ঢাকা ০২:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
আজমিরীগঞ্জে সিএনজি স্ট্যান্ড দখল নিয় সংঘর্ষ। আহত অর্ধ শতাধিক টঙ্গীতে ডেভিল হান্ট এর অভিযানে আ.লীগের নেত্রী ও তার পাঁচ সহযোগীকে ১৭৫১ পিস ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌর শহরের উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন মদিনা প্যালেস নামের একটি ভবনের ৫ টি ফ্লাটে দুর্ধর্ষ চুরি সংগঠিত হয়েছে নান্দাইল প্রেসক্লাবের ১৭তম দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন সমাপ্ত সভাপতি এনামুল হক, সাধারণ সম্পাদক রঞ্জু দুপুরে ক্রিকেটের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মহারণ, পাকিস্তানের বাঁচা–মরার ম্যাচ পাকিস্তান-বাংলাদেশ সরাসরি বাণিজ্য পুনরায় শুরু, ১৯৭১ সালের পর প্রথম খালেদা জিয়ার খালাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের আবেদনের শুনানি ২ মার্চ রাজধানীর বিভা স্কুল এন্ড কলেজের বার্ষিক শিক্ষা সফর অনুষ্ঠিত শহরের প্রান কেন্দ্রে অবস্থিত ৪৫ বছরের পুরানো এ প্রতিষ্ঠান নাম হলো আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজ অথচ কলেজ শাখায় একজন ছাত্র/ছাত্রীও নেই মঠবাড়িয়ায় রাতের আঁধারে বনিক সমিতির ক‌মি‌টি গঠনের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন

হসপিটাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় নবজাতক শিশুর মৃত্যু

মোঃ জামাল আহামেদ, স্টাফ রিপোটার।
  • আপডেট টাইম : ১১:৪৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর ২০২২
  • / ১৮৫ ৫০০০.০ বার পাঠক

সাভারের তেতুলঝোড়া ইউনিয়নের একটি বেসরকারী হসপিটাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টার হাসপিটাল কতৃপক্ষের অবহেলায় এক নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয়রা জানায়,সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন শ্রমিক অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় এখানে ব্যাঙের ছাতার মত বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতাল হয়েছে।
সেখানে বিভিন্ন গার্মেন্টস শ্রমিকরা না বুঝেই টাকা পয়সা খরচ করে ভুল চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। রোগ তো ভালো হচ্ছেই না শুধু তাদের টাকা
গচ্ছা যাচ্ছে। এসব হাসপাতাল ও ক্লিনিকে নেই কোন ভালো চিকিৎসক।চিকিৎসার নামে চলছে মানুষের সাথে প্রতারণা। তেমনি তেঁতুলঝোড়া
এলাকায় অবস্থিত স্টান্ডার্ড হসপিটাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টার। এই হসপিটাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে গতকাল সকালে ফয়সাল মিয়া নামের এক ব্যক্তি তার স্ত্রীর প্রসব ব্যাথা উঠলে সেই হাসপাতালে সিজার করার জন্য নেন।

পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর সেখানে কোন ডাক্তার না থাকায় নার্স সুমাইয়া ওই গর্ভবতী নারীকে ডেলিভারী কক্ষে নিয়ে যান। এসময় ওই গর্ভবতী নারীর প্রসব ব্যাথা বেড়ে গেলে ডাক্তার আসছে না কেন রোগীর স্বজনরা জিজ্ঞাসা করলে হাসপাতালের নার্স সুমাইয়া বলেন সব ঠিক হয়ে যাবে একটু পরেই ডাক্তার চলে আসবে। পরে ওই গর্ভবতী নারী অসুস্থ হয়ে পড়লে কয়েক ঘন্টা পরে হাসপাতালের গাইনি ডাক্তার ফারজানা সারওয়ার এসে তাকে সিজারিয়ান করান। পরে নবজাতকটি মারা যান।

এসময় হাসপাতাল কতৃপক্ষ মৃত নবজাতকটিকে চিকিৎসার জন্য সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দিলে সেখানে নিলে এনাম মেডিক্যালের ডাক্তারা বলেন ওই নবজাতক শিশু জন্মের চার ঘন্টা আগেই মারা গেছেন সিজার না করার জন্য।

স্বজনদের অভিযোগ, সিজার করার পর ছেলে শিশু জন্ম নিলেও ৪ ঘন্টা আগে শিশুটি গর্ভে মারা গেছে জেনেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের মৃত শিশুটি নিয়ে অন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

স্বজনরা বলেন আমাদের রোগী যখন ভর্তি
করা হয়েছিল তখন যদি সিজার করতো তখন হয়ত আমাদের সন্তান আমরা জীবিত পেতাম। এই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় আমাদের সন্তান আজ পৃথিবীর আলো দেখতে পেলোনা।

আমরা হাসপাতাল কতৃপক্ষের কঠোর শাস্তি
দাবি করছি। খবর পেয়ে সাভার মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

এবিষয়ে স্ট্যান্ডার্ড হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ম্যানেজার ইত্তেহাদুল ইসলাম ইমরান অবহেলার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি
হাসপাতালে ছিলাম না পরে বিষয়টি জেনেছি।

এবিষয়ে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.সায়েমুল হুদা বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ওই হাসপাতাল কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

হসপিটাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় নবজাতক শিশুর মৃত্যু

আপডেট টাইম : ১১:৪৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর ২০২২

সাভারের তেতুলঝোড়া ইউনিয়নের একটি বেসরকারী হসপিটাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টার হাসপিটাল কতৃপক্ষের অবহেলায় এক নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয়রা জানায়,সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন শ্রমিক অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় এখানে ব্যাঙের ছাতার মত বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতাল হয়েছে।
সেখানে বিভিন্ন গার্মেন্টস শ্রমিকরা না বুঝেই টাকা পয়সা খরচ করে ভুল চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। রোগ তো ভালো হচ্ছেই না শুধু তাদের টাকা
গচ্ছা যাচ্ছে। এসব হাসপাতাল ও ক্লিনিকে নেই কোন ভালো চিকিৎসক।চিকিৎসার নামে চলছে মানুষের সাথে প্রতারণা। তেমনি তেঁতুলঝোড়া
এলাকায় অবস্থিত স্টান্ডার্ড হসপিটাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টার। এই হসপিটাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে গতকাল সকালে ফয়সাল মিয়া নামের এক ব্যক্তি তার স্ত্রীর প্রসব ব্যাথা উঠলে সেই হাসপাতালে সিজার করার জন্য নেন।

পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর সেখানে কোন ডাক্তার না থাকায় নার্স সুমাইয়া ওই গর্ভবতী নারীকে ডেলিভারী কক্ষে নিয়ে যান। এসময় ওই গর্ভবতী নারীর প্রসব ব্যাথা বেড়ে গেলে ডাক্তার আসছে না কেন রোগীর স্বজনরা জিজ্ঞাসা করলে হাসপাতালের নার্স সুমাইয়া বলেন সব ঠিক হয়ে যাবে একটু পরেই ডাক্তার চলে আসবে। পরে ওই গর্ভবতী নারী অসুস্থ হয়ে পড়লে কয়েক ঘন্টা পরে হাসপাতালের গাইনি ডাক্তার ফারজানা সারওয়ার এসে তাকে সিজারিয়ান করান। পরে নবজাতকটি মারা যান।

এসময় হাসপাতাল কতৃপক্ষ মৃত নবজাতকটিকে চিকিৎসার জন্য সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দিলে সেখানে নিলে এনাম মেডিক্যালের ডাক্তারা বলেন ওই নবজাতক শিশু জন্মের চার ঘন্টা আগেই মারা গেছেন সিজার না করার জন্য।

স্বজনদের অভিযোগ, সিজার করার পর ছেলে শিশু জন্ম নিলেও ৪ ঘন্টা আগে শিশুটি গর্ভে মারা গেছে জেনেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের মৃত শিশুটি নিয়ে অন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

স্বজনরা বলেন আমাদের রোগী যখন ভর্তি
করা হয়েছিল তখন যদি সিজার করতো তখন হয়ত আমাদের সন্তান আমরা জীবিত পেতাম। এই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় আমাদের সন্তান আজ পৃথিবীর আলো দেখতে পেলোনা।

আমরা হাসপাতাল কতৃপক্ষের কঠোর শাস্তি
দাবি করছি। খবর পেয়ে সাভার মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

এবিষয়ে স্ট্যান্ডার্ড হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ম্যানেজার ইত্তেহাদুল ইসলাম ইমরান অবহেলার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি
হাসপাতালে ছিলাম না পরে বিষয়টি জেনেছি।

এবিষয়ে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.সায়েমুল হুদা বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ওই হাসপাতাল কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।