ঢাকা ০৪:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
গাজীপুরে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি’র বাড়িতে ডাকতি! মঠবাড়ীয়া যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালিত প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে মনে হচ্ছে আমরা মানুষ চিনতে ভুল করেছি’ বৃষ্টি নামলেই বেহাল ঢাকার সড়কগুলো, নির্বিকার কর্তৃপক্ষ গাজা উপত্যকা এখন বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুধার্ত এলাকা ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়ক প্রবাসীর গাড়িতে ডাকাতি, ধাওয়া দেওয়ায় পুলিশকে এলোপাতাড়ি গুলি ৮২ শতাংশ জুলাই আহত বিষণ্নতায় ভুগছে মোংলায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের নতুন কার্যালয় উদ্বোধন ঠাকুরগাঁওয়ের সাবেক কাউন্সিলর ও আন্তজেলা চোরচক্রের হোতা রাজ্জাক গণপিটুনিতে আহত হয়ে মৃত্যু বিএমপি গোয়েন্দা শাখার অভিযানে ৯০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ আটক ০২ জন

ইপিজেড এলাকায় আজকের শিশু আয়াতের মাথা উদ্ধার করেছেন (পিবিআই)

মোঃ শহিদুল ইসলাম বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান চট্রগ্রামঃ
  • আপডেট টাইম : ০৬:২১:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ১৬৮ ১৫০.০০০ বার পাঠক

চট্টগ্রামের ইপিজেড থানাধীন দক্ষিণ হালিশহর এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুই পায়ের পর এবার আলীনা ইসলাম আয়াতের মাথার অংশ উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম নগরের ইপিজেড আকমল আলী ঘাটের স্লুইসগেট এলাকা থেকে মাথাটি উদ্ধার করা হয়।

পিবিআই কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। শিশু আয়াতের চেহারা দেখে আর্তনাদ করে ওঠেন তার বাবা। কান্নায় ভেঙে পড়েন বাবা, দাদাসহ নিহতের স্বজনেরা। তাঁদের আহাজারিতে উপস্থিত অনেকেই চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি।

একদিন আগে বুধবার একই এলাকা থেকে আয়াতের পলিথিন মোড়ানো দুই পা উদ্ধার করা হয়েছিল।

গত ১৫ নভেম্বর নগরের ইপিজেড থানার বন্দরটিলা নয়ারহাট এলাকায় বাসার সামনে থেকে নিখোঁজ হয় আলীনা ইসলাম আয়াত। এ ঘটনায় ২৪ নভেম্বর রাতে তাদের ভাড়াটিয়া আজহারুল ইসলামের ১৯ বছর বয়সী ছেলে আবীর আলীকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।

জিজ্ঞাসাবাদে সে আয়াতকে শ্বাসরোধে হত্যার পর ছয় টুকরো করে সাগরে ভাসিয়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরদিন লাশ টুকরোর কাজে ব্যবহৃত দা ও আয়াতের পায়ের জুতা উদ্ধার করা হয়।

পিবিআইয়ের ভাষ্যমতে, মুক্তিপণ আদায়ের জন্য আয়াতকে অপহরণের পরিকল্পনা করে আবীর। ১৫ নভেম্বর বিকেলে বাসার সামনে থেকে আয়াতকে কোলে নিয়ে আদর করতে করতে আবীর ঢুকে যায় তার বাবার বাসায়। সেখানে ১৫ মিনিটের মধ্যে শ্বাসরোধ করে সে আয়াতকে খুন করে। এর পর লাশ ব্যাগে ভরে নিয়ে যায় নগরের আকমল আলী সড়কের পকেট গেট বাজার এলাকায় তার মা আলো বেগমের বাসায়।

মা-বাবার মধ্যে বিচ্ছেদের পর আবীর মায়ের বাসায় থাকত। বাবার বাসায়ও তার যাতায়াত ছিল। আবীর মায়ের বাসায় নিয়ে লাশ বাথরুমের সানশেডের ওপর লুকিয়ে রাখে। রাতেই ওই লাশ বাথরুমে নিয়ে কেটে ছয় টুকরো করে ছয়টি ব্যাগে ভরে রাখে।

পরদিন ১৬ নভেম্বর সকালে লাশের তিনটি টুকরো আউটার রিং রোড এলাকায় সাগরে ভাসিয়ে দেয়। ওই দিন রাতে বাকি তিন টুকরো আকমল আলী রোডের স্লুইসগেট এলাকায় ফেলে দেয়। কিন্তু মুক্তিপণ আদায়ের জন্য সংগ্রহ করা সিম ব্লক থাকায় পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারেনি আবীর। এসকল তথ্য সংগ্রহ করে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন পিবিআই কর্মকর্তা।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ইপিজেড এলাকায় আজকের শিশু আয়াতের মাথা উদ্ধার করেছেন (পিবিআই)

আপডেট টাইম : ০৬:২১:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২২

চট্টগ্রামের ইপিজেড থানাধীন দক্ষিণ হালিশহর এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুই পায়ের পর এবার আলীনা ইসলাম আয়াতের মাথার অংশ উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম নগরের ইপিজেড আকমল আলী ঘাটের স্লুইসগেট এলাকা থেকে মাথাটি উদ্ধার করা হয়।

পিবিআই কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। শিশু আয়াতের চেহারা দেখে আর্তনাদ করে ওঠেন তার বাবা। কান্নায় ভেঙে পড়েন বাবা, দাদাসহ নিহতের স্বজনেরা। তাঁদের আহাজারিতে উপস্থিত অনেকেই চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি।

একদিন আগে বুধবার একই এলাকা থেকে আয়াতের পলিথিন মোড়ানো দুই পা উদ্ধার করা হয়েছিল।

গত ১৫ নভেম্বর নগরের ইপিজেড থানার বন্দরটিলা নয়ারহাট এলাকায় বাসার সামনে থেকে নিখোঁজ হয় আলীনা ইসলাম আয়াত। এ ঘটনায় ২৪ নভেম্বর রাতে তাদের ভাড়াটিয়া আজহারুল ইসলামের ১৯ বছর বয়সী ছেলে আবীর আলীকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।

জিজ্ঞাসাবাদে সে আয়াতকে শ্বাসরোধে হত্যার পর ছয় টুকরো করে সাগরে ভাসিয়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরদিন লাশ টুকরোর কাজে ব্যবহৃত দা ও আয়াতের পায়ের জুতা উদ্ধার করা হয়।

পিবিআইয়ের ভাষ্যমতে, মুক্তিপণ আদায়ের জন্য আয়াতকে অপহরণের পরিকল্পনা করে আবীর। ১৫ নভেম্বর বিকেলে বাসার সামনে থেকে আয়াতকে কোলে নিয়ে আদর করতে করতে আবীর ঢুকে যায় তার বাবার বাসায়। সেখানে ১৫ মিনিটের মধ্যে শ্বাসরোধ করে সে আয়াতকে খুন করে। এর পর লাশ ব্যাগে ভরে নিয়ে যায় নগরের আকমল আলী সড়কের পকেট গেট বাজার এলাকায় তার মা আলো বেগমের বাসায়।

মা-বাবার মধ্যে বিচ্ছেদের পর আবীর মায়ের বাসায় থাকত। বাবার বাসায়ও তার যাতায়াত ছিল। আবীর মায়ের বাসায় নিয়ে লাশ বাথরুমের সানশেডের ওপর লুকিয়ে রাখে। রাতেই ওই লাশ বাথরুমে নিয়ে কেটে ছয় টুকরো করে ছয়টি ব্যাগে ভরে রাখে।

পরদিন ১৬ নভেম্বর সকালে লাশের তিনটি টুকরো আউটার রিং রোড এলাকায় সাগরে ভাসিয়ে দেয়। ওই দিন রাতে বাকি তিন টুকরো আকমল আলী রোডের স্লুইসগেট এলাকায় ফেলে দেয়। কিন্তু মুক্তিপণ আদায়ের জন্য সংগ্রহ করা সিম ব্লক থাকায় পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারেনি আবীর। এসকল তথ্য সংগ্রহ করে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন পিবিআই কর্মকর্তা।