিয়া মালিককে ডাক মানি অর্ডারের মাধ্যমে টাকা পাঠাবেন।

তবে বাড়িওয়ালারও বাড়ি ভাড়া আইনে কিছু অধিকার রয়েছে। যদি ভাড়াটিয়া প্রতিমাসে নিয়মিতভাবে ভাড়া পরিশোধ না করেন তবে সম্পত্তি হস্তান্তর আইনের ১০৬ এবং ১০৮ (গ) উপ-ধারা অনুযায়ী উচ্ছেদের নোটিশ দিয়ে ভাড়াটিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করা যায়। যৌক্তিকতার নিরুপনে প্রতি দুই বছর পর পর মানসম্মতভাবে ভাড়া বাড়াতে পারেন। এছাড়াও বাড়ির মালিকের অনুমোদন ব্যতিত যদি সাবলেট কিংবা বাড়ির গঠনগত কোনো বড় পরিবর্তন কিংবা পার্শ্ববর্তী বাড়ির দখলকারী কোনো ব্যক্তিবর্গকে যদি উৎপাত, উত্যক্ত বা বিরক্ত করে থাকলে ভাড়াটিয়ার বিরুদ্ধে আইনগ ব্যবস্থা নিতে পারেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বাড়িওয়ালা-ভাড়াটিয়ার আইনি অধিকার ও প্রতিকার

আপডেট টাইম : ০৭:১৪:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদ।।।
বাড়ি ভাড়া আইন, ১৯৯১ একটি বিশেষ আইন। বিশেষ আইন অন্য সব সাধারণ আইনের ওপর প্রাধান্য লাভ করে থাকে। এটিই আইনের বিধান। যদিও বাস্তব প্রেক্ষাপটে আমরা এই বিশেষ আইনের তোয়াক্কা না করেই ভাড়াটিয়ারা বিশেষত বাড়িওয়ালারা নিজেদের ইচ্ছেমতো এমন অনেক কিছুই করি যেটা আইন সিদ্ধ নয়। এমন কাজের জন্য বাড়িওয়ালা বা ভাড়াটিয়ারা আইনগতভাবে প্রতিকার পেতে সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করতে পারেন।বাড়ি ভাড়া আইন অনুযায়ী একজন ভাড়াটিয়া বা বাড়িওয়ালারা আইনগত কতগুলো দায়িত্ব, অধিকার ও প্রতিকার রয়েছে। আইনগত সুরক্ষা পেতে বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়ার মধ্যে বাড়ি ভাড়া নেওয়ার আগেই কতগুলো বিষয়ে ঝামেলা মিটিয়ে নিতে হয়। তবেই পরবর্তীতে আইনি সুরক্ষার ক্ষেত্রে কোনো ঝামেলা পোহাতে হবে না।মালিক ও ভারাটিয়ার মধ্যে একটি চুক্তিনামা তৈরি করতে হবে। যেই চুক্তিনামায় মালিক ও ভাড়াটিয়ার মধ্যে বিস্তারিত সুযোগ-সুবিধা করণীয় বর্জনীয়সহ নানা বিষয়ের বিবরণাদি থাকবে। এই চুক্তিনামা ৩০০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে লিখিত হতে হবে। দরকার হলে চুক্তিনামাটি রেজিস্ট্রি করা যেতে পারে। সম্পত্তি হস্তান্তর আইনের ১০৭ ধারা মোতাবেক যদি রেজিস্ট্রি করা না হয় তবে সেটি এক বছরের জন্য করা হয়েছে বলে গণ্য হবে।

একজন ভারাটিয়া বাড়িওয়ালার কাছে জিম্মি নন। তার কতগুলো আইনগত অধিকার রয়েছে। বাড়িওয়ালা ইচ্ছে করলেই ভাড়াটিয়ার কাছ থেকে মাসিক ভাড়া ব্যতিত অন্য কোনো প্রিমিয়াম, সালামি, অগ্রিম জামানত গ্রহণ করতে পারবেন না। মাসিক ভাড়া ছাড়া যদি কোনো অগ্রিম জামানত গ্রহণ করেন তাহলে ১৪ (২) উপ-ধারা অনুযায়ী সহাকারী জজ আদালতে ভাড়াটিয়া মামলা দায়ের করতে পারেন। এক্ষেত্রে বাড়ির মালিক ইচ্ছে করলেই ভাড়াটিয়াকে উচ্ছেদের মামলা করতে পারেন না। মালিক যদি বাড়ি ভাড়ার টাকা গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায়। তবে ভাড়াটিয়া মালিককে ডাক মানি অর্ডারের মাধ্যমে টাকা পাঠাবেন।

তবে বাড়িওয়ালারও বাড়ি ভাড়া আইনে কিছু অধিকার রয়েছে। যদি ভাড়াটিয়া প্রতিমাসে নিয়মিতভাবে ভাড়া পরিশোধ না করেন তবে সম্পত্তি হস্তান্তর আইনের ১০৬ এবং ১০৮ (গ) উপ-ধারা অনুযায়ী উচ্ছেদের নোটিশ দিয়ে ভাড়াটিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করা যায়। যৌক্তিকতার নিরুপনে প্রতি দুই বছর পর পর মানসম্মতভাবে ভাড়া বাড়াতে পারেন। এছাড়াও বাড়ির মালিকের অনুমোদন ব্যতিত যদি সাবলেট কিংবা বাড়ির গঠনগত কোনো বড় পরিবর্তন কিংবা পার্শ্ববর্তী বাড়ির দখলকারী কোনো ব্যক্তিবর্গকে যদি উৎপাত, উত্যক্ত বা বিরক্ত করে থাকলে ভাড়াটিয়ার বিরুদ্ধে আইনগ ব্যবস্থা নিতে পারেন।