ঢাকা ১২:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি কালিয়াকৈরে পালিত হলো প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী-২০২৪ দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত রায়পুরে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত সেভ দ্য রোডের ১৫ দিনব্যাপী সচেতনতা ক্যাম্পেইন সমাপ্ত জামালপুরে কৃষককূল লাউ চাষে স্বাবম্বিতা অর্জন করেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অস্ত্রাগারের ভিডিও সম্প্রচার এক পুলিশ সুপারকে বাধ্যতামূলক অবসর মাদক কারবার-মানি লন্ডারিংয়ে বদির দুই ভাইয়ের সংশ্লিষ্টতা মিলেছে ঠাকুরগাঁওয়ে চেতনা নাশক স্প্রে ব্যবহার করে চুরি এলাকায় আতঙ্ক পরিবারের সংবাদ সম্মেলন মামলা সুষ্ঠু তদন্তের দাবি কলেজ ছাত্রকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর দাবি

প্রকৃতির নিপুন কারিগর বাবুই পাখি বিলুপ্তির পথে

নিপুন কারিগর বলা হয় বাবুই পাখিকে। বাবুই পাখিরা শারীকভাবে ছোট হলেও তাদের জ্ঞান ভান্ডার রয়েছে প্রচুর। এক সময় গ্রাম-অঞ্চলে অবাধ বিচরণ ছিল তাদের। সুরেলা শব্দে মন মাতানো কিচিরমিচির শব্দ আগের মত এখন তেমন শোনা যায় না। বুদ্ধিমান বাবুই পাখি ও তাদের দৃষ্টিনন্দন বাসা। বয়স্করা জানান, পাখিটি খুবই বুদ্ধিমান ও দেখতে ছোট হলেও বুদ্ধিতে সব পাখিকে হার মানায়।

চোখে আর পড়ে না গ্রাম-গঞ্জের বাড়ির ধারে কিংবা পুকুর পাড়ে সারি সারি দাঁড়িয়ে থাকা তাল গাছ। তাল গাছের কচি পাতা,নারিকেল গাছের কচি পাতা, সুপারি পাতা দিয়ে বাসা তৈরি করতো নিপুন কারিগর বাবুই পাখি। বাবুই পাখি তার ছোট ঠোঁট দিয়ে এমন নিখুঁত ভাবে বাসা তৈরি করতো যে, বৃষ্টির পানি ভিতরে স্পর্শ করতে পারে না।

ছোট ঠোঁট দিয়ে তৈরি করা বাসাটি এতোটাই মজবুত ছিলো যে তা টেনেও ছেড়া যেতো না। কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে প্রকৃতির নিপুন কারিগর শিল্প বাবুই পাখি। তবে একটা সময় গ্রাম-অঞ্চলে তাদের দেখে মিলতো বেশি।

হালকা বাতাস এলেই দোলতে থাকে বাসাটি। বাসার মাঝখানে থাকে রশিদ মতো সেখানে বসে সুরেলা কণ্ঠে কিচিরমিচির করতে শুনা যেতো। বসবাস করার জন্য বাসার দুই পাশে আড়া তৈরি করতো আর সেই খানেই ডিম পেড়ে বাচ্চা ফোটাত এবং বসবাস করতো।

ভোরবেলার কিচিরমিচির, সুমধুর ডাকাডাকি আর উড়াউড়ি করতে দেখা যেতো রোজ । মুলত তালগাছেই বাসা বাঁধতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে বাবুই পাখি।

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি

প্রকৃতির নিপুন কারিগর বাবুই পাখি বিলুপ্তির পথে

আপডেট টাইম : ০৫:২৭:৫১ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২২

নিপুন কারিগর বলা হয় বাবুই পাখিকে। বাবুই পাখিরা শারীকভাবে ছোট হলেও তাদের জ্ঞান ভান্ডার রয়েছে প্রচুর। এক সময় গ্রাম-অঞ্চলে অবাধ বিচরণ ছিল তাদের। সুরেলা শব্দে মন মাতানো কিচিরমিচির শব্দ আগের মত এখন তেমন শোনা যায় না। বুদ্ধিমান বাবুই পাখি ও তাদের দৃষ্টিনন্দন বাসা। বয়স্করা জানান, পাখিটি খুবই বুদ্ধিমান ও দেখতে ছোট হলেও বুদ্ধিতে সব পাখিকে হার মানায়।

চোখে আর পড়ে না গ্রাম-গঞ্জের বাড়ির ধারে কিংবা পুকুর পাড়ে সারি সারি দাঁড়িয়ে থাকা তাল গাছ। তাল গাছের কচি পাতা,নারিকেল গাছের কচি পাতা, সুপারি পাতা দিয়ে বাসা তৈরি করতো নিপুন কারিগর বাবুই পাখি। বাবুই পাখি তার ছোট ঠোঁট দিয়ে এমন নিখুঁত ভাবে বাসা তৈরি করতো যে, বৃষ্টির পানি ভিতরে স্পর্শ করতে পারে না।

ছোট ঠোঁট দিয়ে তৈরি করা বাসাটি এতোটাই মজবুত ছিলো যে তা টেনেও ছেড়া যেতো না। কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে প্রকৃতির নিপুন কারিগর শিল্প বাবুই পাখি। তবে একটা সময় গ্রাম-অঞ্চলে তাদের দেখে মিলতো বেশি।

হালকা বাতাস এলেই দোলতে থাকে বাসাটি। বাসার মাঝখানে থাকে রশিদ মতো সেখানে বসে সুরেলা কণ্ঠে কিচিরমিচির করতে শুনা যেতো। বসবাস করার জন্য বাসার দুই পাশে আড়া তৈরি করতো আর সেই খানেই ডিম পেড়ে বাচ্চা ফোটাত এবং বসবাস করতো।

ভোরবেলার কিচিরমিচির, সুমধুর ডাকাডাকি আর উড়াউড়ি করতে দেখা যেতো রোজ । মুলত তালগাছেই বাসা বাঁধতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে বাবুই পাখি।