ঢাকা ০৪:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
অধ্যাদেশ বাতিল চায় এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, ৩ দিনের কলম বিরতি লক্ষ্মীপুর আল মুঈন মাদ্রসা থেকে ছাত্রের মরাদেহ উদ্ধার মরহুম সিদ্দিকুর রহমান সাহেবের ২৫তম শাহাদাত বার্ষিকী পালিত রছুল্লাবাদ শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৫ এর ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত পুশ ইন করা ৭৫ জন বাংলাদেশি মুসলিম এবং ৩ জন ভারতীয় মুসলিমকে উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড ঢাকার মূল সড়কে কোনো রিকশা চলতে পারবে না: ডিএনসিসি প্রশাসক টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগের দোসরদের দিয়ে বিএনপির কমিটি গঠনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ, কুশপুত্তলিকা দাহ নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আপিল শুনানি বুধবার পর্যন্ত মূলতবি মেক্সিকোতে নির্বাচনি প্রচারণার সময় মেয়র প্রার্থীকে গুলি করে হত্যা আন্দালিব রহমান পার্থের স্ত্রীকে বিদেশ যেতে বাধা

ভুল চিকিৎসায় রোগীমৃত্যু’র অভিযোগ

বিশেষ প্রতিনিধি।
  • আপডেট টাইম : ০২:৫৩:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ২৭৩ ১৫০০০.০ বার পাঠক

চট্টগ্রামে সাউদার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায়।দুইদিন পর রোগীর আকষ্মিক,অনাক্ষাঙ্কিত প্রশ্নবিদ্ধ লোমহর্ষক মৃত্যুতে অভিযোগ।তিন চিকিৎসকের নামে মামলা হলে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটির নির্দেশ। ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ রোগী পক্ষের। পেট ব্যথার রোগীকে দিনে পরপর দুইবার অপারেশন অতঃপর মৃত্যু ভুল চিকিৎসা ও অবহেলায় মৃত্যুর কারণ ও অভিযোগ নিহত স্ত্রীর স্বামী বাদী পক্ষের।

গত ২০শে ডিসেম্বর মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-৫ এর বিচারক মো. সাদ্দাম হোসেন এ আদেশ দেন।গত১৮ ডিসেম্বর অভিযোগটি দেওয়া হয়।
তথ্যমতে,নিহত পপি আক্তার (৩০)এর কোন সময়,কোন রকম,কোন রোগ ছিল না। সুস্থ স্বাভাবিক সব কাজে কর্মক্ষম থাকা অবস্থায় হঠাৎ অসুস্থ হলে দুইদিন পরেই মৃত্যু। চিকিৎসার অবহেলা গাফিলতির কথা কোনো স্বচক্ষে দেখা চিত্র ভুলতে পারছেন না। যা ভুল চিকিৎসার শতভাগ নিশ্চিত হয়ে ও প্রত্যক্ষদর্শী স্বামী নিজেই বাদী হয়ে থানায় ৪-৫ বার ঘুরেও মামলা নেয়নি থানা কর্তৃপক্ষ রহস্যজনক কারণে। অতঃপর দৃষ্টন্তামূলক বিচারের দাবিতে কোর্টে মামলা দায়ের করে নিহত স্বামী মীর আবদুল পিরু (৩৫)।
সাউদার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষসহ তিন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা তদন্ত কমিটি,৩০দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে আদালতের নির্দেশ দেন।রোগী পক্ষের বাদীর অভিযোগ ও তথ্যসূত্রে জানা যায়,অপারেশনের দুদিন পর পপি আক্তার নামে রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় আদালতে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।অভিযোগে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকার সাউদার্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রেজিস্ট্রার ডা.মোহাম্মদ ইমরান হোসেন (৪৫), সহকারী অধ্যাপক ডা.আদনান বাচা (৪০) ও অধ্যক্ষ ডা. জয়ব্রত দাশকে (৫৫) বিবাদী করা হয়েছে। নিহতের স্বামী মীর আবদুল পিরু বাদী হয়ে অভিযোগটি দেন। তিনি নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকার বাসিন্দা।
অভিযোগে বাদী সূত্রে জানা যায়,আমার স্ত্রী পপি আক্তার গত ২২অক্টোবর সকালে পেটের ব্যথা অনুভব করলে বাসার পাশের সাউদার্ন মেডিক্যালে জরুরি বিভাগে নিয়ে যাই। চিকিৎসক হাসপাতালে ভর্তি দেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথা শনাক্ত করেন এবং অতিদ্রুত অপারেশন করতে বলেন।
গত ২৬অক্টোবর সকাল ৯টায় রোগীকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। তিন ঘণ্টা পর অপারেশন থিয়েটার থেকে বের করে চার নম্বর ওয়ার্ডে আনা হয়। নিয়ে আসার পর সারাদিন পেটে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করে এবং রক্তপাত হয়। তার অবস্থা খারাপ হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শে দুই ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়। ওই দিন রাত ১১টার দিকে পুনরায় তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। তাকে দ্বিতীয়বার অপারেশন করা হয়। দ্বিতীয় বার অপারেশনের পর শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকে। অক্সিজেন সাপোর্ট প্রয়োজন হয়,প্রেশার কমে যায়। ঐ সময় চিকিৎসকদের সক্রিয় উপযুক্ত যথাযথ পদক্ষেপ না নেওয়া,নিরবতা অবহেলা গাফলতি লক্ষ্য করি তাদের রেসপন্স তেমন একটা ছিল না। যার ফলে রোগীর অবস্থা আরো ভয়ানক অবনতি হতে থাকে।
পরের দিন ২৭অক্টোবর সকালে ডিউটি ডাক্তার জানায়, রোগীর শারীরিক অবস্থা খারাপ। তড়িঘড়ি করে ডিসচার্জ করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।আসংখ্যাজনক মুমুর্ষ অবস্থায় দ্রুত পাশে অবস্থিত মেরিন সিটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৮অক্টোবর সকাল ৬টা ৫৪মিনিটে রোগীকে মৃত ঘোষণা করে কর্তব্যরত চিকিৎসক।
মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল হেলাল বলেন, চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুতে অভিযোগের ভিত্তিতে। অভিযোগ আমলে নিয়ে মহামান্য আদালত
আদেশ দিয়েছেন তদন্তের মাধ্যমে অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য। চমেক হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধানকে দায়িত্ব দিয়ে তিন সদস্যের কমিটি করে দিয়েছেন। কমিটির অপর দুই সদস্য থাকবেন চমেক হাসপাতালের মেডিসিন ও অ্যানেস্থেশিয়া বিভাগের দুই সহকারী অধ্যাপক। কমিটিকে আগামী ৩০দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রতিবেদনের আলোকে পরবর্তী ব্যবস্থা।
বিষয়টি জানতে চাইলে ডাক্তার আদনান বাচা বলেন,সেটা তো ওরা করছে রোগীপক্ষের বলা কথা। আমরা চিকিৎসা তো অবশ্যই দিছি। অলরেডি আমাদের ইন্টারনাল একটা তদন্ত হয়েছে। সেটা রিপোর্টও আমাদের কাছে আছে। রোগীপক্ষ কিভাবে সেটা পাবে এটাতো কনফেডেনশিয়াল।এটার জন্য এপ্লাই করতে হয়। তদন্ত রিপোর্ট তো সবার হাতে দেওয়া হয় না। এ বিষয়ে রোগীর পক্ষের কেউ আমার সাথে কোন আলাপ হয়নি। সেটা তো রোগীপক্ষ কেউ আসলেই তো বলতে পারবো। না আসলে কিভাবে আমরা কথা বলতে পারবো। আমার কাছে আসে নাই। আমার নাম্বার কোথায় পেয়েছেন? আমি এখন একটু ব্যস্ত আছি একটু পরে আমি দিতে পারবো। এখন পারবো না।

উল্লেখ্যঃ সাদাকে সাদা বলতেই হবে কিন্তু বলতে গেলেই আসে বাধা-বিপত্তি ঝুঁকি ঝামেলা জীবনের প্রতিটা মুহূর্তেই বাধাবিঘ্নতা।
নানচাপে নানাভাবে জীবন হয়ে ওঠে দুর্বিষহ প্রতিটি মুহূর্ত কাঠে নিরাপত্তাহীনতায়। কাল হয়ে উঠে শুভ সকাল দুপুর বিকেল প্রতিটা মুহূর্ত বেড়ে যায় বহুরূপী বন্ধুবেশী শত্রুরা।
ভুক্তভোগীদের অনেক অভিযোগ দেখেছি। বাস্তবে দেখা যায় কিন্তু ওই অভিযোগ পর্যন্তই শেষ রোগীপক্ষ সরজমিনে পায় না তার রোগীর অপচিকিৎসা গাফিলতির প্রমাণ দলিল যাবতীয় গ্রহণযোগ্য প্রমাণ । তদন্ত কমিটির তদন্তের নামে হয় আরেক নতুন আধ্যায় যেখানে উঠে আসে না রোগীর সত্যতা। অভিযোগ দিয়েও যেন সে নিজেই অভিযুক্ত হয়ে ওঠে ক্ষতিগ্রস্ত হয় আর্থিক শারীরিক মানসিক সময় ও শ্রম শিকার হয় অপূরণীয় ক্ষয়ক্ষতির। দুর্দিনের দুঃসময় পাশে কাছে থাকে না কেউই সবই যেন গল্প নাটকের মতই সত্য।কাছের মানুষটিকেও পাওয়া যায় না পাশে।রোগী পক্ষ অসহায় ও নিরুপায় অপরদিকে ডাক্তার পক্ষ শক্তিশালী ও তাদের সাংগঠনিক একতাই কোনভাবেই আইনি অধিকার ও ঘটনার পেছনের ঘটনা ডাক্তারদের ভুল চিকিৎসা গাফিলতি,অবহেলা তদন্ত রিপোর্টে উঠে আসে না।তাই চাই সকলের সহযোগিতা ও সংশ্লিষ্ট মহলের সহযোগিতা প্রয়োজন। ডাক্তার হোক রোগীবান্ধব।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ভুল চিকিৎসায় রোগীমৃত্যু’র অভিযোগ

আপডেট টাইম : ০২:৫৩:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২২

চট্টগ্রামে সাউদার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায়।দুইদিন পর রোগীর আকষ্মিক,অনাক্ষাঙ্কিত প্রশ্নবিদ্ধ লোমহর্ষক মৃত্যুতে অভিযোগ।তিন চিকিৎসকের নামে মামলা হলে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটির নির্দেশ। ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ রোগী পক্ষের। পেট ব্যথার রোগীকে দিনে পরপর দুইবার অপারেশন অতঃপর মৃত্যু ভুল চিকিৎসা ও অবহেলায় মৃত্যুর কারণ ও অভিযোগ নিহত স্ত্রীর স্বামী বাদী পক্ষের।

গত ২০শে ডিসেম্বর মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-৫ এর বিচারক মো. সাদ্দাম হোসেন এ আদেশ দেন।গত১৮ ডিসেম্বর অভিযোগটি দেওয়া হয়।
তথ্যমতে,নিহত পপি আক্তার (৩০)এর কোন সময়,কোন রকম,কোন রোগ ছিল না। সুস্থ স্বাভাবিক সব কাজে কর্মক্ষম থাকা অবস্থায় হঠাৎ অসুস্থ হলে দুইদিন পরেই মৃত্যু। চিকিৎসার অবহেলা গাফিলতির কথা কোনো স্বচক্ষে দেখা চিত্র ভুলতে পারছেন না। যা ভুল চিকিৎসার শতভাগ নিশ্চিত হয়ে ও প্রত্যক্ষদর্শী স্বামী নিজেই বাদী হয়ে থানায় ৪-৫ বার ঘুরেও মামলা নেয়নি থানা কর্তৃপক্ষ রহস্যজনক কারণে। অতঃপর দৃষ্টন্তামূলক বিচারের দাবিতে কোর্টে মামলা দায়ের করে নিহত স্বামী মীর আবদুল পিরু (৩৫)।
সাউদার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষসহ তিন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা তদন্ত কমিটি,৩০দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে আদালতের নির্দেশ দেন।রোগী পক্ষের বাদীর অভিযোগ ও তথ্যসূত্রে জানা যায়,অপারেশনের দুদিন পর পপি আক্তার নামে রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় আদালতে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।অভিযোগে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকার সাউদার্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রেজিস্ট্রার ডা.মোহাম্মদ ইমরান হোসেন (৪৫), সহকারী অধ্যাপক ডা.আদনান বাচা (৪০) ও অধ্যক্ষ ডা. জয়ব্রত দাশকে (৫৫) বিবাদী করা হয়েছে। নিহতের স্বামী মীর আবদুল পিরু বাদী হয়ে অভিযোগটি দেন। তিনি নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকার বাসিন্দা।
অভিযোগে বাদী সূত্রে জানা যায়,আমার স্ত্রী পপি আক্তার গত ২২অক্টোবর সকালে পেটের ব্যথা অনুভব করলে বাসার পাশের সাউদার্ন মেডিক্যালে জরুরি বিভাগে নিয়ে যাই। চিকিৎসক হাসপাতালে ভর্তি দেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথা শনাক্ত করেন এবং অতিদ্রুত অপারেশন করতে বলেন।
গত ২৬অক্টোবর সকাল ৯টায় রোগীকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। তিন ঘণ্টা পর অপারেশন থিয়েটার থেকে বের করে চার নম্বর ওয়ার্ডে আনা হয়। নিয়ে আসার পর সারাদিন পেটে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করে এবং রক্তপাত হয়। তার অবস্থা খারাপ হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শে দুই ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়। ওই দিন রাত ১১টার দিকে পুনরায় তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। তাকে দ্বিতীয়বার অপারেশন করা হয়। দ্বিতীয় বার অপারেশনের পর শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকে। অক্সিজেন সাপোর্ট প্রয়োজন হয়,প্রেশার কমে যায়। ঐ সময় চিকিৎসকদের সক্রিয় উপযুক্ত যথাযথ পদক্ষেপ না নেওয়া,নিরবতা অবহেলা গাফলতি লক্ষ্য করি তাদের রেসপন্স তেমন একটা ছিল না। যার ফলে রোগীর অবস্থা আরো ভয়ানক অবনতি হতে থাকে।
পরের দিন ২৭অক্টোবর সকালে ডিউটি ডাক্তার জানায়, রোগীর শারীরিক অবস্থা খারাপ। তড়িঘড়ি করে ডিসচার্জ করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।আসংখ্যাজনক মুমুর্ষ অবস্থায় দ্রুত পাশে অবস্থিত মেরিন সিটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৮অক্টোবর সকাল ৬টা ৫৪মিনিটে রোগীকে মৃত ঘোষণা করে কর্তব্যরত চিকিৎসক।
মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল হেলাল বলেন, চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুতে অভিযোগের ভিত্তিতে। অভিযোগ আমলে নিয়ে মহামান্য আদালত
আদেশ দিয়েছেন তদন্তের মাধ্যমে অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য। চমেক হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধানকে দায়িত্ব দিয়ে তিন সদস্যের কমিটি করে দিয়েছেন। কমিটির অপর দুই সদস্য থাকবেন চমেক হাসপাতালের মেডিসিন ও অ্যানেস্থেশিয়া বিভাগের দুই সহকারী অধ্যাপক। কমিটিকে আগামী ৩০দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রতিবেদনের আলোকে পরবর্তী ব্যবস্থা।
বিষয়টি জানতে চাইলে ডাক্তার আদনান বাচা বলেন,সেটা তো ওরা করছে রোগীপক্ষের বলা কথা। আমরা চিকিৎসা তো অবশ্যই দিছি। অলরেডি আমাদের ইন্টারনাল একটা তদন্ত হয়েছে। সেটা রিপোর্টও আমাদের কাছে আছে। রোগীপক্ষ কিভাবে সেটা পাবে এটাতো কনফেডেনশিয়াল।এটার জন্য এপ্লাই করতে হয়। তদন্ত রিপোর্ট তো সবার হাতে দেওয়া হয় না। এ বিষয়ে রোগীর পক্ষের কেউ আমার সাথে কোন আলাপ হয়নি। সেটা তো রোগীপক্ষ কেউ আসলেই তো বলতে পারবো। না আসলে কিভাবে আমরা কথা বলতে পারবো। আমার কাছে আসে নাই। আমার নাম্বার কোথায় পেয়েছেন? আমি এখন একটু ব্যস্ত আছি একটু পরে আমি দিতে পারবো। এখন পারবো না।

উল্লেখ্যঃ সাদাকে সাদা বলতেই হবে কিন্তু বলতে গেলেই আসে বাধা-বিপত্তি ঝুঁকি ঝামেলা জীবনের প্রতিটা মুহূর্তেই বাধাবিঘ্নতা।
নানচাপে নানাভাবে জীবন হয়ে ওঠে দুর্বিষহ প্রতিটি মুহূর্ত কাঠে নিরাপত্তাহীনতায়। কাল হয়ে উঠে শুভ সকাল দুপুর বিকেল প্রতিটা মুহূর্ত বেড়ে যায় বহুরূপী বন্ধুবেশী শত্রুরা।
ভুক্তভোগীদের অনেক অভিযোগ দেখেছি। বাস্তবে দেখা যায় কিন্তু ওই অভিযোগ পর্যন্তই শেষ রোগীপক্ষ সরজমিনে পায় না তার রোগীর অপচিকিৎসা গাফিলতির প্রমাণ দলিল যাবতীয় গ্রহণযোগ্য প্রমাণ । তদন্ত কমিটির তদন্তের নামে হয় আরেক নতুন আধ্যায় যেখানে উঠে আসে না রোগীর সত্যতা। অভিযোগ দিয়েও যেন সে নিজেই অভিযুক্ত হয়ে ওঠে ক্ষতিগ্রস্ত হয় আর্থিক শারীরিক মানসিক সময় ও শ্রম শিকার হয় অপূরণীয় ক্ষয়ক্ষতির। দুর্দিনের দুঃসময় পাশে কাছে থাকে না কেউই সবই যেন গল্প নাটকের মতই সত্য।কাছের মানুষটিকেও পাওয়া যায় না পাশে।রোগী পক্ষ অসহায় ও নিরুপায় অপরদিকে ডাক্তার পক্ষ শক্তিশালী ও তাদের সাংগঠনিক একতাই কোনভাবেই আইনি অধিকার ও ঘটনার পেছনের ঘটনা ডাক্তারদের ভুল চিকিৎসা গাফিলতি,অবহেলা তদন্ত রিপোর্টে উঠে আসে না।তাই চাই সকলের সহযোগিতা ও সংশ্লিষ্ট মহলের সহযোগিতা প্রয়োজন। ডাক্তার হোক রোগীবান্ধব।